2022 Banglar Bhumi Land Records – 2022 BanglarBhumi.Gov.in2022 Banglar Bhumi Land Records – 2022 BanglarBhumi.Gov.in
    Login Your Account
    Lost password?
    Don't have an account? Register Now!
    • খতিয়ান ও দাগের তথ্য
    • আজকের লটারি সংবাদ
    • স্কুলের বই ডাউনলোড
    • টেলিগ্রাম চ্যানেল জয়েন করুন
    Facebook Twitter Instagram
    বাংলা ভূমি ফোরাম
    Facebook Twitter Instagram
    15 August 2022, Monday 6:25 AM
    2022 Banglar Bhumi Land Records – 2022 BanglarBhumi.Gov.in2022 Banglar Bhumi Land Records – 2022 BanglarBhumi.Gov.in
    খতিয়ান ও দাগের তথ্য লটারি সংবাদ
    • হোম
    • জমির তথ্য
    • অনলাইন ইনকাম
    • ব্যাবসার আইডিয়া
    • আইনি পরামর্শ
      • নাগরিক আইন
      • পারিবারিক আইন
      • সম্পত্তি আইন
      • ব্যাংকিং আইন
      • ট্যাক্স আইন
      • বিবাহবিচ্ছেদ আইন
      • ট্রাফিক আইন
    • প্রকল্প
    • লোন
      • পার্সোনাল লোন
      • হোম লোন
      • বিজনেস লোন
      • যানবাহন লোন
      • শিক্ষা লোন
      • গোল্ড লোন
      • সম্পত্তির বিনিময়ে লোন
    • লাইফস্টাইল
    • আপনার টাকা
    বাংলা ভূমি ফোরাম
    2022 Banglar Bhumi Land Records – 2022 BanglarBhumi.Gov.in2022 Banglar Bhumi Land Records – 2022 BanglarBhumi.Gov.in
    জমির রেকর্ড
    Home»Biography»রাসবিহারী বসু জীবনী 2022 – ইতিহাস, পরিবার এবং বিপ্লবী কার্যক্রম
    Biography

    রাসবিহারী বসু জীবনী 2022 – ইতিহাস, পরিবার এবং বিপ্লবী কার্যক্রম

    Rash Behari Bose Biography in Bengali - রাসবিহারী বসু এর বয়স, মৃত্যু, পরিবার, জীবন পরিচয় এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে রাসবিহারী বসুর যোগদান আরও অনেক কিছু।
    Sushmita HalderBy Sushmita Halder9 Mins Read
    Facebook WhatsApp Twitter Telegram Pinterest LinkedIn Email
    Share
    Facebook WhatsApp Telegram Twitter LinkedIn Pinterest Email

    রাসবিহারী বসু কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? রাসবিহারী বসু কিভাবে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলেন? ওনার বাবা-মা কে? ওনার জীবন কেমন ছিল? এছাড়াও রাসবিহারী বসুর সম্পর্কে জানা-অজানা তথ্য জানুন (Biography of Rash Behari Bose in Bengali)।

    ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে, মুক্তি সংগ্রামে যাই বলুন না কেন, যারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে রাসবিহারী বসু ছিলেন অন্যতম  ব্যক্তিত্ব। এই রাজবিহারী বসুর জীবনযাত্রা ছিল নাটকের মতোই।

    এমন স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জীবনযাত্রা ছোট থেকে সাধারণ হয়ে থাকলেও পরবর্তীতে তা অসাধারণ হয়ে পড়ে। আর সেই কারণে তাদের কথা ইতিহাসের পাতায় সুন্দরভাবে সাজানো থাকে।

    রাসবিহারী বসু জীবন পরিচয় - Rash Behari Bose Biography in Bengali
    রাসবিহারী বসু জীবন পরিচয় – Rash Behari Bose Biography in Bengali

    আমাদের এই মহান দেশকে ইংরেজদের হাত থেকে মুক্ত করার জন্য যে সমস্ত বিপ্লবী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম নাম হলো রাজবিহারী বসু। তিনি একজন বিচিত্রকর্মা, একজন উদ্যম বিপ্লবী, তার পক্ষে বিভিন্ন ছদ্মবেশের আড়ালে নিজেকে গোপন করার দক্ষতা এটা প্রমাণ করে যে, তিনি নিঃসন্দেহে কর্ম কুশলতার প্রমাণ করেন।

    তো চলুন তাহলে এমনই একজন বিপ্লবী ব্যক্তিত্বের সম্পর্কে জানা যাক: 

    সুচিপত্র

    • কে ছিলেন এই রাসবিহারী বসু?
    • রাসবিহারী বসুর জীবন সম্পর্কে সাধারণ ধারণ: 
    • স্বাধীনতা আন্দোলনে রাজবিহারী বসুর যোগদান: 
    • বিপ্লবী রাজবিহারী বসু: 
    • রাসবিহারী বসুর জীবনের সাথে জড়িত কিছু ঘটনা: 
    • রাসবিহারী বসুর শিক্ষা জীবন:
    • তাঁর ছদ্মবেশে ভারত ছাড়া: 
    • রাসবিহারী বসুর জাপানে পালিয়ে যাওয়া:
    • প্রথম বিশ্বযুদ্ধ: 
    • রাজবিহারী বসুর আজাদ হিন্দ ফৌজের ভিত্তি স্থাপন করা: 
    • রাসবিহারীর বসুর তৈরি করা আজাদ হিন্দ ফৌজ নিয়ে সুভাষচন্দ্র বসুর ভারতে ফিরে আসা: 
    • রাসবিহারী বসুর পুরস্কার সম্পর্কে জানা যাক: 
    • রাজবিহারী বসুর গ্রন্থ: 
    • বীর বিপ্লবী এই রাসবিহারী বসুর মৃত্যু: 

    কে ছিলেন এই রাসবিহারী বসু?

    রাসবিহারী বসু ছিলেন ভারতের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামের আন্দোলনের একজন অগ্রগণ্য বিপ্লবী নেতা এবং ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মির অন্যতম সংগঠক। এছাড়া দিল্লিতে গভর্নর জেনারেল ও ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জের উপর বোমা হামলার নেতৃত্ব দানের জন্য পুলিশ রাজবিহারী বসুকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করে। কিন্তু রাজবিহারী বসু খুবই সুনীপন কৌশলে ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থার নজর এড়িয়ে ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে জাপানে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।

    রাজবিহারী বসু ভারতের বাইরে সিঙ্গাপুরে আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করেন এবং পরবর্তীকালে নেতাজীর হাতে আজাদ হিন্দ ফৌজের পরিচালনার ভার তুলে দিয়েছিলেন। আর এই ভাবেই তিনি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে রয়েছেন।

    রাসবিহারী বসুর জীবন সম্পর্কে সাধারণ ধারণ: 

    • সম্পূর্ণ নাম: রাসবিহারী বসু
    • জন্মস্থান: সুবলদহ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
    • জন্মতারিখ: ২৫ শে মে ১৮৮৬
    • পিতার নাম: বিনোদবিহারী বসু
    • মাতার নাম: ভুবনেশ্বরী দেবী
    • স্ত্রীর নাম: তোশিকো বসু
    • সন্তানদের মধ্যে: মাশাহিদে বসু (পুত্র), তেতসুকো বসু (কন্যা)
    • জাতীয়তা: তিনি ভারতীয়
    • প্রতিষ্ঠান: যুগান্তর ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেন্ডেন্স লিগ, আজাদ হিন্দ ফৌজ,
    • আন্দোলন: ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন
    • মৃত্যু: ১৯৪৫ সাল।

    স্বাধীনতা আন্দোলনে রাজবিহারী বসুর যোগদান: 

    দেশের জন্য স্বাধীনতা আন্দোলন অনেকদিন আগে থেকেই চলছিল। সেই আন্দোলনে রাসবিহারী বসু যোগদান করেছিলেন খুবই হঠাৎ করেই, তিনি ১৯০৪ সালে যখন জে এন চ্যাটার্জী নামে একজন সাহারানপুর প্রবাসী বিপ্লবীদের নিয়ে একটি গোপন সমিতি গঠন করেন, তাদের একমাত্র সংকল্প ছিল দেশকে স্বাধীন করা, আর সেই সমিতির সঙ্গে হঠাৎ করে রাজবিহারীর যোগাযোগ হয়ে যায়।

    তাছাড়া তখন তিনি দেরাদুনের একটি সরকারি অফিসে কাজ করতেন, সেই কারণে কর্মী হিসেবে তার সুনামও ছিল। তার কাজে এতোটুকু ফাঁকি ছিল না, যখন যে কাজটি করতেন, সেই কাজের মধ্যে তার নৈপুণ্যের একটা ছাপ থাকতোই। তাই তিনি অফিসের বড় বড় কর্ম কর্তাদের খুবই প্রিয় পাত্রে পরিণত হয়েছিলেন।

    এছাড়া তিনি এতটাই ভাল মনের মানুষ ছিলেন যে, সবাইকে খুবই কম সময়ের মধ্যে অসাধারণ ভাবে আপন করে নেওয়ার ক্ষমতা রাখতেন। এই ক্ষমতার সন্ধান পেলেন জে এন চ্যাটার্জী, রাসবিহারী বসু কে দেখে তার মনে অনেক আশা জাগল। তার উপস্থিত বুদ্ধি এবং উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব দেখে তিনি মুগ্ধ হয়েছিলেন, আর তাই জন্য দেশের মুক্তি সংগ্রামে একজন অগ্রণী বিপ্লবের ভূমিকা পালন করার জন্য তাকে দায়িত্বভার দেওয়া হয়।

    ঢাকা এবং চন্দননগরের বিপ্লবীদের সঙ্গে রাজবিহারীর যোগাযোগ স্থাপন হয়, কিন্তু এই ব্যাপারটি রাসবিহারী সম্পূর্ণ গোপন রেখেছিলেন। তাছাড়া অফিসিয়াল কাজে তার যথেষ্ট সুনাম ছিল বলে সহজে তাকে বিপ্লবী বলে সন্দেহ করা যেতই না। বিপ্লবীদের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রেখে তিনি সুনিপুণভাবে স্বাধীনতা সংগ্রামের কাজ চালিয়ে যেতে থাকলেন।

    বিপ্লবী রাজবিহারী বসু: 

    দেশকে স্বাধীন করার জন্য, সমস্ত রকম অত্যাচার থেকে দেশকে সুন্দরভাবে রক্ষা করার জন্য, অনেক বিপ্লবী এগিয়ে এসেছিলেন, তার মধ্যে রাসবিহারী বসু ছিলেন অন্যতম। ১৯১২ সালে তখন কলকাতা থেকে দিল্লিতে ভারতের রাজধানী সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। একদিন দিল্লীর রাজপথে একটি বিরাট শোভাযাত্রা লক্ষ্য করেন রাজবিহারী বসু।

    সেখানে হাজার হাজার মানুষ এই শোভাযাত্রায় যোগদান করেছিলেন। তার মধ্যে রাজবিহারী দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অন্য কিছু লক্ষ্য করছিলেন, তার উদ্দেশ্য ছিল বড়লাটের গাড়ির সামনে বোমা ছোঁড়া। সহকর্মী বসন্ত বিশ্বাসকে তিনি এই বিষয়ে নির্দেশ দিয়ে রেখেছিলেন আগে থেকেই।

    এক সময় বড়লাটের গাড়ি তাদের সামনে এগিয়ে এলে  সঙ্গে সঙ্গে বড়লাট এর গাড়ি লক্ষ্য করে বসন্ত বিশ্বাস বোমা ছুড়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে, সামান্য দূরত্বের জন্য বড়লাট এবং তার সাথে থাকা সঙ্গী বেঁচে গিয়েছিলেন। তবে তারা বেশ কিছু আঘাত পেয়েছিলেন সেই সময়।

    এমন বোমা ছোড়ার ঘটনায় নিয়ে চারিদিকে হইচই পড়ে যায়। তখন পুলিশের তল্লাশি চলতে লাগল কিন্তু পুলিশ রাসবিহারীর নামও জানতে পারল না। তিনি এমনভাবে গা ঢাকা দিয়েছিলেন তাকে ধরা কারো সাধ্য ছিল না। এরপর আরেকটি ঘটনায় রাসবিহারীর নাম সবার সামনে প্রকাশ হয়ে যায়, সেটি হল লাহোরের পুলিশ কমিশনার কে লক্ষ্য করে বোমা ছুড়েছিলেন।

    এই সময় পুলিশ জানতে পারল যে সরকারী চাকরি করলেও রাজবিহারী এই  বিপ্লবীদের সঙ্গে বিশেষভাবে জড়িত। তাই তাকে ধরার জন্য পুলিশ আরো বেশি সতর্ক হয়ে পড়ল। কিন্তু এবারও রাজবিহারীর বসু পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে ছদ্মবেশে পালিয়ে গেলেন।

    রাসবিহারী বসুর জীবনের সাথে জড়িত কিছু ঘটনা: 

    কাহিনী অনুসারে জানা যায় যে, তিনি ইংরেজদের মূর্তি তৈরি করে লাঠি খেলার কৌশলে সেই মূর্তিগুলিকে ভেঙে ফেলতেন, যেমন শৈশবে দেখে থাকবেন কিছু শিশুরা লাঠির আঘাতের গাছের পাতাগুলি ঝরিয়ে থাকে, তবে এটা তাদের খেলা বলতে পারেন, তেমনি ভাবে ইংরেজদের মূর্তি তৈরি করে লাঠি খেলার কৌশলের সেই মূর্তিগুলি ভাঙতেন তিনি।

    তিনি ডাংগুলি খেলতে খুবই ভালোবাসতেন। ছোটবেলায় সুবলদহ গ্রামে ১২ থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত তিনি ছিলেন এর পাশাপাশি তিনি পরবর্তীকালে ব্রিটিশদের চোখে ধুলো দিয়ে সুবলদহ গ্রামে এসে গা ঢাকাও দিতেন।

    রাসবিহারী বসুর শিক্ষা জীবন:

    তার পিতা বিনোদবিহারী বসুর কর্মক্ষেত্র হিমাচল প্রদেশের নাম ছিল শিমলা। তিনি সুবলদহ তে পাঠশালা মলটন স্কুল ও ডুপ্লে কলেজের ছাত্র ছিলেন। জীবনের প্রথম দিকে তিনি নানা বিপ্লবী কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং আলিপুর বোমা বিস্ফোরণ মামলায় ১৯০৮ সালে তিনি অভিযুক্ত হয়ে পড়েন। এরপর তিনি চলে যান দেরাদুন এ সেখানে বন গবেষণা ইনস্টিটিউটে হেড ক্লার্ক হিসেবে কাজ করেন।

    তাঁর ছদ্মবেশে ভারত ছাড়া: 

    তিনি ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থার নজর এড়াতে সক্ষম হয়েছিলেন এবং ১৯১৫ সালে জাপানে চলে যান। ১৯১৫ সালের ১২ ই মে কলকাতার খিদিরপুর বন্দর থেকে জাপানি জাহাজ “সানুকি মারু” এর সহযোগে তিনি ভারতবর্ষে ত্যাগ করেছিলেন।

    তার আগে থেকেই নিজেই পাসপোর্ট অফিস থেকে রবীন্দ্রনাথের আত্মীয় রাজা প্রিয়নাথ ঠাকুর ছদ্ম নামের পাসপোর্ট সংগ্রহ করে রেখেছিলেন, আর সেই নামেই তিনি ভারতবর্ষ ত্যাগ করে জাপানে পালিয়ে যান।

    রাসবিহারী বসুর জাপানে পালিয়ে যাওয়া:

    তিনি পালিয়ে ভারত থেকে জাপানে চলে গিয়েছিলেন, এই ঘটনা সকলের হয়তো জানা নেই, জাপানে যাবার পর রাজবিহারীর এই বিপ্লবী জীবনযাত্রা এক নতুন ভাবে সেজে উঠল। জাপানের মাটিতে বসেও তিনি দেশের স্বাধীন হওয়ার স্বপ্ন দেখলেন এবং একটি সুন্দর নতুন পরিকল্পনা করলেন।

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপান দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অনেকগুলি দেশ অধিকার করে ফেলেছিল, আর এই সুযোগ নিয়ে তিনি আরো সুন্দরভাবে পরিকল্পনা করতে থাকলেন।

    প্রথম বিশ্বযুদ্ধ: 

    প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কথা নিশ্চয়ই সকলেই শুনে থাকবেন। ১৯১৪ সাল, তখন শুরু হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। এই যুদ্ধে ইংরেজরা ভীষণভাবে জড়িয়ে পড়ল। রাসবিহারী বুঝতে পেরেছিলেন এটি হলো ইংরেজকে বিপদে ফেলার একটি সুবর্ণ সুযোগ। তখন বাঘা যতিন এর সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়, তাই তারা দুজন মিলে পরামর্শ করতে লাগলেন কিভাবে ইংরেজ সেনাবাহিনীদের মধ্যে বিদ্রোহ ঘটানো যায়।

    এই উদ্দেশ্যে দক্ষিন পূর্ব এশিয়ায় ব্রিটিশ বাহিনীর ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে এবং আমেরিকান গদর পার্কের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়। রাসবিহারী নিজেও ভিন্ন ভিন্ন সেনা নিবাসে ঘুরে ঘুরে বিদ্রোহের আগুন জ্বালাবার চেষ্টা করতে লাগলেন, আর ইতিমধ্যে বিপ্লবী মানবেন্দ্রনাথ রায় অস্ত্র সংগ্রহের জন্য জার্মানি রওনা হলেন।

    এমন পরিস্থিতিতে পরিকল্পনা করা হলো যে জার্মানি থেকে অস্ত্র ভর্তি করা জাহাজ সুন্দরবন অঞ্চলে এসে থামবে আর বাঘাযতীন তার দলবল নিয়ে, অস্ত্রশস্ত্র গুলি সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাবেন। তারপর সেগুলি পৌঁছে দেওয়া হবে সেনাবাহিনীদের হাতে হাতে।

    এই কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট দিন স্থির করা হলো, সবাই অপেক্ষা করতে লাগলো যে অস্ত্রবাহী জাহাজ কখন আসবে, কখন আসবে ! কিন্তু সেই জাহাজ ভারতে পৌঁছতেই পারল না, পথে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে বাঘা যতীনকেই প্রাণ দিতে হলো।

    আবার অন্যদিকে রাজবিহারী বসুর এই গোপন পরিকল্পনার কথা পুলিশ জানতে পেরে যায়। কৃপাল সিং নামে একজন বিপ্লবী বিশ্বাসঘাতকতা করে বিপ্লবীদের সমস্ত আট ঘাট পুলিশের কাছে বলে দিয়েছিল, আর পুলিশ এই সূত্র ধরেই বহু বিপ্লবীকে গ্রেফতার করে আর তাদের বিরুদ্ধে মামলা শুরু করা হয়।

    কথায় আছে “ঘর শত্রু বিভীষণ” অর্থাৎ নিজেদেরই দলের মানুষ যদি নিজেদের পরিকল্পনার কথা কাউকে না জানায়, তাহলে কেউই আমাদের কোন ক্ষতি করতে পারে না। অনেক বিপ্লবীর বিচারে শাস্তি হিসেবে ফাঁসি হলো কিন্তু রাজবিহারী বসু পুলিশের কাছে ধরা দিলেন না।

    রাজবিহারী বসুর আজাদ হিন্দ ফৌজের ভিত্তি স্থাপন করা: 

    আজাদ হিন্দ ফৌজের কথা আমরা সকলেই শুনে থাকবো, ১৯৪২ সালে ২৮ শে মার্চ রাসবিহারী টোকিও তে একটি সম্মেলন এর আহবান করলেন। স্থানীয় ভারতবাসী দের নিয়ে তার এই সম্মেলন গড়ে উঠেছিল। এই সম্মেলনে একটি জাতীয় সেনাবাহিনী সংগঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়।

    ভারতের বাইরে যে সব ভারতীয়রা বাস করতেন তাদের নিয়ে একটি জাতীয় সেনা বাহিনীর সংগঠনের প্রস্তাবে সকলেই সম্মত হয়েছিলেন, আর এই প্রস্তাবের ফলেই আজাদ হিন্দ ফৌজের ভিত্তি স্থাপন করা হয়, ১৯৪২ সালের ১ লা সেপ্টেম্বর।

    রাসবিহারীর বসুর তৈরি করা আজাদ হিন্দ ফৌজ নিয়ে সুভাষচন্দ্র বসুর ভারতে ফিরে আসা: 

    আমরা আগেই জেনেছি যে,  রাসবিহারী বসু তার নিজের তৈরি করা আজাদ হিন্দ ফৌজ এর দায়িত্বভার সুভাষচন্দ্র বসুর হাতে দিয়েছিলেন। স্বাধীনতা সংঘ সংঘটিত হয়েছে তার নাম হলো ভারতীয় স্বাধীনতা সংগঠন এবং প্রস্তাব এলো যে রাসবিহারী বসুকে সেখানে সভাপতি হতে হবে। তারপর ১৯৪৩ সালের ২ রা জুলাই নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর আবির্ভাব হল সিঙ্গাপুরে। আর আজাদ হিন্দ ফৌজ এর সমস্ত দায়িত্বভার এসে পড়ল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর উপরে।

    এমন ভাবে আজাদ হিন্দ ফৌজের সমস্ত দায়িত্ব নিয়ে নেতাজি ভারতের পূর্ব প্রান্তে এসে হাজির হয়েছিলেন আর তার ফলে ভারতের বুক থেকে ইংরেজকে আস্তে আস্তে সরে যেতে হয়েছিল। নেতাজির হাতে দায়িত্বভার অর্পণ করে দিয়ে রাসবিহারী বসু নিশ্চিন্ত হয়েছিলেন।

    রাসবিহারী বসুর পুরস্কার সম্পর্কে জানা যাক: 

    রাসবিহারী বসুর কাজের দক্ষতা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই, মৃত্যুর কিছুদিন আগে পর্যন্তও তিনি দেশের জন্য আন্দোলন করে গেছেন। মৃত্যুর কিছুদিন আগে জাপান সরকার সেই দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ জাতীয় পুরস্কার “The Second Order of the Merit of the Rising Sun” রাসবিহারী বসুকে প্রদান করে সম্মানিত করেছিল। বিপ্লবী মহানায়ক রূপে তিনি ভারতবাসী দের হৃদয়ে এখনো পর্যন্ত অমর হয়ে রয়েছেন।

    রাজবিহারী বসুর গ্রন্থ: 

    রাসবিহারী বসু ভারত বর্ষ সম্পর্কে জাপানি ভাষায় পাঁচখানি গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। ডাক্তার স্যান্ডার ল্যান্ডএর ইন্ডিয়া- ইন বন্ডেজ গ্রন্থ জাপানি ভাষায় অনুবাদ করেন।

    বীর বিপ্লবী এই রাসবিহারী বসুর মৃত্যু: 

    তার মৃত্যুতে শোকাহত হয়ে পড়েছিল সমস্ত দেশবাসী। ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের সমগ্র এশিয়ার মহান বিপ্লবী নেতা রাসবিহারী বসু টোকিওতে তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন।

    রাসবিহারী বসুর বুদ্ধিমত্তার পরিচয় তার কর্মকাণ্ডতেই বোঝা যায়। পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য ছদ্মবেশ ধারণ করতে পারতেন খুবই ভালোভাবে। তার গঠন করা আজাদ হিন্দ ফৌজ ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই প্রতিভা চিরকাল মানুষের মনে তাঁকে অমর করে রাখবে।

    Share. Facebook WhatsApp Telegram Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email

    Related Posts

    বিনায়ক দামোদর সাভারকর জীবন পরিচয় - Vinayak Damodar Savarkar Biography in Bengali

    বিনায়ক দামোদর সাভারকর জীবনী 2022 – ইতিহাস, পরিবার এবং স্বাধীনতা সংগ্রামী কার্যক্রম

    লৌহ পুরুষ সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জীবন পরিচয় - Vallabhbhai Patel Biography in Bengali

    সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল জীবনী 2022 – ইতিহাস, পরিবার এবং স্বাধীনতা আন্দোলন কার্যক্রম

    রামপ্রসাদ বিসমিল জীবন পরিচয় - Ram Prasad Bismil Biography in Bengali

    রামপ্রসাদ বিসমিল জীবনী 2022 – ইতিহাস, পরিবার এবং বিপ্লবী কার্যক্রম

    মঙ্গল পান্ডে জীবন পরিচয় - Mangal Pandey Biography in Bengali

    মঙ্গল পান্ডে জীবনী 2022 – ইতিহাস, পরিবার এবং স্বাধীনতা সংগ্রামী কার্যক্রম

    ঝাঁসির রানী লক্ষ্মীবাঈ জীবন পরিচয় - Rani Lakshmibai Biography in Bengali

    রানী লক্ষ্মীবাঈ জীবনী 2022 – ইতিহাস, পরিবার এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের লড়াই

    অগ্নিবীর ভগৎ সিং জীবন পরিচয় - Bhagat Singh Biography in Bengali

    অগ্নিবীর ভগৎ সিং জীবনী 2022 – ইতিহাস, পরিবার এবং বিপ্লবী কার্যক্রম

    Add A Comment

    Leave A Reply Cancel Reply

    মুসলিম মেয়ে এবং হিন্দু ছেলের মধ্যে বিবাহের আইনি নিয়ম

    মুসলিম মেয়ে এবং হিন্দু ছেলের মধ্যে বিবাহের আইনি নিয়ম

    Valentine Week List 2022 Dates & Schedule Calendar

    ভোটার কার্ড কিভাবে ডাউনলোড করবেন? ভোটার কার্ডের তথ্য বের করুন

    ভোটার কার্ড কিভাবে ডাউনলোড করবেন? ভোটার কার্ডের তথ্য বের করুন

    2022 Magh Bihu Date & Time in India, 2022 Bengali Calendar

    আজীবন কারাবাস এর শাস্তি কত বছর পর্যন্ত হতে পারে? জানুন আইন

    আজীবন কারাবাস এর শাস্তি কত বছর পর্যন্ত হতে পারে? জানুন আইন কি বলছে

    Maa Asche Durga Puja Photo 81 Din - 85 Din

    2022 Maa Asche Durga Puja Photo 81 Din – 85 Din

    Home | About Us | Contact Us | Privacy Policy
    © 2022 Bangla Bhumi Media Group.

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.