2023 পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক বিজনেস লোন আবেদন পদ্ধতি ও কাগজপত্র

Punjab Bank Business Loan 2023 (পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক বিজনেস লোন 2023): How to Apply for Punjab Bank Business Loan? | Punjab Bank Business Loan Apply in Bengali.

প্রতিটি মানুষের ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য কোন কোন কাজের মধ্যে নিজেকে নিযুক্ত রাখতেই হয় সেটা হতে পারে কোন চাকরি অথবা কোন কোম্পানিতে জব অথবা নিজের কোন ব্যবসা। সেটা ছোট হতে পারে অথবা বড় কোন ব্যবসা।

তবে ছোট ব্যবসা হোক অথবা বড় ব্যবসা, শুরু করতে গেলে প্রথমে কিছু পরিমাণ পুঁজির দরকার হয়। সেটা বেশিরভাগ মানুষের কাছে থাকে না বললেই চলে। ছোট ব্যবসা থেকে বড় আকারে নিয়ে যেতে গেলে বেশ খানিকটা সময় লাগে। তার সাথে লাগে বুদ্ধি এবং কঠোর পরিশ্রম

Bank Name Punjab National Bank (PNB)
Type of Loan Business Loan
Loan Application Process Online / Offline
Official Website https://www.pnbindia.in/

অনেকের নিজের একটি সুন্দর ব্যবসা তৈরি করার স্বপ্ন থাকে। যেটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকার অভাবে শুরু করতেই পারেন না। তবে এমন অবস্থাতে ব্যাংক থেকে বিজনেস লোন নিয়ে আপনি পছন্দের ব্যবসাটিকে শুরু করতে পারবেন খুবই সহজে।

পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক বিজনেস লোন আবেদন পদ্ধতি - Punjab Bank Business Loan in Bengali
পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক বিজনেস লোন আবেদন পদ্ধতি – Punjab Bank Business Loan in Bengali

সেক্ষেত্রে আপনি পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক বিজনেস লোন এর জন্য আবেদন করতে পারেন খুবই কম আকর্ষণীয় সুদের হার, এবং আরো অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ও রয়েছে।

Punjab National Bank Business Loan (পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক বিজনেস লোন):

চলুন তাহলে জানা যাক, কিভাবে আপনি পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে বিজনেস লোন এর জন্য আবেদন করবেন, আর এই লোন সম্পর্কিত আরো অন্যান্য তথ্য সম্পর্কেও জানা যাক:

১) সুদের হার: ১২.৬৫%

২) প্রসেসিং চার্জ: ১.৮% + ট্যাক্স

৩) লোন পরিশোধের সময়সীমা: ১২ মাস থেকে শুরু করে ৬০ মাস পর্যন্ত, অর্থাৎ এক বছর থেকে ৫ বছর পর্যন্ত।

৪) সবথেকে কম ই এম আই (EMI) প্রতি ১ লাখ টাকার উপরে ২,২৫৭ টাকা

৫) সর্বোচ্চ লোন এমাউন্ট: সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত।

পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক বিজনেস লোন ডিটেইলস:

১) আপনি যদি নিজে উদ্যোক্তা হয়ে থাকেন তাহলে নতুন ব্যবসা শুরু করার জন্য এবং ব্যবসার নতুন ইউনিটের সেট আপ করার জন্য আপনি এই লোন পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে নিতে পারেন।

২) ইম্প্লয়ীড, প্রফেশনাল এবং যারা পেনশন ভুক্ত নন, তারাও কিন্তু এর লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

৩) পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক বিজনেস লোন নেওয়ার জন্য আবেদনকারীর বয়স অবশ্যই ২১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৫৮ বছর বয়সের মধ্যে হতে হবে।

৪) পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক বিজনেস লোন এর সুদের হার ১২.৬৫% থেকে শুরু করে ১৫.৬৫% পর্যন্ত।

৫) আবেদনকারীর ব্যাংকের সিভিল স্কোর (CIBIL Score) অবশ্যই ৭০০ হতে হবে, এই লোন এর আবেদনের ক্ষেত্রে।

পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক বিজনেস লোন স্পেশাল স্কিম (PNB Special Business Loan Scheme):

যেহেতু পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের বিজনেস লোন দিয়ে থাকে সেক্ষেত্রে সকল লোনের উদেশ্য ও লাভ আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। চলুন জেনে নিন পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের সকল বিজনেস লোনের সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে।

A) পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক বনিতা (PNB Vanita Loan):

১) এই লোন আপনি সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা পেতে পারেন এবং ব্যবসার নতুন ইউনিট সেট আপ করার জন্য এই লোনের আবেদন করতে পারবেন।

২) ST/ SC/ BPL যদি আবেদনকারী হয়ে থাকেন তাহলে এই লোনের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেতে পারেন।

B) পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক গ্রীন রাইড (PNB Green Ride Loan):

১) খুবই কম এবং আকর্ষণীয় সুদের হার।

২) ব্যবসার জিনিসপত্রের দাম এর ৮৫% পর্যন্ত লোন পেতে পারেন।

৩) খুবই সহজ সাধ্য লোন পরিশোধ যেটা সর্বোচ্চ ৩৩ মাস/ ২ বছর ৯ মাস  পর্যন্ত।

C) পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক সঞ্জীবনী (PNB Sanjeevani Loan):

১)  সর্বোচ্চ লোন এমাউন্ট ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত। কুড়ি পার্সেন্ট পর্যন্ত ছাড় আছে অনলাইন লোন অ্যাপ্লিকেশন এর ক্ষেত্রে।

D) সুপার ট্রেড (PNB Super Trade Loan): 

১) সর্বোচ্চ লোন এমাউন্ট ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত।

২) ক্যাশ ক্রেডিট ফেসিলিটি আছে।

E) পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক প্রফেশনাল স্কিম (PNB Professional Scheme):

১) লোন পরিশোধের সময়সীমা সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত এবং ওভারড্রাফট ফ্যাসিলিটি সার্ভিস প্রোভাইডারদের জন্য এবং ক্যাশ ক্রেডিট ফেসিলিটি ম্যানুফ্যাকচারার দের জন্য।

F) মুদ্রা লোন (PNB Mudra Loan):

১) সর্বোচ্চ লোন এমাউন্ট ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত। তাছাড়া এগ্রিকালচার এর ক্ষেত্রে অর্থাৎ কৃষি কাজের ক্ষেত্রেও আপনি এই লোন নিতে পারেন।

Punjab National Bank Business Loan Apply Documents:

পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক বিজনেস লোন এর জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে আবেদনকারীর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস অথবা কাগজপত্র। বিজনেস লোন নেওয়ার জন্য আবেদনকারীর যে সমস্ত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস লাগবে, সেগুলি হল:

১) ঠিকানার প্রমাণপত্র হিসেবে- ভোটার আইডি কার্ড, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, রেজিস্ট্রি কপি, আধার কার্ড, রেন্ট এগ্রিমেন্ট, ইউটিলিটি বিল।

২) পরিচয় পত্র হিসেবে- ভোটার আইডি কার্ড, প্যান কার্ড, আধার কার্ড, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স।

৩) ব্যবসার প্রমাণপত্র হিসেবে- ব্যবসার প্যান কার্ড, সেলস ডিড, সার্ভিস ট্যাক্স রেজিস্ট্রেশন, পার্টনারশিপ ডিড, ট্রেড লাইসেন্স, সার্টিফিকেট অফ প্রাক্টিস, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট সেটা অবশ্যই আর বি আই (RBI), এস ই বি আই (SEBI) থেকে ইস্যু করা হতে হবে।

৪) ইনকাম প্রমাণপত্র হিসেবে- ইনকাম ট্যাক্স প্যান কার্ড, সেটা অবশ্যই ২৪ মাস অর্থাৎ দু’বছর এর হতে হবে।

৫) লাস্ট ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট।

পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক বিজনেস লোন আবেদন করবেন কিভাবে?

পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক বিজনেস লোন নেওয়ার জন্য আপনি দুই রকম ভাবেই আবেদন করতে পারবেন, প্রথমত অনলাইন আবেদন দ্বিতীয়ত অফলাইন আবেদন।

Punjab National Bank Business Loan অনলাইন আবেদন:

Step 1. প্রথমত আপনাকে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে, https://www.pnbindia.in

Step 2. এরপর লোন (Loan) অপশনে গিয়ে বিজনেস লোন (Business Loan) সিলেক্ট করুন তারপর এ্যাপলাই নাও (Apply Now) অপশনটিতে ক্লিক করুন।

Step 3. দেখবেন আপনার সামনে একটি লোন অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম (PNB Business Loan Application Form) আসবে সেই লোন অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম টি প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলো দিয়ে ভালোভাবে ফিলাপ করুন।

Step 4. তার সাথে যে প্রসেসিং চার্জ নিয়ে থাকবে সেগুলো আপনাকে দিতে হবে, আর ভালো ভাবে চেক করে নেওয়ার পর অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম টি সাবমিট (Submit) করে দিন অর্থাৎ সাবমিট (Submit) বাটনে ক্লিক করুন। আপনার বিজনেস লোন এর অ্যাপ্লিকেশন টি প্রসেস হতে শুরু করবে। আর কিছুদিনের মধ্যে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক আপনার সাথে এই লোনের বিষয়ে যোগাযোগ করবে।

অফলাইন আবেদন: তাছাড়া আপনি চাইলে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক বিজনেস লোন নেওয়ার জন্য আপনার কাছাকাছি পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের যে কোন ব্রাঞ্চে গিয়ে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সাবমিট করে এই লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন অফলাইনেও। তবে আপনি যদি অনলাইনে লোন এর জন্য আবেদন করেন তাহলে অনেকটাই ছাড় পেতে পারেন সুদের হারে।

তো এইভাবে আপনি কয়েকটি সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করে সামান্য কিছু ডকুমেন্টেশন এর মধ্যে দিয়ে বিজনেস লোন এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনার পছন্দের ব্যবসাটিকে নতুন করে শুরু করতে পারবেন অথবা যদি আগে থেকে কোন ব্যবসা থেকে থাকে, তাহলে সেটিকে আরো ভালো ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে বড় আকার দিতে পারেন।

তবে সময় বাঁচানোর জন্য এবং অনেকটাই সুবিধাজনক অনলাইন প্রসেসিং লোন অ্যাপ্লিকেশনের জন্য ঘরে বসেই আপনি আবেদন করতে পারবেন।

Home Click here
Official Website Click here

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top