মোবাইলের সমস্ত অ্যাপের পারমিশনে সহমত হবেন না জানুন এর কারণ

Why you Should not Agree for all App Permissions in Bengali: কোন মোবাইলের অ্যাপের সকল পারমিশন দেওয়া উচিৎ কি না? অ্যাপের সমস্ত পারমিশন দিলে আপনার কি ক্ষতি হতে পারে? মোবাইল অ্যাপের সকল পারমিশন দিয়ে আপনার ডাটা চুরি হতে পারে, জানুন সব কিছু এই বিষয়ে।

বর্তমান যুগ এখন ডিজিটাল যুগ, বলতে গেলে সম্পূর্ণ পৃথিবীটা আমাদের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে, এই ছোট্ট স্মার্টফোনের মধ্যে। আর তার জন্য আমরা স্মার্ট ফোনের বিভিন্ন রকমের অ্যাপ্লিকেশন অ্যাপস ডাউনলোড করে থাকি। যেগুলি আমাদের জীবনে অনেক খানি প্রভাব ফেলেছে।

তা থেকে শিখতে পেরেছি অনেক কিছু আবার অনেক খারাপ অভিজ্ঞতাও হয়েছে। তবে আপনি যেভাবে ব্যবহার করবেন সেভাবেই কিন্তু আপনার উপর প্রতিফলিত হবে। কেননা প্রতিটি জিনিসের ভালো এবং খারাপ দুটি দিক রয়েছে।

এছাড়া অনলাইন শপিং থেকে শুরু করে খাবার অর্ডার করা, সিনেমা দেখা, ফ্লাইট টিকিট বুক করা, ব্যাংক একাউন্ট ব্যালেন্স চেক করা, সমস্ত কিছু এখন এই মোবাইলের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে যায় খুবই অল্প সময়ের মধ্যে। তার সাথে সাথে মানুষের সময় বাঁচিয়েছে অনেকখানি এবং উপকারে এসেছে অনেকটা।

তার সাথে সাথে আমাদের জীবনযাত্রার গতিবিধি কে অনেকখানি পরিবর্তন করে দিয়েছে। এমন একটা পরিস্থিতিতে এসে আমরা দাঁড়িয়েছি, এখান থেকে ইন্টারনেট এর আগের দুনিয়াতে ফিরে যাওয়ার মত কোনরকম মানসিকতা তৈরি হবে না, বা বলতে গেলে এই ইন্টারনেট এবং স্মার্ট ফোন ছাড়া আমাদের দিন কোনোভাবেই আর অতিবাহিত হবে না বললেই চলে।

মোবাইলের সমস্ত অ্যাপের পারমিশন সহমত হবেন না জানুন এর কারণ
মোবাইলের সমস্ত অ্যাপের পারমিশন সহমত হবেন না জানুন এর কারণ

আমরা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে সমস্ত কিছু, বলতে গেলে সব কিছুই করতে পারি। কিন্তু আপনি কি জানেন ! কখনো অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করার সময় কিছু ভুলবশত আপনি অসুবিধায় পড়তে পারেন।

কখনো কি আপনি এই সমস্ত অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করার আগে যে সমস্ত অনুমতি চাওয়া হয়ে থাকে, সে সম্বন্ধে খেয়াল রেখেছেন যার জন্য আপনার সম্মতির প্রয়োজন পড়ে, এমনও হয়েছে একবারেই আপনি সম্মতি জানিয়েছেন অথবা ইয়েস বাটনে ক্লিক করেছেন বা এলাউ বাটনে ক্লিক করেছেন, কি তাইতো !

যখন আপনি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করার সময় আরো অন্যান্য ডেটা এক্সেস করতে দিয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনার সুরক্ষা বিপদের মুখে পড়তে পারে। ব্যক্তিগত তথ্য অনেক সময় হ্যাক হতে পারে।

সে ক্ষেত্রে ব্যবহারকারী ফোনের ডেটা পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য হ্যাকারস এই অ্যাপ্লিকেশনের খারাপ লিখিত কোড এর লাভ অথবা ফায়দা উঠাতে পারে।

তো চলুন তাহলে জানা যাক, জনসাধারণের যে সমস্ত অসাবধানতার কারণে এই বিষয়ে অনেকটা ক্ষতি হতে পারে:

গোপনীয়তার ক্ষেত্রে বিপদ:

আপনি কি জানেন একটি শপিং অ্যাপ আপনার ক্যামেরা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। আর এই ভাবে যদি আপনি অনুমতি দিয়ে থাকেন তার জন্য আরো অন্যান্য অ্যাপ এবং ছবির মাধ্যমে বারকোড স্ক্যান এর সাহায্যে বিভিন্ন রকমের আইটেম সার্চ করার অনুমতি দিয়ে থাকেন।

তাছাড়া এমন কোন অ্যাপস আছে যা কিনা অনাবশ্যক রূপে অনুমতি চেয়ে থাকে, যেখানে তাদের কাজের জন্য কোনরকম প্রয়োজন নেই। প্রমাণ স্বরূপ বলা যেতে পারে ক্যামেরা ফ্লাশ এমন ধরনের অ্যাপ টর্চ অথবা আপনার ফোন কে একটি আয়না হিসাবে দেখতে পাবেন।

যেখানে ফোনের এলইডি ফ্লাশ রূপে আপনার মোবাইলের ফ্রন্ট ক্যামেরা চালু করার জন্য, এমন অ্যাপসের জন্য আপনার জন্য একটি মেসেজ, কন্টাক্ট, ব্যক্তিগত ডেটা পর্যন্ত পৌঁছানো একেবারে অনাবশ্যক।

ডেটা ব্যাটারির বিপদ:

বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন চালানোর সময় পরিনাম স্বরূপ ডেটার ব্যবহার হয়ে থাকে। শপিং অ্যাপস যেখানে একটি ছবি, একটি স্ট্যাটাস বার আর মেসেজ সামিল হয়ে থাকে। আর এটা নোটিফিকেশন সমস্ত ইন্টারনেট ডেটার সাথে সাথে ডাউনলোড আর আপডেট এর জন্য ফোনের ব্যাটারি ও কিন্তু ব্যবহার করে থাকে।

প্রত্যেক উপযোগ কর্তা নিজের অজান্তেই যে কোন অ্যাপস এর অনুমতি দেওয়ার আগে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে এবং করতে হবে:

১) সব সময় কোন কিছু শেয়ার করার আগে পলিসির উপরে ভালোভাবে খেয়াল করুন, আপনাকে সব সময় সেই সমস্ত অ্যাপস এর উপরে অনাবশ্যক অনুমতি দেওয়া থেকে বাঁচার জন্য নিয়ম আর শর্ত থেকে সহমত হওয়ার আগে একবার সঠিক প্রয়াস করতে হবে, যাতে আপনার গোপনীয়তা লংঘন না হয়।

২) একেবারে অপরিচিত এবং কখনোই যার নাম শোনেননি বা দেখেননি বা তার রেটিং একেবারেই নেই বললেই চলে, সেই সমস্ত অ্যাপস একেবারেই স্মার্টফোনে ইন্সটল করবেন না। এছাড়াও আপনাকে কেবলমাত্র প্লে স্টোর (অ্যান্ড্রয়েড ইউজার) আর অ্যাপ স্টোর (আইফোন user’s) থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে।

৩) আপনার গোপনীয় তথ্য এর সুরক্ষার জন্য কিছু প্রক্রিয়া করা যেতে পারে, উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে, আপনার কন্টাক্ট সূচিপত্র তে যেন কোনোভাবেই সেই অ্যাপ না পৌঁছাতে পারে, এবং ব্যবহার না করতে পারে।

এছাড়া দেখা যায় কিছু অ্যাপস কন্টাক্ট ব্যবহারের জন্য আবশ্যিকতা প্রয়োজন হয়ে পড়ে, যেমন ধরুন কোন ক্যাব বুক করেছেন বা শপিং করছেন, এখানে কিন্তু আপনার কন্টাক্ট এ ক্ষেত্রে অনেকেই সহযোগিতা করবে।

৪) একটি অ্যাপ এর জন্য যে সমস্ত প্রশ্ন গুলি আপনাকে করা হয়ে থাকে, সে গুলো ভালোভাবে পরীক্ষা করতে হবে। যেখানে আপনার কিছু অনুমতি অসামান্য লাগে এবং যদি মনে হয় যে এর কোনো প্রয়োজন নেই, তাহলে এই সমস্ত বিষয় থেকে বাঁচার চেষ্টা করুন। বিশেষ রূপে আপনার কন্টাক্ট, ক্যামেরা এবং জায়গার জন্য জিজ্ঞেস করতে পারে এ বিষয়ে সতর্ক থাকুন।

৫) যে কোন অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে তার রেটিং অবশ্যই দেখে নেবেন। যদি ফাইভ স্টার থেকে থাকে, তাহলে তো খুবই ভালো। আর যদি 2 থেকে 2.5 এর কম হয় তাহলে এমন অ্যাপস ডাউনলোড করা থেকে সবসময় এড়িয়ে থাকতে হবে।

সেটা আপনার জন্য অনেকটাই ভালো। তাছাড়া আপনি অ্যাপস এর সমীক্ষা এর মাধ্যমে জানতে পারবেন যে কোন অ্যাপ ডাউনলোড করা উচিত আর উচিত নয়।

সে ক্ষেত্রে আপনি আসল আর নকল অ্যাপের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারবেন। এমন অ্যাপ রয়েছে যা কিনা নকল তো বটেই তার সাথে সাথে আপনার ফোনকে খারাপ করে দিতে পারে খুবই কম সময়ের মধ্যে।

সেই কারণে অযথা যে কোন অ্যাপস কোনো কিছু না ভেবেই হঠাৎ করে আপনার ফোনে ডাউনলোড করবেন না। যার ফল অনেকটাই ক্ষতির দিকে নিয়ে যেতে পারে আপনাকে।

Hacker’s সবসময় এর জন্য একটি সুযোগ খোঁজে। তাই এমন কোন তথ্য থেকে অনুমতি দেবেন না যার ফলে হ্যাকারস আপনার ফোনের মাধ্যমে কন্টাক্ট, ক্যামেরা, জায়গা এবং ফোনের আরো অন্যান্য গোপনীয় তথ্য, ডেটা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। সেদিকে খেয়াল রাখবেন, সতর্ক থাকুন এবং আপনার আশেপাশের মানুষকে সতর্ক করুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top