অগ্নিপথ যোজনা 2023 এর সুবিধা কি? অগ্নিপথ যোজনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর জেনে নিন

অগ্নিপথ যোজনা আসলে কি? এই যোজনা শুরু করার কারণ কি? কি কি সুবিধা রয়েছে এই অগ্নিপথ যোজনাতে? কেন করবেন এই যোজনায় আবেদন? আসুন জেনে নিন অগ্নিপথ যোজনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর যা আপনার মনে চলছে।

সবেমাত্র এই স্কিমের ঘোষণা করা হয়েছে যার নাম অগ্নিপথ স্কিম। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই স্কিম শুরু করেছেন। আর এই স্কিমের নাম দেওয়া হয়েছে অগ্নিপথ যোজনা (Agnipath Yojana)। ভারতীয় সেনাবাহিনী সিলেকশন করার ক্ষেত্রে এটি একটি নতুন পরিকল্পনা বলা যেতে পারে।

এই স্কিম এর মধ্যে যে কোন ভারতীয় যুবক-যুবতি আবেদন করতে পারবেন। এই চাকরির ক্ষেত্রে এটি একটি খুবই বড় সুযোগ ইন্ডিয়ান আর্মি ফোর্স তে জয়েন করার জন্য, আর দেশের সেবা করার জন্য।

অগ্নিপথ যোজনা এর সুবিধা কি? অগ্নিপথ যোজনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর জেনে নিন
অগ্নিপথ যোজনা এর সুবিধা কি? অগ্নিপথ যোজনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর জেনে নিন

বর্তমানে এই অগ্নিপথ যোজনা সম্পর্কে অনেকেই ঠিক ভাবে বুঝতে পারছে না। আপনাদের সুবিধার জন্য অগ্নিপথ যোজনার সমস্ত তথ্য ও আপনাদের মনে জাগা সকল প্রশ্নের উত্তর এখানে দেওয়া হয়েছে। সমস্ত লেখাটি ভালো করে পড়ে এই যোজনা সম্পর্কে বিস্তারিত ও সঠিক বিষয় বুঝতে পারবেন। তাহলে শুরু করুন…

১. অগ্নিপথ যোজনা (Agnipath Scheme) কি? আর এর সুবিধা কি?

অগ্নিপথ স্কিম হল ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদান করার একটি সুবর্ণ সুযোগ দেওয়া। আবেদনকারী দের নতুন ভাবে এই স্কিম এর মধ্যে জয়েন করানো। তার সাথে সাথে সেনাবাহিনীতে শুধুমাত্র চার বছরের চাকরি করতে পারবেন তার সাথে সাথে শৃঙ্খলা বোধ, সমাজে তাদের একটা ইমেজ, সুন্দর ক্যারিয়ার আর সেনাবাহিনীতে যোগদানের কারণে সেখানে এই সম্পর্কে অনেক কিছু শেখার সুযোগ।

তার সাথে সাথে দেশের জন্য কিছু করার আগ্রহ বাস্তবায়িত করতে যুবকদের অনেকখানি সাহায্য করবে। তার পাশাপাশি তাদের ক্যারিয়ার অনেক খানি উন্নত হবে এই চাকরির মধ্যে দিয়ে।

এছাড়া যখন অগ্নিবীর-রা এই চার বছরে চাকরি থেকে মুক্ত হবেন তখন সেবা নিধি পাবেন এর সাথে সাথে সার্টিফিকেট আরো অন্যান্য সুযোগ সুবিধা আর ভবিষ্যতে অন্য কোথাও চাকরি করার জন্য সম্পূর্ণ সহযোগিতা।

প্রকল্পের নাম অগ্নিপথ যোজনা স্কিম, ভারত
পরিচালিত ভারত সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
আবেদনকারী ভারতের যুব (পুরুষ ও মহিলা)
শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
উদ্দেশ্য যুবকদের সশস্ত্র বাহিনীতে অগ্নিবীর হিসেবে কাজ করার সুযোগ দেওয়া।
সেবা এলাকা ভারতীয় সেনাবাহিনী, ভারতীয় নৌবাহিনী, ভারতীয় বিমান বাহিনী
সেবার সময় 4 বছর
বয়স সীমা 17 1/2 -23 বছর
আবেদন প্রক্রিয়া অনলাইন/অফলাইন

এই স্কিম ভারতীয় যুবকদের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ। তাছাড়া খুবই কম সময়ের জন্য সেনাবাহিনীতে যোগদান দিয়ে দেশের জন্য কিছু করে গর্ব অনুভব করা, আর তার সাথে নিজের ভবিষ্যৎকে সুনিশ্চিত করার সুযোগ পেতে পারেন, যেখানে সময়সীমা খুবই কম। এছাড়া যুবকরা তাদের প্রোফাইল কে আরো বেশি ষ্ট্রং করতে পারবেন এই সেনাবাহিনীতে যোগদান দেওয়ার মধ্য দিয়ে।

এই প্রস্তাব অনেকখানি সুবিধা দেবে যুবক-যুবতীদের জন্য, আর খুবই বড় অপরচুনিটি যা কিনা কম সময়ের জন্য মিলিটারিতে সার্ভিস করার সুযোগ দিয়ে থাকে। টেকনিক্যালি ফিজিক্যালি স্ট্রইং হওয়ার একটা সুযোগ থাকে এই স্কিম এর মধ্যে।

এছাড়াও অনেক অভিজ্ঞতা, বেশ আকর্ষণীয় বেতনের সাথে চাকরি এবং চার বছর চাকরির পরে মুক্ত হওয়ার পর অন্য কোথাও চাকরির ক্ষেত্রে অনেকখানি সুযোগ-সুবিধা পেতে পারেন।

২. এই যোজনার উদ্দেশ্য কি? 

  • সেনাবাহিনীতে যুবক রা তাদের প্রোফাইলকে আরো বেশি যেটা ফাইটিং এর ক্ষেত্রে তার সাথে উন্নতি সাধন করতে পারবেন, রিস্ক টেকিং এবিলিটি কে।  
  • এই স্কিম এর মধ্যে দিয়ে যুবকদের আরো বেশি আকর্ষিত করা যাবে সমাজের উন্নতি সাধনে, রক্ষার্থে এবং ব্যবহার করা যাবে মডার্ন টেকনোলজি তার সাথে টেকনিক্যাল thresholds, দেশের টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউশন এর জন্য।

এছাড়া তাদের জন্য এটা খুবই ভালো সুযোগ যে সমস্ত যুবকরা আর্মির ইউনিফর্ম তে নিজেকে দেখতে চাইছেন, তার সাথে দেশের সেবা করতে চাইছেন খুবই কম সময়ের জন্য, আর এই স্কিম তাদের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে সাহায্য করবে।

আগ্নিপথ যোজনার উদ্দেশ্য, নিযুক্তি ও পরিকল্পনা
আগ্নিপথ যোজনার উদ্দেশ্য, নিযুক্তি ও পরিকল্পনা

এছাড়া সেনাবাহিনীতে সাহস, বন্ধুত্ব, শৃঙ্খলা বোধ এবং টিম ওয়ার্ক এর অভিজ্ঞতা খুবই ভালভাবে করতে পারবেন যুবকরা। আর যেটা সমাজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চার বছর পরে তারা এ বিষয়ে অনেকখানি দক্ষ হয়ে উঠবেন বিভিন্ন রকম ট্রেনিং এর মধ্যে দিয়ে।

এর সাথে সাথে এ বিষয়ে তাদের অভিজ্ঞতা মোটিভেশন / অনুপ্রেরণা এবং কাজের দক্ষতা যা কিনা একটা ব্যক্তিত্বের সম্পত্তি বলা যেতে পারে, সেগুলো সব টাই এই যুবকদের মধ্যে দেখা যাবে। যে গুলো তাদের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার এর জন্য অনেক খানি প্রয়োজনীয়।

৩. এই স্কিমের পরিকল্পিত আর সঞ্চিত সুবিধা গুলি কি? 

এই স্কিম এর ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে উইন উইন সিচুয়েশন, সেনাবাহিনী, দেশ, স্বাধীনতা, জাতি, এবং সমাজের জন্য যেখানে সব ক্ষেত্রেই অনেকখানি সুবিধা পাওয়া যেতে পারে।

দেশ (Nation): 

  • জাতীয় মিশন যা কিনা ভিত্তি করে ঐক্যবোধ তার সাথে সমানভাবে এই অপরচুনিটি যুবক-যুবতীদের জন্য একটি সুযোগ বলা যেতে পারে। যা কিনা সমস্ত জাতের পুরুষ এবং মহিলা এই স্কিমের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
  • শৃঙ্খলা বোধ, সচেতনতাবোধ, দক্ষতা সবকিছুর মধ্যে দিয়ে জাতিকে রক্ষা করা যেতে পারে আর যুবকরা এই স্কিমের মধ্যে দিয়ে অনেক রকম প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকেন, যেগুলি সমাজের জন্য অনেকখানি প্রযোজ্য অথবা উপযুক্ত।

সশস্ত্র বাহিনী (Armed Forces):

১) আরো বেশি উন্নত করা যাবে যুদ্ধের প্রস্তুতি কে শক্তি, fitter, বিভিন্ন রকম প্রশিক্ষণ এবং, প্রশিক্ষিত যুবক দের দ্বারা। যা কিনা সমাজকে অনেকখানি পরিবর্তন করতে পারে রূপান্তরকারি বিবর্তন এর মধ্যে দিয়ে।

২) নির্বাচন করার ক্ষেত্রে সবথেকে ভালো বিষয় গুলি রাখা হয়েছে, যেখানে কঠোরভাবে আর স্বচ্ছভাবে সিলেকশন প্রসেস এর মধ্যে দিয়ে নির্বাচন করা হবে আবেদনকারীদের।

৩) যুবকরা তাদের প্রোফাইল আরো বেশি ষ্ট্রং করতে পারবেন এবং তার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারবেন তারুণ্যের সাথে এবং অভিজ্ঞতার সাথে।

৪) স্কিল ইন্ডিয়া এর দ্বারা জেতার প্রচেষ্টর সুবিধা পাওয়া যেতে পারে টেক ইনস্টিটিউট গুলি থেকে।

ব্যক্তিগত স্বাধীনতা (Individuals):

  • এটি একটি খুবই ভালো অপরচুনিটি যুবকদের জন্য যা কিনা তাদের সেনাবাহিনীতে যোগদান করার স্বপ্ন পূরণ করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে থাকে আর তার সাথে সাথে জাতির উন্নতিতে অনেকখানি ভূমিকা পালন করে।
  • তার সাথে সাথে মিলিটারি, শৃঙ্খলা বোধ, অনুপ্রেরণা, দক্ষতা এবং ফিজিক্যাল ফিটনেস এর দিক থেকে অনেকখানি উন্নত হতে পারেন।
  • খুবি মসৃন ভাবে সমাজের উন্নতি সাধন করা যাবে দক্ষতা দিয়ে। এর সাথে সাথে এই সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে এবং ডিপ্লোমা, হায়ার এডুকেশন ক্রেডিট ও রয়েছে।
  • খুবই ভালো একটা ফিনান্সিয়াল প্যাকেজ যা কিনা কোন যুবককে বেসামরিক প্রতিপক্ষ তে অনেকখানি সহযোগিতা করে থাকে।
  • আত্মবিশ্বাস, তার সাথে একজন ভাল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারে মিলিটারি ট্রেনিং টীম বিল্ডিং, আরও অন্যান্য শিক্ষা প্রতি বছরে তাকে আরো বেশি উন্নত করে তুলবে এই স্কিম এর মধ্যে দিয়ে।
  • এছাড়া এই ভিড় ভরা সমাজে তাদের জীবন বৃত্তান্ত খুবই ইন্টারেস্টিং হয়ে উঠবে, এই স্ক্রিমের মধ্যে দিয়ে। তারা হয়ে উঠবেন অগ্নিবীর যা তাদের সামাজিক ইমেজকে বাড়িয়ে তুলতে পারে অনেক গুণ।
Agnipath Yojana - অগ্নিপথ যোজনার বিস্তারিত ও জরুরি তথ্য
Agnipath Yojana – অগ্নিপথ যোজনার বিস্তারিত ও জরুরি তথ্য

৪. এই স্কিমের কি প্রভাব পড়তে পারে সশস্ত্রবাহিনীর অপারেশনাল প্রস্তুতির উপরে?

এই অপারেশনাল প্রভাব সশস্ত্র বাহিনীকে আরও বেশি উন্নত করবে এই স্কিম এর দ্বারা। তার সাথে সাথে ইয়ংগার প্রফাইল তৈরি করার ক্ষেত্রেও সাহায্য করবে।

এছাড়াও টেকনোলজি এবং ট্রেনিং প্রোগ্রাম এর মধ্যে দিয়ে সশস্ত্র বাহিনী সেনাবাহিনী তাদের নিজেদেরকে আরো বেশী উন্নত করতে পারবেন, এই স্কিমের মধ্যে দিয়ে। আর দক্ষতার কথা বলতে গেলে তাদের দক্ষতার ক্ষেত্রে অনেকখানি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে এই স্কিম।

তাছাড়া অগ্নিবীর যা অনেক হায়েস্ট প্রফেশনাল স্ট্যান্ডার্ড এর সাথে যোগাযোগ রাখতে পারবেন। এছাড়া অনেকটাই কম বয়স এর সাথে এই চাকরিতে নিযুক্ত হতে পারা যাবে আর চার বছর পরে তখনও সেই কম বয়সেই চাকরি থেকে মুক্ত হয়ে যেতে পারবেন।

আবেদনকারীদের মধ্যে ৭৭% যাদের বয়স ২৭ বছর এর মধ্যে হতে হবে এবং আরো অন্যান্য শিক্ষাগত যোগ্যতা, ফিজিক্যাল এবং মেডিকেল যোগ্যতার বিচার করে তাদেরকে অগ্নিবীর হিসেবে নিযুক্ত করা হবে।

এই স্কিম এর লক্ষ্য হলো স্কিল ইন্ডিয়া নিযুক্ত করা হবে, আবেদনকারীদের যারা যোগ্য হয়ে থাকবেন আই টি আই / ডিপ্লোমা, ভবিষ্যতের ক্ষেত্রে সাথে  দক্ষতা নিশ্চিত টেকনিক্যাল ট্রেড এর জন্য।

৫. অগ্নিবীরদের ও পি টি (OPT) তালিকাভুক্ত থাকবে কি পার্মানেন্ট ক্যাডার তে?

এই স্কিম সাংগঠনিক প্রয়োজনীয়তা ভিত্তিক এবং নীতি প্রচারিত করা হয়েছে সশস্ত্র বাহিনী দ্বারা। সমস্ত অগ্নিবীর রা চার বছরের চাকরিজীবন সম্পূর্ণ করার পর একটা অপরচুনিটির প্রস্তাব পেতে পারেন, তাদের নাম নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে অ্যাপ্লাই করতে পারেন পার্মানেন্ট ক্যাডার তে।

সর্বোচ্চ ২৫% অগ্নিবীর সিলেক্ট হতে পারেন এই পার্মানেন্ট ক্যাডারে তাদের নাম নথিভুক্ত করার জন্য। তবে তার মধ্যে অনেক রকম শর্ত এবং বিভিন্ন রকমের অবস্থা উপস্থিত রয়েছে যেগুলো জানার পরে তবেই নাম নথিভুক্ত করতে পারেন।

৬. অগ্নিপথ স্কিম কে কিভাবে অন্যান্য দেশের সাথে তুলনা করা যায়? 

খুবই সাবধানতার সাথে বিশ্লেষণ পদ্ধতি কে প্রচার করা, ধারণ করা এবং রিলিজ করার ক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনী কে আরো বেশি উন্নত করতে সাহায্য করবে। দেশের সুরক্ষা প্রদানের তার সাথে সাথে খুবই ভালভাবে প্র্যাকটিস করতে পারবেন দেশের সুরক্ষা প্রদান করার জন্য।

যে বিশ্লেষণ গুলি প্রকাশিত হয়েছে সেগুলো নিচে আলোচনা করা হলো:- 

১) প্রাথমিকভাবে স্বেচ্ছাসেবক মডেল (Primarily Volunteer Model):

প্রতিটি দেশ স্বেচ্ছাসেবক মডেল সশস্ত্র বাহিনী নিয়োগ করে থাকে। আর এক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনীর উপরে বাধ্যতামূলক শর্ত রাখা হয় বলা যেতে পারে।

২) তালিকাভুক্ত করার পদ্ধতি (Enrolment Procedures): 

সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গুলি একাধিক তালিকাভুক্ত করার মডেল অনুসরণ করে থাকে। এছাড়া মিলিটারি ক্যারিয়ারকে স্বেচ্ছায় সক্রিয় করা যেতে পারে, আর সেটি কন্টিনিউ করা যেতে পারে সার্ভিস এর ক্ষেত্রে।

৩) ধারন (Retention): 

সমস্ত দেশ গুলি বাধ্যতামূলক সার্ভিস এর সময়সীমার পর, খুবই হার্ড ওয়ার্কিং, মেধাবী সৈনিকদের ধরে রাখার জন্য তাদের পছন্দ এবং মেধার ওপরে নির্ভর করে সিলেকশন প্রসেস এর মধ্যে দিয়ে তাদেরকে নির্বাচিত করা হয়।

৪) প্রশিক্ষণ (Training):

সমস্ত দেশ গুলি প্রশিক্ষণের জন্য প্রাথমিকভাবে খুবই কম সময় রেখেছে। স্পেশালাইজড ট্রেনিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একজন সৈনিকের জন্য। সিলেক্ট হওয়া অথবা নির্বাচিত হওয়া, সার্ভিস করার ক্ষেত্রে অনেকটা লম্বা সময়ের জন্য তাই প্রশিক্ষণ খুবই জরুরী।

৫) প্রস্থানের উদ্দীপনা (Incentivisation of Exit): 

প্রস্থানের উদ্দীপনা বেশ কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে হয়ে থাকে সেগুলো নিচে দেওয়া হল:-

  • শিথিলকরণ / অবসর, উদ্দীপনা, প্রেরণা হায়ার এডুকেশন এর জন্য অন্বেষণ করার ক্ষেত্রে।
  • চাকরি থেকে অবসর নেওয়া অথবা প্রস্থান করার ক্ষেত্রে ফিনান্সিয়াল প্যাকেজ।
  • এডুকেশন কোয়ালিফিকেশন এর মধ্যে ক্রেডিট সার্ভিস চলাকালীন এর জন্য।
  • আরেকটি বড় সুবিধা হল নাম নথিভুক্ত করা যাবে পার্মানেন্ট ক্যাডার এর মধ্যে।
  • কিছু নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে job থেকে প্রস্থান করার পর।

৭. রেজিমেন্টাল সিস্টেম হল অনুপ্রেরণামুলক বিষয় সৈনিকদের জন্য, তো এক্ষেত্র কর্মকর্তাদের বন্ড এবং যুদ্ধকালীন সঞ্চালন করার পরেও সেই একই আনয়ন পরিবর্তন হবে কি?

আমরা ধরে নিতে পারি যে, রেজিমেন্টাল সিস্টেম থেকে নির্বাচন করার কল্পনা করা যেতে পারে এই স্কিমের জন্য, অগ্নি বীরদের এবং শুধুমাত্র তাদের সাহস এর প্রমাণ দেওয়ার ক্ষেত্রে, ইউনিট এর সমন্বয় নিশ্চিত করা যেতে পারে কর্মীদের দ্বারা। আরও দিক রয়েছে, যেগুলিতে আলোকপাত করা যেতে পারে, অগ্নিবীর দের ট্রেনিং প্রাপ্ত হওয়া এই বিষয়ের ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে।

৮. প্রশিক্ষণ অথবা ট্রেনিং এ যে সময়সীমা দেওয়া হয়েছে তা থেকে এটা নিশ্চিত করা যায় কি, যে কোন অপারেশনাল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার জন্য সেটা পর্যাপ্ত?

তবে এক্ষেত্রে বলা যেতে পারে, যুবকরা আজকাল ভালো খেয়ে থাকেন, দ্রুত দৌড়াতে পারেন এবং অনেকটাই স্ট্রং। তার সাথে সাথে টেকনোলজির ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে। তাই এক্ষেত্রে খুব সহজেই নিজেদেরকে পরিবর্তন করতে পারবেন।

বর্তমান সময়ে প্রতিভা রয়েছে অনেক কিন্তু এক্ষেত্রে তাদের প্রশিক্ষণের মধ্যে দিয়ে তাদের প্রতিভাকে ফুটিয়ে তোলা হবে আর এই প্রশিক্ষণ অথবা ট্রেনিং প্রোগ্রাম তাদেরকে আরো বেশী উন্নত করতে, প্রভাবিত করতে আরো বেশি দক্ষ করে তুলতে সাহায্য করবে।

তাই কতটা সময় ধরে ট্রেনিং অথবা প্রশিক্ষণ চলছে সেটার উপরে সব কিছু নির্ভর করছে না বলা যেতে পারে। যুবকরা তাদের দক্ষতা অনুসারে খুবই কম সময়ের প্রশিক্ষণ থেকেও পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রশিক্ষিত হতে পারবেন যেকোনো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার জন্য।

৯. এই অগ্নিপথ যোজনা মহিলাদের জন্য উন্মুক্ত হতে পারে কি?

এক্ষেত্রে মহিলারা প্রগতিশীল পদ্ধতিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন অর্থাৎ যুক্ত হতে পারবেন, সশস্ত্র বাহিনীতে অথবা সেনাবাহিনীতে এই অগ্নিবীর স্কিম এর মধ্যে দিয়ে।

১০. কিভাবে এই স্কিম এর নিয়োগ সংরক্ষণ করা যেতে পারে সারা দেশে?

এই স্কিম এর লক্ষ্য হলো বোর্ড বেসড ট্যালেন্ট কে কাজে লাগানো এবং জাতির উন্নতি, তার সাথে নিযুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে সবথেকে ভালো ভবিষ্যৎ এর জন্য এটি উপযুক্ত। বিশেষ করে সশস্ত্র বাহিনীর ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনীতে নিযুক্ত হওয়ার জন্য কোনো রকম পরিবর্তন করা হয়নি এই স্কিম অনুসারে।

তাছাড়া অল ওভার ইন্ডিয়া তে এই অগ্নিপথ যোজনা এর মধ্যে দিয়ে ভারতের সমস্ত তরুণ যুবক তাদের স্বপ্ন পূরণ করার অবকাশ পাবেন। তার সাথে সাথে ভাল ক্যারিয়ার উপহার পাবেন।

১১. অগ্নিপথ যোজনা এর মধ্যে সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ফিনান্সিয়াল প্যাকেজ কি রাখা হয়েছে? 

বছর ১ম বর্ষ ২য় বছর ৩য় বছর ৪র্থ বর্ষ
মাসিক বেতন ₹ ৩০০০০ ₹ ৩৩০০০ ₹ ৩৬৫০০ ₹ ৪০০০০
হাতে (৭০%) ₹ ২১০০০ ₹ ২৩১০০ ₹ ২৫৫৮০ ₹ ২৮০০০
অগ্নিবীর কর্পাস ফান্ড (৩০%) ₹ ৯০০০ ₹ ৯৯০০ ₹ ১০৯৫০ ₹ ১২০০০
সরকার দ্বারা কর্পাস ফান্ডে অবদান। ₹ ৯০০০ ₹ ৯৯০০ ₹ ১০৯৫০ ₹ ১২০০০

চার বছর পর: 

কন্ট্রিবিউশন টু অগ্নিবীর corpus ফান্ড (৩০%): ৫.০২ লাখ টাকা

কন্ট্রিবিউশন টু corpus ফান্ড গভারমেন্ট দ্বারা: ৫.০২ লাখ টাকা।

চার বছর পর প্রস্থান করার পরে: ১১.৭১ লাখ টাকার সেবা নিধি প্যাকেজ যা কিনা সম্পূর্ণ ট্যাক্স ফ্রী।

Agnipath Yojana Package Information in Bangla
Agnipath Yojana Package Information in Bangla

সর্বমোট বার্ষিক প্যাকেজ:

প্রথম বছর এর জন্য ৪.৭৬ লাখ টাকা।

চতুর্থ বছরের জন্য ৬.৯২ লাখ টাকা।

ভাতা (Allowances):

  • ঝুঁকি এবং কষ্ট,
  • রেশন,
  • ড্রেস
  • ট্রাভেল এগুলি ভাতা হিসেবে প্রযোজ্য রয়েছে।

সেবা নিধি (Seba Nidhi): 

  • ৩০% প্রতি মাসে বেতন হিসেবে পাবেন।
  • তার সাথে সমান-সমান অ্যামাউন্ট,
  • সরকারের অনেকখানি অবদান থাকবে।
  • Corpus ১০.০৪ লাখ টাকা অথবা এর বেশি, যা কিনা সম্পূর্ন ইনকাম ট্যাক্স ফ্রি চার বছর চাকরি সম্পন্ন করার পর।

মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ (Death Compensation):

  • Non-contributory লাইফ ইন্সুরেন্স কভার ৪৮ লাখ টাকা।
  • অতিরিক্ত অনুগ্রহ হিসাবে ৪৪ লাখ টাকা, সেবা চলাকালীন মৃত্যুর ক্ষেত্রে।
  • এছাড়া চার বছরের সার্ভিস কমপ্লিট করার পর আপনি এই সেবা নিধি প্যাকেজ পাবেন।

অক্ষমতার ক্ষতিপূরণ (Disability Compensation): 

এক্ষেত্রে মেডিকেল অথরিটি দ্বারা অক্ষমতার ক্ষেত্রে চিকিৎসার জন্য সম্পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে। গুরুতর আহত হলে মেডিকেল অথরিটি দ্বারা ক্ষতিপূরণ করা হবে। এক্ষেত্রে অক্ষমতার ক্ষতিপূরণ হিসেবে এককালীন যে টাকাটা দেওয়া হবে সেটা হল ১০০% অক্ষমতার জন্য ৪৪ লাখ টাকা, ৭৫% অক্ষমতার জন্য ৫০ লাখ টাকা এবং ৫০% অক্ষমতার জন্য ১৫ লাখ টাকা।

অফিশিয়াল ওয়েবসাইট অগ্নিপথ স্কিম এর জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে: 

অফিশিয়াল ওয়েবসাইট (ভারতীয় সেনাবাহিনী): https://joinindianarmy.nic.in/
অফিশিয়াল ওয়েবসাইট (ভারতীয় নৌসেনা): https://www.joinindiannavy.gov.in/
অফিশিয়াল ওয়েবসাইট (ভারতীয় বায়ুসেনা): https://careerindianairforce.cdac.in/

এই সমস্ত অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মধ্যে দিয়ে আপনি অগ্নিপথ স্কিমের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আপনি উপরে দেওয়া লিংক গুলোতে ভিজিট করতে পারেন এবং লেটেস্ট আপডেট পেতে পারেন অগ্নিপথ স্কিমের আলাদা আলাদা সেনাতে আবেদন করার জন্য।

সবশেষে বলা যেতে পারে খুবই কম সময়, চার বছরের জন্য আপনিও যোগদান করতে পারবেন আর সেবা নিধি প্যাকেজ পাবেন অগ্নিবীর রা, এই অপরচুনিটির মধ্যে। তার সাথে সাথে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন পার্মানেন্ট ক্যাডার এর মধ্যে।

সর্বোচ্চ ২৫% অগ্নিবীর নির্বাচিত হবেন সেন্ট্রাল এর মধ্যে দিয়ে, আর চার বছরের চাকরি জীবনের পরেও তাদের চাকরি জারি রাখতে পারবেন সমাজের দেশের এবং জাতির সংরক্ষণ, সুরক্ষার জন্য। তাদের কর্ম জীবন স্থায়ী করে নিজেদেরকে দেশের সেবায় নিযুক্ত করে রাখতে পারবেন।

অগ্নিপথ স্কিমের এই সমস্ত বিষয়গুলি জানাটা অনেকখানি জরুরি। তাই আজকের লেখা টি আপনাদের অনেকখানি ভালো লেগেছে, আশা করা যায়। তো যারা এই স্কিম এর মধ্যে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে চান, তারা অনায়াসেই অফিশিয়াল ওয়েবসাইট এর মধ্যে দিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। তাছাড়া অনলাইন ও অফলাইন এই দুটি পদ্ধতিতেই এই স্কিম এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top