জমি সংক্রান্ত কাজ করার সময় অবধারিতভাবে আমাদের সামনে কিছু বিষয় চলে আসে। যেমন; খতিয়ান নাম্বার, দাগ নাম্বার, মৌজা নাম্বার, মিউটেশন ইত্যাদি। এই বিষয়গুলি সাধারণের মাঝে খুব একটা পরিচিত না হওয়ায় অনেক সময়ই আমরা এই বিষয়গুলি বুঝতে পারি না। এতে করে তৈরি হয় অনেক জটিলতা।
আমাদের অনেক সময় এই বিষয়গুলি ভালোভাবে জানার জন্য ৩য় পক্ষের সরণাপন্ন হতে হয়। এতে করে করে থেকে যায় ভুল হবার সম্ভাবনা, প্রতারক চক্রের হাতে পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া। তাই আমাদের সবারই জমি সংক্রান্ত কিছু বিষয় জেনে রাখা উচিত, এতে করে যে কোন সময় জমির নিয়ে আলোচনায় আমরা কোন জটিলতা ছাড়াই বিষয়গুলি বুঝতে পারবো। সেই সাথে রক্ষা পাবো কোন প্রতারণার হাত থেকে।
আমাদের বাংলাভূমি সাইটে আমরা নিয়মিতভাবেই জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকি। এতে করে আপনারা সহজেই জমি কেনা বেচা, জমির দলিল, জমির রেজিস্ট্রেশন এসব ব্যাপার জানতে পারেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করবো জমির খতিয়ান, দাগ নাম্বার কি এই বিষয়গুলি নিয়ে। এই বিষয়গুলি জমির সাথে অঙ্গাঅঙ্গীভাবে জড়িত তাই আমাদের সবারই এই বিষয়গুলি ভালোভাবে জেনে নেয়া উচিত।
সুচিপত্র
আসুন আমরা জেনে নিই, খতিয়ান নাম্বার কি ও দাগ নাম্বার কি?
নিচে আপনাদের জন্য খতিয়ান নাম্বার কি ও দাগ নাম্বার কি তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করছি।
খতিয়ান নাম্বার কি?
খতিয়ান একটি পারসি শব্দ। এর অর্থ হলো জমি সনাক্ত করার করার কাগজপত্র।
সাধারণভাবে জমির মালিকানা বুঝে নেয়া, জমির কেনা বেচা, জমির খাজনা পরিশোধ করার প্রক্রিয়ার জন্য জমি সনাক্তকরার কাগজপত্রকে খতিয়ান বলা হয়ে থাকে। খতিয়ানকে পরচা হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়।
প্রতিটি থানার জমি কিছু ছোট ছোট প্লটে ভাগ করা হয়। এই ছোট ছোট প্লটের নাম মৌজা। প্রতিটি মৌজার একটি নাম্বার থাকে, একে মৌজা নাম্বার বলা হয়ে থাকে। প্রতিটি মৌজা আবার বিভিন্ন প্লটে ভাগ করা হয়ে থাকে। এই প্লটগুলির নাম্বার মৌজার উত্তর পশ্চিম দিক থেকে শুরু হয় এবং দক্ষিণ পূর্ব দিকে গিয়ে শেষ হয়ে থাকে।
এই প্লটগুলিকে খতিয়ান হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। এক একটি খতিয়ানের জমির মালিক ১ জন হতে পারে আবার কয়েকজনও হতে পারে। আবার ১ জন মালিকই কয়েকটি খতিয়ানের জমির মালিক হতে পারেন। এই প্লটগুলির নাম্বারকে খতিয়ান নাম্বার বলা হয়ে থাকে। সাধারনত একটি মৌজায় ১০০ টি খতিয়ান থাকে। তবে ক্ষেত্র বিশেষে এর ব্যতিক্রম হতে পারে।
খতিয়ানে কি কি থাকে?
খতিয়ানে কিছু বিষয় উল্লেখ করা থাকে।
মৌজা নাম্বার
খতিয়ান নাম্বার
মালিকের নাম, পিতার নাম, ঠিকানা,
মোট জমির পরিমান, জমিতে মালিকের অংশ, জমির প্রকারভেদ, জমির খাজনার হার।
আরো পড়ুন: বাংলা আবাস যোজনা ঘরের লিস্ট (নতুন) ও আবেদন ফর্ম Pdf
দাগ নাম্বার কি?
জমি পরিমাপ করার সময় প্রতিটি মৌজায় মাপার সুবিধার এবং সনাক্তকরনের সুবিধার্থে কিছু অংশে দাগ দিয়ে পরিমাপ করা হয়। সেই দাগের নাম্বারকেই দাগ নাম্বার বলা হয়ে থাকে। এক এক দাগ নাম্বারে এক এক আকারের জমি থাকতে পারে। মূলত জমি সনাক্ত করণের জন্য এ সকল খুঁটি বা আইল দিয়ে দাগ দেয়া হয়, এ সকল খুঁটির নাম্বারই দাগ নাম্বার হিসেবে অভিহিত করা হয়ে থাকে।
আজ আমরা খতিয়ান নাম্বার কি, দাগ নাম্বার কি তার তথ্য জানতে পারলাম। এর ফলে আপনারা জমি সংক্রান্ত তথ্য সহজেই বুঝতে পারবেন, আমাদের সাইটের পরবর্তী লেখায় আপনাদের জন্য এই বিষয়ের উপর আরো বিস্তারিত লেখা থাকবে। তাই আমাদের বাংলাভূমি সাইটে নিয়মিত চোখ রাখুন। এই লেখাটি অনেকের কাজে লাগতে পারে তাই লেখাটি যতটুকু সম্ভব শেয়ার করুন, যাতে করে অনেকে এই লেখা থেকে শিক্ষা নিয়ে জমি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন।
জমি নিয়ে আরো অনেক লেখা পেতে আমাদের সাইটের অন্য লেখাগুলি দেখুন। আমাদের লেখা ভালো লাগলে বা যেকোন মন্তব্য আমাদের ফেসবুক পাতায় লিখুন। আমরা আপনার মন্তব্যের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবো।
বিভিন্ন রকমের Invesments, Insurance, Loan, LIC Policy, Mutual Funds ইত্যাদি Financial ব্যাপারে বাংলাতে জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে নজর রাখুন। এখানে পাবেন এই সকল বিষয়ে দুর্দান্ত গাইড যা আপনাকে আপনার টাকা সুরক্ষিত ভাবে বিনিয়োগ এবং অন্যান্য ব্যাপারে সাহায্য করবে। আপনাদের যে কোন পরামর্শ, প্রশ্ন আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।