প্রকল্পের নাম : মুক্তির আলো প্রকল্প
প্রকল্পের দপ্তর বা বিভাগের নাম : নারী ও শিশু উন্নয়ন এবং সমাজ কল্যাণ দপ্তর
সুচিপত্র
এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য কি :
বিভিন্ন কারণে অনেক অল্পবয়সি মেয়ের স্থান হয় যৌনপল্লিতে অর্থাৎ রেডলাইট এরিয়াতে। বহুক্ষেত্রে তারা অন্য রাজ্যে বা দেশে পাচার হয়ে যায়। সবচেয়ে দুর্ভাগ্য, উদ্ধারের পরেও তাদের পরিবারে বা সমাজে ঠাঁই মেলে না।
এই প্রথম সরকারি উদ্যোগে ও সম্পূর্ণ আর্থিক অনুদানে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যৌনকর্মীদের ও এই দুর্ভাগা নারী ও বালিকাদের পুনরুদ্ধারের পর কাউন্সেলিং এবং বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে মুক্তির আলো প্রকল্পে।
প্রশিক্ষণ চলাকালীন তাদের থাকা-খাওয়া, কাউন্সেলিং-এর সঙ্গে মাসিক ভাতারও বন্দোবস্ত করেছে সরকার। প্রশিক্ষণ শেষে ইচ্ছুক শিক্ষানবিশদের স্বাবলম্বনের জন্য এই প্রকল্প থেকে এককালীন মূলধনও দেওয়া হয়।
পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পের নামকরণ ও শুভ সূচনা করেন গত ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫।
মুক্তির আলো প্রকল্পে ব্লক প্রিন্টিং ও স্পাইস গ্রাইন্ডিং-এর উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং ‘ক্যাফেটেরিয়া ম্যানেজমেন্ট’ ও ‘টায়ার টিউবের পুনর্ব্যবহার’-এর উপর প্রশিক্ষিত করা হয়েছে।
এই প্রকল্পে কারা প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন :
নারী পাচারের শিকার মহিলা ও বালিকারা, যৌনকর্মী এবং তাঁদের কন্যাসন্তানগণ।
এই প্রকল্পে কারা আবেদন করতে পারবেন:
যৌন এলাকায় কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান যারা এই পরিষেবা দিতে আগ্রহী।
কোথায় করতে হবে যোগাযোগ :
নারী ও শিশু উন্নয়ন এবং সমাজ কল্যাণ দপ্তর-এর অধীনস্থ সংস্থা পশ্চিমবঙ্গ নারী উন্নয়ন নিগম। নির্মাণ ভবন, লবণ হ্রদ, কলকাতা–৯১
আশা করি আমাদের এই তথ্য আপনাদের সাহায্য করবে, যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই সকলের থাকে শেয়ার করবেন। আর এই ধরণের আরো তথ্যের জন্য নজর রাখবেন আমাদের ওয়েবসাইটে। ধন্যবাদ