কম খরচে এই ব্যবসাটি শুরু করুন মাত্র এক বছরে প্রচুর লাভ করবেন

লকডাউনের পর মানুষের লাইফস্টাইল অনেক পরিবরতন হয়েছে। আজ আমারা যে ব্যবসা সম্পর্কে বলব সেটি লকডাউনের পর বাজারে প্রচুর চাহিদা বেড়েছে। লাইফস্টাইল পরিবর্তনের কারণে ন্যাপকিন, টিস্যু পেপার- এর চাহিদা প্রচুর বেড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে অফিস, হোটেল এবং রেস্তরাগুলিতে ন্যপকিন, টিস্যু পেপার নিজের জায়গা করে নিয়েছে।

Start Tissue Paper Making Business in India

সময়ের সাথে সাথে মানুষের জীবনযাত্রার পরিবর্তন হয়েছে, লাইফস্টাইল বদলেছে। করোনা ভাইরাসের কারণে  বেশিরভাগ মানুষ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে মনোনিবেশ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে অনেক কিছুর চাহিদা বাড়তে চলেছে। বাজার খোলার পর দেখা গিয়েছে লাইফস্টাইল পরিবর্তনের কারণে টিস্যু ও ন্যপকিনের চাহিদা বেড়েছে। এখন এগুলি সকলের ব্যক্তিগত জীবনের অংশ হতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে আপনার কাছে কাগজের ন্যাপকিনের ও টিস্যুর ব্যবসা শুরু করার বড় সুযোগ রয়েছে। জেনে নিন কীভাবে আপনাকে সরকার সহায়তা করবে এই ব্যবসাটি শুরু করার জন্য।

এই ব্যবসাটি শুরু করুন আর লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করুন

ন্যাপকিন ও টিস্যু পেপারের চাহিদা বাড়ার কারণে, এই ব্যবসাটিতে ভাল সুযোগ দেখা যাচ্ছে। আজ এই ব্যবসাটি বাজারে প্রচুর জায়গা করে নিয়েছে। আপনি যদি এই ব্যবসার কথা ভেবে থাকেন, তবে কাগজের ন্যাপকিন ও টিস্যুর ব্যবসা একটি খুব ভাল বিকল্প। আপনি যদি এই ব্যবসা শুরু করেন তাহলে ভাল অর্থ উপারজন করতে পারেন।  এই ব্যবসাটি শুরু করেতে সরকার আপনাকে সাহায্য করবে। আপনি কম অর্থ দিয়ে এই ব্যবসা শুরু করেতে পারেন।

এই ব্যবসাতে আপনাকে কত বিনিয়োগ করতে হবে?

এই ব্যবাসাটি শুরু করতে আপনাকে 3 লক্ষ 50 হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। আপনি যদি 3 লক্ষ 50 হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন তবে আপনি সহজেই এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এছাড়াও আপনি যে কোন ব্যাঙ্কের সাথে মানি স্কিমের আওতায় লোনের জন্য আবেদন করেতে পারেন। আপনি যদি লোনের জন্য আবেদন করেন তাহলে টার্ম লোণ হিসাবে প্রায় 3 লক্ষ 10 হাজার টাকা এবং ক্যাপিটাল লোন হিসাবে 5 লক্ষ 30 হাজার টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন। সরকারি লোনের সাহায্যে এই কাজ করা সরল হয়ে যাবে কারণ সরকার বিনা গ্যারেন্টি লোন দিচ্ছে এই ধরণের নতুন ব্যবসা শুরু করার জন্য।


এই ব্যবসাটি শুরু করেতে কত টাকা লাগবে?

এই ব্যবসাটি শুরু করতে আপনাকে প্রায় 4 লক্ষ 40 হাজার টাকা মেশিনের জন্য ব্যয় করতে হবে জা আপনাকে একবারের জন্য নিতে হবে।  এছাড়া আপনাকে কাঁচামালের জন্য প্রায় 7 লক্ষ 13 হাজার টাকা ব্যয় করেতে হবে। অনান্য ব্যয় অর্থাৎ পরিবহন, গ্রাহ্য সামগ্রী, টেলিফোন, স্টেশনারী, রক্ষণাবেক্ষণ, বিদ্যুৎ ইত্যাদির জন্য 11 লক্ষ টাকা ব্যয় করতে হবে।

বছরে এই ব্যবসাতে আপনার কত টার্নওভার হবে?

এই ব্যবসাতে আপনি এক বছরে কেবল 1 লক্ষ 50 হাজার কেজির ন্যপকিন উৎপাদন করতে পারবেন। এর থেকে বেশি কাজ করার জন্য আপনাকে অনুমোদন নিতে হবে এবং উৎপাদনের পরে এটি বাজারে প্রতি কেজি 65 টাকা দরে ​​বিক্রি করা যেতে পারে। আপনি যদি বছরে 1 লক্ষ 50 হাজার কেজি কাগজের টিস্যু, ন্যাপকিন উৎপাদন করেন তবে 65 টাকার বিনিময়ে আপনার বছরে টার্নওভার প্রায় 97 লক্ষ 50 হাজার টাকা হবে। আপনি যদি এ থেকে আপনার সমস্ত ব্যয় অপসারণ করেন তবে আপনি এক বছরে 10 থেকে 12 লক্ষ টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় করতে পারবেন।

আশা করি সরকারে আত্মনির্ভর যোজনার অন্তর্গত এই ব্যবসা আপনাদের সাহায্য করবে, যদি আমাদের এই তথ্য আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই সকলের সাথে শেয়ার করবেন এবং এই ধরণের আরো নতুন নতুন তথ্য পাবার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে নজর রাখুন।নতুন নতুন আপডেট পাবার জন্য আমাদের Facebook Page লাইক ও ফলো করুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top