Traffic laws and penalties for driving: গাড়ি চালানোর নতুন ট্রাফিক আইন ও শাস্তি | গাড়ি চালানোর জন্য কোন কোন ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে? | বর্তমান ট্রাফিক আইন ও তার শাস্তি সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন।
পৃথিবী পরিবর্তনশীল তার সাথে নিয়মকানুনের পরিবর্তন ঘটে পরিস্থিতি এবং সমস্যার উপর নির্ভর করে। আর সেই কারণে ভারতের ট্রাফিক আইন নিয়ে বেশ কিছু নিয়মকানুন তো রয়েছেই তার মধ্যে দিনবদলের সাথে সাথে সেগুলির মধ্যে অনেকখানি পরিবর্তনও করা হয়েছে।
যাতায়াতের সময় আপনি ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করলে অবশ্যই ট্রাফিক পুলিশের হাতে ধরা পড়বেন। সে ক্ষেত্রে চালান, ফাইন অনেক কিছু বিষয় আপনাকে করতে হবে।
তবে এমন কিছু নিয়ম রয়েছে যেগুলো আপনার জানাটা জরুরী। সেগুলি উপেক্ষা করে চললে অথবা ট্রাফিক আইন সম্পূর্ণরূপে মেনে চললে আপনি কিন্তু এই সমস্ত সমস্যা থেকে অনেকখানি দূরে থাকবেন।
ভারতে রাস্তা, নেটওয়ার্কের কাজ করে, কেননা একটা রাস্তা সমস্ত জায়গায় যাওয়ার জন্য যথেষ্ট। এক রাজ্য থেকে আর এক রাজ্য, এক শহর থেকে আর এক শহর যাওয়ার জন্য এই রাস্তা আমাদের সাহায্য করে।
₹ হোম লোন • ₹ পার্সোনাল লোন • ₹ বাইক লোন • ₹ কার লোন • ₹ বিজনেস লোন • ₹ শিক্ষা লোন
আর যদি সেই রাস্তা খুবই জনবহুল হয়ে থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার কর্তব্য ও দায়িত্ব এর মধ্যে পড়ে যে সেখানে খুবই সাবধানে নিজের যানবাহন অথবা গাড়ি টি চালানো।
এক্ষেত্রে আইন অনুসারে ভারতের 1988 এই অধীনে মোটর যানবাহন আইন নির্ধারিত করা হয়েছে। যাতায়াত যানবাহনের বীমা, পারমিট, যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন ইত্যাদি বিষয়ের উপরে এই অধিনিয়ম বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ট্রাফিক আইনে বেশকিছু সংশোধন আনা হয়েছে। নতুন করে যেগুলি জনসাধারণের জেনে রাখাটা অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যাতায়াত করার জন্য।
ট্রাফিক আইন নিয়ম ও শাস্তি:
তো চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক, সংশোধন করার পর ট্রাফিক আইনে যে শাস্তি গুলি বেড়েছে সেগুলো সম্পর্কে:
১) বিপজ্জনকভাবে গাড়ি চালানো, যেখানে ট্রাফিক সিগনালে লাল আলোকে উপেক্ষা করা এবং যাতায়াতের ক্ষেত্রে যে নিয়ম পালন করতে হয় সেটা লংঘন করে গাড়ি চালানো:
প্রথম অপরাধের জন্য 6 মাস থেকে 1 বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে অথবা এক হাজার থেকে 5 হাজার টাকা পর্যন্ত ফাইন হতে পারে। তার পরের অপরাধের জন্য দুই বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে অথবা 10 হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হতে পারে।
২) নেশা অবস্থায় ড্রাইভিং করলে:
প্রথম অপরাধ 6 মাসের জেল অথবা 10 হাজার টাকা ফাইন দিতে হবে, তার পরের অপরাধের জন্য দুই বছরের জেল অথবা 15 হাজার টাকা পর্যন্ত ফাইন।
৩) অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো অথবা প্রতিযোগিতা করে গাড়ি চালানোর অপরাধ:
প্রথম অপরাধের জন্য এক মাসের জন্য জেল অথবা 500 টাকা পর্যন্ত ফাইন তার পরের অপরাধের জন্য 1500 টাকা পর্যন্ত ফাইন।
৪) ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানোর অপরাধে:
প্রথম অপরাধের জন্য তিন মাসের জন্য জেল হতে পারে এবং দুই হাজার টাকা পর্যন্ত ফাইন হতে পারে। তারপরের অপরাধের জন্য তিন মাসের জন্য জেল হবে আর চার হাজার টাকা পর্যন্ত ফাইন।
৫) ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া অথবা পারমিট ছাড়া গাড়ি চালানোর জন্য 5 হাজার টাকা পর্যন্ত ফাইন হতে পারে।
৬) দুর্ঘটনা সম্পর্কিত অপরাধের জন্য: প্রথম অপরাধের জন্য ছয় মাসের জেল অথবা 10 হাজার টাকা পর্যন্ত ফাইন, তারপরের অপরাধের জন্য এক বছর পর্যন্ত জেল অথবা 10 হাজার টাকা পর্যন্ত ফাইন।
৭) গাড়ি চালানোর জন্য মানসিকভাবে অথবা শারীরিকভাবে উপযুক্ত নয় অথচ গাড়ি চালাচ্ছে সে ক্ষেত্রে:
প্রথম অপরাধের জন্য 1000 টাকা, দ্বিতীয় অপরাধের জন্য 2000 টাকা।
৮) যাতায়াতের রাস্তাতে সম্পূর্ণ ফাঁকা জায়গায় গাড়ি চলাচলে বাধা প্রাপ্ত করলে, সে ক্ষেত্রে 500 টাকা পর্যন্ত ফাইন।
৯) টু হুইলার এর জন্য হেলমেট এবং ফোর হুইলার এর জন্য সিটবেল্ট যদি না পরে থাকেন তাহলে 1000 টাকা পর্যন্ত ফাইন।
১০) অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে কোনো গাড়ি চালালে সে ক্ষেত্রে প্রতি মাথাপিছু অথবা যে কজন ব্যক্তি অতিরিক্ত হবেন, সেই কজন ব্যক্তির মাথাপিছু 200 টাকা করে জরিমানা।
১১) 14 বছর বয়সের কম বাচ্চাকে কোন রকম সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই গাড়ি চালকের সাথে বসানোর অপরাধ: 1000 টাকা জরিমানা।
১২) মোটরসাইকেল অথবা টু হুইলার এর ক্ষেত্রে চালক ছাড়া একজন ব্যক্তির বেশি ব্যাক্তি বসলে সেক্ষেত্রে এক হাজার টাকা জরিমানা এবং তার সাথে তিন মাস পর্যন্ত ড্রাইভিং লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা হবে।
১৩) এমারজেন্সি যানবাহন গুলির জন্য রাস্তা ছাড়ার ক্ষেত্রে যদি আপনি বিফল হয়ে থাকেন তো: ছয় মাস পর্যন্ত জেল, তার সাথে 10 হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা।
১৪) সাইলেন্ট জোন অথবা যেখানে কোনরকম হর্ন বাজানো নিষেধ সেখানে যদি আপন আপনি অনবরত হর্ন বাজাতে থাকেন সেক্ষেত্রে প্রথম অপরাধের জন্য 1 হাজার টাকা জরিমানা তারপরের অপরাধের জন্য 2 হাজার টাকা জরিমানা।
যদি কোনো অপ্রাপ্তবয়স্ক বাচ্চা মোটর গাড়ি চালায় তাহলে শাস্তি এবং জরিমানা:
এমন ঘটনা অনেক চোখে পড়ে। কেননা অনেক বাবা-মা রয়েছেন তাদের নাবালক বাচ্চাদের গাড়ি অথবা মোটরসাইকেল চাবি দিয়ে দেন কেননা তারা গাড়ি চালানো শিখবে। অবশ্যই শেখাটা জরুরি, তবে সেটা বয়সসীমার পর। না হলে এই অসাবধানতা অনেক বড় সমস্যা তৈরী করতে পারে।
কোন দুর্ঘটনা হতে পারে, সেখানে বাচ্চাটির শারীরিকভাবে কোনো ক্ষতি হতে পারে, তাছাড়া আইন অনুসারে ধারা 199 অনুযায়ী সেই অভিভাবককে 25 হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হতে পারে এবং তিন বছর পর্যন্ত জেল পর্যন্ত হতে পারে।
শুধু তাই নয় আপনার সেই নাবালক বাচ্চার 25 বছর বয়স পর্যন্ত আপনার নিজের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্ত করার কোনো রকম অনুভূতি কিন্তু দেওয়া হবে না। আর এই আইন বয়স সীমার নিচে ড্রাইভিং যাতে কোনো অভিভাবক তাদের বাচ্চাদের না করতে দেন সেই সমস্যার সমাধান করতে তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবছর অনুসারে এমনভাবে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে 1.49 লাখ বাচ্চার। আর এটা দেশের জন্য খুবই চিন্তার বিষয়। সে ক্ষেত্রে এই আইন অনেক খানি সহযোগিতা করবে এমন অসাবধানতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে।
আপনার বাচ্চাকে গাড়ি ড্রাইভিং করার জন্য অবশ্যই তাকে সময় দিন, একটা বয়সের পর ভালোমতো ট্রেনিং নিয়ে তবেই গাড়ী চালানোটা উচিত। কেননা রাস্তায় নিজের ক্ষতির পাশাপাশি আরো অন্যান্য যানবাহনের অসুবিধা ও ক্ষতি হতে পারে। বলতে গেলে বড় ধরনের কোনো পথ দুর্ঘটনা হতে পারে, এ বিষয়ে সচেতন হোন এবং অন্যকে সচেতন করুন।
তবে অবশ্যই ট্রাফিক আইন গুলি মেনে যদি রাস্তায় যাতায়াত করেন তাহলে কোন রকম সমস্যার সম্মুখীন আপনাকে হতে হবে না। তার সাথে সাথে অন্যের সুবিধা দেখাটাও আপনার উচিত।