West Bengal Swasthya Sathi Card Status Check Online 2024 – SSC (স্বাস্থ্য সাথী আবেদনের স্থিতি 2024), স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের স্থিতি যাচাই করার পদ্ধতি কি? কিভাবে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড চেক করবেন? স্বাস্থ্য সাথী কার্ড আবেদনের স্থিতি দেখার পদ্ধতি কি? এবং এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের আরও তথ্য এখানে দেখুন।
মানুষের সব থেকে বড় সম্পদ হলো স্বাস্থ্য সম্পদ। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হলে সেরকম সুখ শান্তি বজায় থাকে সবদিক থেকে। তাই উপার্জনের পাশাপাশি স্বাস্থ্যবীমা করিয়ে রাখেন অনেকেই। যাতে অসুবিধা তে সেই টাকা থেকে অনায়াসেই রোগের চিকিৎসা করা যেতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য সাথী (Swasthya Sathi) এই প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে জনসাধারণের সুস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড প্রতিটি পরিবারে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। অনলাইনে অথবা অফলাইনে এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর জন্য আবেদন করা যাবে, আর এই তালিকায় আপনার নাম আছে কিনা তাও কিন্তু চেক করতে পারবেন।
স্বাস্থ্য সাথী কার্ড যাচাই করার পদ্ধতি:
- সবার প্রথমে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন, https://swasthyasathi.gov.in/
- এরপর যে পেজ ওপেন হবে সেখানে ফাইন্ড ইওর নেম (Find Your Name) অপশনে ক্লিক করুন।
- এবার আবার একটি নতুন ওয়েব পেজ ওপেন হবে, যেখানে আপনার রেজিস্টার মোবাইল নাম্বারটি দিন।
- এরপর আবার একটি নতুন ওয়েব পেজ ওপেন হবে, সেখানে নিজের নাম, জেলার নাম, ব্লকের নাম অথবা মিউনিসিপ্যালিটির নাম সমস্ত কিছু দিয়ে পূরণ করতে হবে।
- এরপর Select By Option এ স্বাস্থ্যসাথী তে এপ্লাই সময় যে ডকুমেন্ট দিয়েছিলেন সেটি সিলেক্ট করুন এবং তার আইডি নাম্বার দিন।
- এরপর আপনার সামনে একটি নতুন পেজ ওপেন হবে, সেখানে নিজের নাম এবং ইউ আর এন নাম্বার (URN) দেওয়া থাকবে সেটি দেখতে পাবেন। (যদি স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে আপনার নাম নথিভুক্ত হয়ে থাকে তো।)
স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প কিভাবে কাজ করে:
সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে সবথেকে বেশি মাথাব্যথা। সেই কারণে উপার্জনের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং এমার্জেন্সি হিসেবে বেশ কিছু টাকা জমা করে রাখেন অনেকেই।
স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার জন্য প্রত্যেক মানুষের কাছে থাকতে হবে, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড সঠিক পদ্ধতি মেনে এবং নিয়মাবলী অবলম্বন করে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে আবেদন করলেই পাওয়া যাবে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড।
যে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা স্বাস্থ্য বীমা করা থাকে, যার মধ্যে দিয়ে সাধারণ মানুষ তাদের চিকিৎসা খুবই সহজ ভাবে যেকোন হাসপাতাল থেকে করতে পারবেন।
এছাড়া স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা নেওয়ার জন্য প্রত্যেক রোগীকে অবশ্যই কোন না কোন সরকারি হাসপাতালে অথবা বেসরকারি হাসপাতালে অথবা নার্সিংহোমে ভর্তি হতেই হবে, সেক্ষেত্রে দেখতে হবে যে কোন কোন বেসরকারি হাসপাতালে নার্সিং হোম গুলি এই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় রয়েছে।
আর সেই অনুসারে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে একমাত্র সেখানেই। হাসপাতাল অথবা নার্সিংহোমে গিয়ে নিজের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দেখালে এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে। যেমন ধরুন মেডিসিন খরচ, বেড ভাড়া, অপারেশন এর খরচ আর অন্যান্য খরচ এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর মধ্যে দিয়ে হয়ে যাবে।
স্বাস্থ্য সাথী অ্যাপ্লিকেশন স্ট্যাটাস অনলাইন চেক করার পদ্ধতি
কারা পাবেন স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সুবিধা:
- স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে সুবিধা পেতে গেলে আবেদনকারীকে এবং তার পরিবারকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
- তবে সে ক্ষেত্রে সেই ব্যক্তি ধনী না গরীব বা তার মাসিক আয় কত সেসব দেখা হবে না।
- শুধুমাত্র তিনি এ রাজ্যের বাসিন্দা কিনা সেটাই দেখা হবে।
- এছাড়া পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সমস্ত নাগরিক স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর মাধ্যমে সরকারি স্বাস্থ্য বীমার জন্য আবেদন করতে পারবেন অনায়াসেই।
- স্বাস্থ্য সাথী কার্ড পাওয়ার জন্য আলাদা করে উপার্জন সংক্রান্ত কোনো শর্ত বা বাধ্যবাধকতা থাকবে না।
- এছাড়া আবেদনকারী ব্যাক্তি নিরাপত্তাকর্মী, আইসিডিএস কর্মী ও সহকারি কর্মী, হোমগার্ড ও হতে পারেন।
- এক্ষেত্রে গ্রীন ভলেন্টিয়ার্স, সিভিল ডিফেন্স ভলেন্টিয়ার, সিভিক ভলেন্টিয়ার্স, ভিলেজ ভলেন্টিয়ার্স ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে কর্মী হতে পারেন এই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের জন্য আবেদনকারী।
- আবেদনকারী শ্রমিক অথবা দিনমজুর, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের স্বনির্ভর গোষ্ঠী ভুক্ত, পুরসভা এলাকায় স্বনির্ভর গোষ্ঠী ভুক্ত, সম্মানীয় স্বাস্থ্যকর্মীরা, অঙ্গনওয়াড়ি হেলথ ওয়ার্কার হতে পারেন।
- যে কোন পরিবারে স্বামী-স্ত্রী, বাবা, মা, শ্বশুর, শাশুড়ি, ১৮ বছর পর্যন্ত প্রত্যেক ছেলে ও মেয়ে এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
- ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের সমস্ত সদস্য এবং তাদের পরিবার, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আংশিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সবাই এই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
কোন কোন ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর জন্য আবেদন করা যাবে না:
- পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা যে সমস্ত মানুষ এবং তাদের পরিবার আগে থেকে কোন বেসরকারি স্বাস্থ্যবীমা করিয়ে থাকলে তারা কিন্তু এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
- যে সমস্ত কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারি কর্মচারী যারা আগে থেকে কোন সরকারি স্বাস্থ্য বীমার নানা সুবিধা ভোগ করছেন তারা এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
- এছাড়া যে সমস্ত সরকারি কর্মচারী আগে থেকে কোন সরকারি স্বাস্থ্য বীমা স্কিমের সুবিধা পাননি, তারা কিন্তু অবশ্যই এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর জন্য আবেদন করতে পারেন।
- সমস্ত রকম সরকারি কর্মচারী ইতিমধ্যে মেডিকেলের জন্য আলাদা করে মাইনের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ভাতা পেয়ে থাকেন তারা কেউ স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
Swasthya Sathi Card 2023: স্বাস্থ্য সাথী কার্ড কি? সুবিধা ও যোগ্যতা
স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করানোর জন্য কিভাবে আবেদন করবেন:
যেহেতু পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে বসবাসকারী সমস্ত নাগরিক এই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে এই সুবিধা ভোগ করার জন্য রোগীর পরিবারের কাছে অবশ্যই থাকতে হবে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড (Swasthya Sathi Card)। এই কার্ড পাওয়ার জন্য জেলার ব্লক স্তরের বাসিন্দাদের বিডিও অফিসে এবং শহরের বাসিন্দাদের পুরসভায় যোগাযোগ করতে হবে।
এর পাশাপাশি যদি কেউ স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের টোল ফ্রি নাম্বার এ ফোন করতে চান, তাহলে নিচে দেওয়া এই টোল ফ্রি নাম্বার টি তে ফোন করেও স্বাস্থ্য সাথী কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন, (১৮০০-৩৪৫-৫৩৮৪) এছাড়া স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে (https://swasthyasathi.gov.in) গিয়েও এই প্রকল্পের সমস্ত রকম তথ্য জানতে পারবেন।
Home | Click here |
Official Website | Click here |