প্রকল্পের নাম :শিক্ষাশ্রী প্রকল্প
দপ্তরের নাম : অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দপ্তর এবং আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তর
এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য কি:
পিছিয়ে-থাকা-পরিবারের পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য বার্ষিক বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে এই প্রকল্পে। অতি দরিদ্র প্রতিটি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার।
একদিকে খাদ্যের ব্যবস্থা, অন্যদিকে পড়াশোনা। ফলে শিক্ষাশ্রী, আজ রাজ্যের প্রতিটি তপশিলি জাতি ও তপশিলি আদিবাসী পরিবারের কাছে মুক্তির আলো এনে দিয়েছে।
সরকারের অর্থেনিজের ছেলেমেয়ে পড়াশোনা করে দাঁড়াবে, সমাজের মূল স্রোতে মিশবে—একজন তপশিলি জাতি বা তপশিলি আদিবাসী বাবা-মায়ের কাছে এটাই অনেক বড়ো পাওনা। আর তাঁদের এই ইচ্ছে পূরণ করে দিচ্ছে রাজ্য সরকার।
তপশিলি জাতির ক্ষেত্রে পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণির জন্য বার্ষিক ৭৫০ টাকা হারে ও অষ্টম শ্রেণির জন্য বার্ষিক ৮০০ টাকা হারে এবং তপশিলি আদিবাসীর ক্ষেত্রে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির জন্য বার্ষিক ৮০০ টাকা হারে বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।
কারা করতে পারে আবেদন এই প্রকল্পে:
পরিবারের সারা বছরের আয় ২.৫ লক্ষ টাকা বা তার কম হতে হবে। ছেলে বা মেয়েকে তপশিলি জাতি বা তপশিলি আদিবাসী হতে হবে এবং কোনও সরকারস্বীকৃত স্কুলে পড়াশোনা করতে হবে।
আবেদন করতে হবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে। টাকা পাওয়ার জন্য ব্যাংকে ছাত্রছাত্রীদের নিজস্ব অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। ওই অ্যাকাউন্ট খোলবার ব্যবস্থাও রাজ্য সরকার করে দিয়েছে।
সাংসদ, বিধায়ক, পুরপিতা, পঞ্চায়েত প্রধান, জেলা পরিষদ সদস্য, সভাপতি অথবা সরকারি আধিকারিককে দিয়ে বার্ষিক আয়ের প্রমাণপত্র-সহ আবেদনপত্র বিদ্যালয়ে জমা করতে হবে।
কোথায় করতে হবে যোগাযোগ:
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবেদনপত্রগুলি খতিয়ে দেখে ছাত্রছাত্রীদের সামগ্রিক তথ্য একসঙ্গে নিয়ে তা ব্লক/ মহকুমা শাসকের অফিসের মাধ্যমে জেলায় প্রকল্প আধিকারিকের কাছে পাঠাবেন অর্থ বরাদ্দ করার জন্য।
শিক্ষাশ্রীর অর্থ সরাসরি ছাত্রছাত্রীদের নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়।