এই কারণগুলির জন্য আপনার আমেরিকার ভিসার আবেদন রিজেক্ট হতে পারে

Reasons for US Visa Rejection or Refusal in Bengali: আমেরিকার ভিসার আবেদন করেছেন? রিজেক্ট হয়ে যাবেনা তো? | জানুন এই কারণগুলির জন্য আপনার আমেরিকার ভিসার আবেদন রিজেক্ট হতে পারে | আবেদনের পূর্বে অবশ্যই এই কারণগুলি জেনে নিন তাহলে ভুল হবেনা।

সংযুক্ত রাজ্য আমেরিকার তে প্রবেশ করার জন্য প্রত্যেক ব্যক্তিকে সংযুক্ত রাজ্যের সীমার শুল্ক আর ইউ এস সি আই এস (USCIS) দ্বারা নির্ধারিত বিভিন্ন রকমের শর্তগুলি পালন করা অবশ্যই প্রয়োজন।

কোন দেশে যাওয়ার জন্য ভিসা অবশ্যই রূপে প্রয়োজন পড়ে। আমেরিকা দ্বারা দেওয়া দুই  রকম শ্রেণি রয়েছে। তা ছাড়া সব মিলিয়ে ১৮৫ এর ও বেশি ধরনের ভিসা উপলব্ধ রয়েছে।

এই কারণগুলির জন্য আপনার আমেরিকার ভিসার আবেদন রিজেক্ট হতে পারে
এই কারণগুলির জন্য আপনার আমেরিকার ভিসার আবেদন রিজেক্ট হতে পারে

১) প্রবাসী ভিসা:- এই শ্রেণীর ভিসার মধ্যে সেই সমস্ত মানুষ থাকতে পারেন,  যারা একেবারে স্থায়ীভাবে আমেরিকাতে বসবাস করার জন্য সেখানে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভিসার আবেদন করছেন।

২) বিনা – প্রবাসী ভিসা: সেই সমস্ত মানুষদের জন্য, যারা শুধুমাত্র ঘোরা ফেরা করার জন্য, কোন পড়াশোনার ক্ষেত্রে, ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে U.S.A. যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করছেন, সে ক্ষেত্রে এটা অস্থায়ী হিসেবে প্রযোজ্য হতে পারে। কেননা সেখানে ব্যাক্তি একটা নির্দিষ্ট সময় সীমা পর্যন্ত সেখানে অস্থায়ী ভাবে থাকবেন।

ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া একটি জটিল আর খুবই সময় সাপেক্ষ। যদি খুব তাড়াতাড়ি ভিসা প্রাপ্ত করতে চান তাহলে একটি ভালো উকিলের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

বিনা প্রবাসী ভিসার জন্য যে সমস্ত জনপ্রিয় কারণ গুলো রয়েছে সেগুলি হল:- 

যে সমস্ত কারণ গুলির জন্য আপনার ইউ এস এ (USA) ভিসা আবেদন অস্বীকার করা যেতে পারে:

১) আপনার নিজের দেশের সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণ যোগাযোগ না থাকা:

আমেরিকা আইন অনুসারে, আপনি সেখানে বিনা প্রবাসী হিসাবে যেতে পারেন, কোন চাকরি, ব্যবসা, পড়াশোনা এবং আরো অন্যান্য ক্ষেত্রে। তবে নিজের দেশে পরিবার, সম্পত্তি ইত্যাদি রয়েছে এবং নিজের দেশে ফিরে আসার জন্য আপনার প্রমাণ পত্র দিতে হবে।

২) আপনার কাগজপত্র অপূর্ণ অথবা ভুল থাকার কারণে:

অপূর্ণ এবং ভুল কাগজপত্র দেওয়ার পরিমাণ স্বারূপ আপনার আবেদন প্রক্রিয়া দেরি হতে পারে অথবা আপনার আবেদনটি ক্যানসিল হয়ে যেতে পারে।

এমন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য অথবা এমন যাতে না হয়, সেই জন্য আপনাকে ফর্ম টি তে সঠিক এবং সম্পূর্ণ তথ্য দায়ের করতে হবে। সাবমিট করার আগে আপনার অনলাইন বিনা প্রবাসী ভিসা আবেদন (ফর্ম DS-160) খুবই ভালভাবে পরীক্ষা করা প্রয়োজন।

৩) আপনি আপনার ভিসা সাক্ষাৎকারের জন্য খুব ভালোভাবে তৈরি না হয়ে থাকার কারণে:

ভিসার জন্য আবেদন করা প্রত্যেক ব্যক্তিকে একজন কাউন্সিলর আধিকারিক সাক্ষাৎকার নিয়ে থাকেন। যাকে ইন্টারভিউ বলা হয় এক কথায়। আপনি আমেরিকা তে কি কারনে যাচ্ছেন সেটা যদি সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করতে না পারেন সেক্ষেত্রেও কিন্তু আপনার এই ভিসা ক্যান্সেল হয়ে যেতে পারে। তাই সঠিক ভাবে সাক্ষাৎকার দেওয়ার মধ্যে দিয়ে আপনার ভিসা টি সংরক্ষণ করতে পারেন।

৪) আপনি যদি আপনার আর্থিক অবস্থার বিষয়ে শর্ত অনুযায়ী প্রমাণিত না করতে পারেন:

সংযুক্ত রাজ্য আমেরিকা তে যাওয়ার জন্য সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনার কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা থাকাটা। তাই ভিসার আবেদনের সময় আমেরিকা যাওয়ার জন্য আপনার কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ সম্পদ রয়েছে কিনা অথবা টাকাপয়সা রয়েছে কিনা সেটার প্রমাণ পত্র দিতে পারেন। আপনার ইনকামের প্রমাণপত্র যদি না দিতে পারেন তাহলে ইউ এস এ ভিসা ক্যান্সেল হয়ে যাবে।

৫) আপনার একাডেমিক রেকর্ড না থাকার কারণে:

যদি আপনি ছাত্র ভিসার জন্য আবেদন করে থাকেন তাহলে আপনার শিক্ষাক্ষেত্রের ইতিহাস / রেকর্ড সম্পর্কে প্রশ্ন করা যেতে পারে। একটি ভালো একাডেমিক রেকর্ড যদি আপনি প্রমাণিত করতে না পারেন, তাহলে আমেরিকা গিয়ে পড়াশোনা করার জন্য আপনি উপযুক্ত নন বলে আপনার ভিসা ক্যানসেল করা যেতে পারে। তবে এটা সম্পূর্ণরূপে খেয়াল রাখতে হবে যে, আপনার কাছে 20 ফর্ম হতে হবে।

যা কিনা ইউ এস এ (USA) ইউনিভার্সিটি / কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য একটি প্রমাণ স্বরূপ বা প্রমাণপত্র বলতে পারেন। আপনার পাঠক্রম শুরু হওয়ার আগে সর্বোচ্চ ১২০ দিন আপনি আবেদন করতে পারবেন। একবার ছাত্র ভিসা প্রাপ্ত করার পর আপনার পাঠ্যক্রম শুরু হওয়ার আগে সর্বোচ্চ ৩০ দিনের ভিতরে আমেরিকাতে প্রবেশ করতে পারবেন।

৬) বিনা প্রবাসী ভিসার জন্য আবেদন পত্র জমা করতে হবে:

একটি আবেদনপত্র স্পষ্ট ভাবে তৈরি করতে হবে। আর যদি তৈরি করতে না পারেন, তাহলে আমেরিকাতে অস্থায়ীভাবে পড়াশোনা, ব্যবসা বা অন্য কোন কাজের ক্ষেত্রে কোনরকম অনুমতি পাবেন না, ভিসার জন্য।

৭) আপনার আগের কোন দেশে যাওয়ার ইতিহাস ভালো না থাকা:

এর আগে আপনি যদি আপনার ভিসা ইউ এস এ বা অন্য কোন দেশে দিয়ে থাকেন, তাহলে এক্ষেত্রে আপনার ভিসার আবেদন অস্বীকার করা যেতে পারে।

৮) যদি আপনি কোন অপরাধ অথবা সংযুক্ত রাজ্য আমেরিকার সাথে সাথে অন্য কোন দেশের সাথে অপরাধমূলক কাজে যুক্ত থাকেন:

যদি আপনি ভারতে বা কোন দেশে যে কোনো রকমের অপরাধমূলক কাজের সাথে যুক্ত থাকেন এবং তার জন্য আপনাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়, তাহলে কিন্তু আপনার এই ভিসার আবেদন অস্বীকার করা যেতে পারে অথবা ক্যান্সেল হয়ে যাবে।

আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে, আপনার যাত্রার ইতিহাস, যেমন ধরুন যেকোন দেশে আপনি গিয়েছেন তার রেকর্ড ১০ বছর পর্যন্ত ভালো হতে হবে। তা না হলে যদি আপনি ইউ এস এর ভিসার জন্য আবেদন করেন আর কোনভাবে সেটি পেয়েও যান, তাহলে আপনার অপরাধমূলক কাজের জন্য সেই দেশের কোনো রকম ক্ষতি হতে পারে। তাই আপনার রেকর্ড যাচাই করার পর তবেই কিন্তু ভিসা পাবেন, না হলে অস্বীকার করা হবে।

সেই কারণে আমেরিকা তে বাণিজ্য করার সময় দূতাবাসে আবেদন করার ক্ষেত্রে দয়াকরে সুনিশ্চিত করবেন যে, আপনার সমস্ত রকম তথ্য স্পষ্টভাবে প্রদান করা হয়েছে কি না। আবেদনের সময় সেই সময় যেন কোনরকম ভুল-ত্রুটি, অসম্পূর্ণ তথ্য বা কাগজপত্র যেনো না দেওয়া হয়ে থাকে।

এর ফলস্বরূপ কিন্তু খুবই খারাপ পরিণতি হতে পারে। তাই এদিকটা সব সময়ের জন্য খেয়াল রাখবেন। তবে অবশ্যই কাগজপত্র ডুবলিকেট অথবা নকল বা ভুল যেন না হয়, তাহলে কিন্তু পরিনাম কখনোই ভালো হয় না।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top