বিনায়ক দামোদর সাভারকর জীবনী 2023 – ইতিহাস, পরিবার এবং স্বাধীনতা সংগ্রামী কার্যক্রম

বিনায়ক দামোদর সাভারকর কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? বিনায়ক দামোদর সাভারকর কিভাবে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলেন? ওনার বাবা-মা কে? ওনার জীবন কেমন ছিল? এছাড়াও বিনায়ক দামোদর সাভারকর সম্পর্কে জানা-অজানা তথ্য জানুন (Biography of Vinayak Damodar Savarkar in Bengali)।

অনেক বিপ্লবী ভারতবর্ষের স্বাধীন হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। এমনই সব বীর যোদ্ধাদের মধ্যে অনেকেই খুবই কম বয়সে স্বাধীনতা সংগ্রামে নিজের জীবন উৎসর্গ করে গিয়েছেন।

ভারতবর্ষের বীর যোদ্ধারা যারা ভারতকে স্বাধীন করতে জীবনবাজি রেখেছিলেন আজও তাদের নামে আমাদের গর্ব অনুভব হয়। তাদের জীবন থেকে অনেকখানি অনুপ্রেরণা পেয়ে থাকেন অনেকেই। এমনই স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য নাম হলো বিনায়ক দামোদর সাভারকর (Vinayak Damodar Savarkar)

বিনায়ক দামোদর সাভারকর জীবন পরিচয় - Vinayak Damodar Savarkar Biography in Bengali
বিনায়ক দামোদর সাভারকর জীবন পরিচয় – Vinayak Damodar Savarkar Biography in Bengali

তিনি ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে সম্পূর্ণ রূপে যুক্ত হয়ে পড়েন। সাভারকর কে হিন্দুত্ব রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রবক্তা বলে গণ্য করা হয়। এছাড়া সাভারকর ছিলেন দেশদ্রোহী, মুসলিম ও খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে।

তিনি চেয়েছিলেন যে সমস্ত ধর্ম ও আদর্শের উপরে উঠে সবাই নিজেকে আগে ভারতীয় বলে মনে করুক। আধুনিক হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দলগুলো সাভারকরকে পরম পূজনীয় হিসেবে সম্মান করে থাকেন।

তিনি একটি অভিনব ভারত সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি হিন্দু মহাসভার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়া তিনি হিন্দু সমাজের কুখ্যাত জাতিভেদ প্রথার বিরোধিতা করেছিলেন।

তো চলুন এমন একজন স্বাধীনতার সংগ্রামী তথা সমাজসেবক ব্যক্তিত্বর জীবনী সম্পর্কে জানা যাক: 

বিনায়ক দামোদর সাভারকরের জীবনী: 

  • সম্পূর্ণ নাম: বিনায়ক দামোদর সাভারকর
  • জন্ম তারিখ: ২৮ শে মে ১৮৮৩ সাল
  • জন্মস্থান: মুম্বাই, ভারত
  • পিতার নাম: দামোদর সাভারকর
  • মাতার নাম: রাধা বাই সাভারকর
  • জাতীয়তা: তিনি ভারতীয়
  • স্ত্রীর নাম: যমুনা বাই
  • পেশা: উকিল, রাজনীতি, লেখক
  • রাজনৈতিক দল: অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা
  • মৃত্যু: ২৬ শে ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ সাল

বিনায়ক দামোদর সাভারকারের জন্ম ও শৈশব জীবন: 

বিনোদ দামোদর সাভারকর ১৮৮৩ সালের ২৮ শে মে নাসিক জেলার ভাগলপুরে একটি সাধারণ হিন্দু ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবকাল থেকে দেশপ্রেমের বোধ নিয়ে আরো ভাই-বোনদের সাথে শৈশব কাটিয়েছেন। সেই সমস্ত ভাই-বোনদের নাম হলো গণেশ, ময়না এবং নারায়ণ।

তিনি ১২ বছর বয়সে জীবনের প্রথম বীরত্ব এর পতাকা উত্তোলন করেছিলেন যখন সাভারকর একদল ছাত্রকে মুসলমানদের ভিড়ে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। যা পুরো শহরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিল। বীর হিসেবে তাকে সভারকার বলে ডাকা হতো। ছোটবেলা থেকেই দেশের জন্য কিছু করার আবেগ তাকে বিপ্লবী হিসেবে গড়ে তোলে।

তার বড় ভাই গণেশ তার পদক্ষেপে মূল ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি একজন তরুণ খেলোয়াড় হিসেবে সবার সামনে আবির্ভূত হয়েছিলেন এবং আস্তে আস্তে তিনি একটি যুবক দল সংগঠিত করেন, যা পরবর্তীতে মিত্র মেলা নামে পরিচিত হয়।

বিনায়ক দামোদর সাভারকর এর  শিক্ষাজীবন: 

তিনি সর্বদাই বিপ্লবী মনোভাব নিয়ে চলাফেরা করতেন, যাতে তিনি অংশগ্রহণের জন্য নিজের সংগঠন তৈরি করেছিলেন কারণ তার জীবনে তিনি লালা লাজপত রায়, বালগঙ্গাধর তিলক এবং বিপিনচন্দ্র পালের মত অনেক মহান বিপ্লবী নেতাদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।

বিপ্লবী কর্মকাণ্ড গুলি অব্যাহত রেখে তিনি ফার্গুশন কলেজে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি খুব ভালো নাম্বার পেয়ে পড়াশোনায় উত্তীর্ণ হন এবং কলেজে বৃত্তি পান, স্কলারশিপ অনুযায়ী তিনি আরও পড়াশোনার জন্য ইংল্যান্ডে যাওয়ার প্রস্তাব পেয়েছিলেন।

ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন এবং পড়াশোনার সাথে সাথে একই সময় ইংল্যান্ড এ একটি ছাত্রের বাসভবনে বসবাস করে তিনি সেখানে বসবাস করে সমস্ত ভারতীয় ছাত্রদের অনুপ্রাণিত করেছিলেন এবং ফ্রী ইন্ডিয়া সোসাইটি নামে একটি সংগঠন তৈরি করেছিলেন। সাভারকর সেই ছাত্রদের ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে স্বাধীনতার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।

বিনায়ক দামোদর সাভারকর এর কালা পানির সাজা: 

ইংল্যান্ড থেকে ভারতে ফিরে এসে সাভারকর তার ভাই গণেশের সাথে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অ্যাক্ট ১৯০৯ (মিন্টো মরলে ফর্ম) এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করেন। ব্রিটিশ পুলিশ বিনায়ক দামোদর সাভারকরকে অপরাধী ঘোষণা করে এবং তার নামে ওয়ারেন্ট জারি করা হয়। সেই গ্রেফতারি এড়াতে সাভারকর প্যারিসে চলে যান।

পরবর্তীতে ১৯১০ সালে সাভারকর ব্রিটিশ পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। তাকে দোষী সাব্যস্ত করে তার বিরুদ্ধে আদালত একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। যার জন্য তাকে বিচারের জন্য মুম্বাইয়ের পাঠানো হয়েছিল। যেখানে ৫০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল তাকে।

তার এই শাস্তির জন্য কালা পানির শাস্তি হিসেবে তাকে ১৯১১ সালের ৪ ই জুলাই আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের সেলুলার জেলে বন্দী করে রাখা হয়। আর এই শাস্তি অথবা সাজা চলাকালীন তাকে প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। তবুও কিন্তু তিনি হাল ছেড়ে দেননি।

জেলের মধ্যে বিনায়ক দামোদর সাভারকারের হিন্দুত্ব ছড়ানো: 

জেলে থাকাকালীন অবস্থাতেও তিনি হিন্দুত্বকে সারাদেশে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। কারণ জেলে বসে তিনি হিন্দুত্ব নামে আদর্শ প্রচার পত্র লিখতেন। কে হিন্দু এবং জেলের বাইরে নিরবে সেটা বিতরণ করতেন। যাতে ধীরে ধীরে এই প্রস্তাব গুলি সবার কাছে পৌঁছাতে পারে।

সারা দেশে প্রকাশিত হয়েছে এবং সবার মধ্যে এই ধারণা পৌঁছেছে এবং তাকে ভারতের দেশ ভক্তি এমন ভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল যে, তিনি মনে করতেন সকল ধর্মই সমান।

বিনায়ক দামোদর সাভারকারের লেখা বই: 

যেহেতু তিনি হিন্দুত্ব ছাড়ানোর জন্য বই লিখেছিলেন, তার পাশাপাশি যুদ্ধের উপরে একটি বই লিখেছিলেন, ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহের গেরিলা যুদ্ধ সম্পর্কে সাভারকর গভীরভাবে চিন্তা করেছিলেন এবং সেই যুদ্ধের ওপর একটি বইও লিখেছিলেন। সেই বইটির নাম হল দ্য হিস্ট্রি অফ দি ওয়ার অফ দি ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেন্ডেন্স (The History of the War of the Indian Independence) এই বইটি দেখার পর ইংরেজ সরকারের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়।

আর সেই কারণে ইংরেজ সরকার এই বইটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তার সাথেও এই বইটি বিহারে খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। পরবর্তীতে তিনি এই বইটি তার বন্ধুদের মধ্যে বিতরণ করেছিলেন।

বিনায়ক দামোদর সাভারকারের হিন্দু সভার নির্মাণ: 

১৯২৪ সালে ৬ জানুয়ারি কালাপানির শাস্তি থেকে মুক্তি পান, তারপরে তিনি ভারতের রত্নগিরি হিন্দু সভা অনুষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তার মতে এই সমাবেশের মূল উদ্দেশ্য ছিল সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সম্পূর্ণ রূপে রক্ষা করা। এরপর ১৯৩৭ সালে বিনায়ক সাভারকারের প্রতিভা দেখে হিন্দু সভার সদস্যরা তাকে হিন্দু সভার সভাপতি করে নেন।

হিন্দু জাতি গঠনের জন্য তার প্রচেষ্টা সর্বদাই ছিল। তাই বিনায়ক সাভারকর এই প্রস্তাবের মনোযোগ দেন এবং এর জন্য তিনি অনেক ভারতীয় জাতীয়তা বাদীদের সাথে যোগদান করেন, যাদের মধ্যে সাভারকারের জনপ্রিয়তা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকে।

বিনায়ক দামোদর সাভারকর ছিলেন গান্ধী বিরোধী: 

তিনি মহাত্মা গান্ধী এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা করে দেশকে হিন্দুত্বের দিকে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। গান্ধীজি কতৃক গৃহীত প্রধান কর্মকান্ডের বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। যার মধ্যে ভারত ছাড়ো আন্দোলন ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যকলাপ। সাভারকর কখনোই চাননি যে ভারত দুটি দেশের বিভক্ত হয়ে যাক। আর সেই কারণে তিনি কখনোই দেশভাগের জন্য সহযোগিতা করেন নি। আর সেই কারণেই তিনি গান্ধীজীর বিরোধিতা করেছিলেন।

সাভারকরের বিশ্বাস ছিল যে, একটি দেশের দুটি রাষ্ট্রের সহবাস্তানের প্রস্তাব করা উচিত এবং একটি পরিমাণকে দুটি দেশে ভাগ করা উচিত নয়। তাছাড়া তিনি গান্ধীজীর কোন কিছুর সাথে কখনোই একমত ছিলেন না। তিনি খিলাফত আন্দোলনের সময়ও মুসলমানদের সাথে মহাত্মা গান্ধীর তুষ্টির নীতি এর সমালোচনা করেছিলেন।

তাছাড়া সভারকর এর লেখা বহু প্রবন্ধে এটাও বলা হয়েছে যে, তিনি গান্ধীকে ভন্ড বলতেন। আর সেই সাথে গান্ধীজী সম্পর্কে বলতেন, তিনি একজন অপরিণত প্রধান, যিনি ছোট চিন্তা করে দেশকে ধ্বংস করেছেন।

বিনায়ক দামোদর সাভারকর এর কিছু তথ্য সম্পর্কে জানা যাক: 

  • একদিকে স্বাধীনতার জন্য তিনি লড়াই করেছেন অন্যদিকে সমাজসেবামূলক কাজে যোগদান করেছেন।
  • এই বীর সাভারকর নিজেকে নাস্তিক বলে ঘোষণা করেছিলেন তবুও তিনি হৃদয় দিয়ে হিন্দু ধর্ম পালন করেছিলেন এবং মানুষকে আরো উৎসাহিত করতেন কারণ রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিচয় হিসেবে সাভারকর নিজেকে হিন্দু মনে করতেন এবং কেউ তাকে হিন্দু বলে তিনি গর্ববোধ করতেন।
  • তিনি কখনোই হিন্দু ধর্মকে ধর্ম মনে করেননি। হিন্দু ধর্মকে তার পরিচয় হিসেবে রেখেছিলেন এবং হিন্দু ধর্মের সাথে জড়িত হাজার হাজার গোঁড়া বিশ্বাসকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন কিন্তু সেই বিশ্বাস গুলি এই ব্যক্তির জীবনে কোন ভিত্তি ছিল না।

এছাড়া তিনি তার জীবনের রাজনৈতিক রূপটিও ভালোভাবে অভিনয় করেছেন। তিনি মানবতাবাদ, সর্বজনীনতা, যুক্তিবাদ, উপযোগিতাবাদ, ইতিবাচকতা, এবং বাস্তববাদের একটি প্রধান মিশ্রণ রাজনৈতিক আকারে গ্রহণ করেছিলেন।

তিনি যেমন দেশপ্রেমী ছিলেন তার পাশাপাশি ভারতের কিছু সামাজিক কুখ্যাত বিষয় যেমন ধরুন, বর্ণ বৈষম্য, অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে তিনি কিন্তু রুখে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাদের সময়ে একটি প্রচলিত প্রথা হিসেবে বিবেচিত হতো এই সমস্ত বিষয়গুলি।

তিনি বলেন যে, কালাপানির সাজা চলাকালিন কারাগারে কাটানো সময়টা ছিল তার জীবনের শ্রেষ্ঠ ও অনুপ্রাণিত সময়। কালাপানির সাজা চলাকালীন জেলে থাকা কালে তিনি কালা পানি নামে একটি বইও লেখেন। যেখানে ভারতীয় স্বাধীনতা কর্মীদের সংগ্রামী জীবনের সম্পূর্ণ বর্ণনা করেছেন তিনি।

বিনায়ক দামোদর সাভারকর এর মৃত্যু: 

তিনি তার মৃত্যু নিজের হাতেই নিয়েছিলেন, অর্থাৎ তিনি জীবনে ইচ্ছা মৃত্যুর স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাই তিনি আগেই সবাইকে বলেছিলেন যে, তিনি তার মৃত্যু পর্যন্ত উপবাস রাখবেন এবং মুখে একটি দানা ও কাটবেন না।

তাছাড়া বিনায়ক দামোদর সাভারকর তার শেষ সময়ে যে রোজা রেখেছিলেন সে সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন, প্রত্যেক ব্যক্তির তার জীবনের উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য পূর্ণ অনুমতি থাকা উচিত। সে কিভাবে তার জীবন শেষ করতে চায় এবং কিভাবে সে তার জীবন কাটাতে চায়, সে ব্যক্তির পূর্ণ অনুমতি পাওয়া উচিত।

এমনই সংকল্প নেওয়ার পর তিনি সেই অনুসারে উপবাস শুরু করেন। তার সাথে সাথে মৃত্যুর আগে এই সময় তিনি একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন যার নাম ছিল “এটি আত্মহনন নয়, আত্মহনন”।

১৯৬৬ সালের ১ লা ফেব্রুয়ারি সাভারকর ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি উপবাস শুরু করেছেন এবং খাওয়া-দাওয়া থেকে বিরত থাকবেন এবং এটা প্রতিজ্ঞা ছিল যে তিনি যতক্ষণ না মৃত্যুবরণ করছেন ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি মুখে খাবারের দানা তুলবেন না। এই ব্রতর পর তিনি তার উপবাস করতে থাকেন এবং অবশেষে তিনি ২৬ শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অর্থাৎ টানা ২৬ দিন না খেয়ে থেকে ১৯৬৬ সালে ২৬ শে ফেব্রুয়ারি মুম্বাইয়ের বাস ভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। যে বাড়িতে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন সেই বাড়ি এবং তার সমস্ত জিনিস পত্র এখন জনসাধারণের জন্য সংরক্ষিত করে রাখা হয়েছে, প্রদর্শন এর ক্ষেত্রে।

প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এই বীর যোদ্ধা যেমনটা বলেছেন তেমনি ভাবেই কিন্তু কাজ করেছেন। তার সমস্ত কার্যকলাপ মানুষকে সত্যিই অনুপ্রাণিত করে। আর তার এই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করা সবাইকে অবাক করে দিয়েছিল।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top