PM Employment Generation Programme 2023 (PMEGP) (প্রধানমন্ত্রী কর্মসংস্থান সৃষ্টি কর্মসূচি যোজনা 2023), প্রধানমন্ত্রী কর্মসংস্থান সৃষ্টি কর্মসূচি যোজনা কি? এই যোজনার লাভ কি? প্রধানমন্ত্রী কর্মসংস্থান সৃষ্টি কর্মসূচি যোজনাতে কিভাবে আবেদন করবেন? এবং এই যোজনার আরও তথ্য এখানে দেখুন।
প্রতিটি মানুষের বেঁচে থাকার জন্য কর্মসংস্থানের প্রয়োজন হয়। আর একটি পরিবারে একজন মানুষের কর্মসংস্থানের উপর নির্ভর করে সম্পূর্ণ পরিবার ভালোভাবে চলার ক্ষমতা রাখে। এছাড়া প্রতিনিয়ত কাজের সন্ধান করে চলেছেন মানুষ। কেননা কর্মের মধ্যে দিয়ে জীবনযাত্রা ভালোভাবে চলার সুযোগ পায়।
তবে করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকেই কর্মসংস্থান এবং অনেকের কাজের ক্ষেত্রে বড় ধরনের ক্ষতি নেমে এসেছে। টানা লকডাউন থাকার কারণে ছোট ছোট অথবা ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্প গুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লকডাউন এর জন্য এই সমস্ত শিল্পে কর্মরত ছিলেন যারা সেই সমস্ত মানুষদের ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে।
তার সাথে সাথে বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়তে হয়েছে সেই সমস্ত পরিবারকে। এমন অবস্থাতে যে সমস্ত মানুষ এই ধরনের ছোট ছোট শিল্প তে কাজ করে থাকেন, সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি যোজনা (PMRY) এবং গ্রামীণ কর্মসংস্থান সৃষ্টি (REGP) সমন্বয় করে তৈরি করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী কর্মসংস্থান সৃষ্টি কর্মসূচি।
এছাড়াও শহরের জন্য প্রধানমন্ত্রী রোজগার যোজনা এবং গ্রামীণ কর্মসংস্থান সৃষ্টি যোজনার অধীনে যুবকদের মধ্যে কর্মসংস্থান তৈরি করতে সাহায্য করে। এই যোজনা যোজনা খরচের ৫% থেকে ১০ শতাংশ বিনিয়োগ করতে হয়। এছাড়াও এর পরে সরকার নির্ধারিত মান অনুযায়ী ১৫ শতাংশ থেকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী কর্মসংস্থান সৃষ্টি কর্মসূচি এর চালু করার কারণ:
- কর্মসংস্থানের জন্য যে সমস্ত যুবকরা সন্ধান করে চলেছেন, সেই সমস্ত যুবকদের সাথে শহর ও গ্রাম অঞ্চলে বসবাসকারী কারিগররা কর্মসংস্থানের নতুন পথ তৈরি করতে পারবেন।
- এই যোজনার অধীনে গ্রামীণ এবং শহর এলাকায় নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
- কাজের সন্ধান করতে গ্রামের মানুষকে যাতে গ্রাম ছেড়ে শহরের দিকে আসতে না হয় সেই জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
- এছাড়া কর্মরত শ্রমিকদের আয় অথবা উপার্জন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে এই যোজনা।
প্রধানমন্ত্রী ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি কর্মসূচির অধীনে ভর্তুকি:
এই যোজনার সুবিধা ভর্তুকির হার ১০% শহর এলাকার ভর্তুকির হার এবং গ্রামীণ এলাকার ভর্তির হার ২৫% বিশেষ শ্রেণীতে সুবিধাভোগীর ভাগ ৫% ধরে রাখার জন্য ভর্তুকির হার ২৫% এবং গ্রামীণ ভর্তির হার ৩৫% পর্যন্ত।
প্রধানমন্ত্রী কর্মসংস্থান সৃষ্টি কর্মসূচির লোন নেওয়ার জন্য যোগ্যতা:
এই যোজনাে ঋণ অথবা লোন নেওয়ার জন্য আবেদনকারীর যে সমস্ত যোগ্যতা গুলি প্রয়োজন পড়বে সেগুলি হল:-
- যদি একজন ব্যক্তির বয়স ১৮ বছর হয় এবং কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণী পাস করে থাকেন এবং একটি উৎপাদন ইউনিট যার দাম দশ লক্ষ টাকার বেশি তার সাথে পরিষেবার ইউনিটের দাম ৫ লক্ষ টাকা থাকে তবে তিনি এ যোজনার সুবিধা পেতে পারেন অনায়াসেই।
- এর পাশাপাশি তার আগে প্রধানমন্ত্রী কর্মসংস্থান সৃষ্টি কর্মসূচির অধীনে কোন সুবিধা নেওয়া উচিত ছিল না।
- এর পাশাপাশি দাতব্য ট্রাস্ট গুলিও এই যোজনার সুবিধা নিতে পারে।
- আবার যে কোন শিল্প অথবা যে কোন যোজনার অধীনে অন্য কোন যোজনার সুবিধা যদি নেওয়া থাকে, তাহলে এই যোজনার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
প্রধানমন্ত্রী কর্মসংস্থান সৃষ্টি কর্মসূচির অধীনে লোন নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস:
- আবেদনকারীর আধার কার্ড
- প্যান কার্ড
- এইট পাস সার্টিফিকেট অথবা অষ্টম শ্রেণী পাস সার্টিফিকেট
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট
- আবেদনকারীর ঠিকানার প্রমাণপত্র
- উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচির শংসাপত্র অথবা সার্টিফিকেট
- এছাড়া আবেদনকারীর যদি এস সি (SC)/ এস টি (ST)/ ও বি সি (OBC)/ সংখ্যালঘু / প্রাক্তন সৈনিক / পি এইচ সি (PHC)এর সার্টিফিকেট থাকে প্রয়োজন পড়বে।
- যোজনার রিপোর্ট।
প্রধানমন্ত্রী কর্মসংস্থান সৃষ্টি কর্মসূচি যোজনায় আবেদন করার পদ্ধতি:
Step 1. সবার প্রথমে এই যোজনার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে, https://www.kviconline.gov.in/pmegpeportal/pmegphome/index.jsp
Step 2. এরপর যে নতুন পেজ ওপেন হবে সেখানে সমস্ত রকম তথ্য দিয়ে পূরণ করুন।
Step 3. এরপর “সেভ এপ্লিকেন্ট ডেটা” (Save Applicant Data) অপশন এ ক্লিক করুন।
Step 4. এরপর সমস্ত রকম প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলি আপলোড করুন।
Step 5. এরপর আপনার আইডি নাম্বার থাকবে এবং পাসওয়ার্ড আপনার রেজিস্টার মোবাইল নাম্বারে পাঠানো হবে।
গ্রাম এবং শহরের বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে এই যোজনা অনেকখানি সহযোগিতা করবে সাধারণ মানুষের। ঋণ অথবা লোন নেওয়ার মধ্যে দিয়ে নিজেদের পছন্দমতো কর্মসংস্থান, ব্যবসা এবং আরো অন্যান্য কর্মক্ষেত্রে নিজেকে নিয়োজিত করতে পারবেন অনায়াসেই। এর ফলে বেকারত্ব যেমন দূর হবে তার সাথে সাথে দেশের উন্নতি এবং দশের মঙ্গল দুটোই সম্পন্ন হবে।
এছাড়া এই যোজনার মধ্যে দিয়ে ভালো কোন প্লাটফর্ম, যেখানে কর্ম প্রার্থী ও নিয়োগকর্তা উভয়ই তাদের পছন্দমত কাজ বা কাজের জায়গা বেছে নিতে পারবেন। এছাড়াও নতুন শিল্প স্থাপনের অনুকূল বাতাবরণ গড়ে তুলতে সরকার ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচি হিসেবে স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া (Start up India) গঠন করেছে। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো কর্মসংস্থানের সুযোগ সুবিধা বাড়িয়ে আরো বেশি সংখ্যায় কর্মী নিয়োগে উৎসাহিত করা সাধারণ মানুষকে।
এই যোজনার মধ্যে দিয়ে খুবই সহজে নিজেদের পছন্দমতো কর্মসংস্থান যেমন খুঁজে পাওয়া যাবে তেমনি ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সুনিশ্চিত থাকার জন্য এ যোজনা অনেকখানি সহযোগিতা করবে বেকার যুবকদের এবং জনসাধারণের। এছাড়া এই যোজনার মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও ছোট ব্যবসার ক্ষেত্রে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ অথবা লোন এর সাহায্য দেওয়া হয়।
কর্মপ্রার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকার কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সুবিধা তৈরি করতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ইতিমধ্যেই।
উদ্যোগে বেসরকারি সংস্থাগুলো উৎসাহিত করা হচ্ছে পুরোদমে। কর্মসংস্থান বাড়াতে সরকার প্রধান মন্ত্রীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি কর্মসূচি, মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান সুনিশ্চিত যোজনা, ইত্যাদি বাস্তবায়িত হয়েছে।
Home | Click here |
Official Website | Click here |