স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প 2023: মানুষের জন্য উন্নতমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা

পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প: মানুষের জন্য উন্নতমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা
পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প: মানুষের জন্য উন্নতমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা

প্রকল্পের নাম : স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প

দপ্তর বা বিভাগের নাম : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ

এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য কি :

উন্নতমানের আধুনিক স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রত্যেক প্রান্তিক মানুষের দরজায় পৌঁছে দেওয়া। এবং সেটি স্বচ্ছতা ও আধুনিকতার পাশাপাশি অত্যাধুনিক ই-প্রযুক্তি ব্যবহার করে।

রাজ্যের কয়েক লাখ আইসিডিএস কর্মী, আশা কর্মী, সিভিক ভলান্টিয়ার, স্বনির্ভর গোষ্ঠী, হোমগার্ড, গ্রিন পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা কর্মী, ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের সকল সদস্য, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আংশিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী, অর্থ দপ্তরের অনুমতিক্রমে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের মুখে আজ হাসির ঝিলিক।

অন্যান্য স্মার্ট কার্ডের মতো এই কার্ডনিয়ে সমস্ত সরকারি হাসপাতাল-সহ ৭০০-র বেশি বেসরকারি হাসপাতালে যেতে হবে। ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ওই কার্ডধারীর পরিবারের যে কেউ, বছরে চিকিৎসা পাবেন, ক্যাশলেস হিসেবে।

বিশেষ জটিল রোগের ক্ষেত্রে ৩.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমার আওতায় থেকে চিকিৎসা করা যাবে। এই স্বাস্থ্য বিমার আওতায় ১৯০০-র বেশি ধরনের রোগের চিকিৎসার সুবিধা দিচ্ছে সরকার।

হাসপাতালে থাকাকালীন সমস্ত চিকিৎসা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ওষুধ, খাবার দেওয়া হচ্ছে বিনামূল্যে। এছাড়া যাতায়াত ভাড়া বাবদ ২০০ টাকা এবং ভর্তির একদিন আগে ও ছাড়া পাওয়ার পরের ৫ দিনের ওষুধও বিনামূল্যে পাওয়া যাচ্ছে।

স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প
স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প

সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, স্বাস্থ্য সাথী নিয়ে চালু হয়ে গিয়েছে মোবাইল অ্যাপস। রয়েছে ফেসবুক, ট্যুইটার এবং টোল-ফ্রি নম্বরে (১৮০০-৩৪৫-৫৩৮৪) সমস্ত তথ্য জানা এবং অভিযোগ জানানোর সুবিধা।

এছাড়াও ওয়েব পেজ : www.swasthasathi.gov.in -এ সমস্ত তথ্য জানা যাবে।

একদম প্রান্তিক এলাকাতেও কোন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত , চিকিৎসকের নাম, কাছাকাছি কোথায় কোন ধরনের সুপার স্পেশালিটি রয়েছে, কোন হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স —আইসিইউ রয়েছে ইত্যাদি নানা খুঁটিনাটি তথ্য হাতের মুঠোয় পৌঁছে দিতেই এই উদ্যোগ।

এই প্রকল্পে কারা আবেদন করবেন :

সিভিক ভলান্টিয়ার্স, গ্রিন ভলান্টিয়ার্স, ভিলেজ ভলান্টিয়ার্স, সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ার্স, বিপর্যয় মোকাবিলা কর্মী, জাতীয় স্বেচ্ছাসেবী বল (এনভিএফ), হোমগার্ড, আইসিডিএস কর্মী ও সহকারী, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের স্বনির্ভর গোষ্ঠী, পঞ্চায়েতিরাজ ইনস্টিটিউটের চুক্তিভিত্তিক ও ঠিকা-শ্রমিক, পুর এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠী, আশা কর্মী, অনারারি হেলথ ওয়ার্কার্স, অর্থদপ্তরের অধীনে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে চুক্তিভিত্তিক ও ঠিকা-শ্রমিকেরা আবেদন করবেন।

স্বামী/স্ত্রী, তাঁদের ওপর নির্ভরশীল পিতামাতা ও শ্বশুর-শাশুড়ি এবং ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত ছেলেমেয়ে প্রত্যেকে এই স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পাবেন। এছাড়াও ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের সকল সদস্য ও তাঁদের পরিবার এবং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আংশিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।

কোথায় করতে হবে যোগাযোগ : 

প্রতি জেলায় ব্লকস্তরে বিডিও অফিস, শহর ও শহরতলির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পুরসভা এবং অবশ্যই ২৪ ঘণ্টা চালু থাকা টোল-ফ্রি নম্বর – ১৮০০-৩৪৫-৫৩৮৪।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top