মোটর গাড়ি অ্যাক্ট ২০১৯-এ আপডেট হওয়ার সাথে সাথে গাড়ির মালিক হিসাবে কিছু ব্যাপার এখন আরও বেশি জরুরী হয়ে পড়েছে। আপনার যে সকল বিষয় নিয়ে জানা উচিত তার মধ্যে প্রধান একটি হলো মোটর গাড়ির ইন্স্যুরেন্স রিনিউ করা।
খুব দ্রুত গাড়ি লোন পাওয়া যাওয়ায় এখন কোনও ব্যক্তির গাড়ি কেনা সত্যিই অনেক সহজ হয়ে উঠেছে। তবে কঠিন হলো গাড়ির সকল নিয়মকানুন মেনে সঠিকভাবে চলা। আপনার গাড়িটি একটি সার্ভিস সেন্টারে নিয়মিত পাঠানো এবং মেরামত করা ছাড়াও, আপনার গাড়ীটিকে সুরক্ষিত করার জন্য আপনাকে আরও একটি জিনিস করতে হবে এবং তা হ’ল অনলাইনে গাড়ি ইন্স্যুরেন্স পলিসি গ্রহন করা।
আমাদের গাড়ি ব্যবহার ঝামেলা মুক্ত রাখার সত্যিকারের উপায় হলো সঠিক নিয়মে গাড়ি ইন্স্যুরেন্স করা। আপনার গাড়ীর ইন্স্যুরেন্স রিনিউ করা থাকলে জীবন সত্যি সত্যি অনেক সহজ এবং চাপমুক্ত থাকবে।
ভারতের গাড়ির ইন্স্যুরেন্স পলিসি থাকা বাধ্যতামূলক। তারপরেও একটি গাড়ী ইন্স্যুরেন্স পলিসি গ্রহন করাই সবকিছু নয়। আপনার গাড়ীর ইন্স্যুরেন্সের ভালভাবে খোঁজখবর নেওয়া প্রয়োজন।
এছাড়াও, আপনাকে অবশ্যই সময়মতো আপনার গাড়ীর ইন্স্যুরেন্স পলিসি রিনিউ করতে হবে। কেউ সময়মতো গাড়ির ইন্স্যুরেন্স পলিসি রিনিউ করতে ব্যর্থ হলে তাকে জরিমানা প্রদান বা নতুন পলিসি গ্রহন করার মাধ্যমে এটি চালু করার জন্য দীর্ঘ প্রক্রিয়া সম্পন্য করতে হয়।
সময়মতো গাড়ির ইন্স্যুরেন্স পলিসি রিনিউ করা নতুন পলিসি কেনার মতোই সমান গুরুত্বপূর্ণ কাজ। যদি আপনার গাড়ী ইন্স্যুরেন্স পলিসি রিনিউ করার সময় কাছাকাছি চলে আসে তবে মনে রাখার জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস এখানে রইল –
বেশিরভাগ গাড়ি ইন্স্যুরেন্স পলিসি প্রতি ৬ মাসে একবার বা এক বছরে রিনিউ করা হয়। আপনার গাড়ী ইন্স্যুরেন্স পলিসি কেনার পরের এক বছরের মধ্যেই আবার রিনিউ করতে হবে। গাড়ি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীগুলি সাধারনত পলিসির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই টেলিফোন কল বা একটি ইমেলের মাধ্যমে মোটর ইন্স্যুরেন্স রিনিউয়ের বিষয়ে আপনাকে অবহিত করে থাকে।
আপনাকে অবশ্যই আপনার গাড়ী ইন্স্যুরেন্স পলিসির বেসিক জিনিসগুলি জানতে হবে। তারমাঝে, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী কি কি দিচ্ছে এবং মেয়াদোত্তীকরণের সময়কাল আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে। পলিসির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আপনাকে অবশ্যই নবায়ন করতে প্রস্তুত থাকতে হবে।
গাড়ী ইন্স্যুরেন্স পলিসির ক্ষেত্রে কোনও ছাড়ের সময় নেই। আপনার গাড়ী ইন্স্যুরেন্স পলিসি বাতিল বা মেয়াদোত্তীর্ণতা এড়াতে হলে আপনাকে অবশ্যই রিনিউ করার ফি দিয়ে আবেদন করতে হবে। আপনি যদি সময়মতো অর্থ প্রদান করতে ব্যর্থ হন, আপনার ইন্স্যুরেন্স পলিসিটি নিষ্ক্রিয় ঘোষণা করা হবে এবং সেই মুহুর্ত থেকে আপনার গাড়ি কোনও নীতিমালার আওতায় আসবে না।
আপনি যদি সময়মতো নীতিমালা নবায়ন করেন তবে এর অর্থ হলো যে, আপনি বর্তমান ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর সেবা চালিয়ে নিয়ে যেতে চান। এমনকি আপনি যদি নিজের গাড়ি ইন্স্যুরেন্স অন্য ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীতে করার পরিকল্পনা করেন তবুও কোনও ঝুঁকি এড়াতে আপনার বিদ্যমান পলিসিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আপনাকে অবশ্যই একটি নতুন পলিসি কিনতে হবে।
মোটর ইন্স্যুরেন্স নবায়নের সময়, এটা হতে পারে যে আপনার গাড়ী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী আপনার কাছ থেকে আগের বছর যে পরিমাণ ফি নির্ধারণ করেছিল এই বছর তার চেয়ে বেশি ফি নির্ধারন করেছে।
এই ফি বাড়ার পিছনে কারণ হলো আগের বছরে আরও বেশি ইন্স্যুরেন্স ক্ষতিপূরন দাবি করা। এমনকি যদি আপনি কোনও দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়ে থাকেন অথবা আপনি ট্র্যাফিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন, তাহলে আপনার নির্ধারিত প্রিমিয়ামটি বাড়ানো হবে।
আপনি কীভাবে কম ফি দিতে পারেন ?
আপনার যদি কোনও নির্দিষ্ট অফারের প্রয়োজন না হয় তবে আপনার ইন্স্যুরেন্স পলিসিটি কম প্রিমিয়ামের করতে আপনাকে অবশ্যই আপনার ইন্স্যুরেন্স পলিসিটি পুনরায় ভালোভাবে দেখুন।
ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী / এজেন্টের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন এবং এটি নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। তবে, আপনি প্রিমিয়ামের কিছু অর্থ সঞ্চয় করার জন্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ অফার বন্ধ করবেন না। যা আপনার জন্য হিতে বিপরিত ঘটনা বয়ে আনতে পারে।
তাই আমাদের সবার গাড়ির ইন্স্যুরেন্স নিয়মিত রিনিউ করতে হবে নইলে সরকারী আইন অনুযায়ী ভবিষ্যতে আমাদের গাড়ির কোন ক্ষতি সাধন তার কোন ক্ষতিপূরন পাবো না। সেই সাথে মেয়াদ পার হয়ে গেলে ইন্স্যুরেন্সের রিনিউ করতে চাইলে অনেক জরিমানা ও ঝক্কি ঝামেলা পোহাতে হবে। এজন্য আমাদের নজর রাখতে হবে যে, আমাদের গাড়ির ইন্স্যুরেন্স সবসময় রিনিউ করে হালনাগাদ রাখতে হবে।