2022 Banglar Bhumi Land Records – 2022 BanglarBhumi.Gov.in2022 Banglar Bhumi Land Records – 2022 BanglarBhumi.Gov.in
    Login Your Account
    Lost password?
    Don't have an account? Register Now!
    • খতিয়ান ও দাগের তথ্য
    • আজকের লটারি সংবাদ
    • স্কুলের বই ডাউনলোড
    • টেলিগ্রাম চ্যানেল জয়েন করুন
    Facebook Twitter Instagram
    বাংলা ভূমি ফোরাম
    Facebook Twitter Instagram
    15 August 2022, Monday 3:28 PM
    2022 Banglar Bhumi Land Records – 2022 BanglarBhumi.Gov.in2022 Banglar Bhumi Land Records – 2022 BanglarBhumi.Gov.in
    খতিয়ান ও দাগের তথ্য লটারি সংবাদ
    • হোম
    • জমির তথ্য
    • অনলাইন ইনকাম
    • ব্যাবসার আইডিয়া
    • আইনি পরামর্শ
      • নাগরিক আইন
      • পারিবারিক আইন
      • সম্পত্তি আইন
      • ব্যাংকিং আইন
      • ট্যাক্স আইন
      • বিবাহবিচ্ছেদ আইন
      • ট্রাফিক আইন
    • প্রকল্প
    • লোন
      • পার্সোনাল লোন
      • হোম লোন
      • বিজনেস লোন
      • যানবাহন লোন
      • শিক্ষা লোন
      • গোল্ড লোন
      • সম্পত্তির বিনিময়ে লোন
    • লাইফস্টাইল
    • আপনার টাকা
    বাংলা ভূমি ফোরাম
    2022 Banglar Bhumi Land Records – 2022 BanglarBhumi.Gov.in2022 Banglar Bhumi Land Records – 2022 BanglarBhumi.Gov.in
    জমির রেকর্ড
    Home»Biography»মাতঙ্গিনী হাজরা জীবনী 2022 – ইতিহাস, পরিবার এবং বিপ্লবী কার্যক্রম
    Biography

    মাতঙ্গিনী হাজরা জীবনী 2022 – ইতিহাস, পরিবার এবং বিপ্লবী কার্যক্রম

    Matangini Hazra Biography in Bengali - মাতঙ্গিনী হাজরার বয়স, মৃত্যু, পরিবার, জীবন পরিচয় এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে মাতঙ্গিনী হাজরার যোগদান আরও অনেক কিছু।
    Sushmita HalderBy Sushmita Halder7 Mins Read
    Facebook WhatsApp Twitter Telegram Pinterest LinkedIn Email
    Share
    Facebook WhatsApp Telegram Twitter LinkedIn Pinterest Email

    মাতঙ্গিনী হাজরা কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? মাতঙ্গিনী হাজরা কিভাবে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলেন? ওনার বাবা-মা কে? ওনার জীবন কেমন ছিল? এছাড়াও বিদ্রোহিনী নারী মাতঙ্গিনী হাজরার সম্পর্কে জানা-অজানা তথ্য জানুন (Biography of Matangini Hazra in Bengali)।

    স্বাধীনতা আন্দোলনে একজন বিদ্রোহিনী নারী হিসেবে মাতঙ্গিনী হাজরার নাম নিশ্চয়ই শুনেছেন। মাতঙ্গিনী হাজরা ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অংশগ্রহণকারী একজন মহান বিপ্লবী নেত্রী। ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ২৯ শে সেপ্টেম্বর তদানীন্তন মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানার সামনে ব্রিটিশ ভারতীয় পুলিশের গুলিতে তিনি শহীদ হয়েছিলেন, এছাড়া তাকে অনেকে গান্ধী বুড়ি নামেও চেনেন।

    মাতঙ্গিনী হাজরা জীবন পরিচয় - Matangini Hazra Biography in Bengali
    মাতঙ্গিনী হাজরা জীবন পরিচয় – Matangini Hazra Biography in Bengali

    একজন বিদ্রোহিনী নারী হিসেবে তিনি যে অবদান রেখে গেছেন তার থেকে বোঝা যায় যে, নারীরা কোন অংশেই পিছিয়ে নেই, তারাও কিন্তু দেশের জন্য হাসতে হাসতে প্রাণটা বিসর্জন দিতে পারেন। আর তাইতো তিনি আজও খুবই শ্রদ্ধার সাথে সকলের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। তাঁর সেই জাতীয় পতাকা নিয়ে গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা সত্যি গায়ে শিহরণ জাগায়।

    সুচিপত্র

    • বিদ্রোহিনী নারী মাতঙ্গিনী হাজরার জীবনী সম্পর্কে জানা যাক: 
    • মাতঙ্গিনী হাজরার জন্ম এবং পরিবার: 
    • মাতঙ্গিনী হাজরার জীবন:
    • মাতঙ্গিনী হাজরার কর্মজীবন: 
    • মাতঙ্গিনী হাজরার “ভারত ছাড়ো আন্দোলনে” অংশগ্রহণ: 
    • মাতঙ্গিনী হাজরার মৃত্যু: 

    বিদ্রোহিনী নারী মাতঙ্গিনী হাজরার জীবনী সম্পর্কে জানা যাক: 

    • সম্পূর্ণ নাম: মাতঙ্গিনী হাজরা
    • জন্ম: ১৯ শে অক্টোবর ১৮৭০
    • পিতার নাম: ঠাকুরদাস মাইতি
    • জন্মস্থান: তমলুক, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত।
    • জাতীয়তা: তিনি ভারতীয়
    • পেশা: ভারতীয় বিপ্লবী, স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ
    • মৃত্যু: ২৯ শে সেপ্টেম্বর ১৯৪২ সাল, বয়স ছিল তখন ৭২ বছর

    মাতঙ্গিনী হাজরার জন্ম এবং পরিবার: 

    মাতঙ্গিনী হাজরা ১৯ শে অক্টোবর ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। মাতঙ্গিনী হাজরার পিতার নাম ছিল ঠাকুরদাস মাইতি। স্বদেশী যুগের অন্যতম বীরাঙ্গনা মাতঙ্গিনি হাজরা মেদিনীপুর জেলার হোগলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মেদিনীপুর জেলার আলিনান গ্রামে অথবা হোগলা গ্রামে একটি খুবই দরিদ্র কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, মাত্র ১৮ বছর বয়সেই  নিঃসন্তান অবস্থায় তিনি বিধবা হন।

    মাতঙ্গিনী হাজরার জীবন:

    তিনি খুবই কম বয়সে বিধবা হন তাও আবার একেবারে নিঃসন্তান অবস্থায়। এরপর থেকে তিনি নিজেকে সম্পূর্ণ রূপে বিলিয়ে দিয়েছিলেন সমাজ সেবার কাজে। পাড়া-প্রতিবেশী দের সমস্ত রকম বিপদে-আপদে মাতঙ্গিনী ছিলেন খুবই সহায়ক।

    তিনি সবার আগে সেখানে পৌঁছে যেতেন। নিজে খুবই সাধারণভাবে জীবন যাপন করতেন কিন্তু মানুষের অসুবিধাতে সেবার কাজ করতে আর এই সমস্ত কাজের জন্য তাকে অনেকে গান্ধী বুড়ি বলেও ডাকত।

    মাতঙ্গিনী হাজরার কর্মজীবন: 

    তারপর তাঁর কর্মজীবন হিসেবে বলতে গেলে তিনি ছিলেন একজন সমাজসেবী। আর তার সাথে সাথে স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন বিপ্লবী, ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে ৩১ শে ডিসেম্বর কংগ্রেসের লাহোর অধিবেশনের স্বাধীনতার প্রতিক হিসেবে ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকা উত্তোলন করা হয়।

    পরের বছর জাতির কাছে পূর্ণ স্বাধীনতার আদর্শ জনপ্রিয় করে তোলার জন্য জাতীয় কংগ্রেসের কার্যনির্বাহক সমিতির বৈঠকে ২৬ শে জানুয়ারি স্বাধীনতা দিবস রূপে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর সেই সময় থেকে দেশের সকল প্রান্তে এই দিনটি যথোপযুক্ত উৎসাহ উদ্দিপনার সাথে প্রতিপালিত হতে থাকে।

    ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের ২৬ শে জানুয়ারি মেদিনীপুরে কংগ্রেস কর্মীরা জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর একটি শোভাযাত্রা বার করে, মাতঙ্গিনী এই শোভাযাত্রায় যোগ দিয়ে প্রকাশ্যভাবে রাজনীতিতে যোগদান করেন।

    আর সেই বছরেই আলিনান লবণ কেন্দ্রে লবণ প্রস্তুত করা আইন অমান্য করে পুলিশের হাতে তিনি গ্রেপ্তার হন। তবে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করার পর জেলে বন্দী না করে তাকে পায়ে হাটিয়ে অনেকদূর পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে সেখানে তাকে ছেড়ে দেয়।

    এরপর থেকে তিনি বিভিন্ন রকম আন্দোলনে যোগদান করেছেন। জেলায় চৌকিদারী ট্যাক্স বন্ধ আন্দোলন করা, মাতঙ্গিনী তার সঙ্গেও যুক্ত হন। গভর্নর ফিরে যাও ধ্বনি দিয়ে তিনি শোভাযাত্রা বার করলেও সেখানেও তিনি গ্রেফতার হন, তারপর ৬ মাস কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে বহরমপুর জেলে বন্দী থাকেন তিনি।

    ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেস মহিলা সম্মেলনে মাতঙ্গিনী প্রতিনিধি রূপে যোগদান করেন আর এইভাবে গ্রামের একটি সাধারণ গৃহবধূ অর্থাৎ একজন বিধবা বিদ্রোহী নারী তথা বীরাঙ্গনা এবং স্বাধীনতা আন্দোলনে তিনি সংগ্রামী হয়ে ওঠেন।

    এরপর আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি ও খুবই জটিল হতে থাকে। পৃথিবী জুড়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আবহাওয়া দুর্বার গতিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দিকে অগ্রসর হয়ে অল্প সময়ের মধ্যে মালয়, সিঙ্গাপুর এবং ব্রহ্মাদেশ দখল করে নেয়। ভারতবর্ষ ও কিন্তু যুদ্ধের আওতার বাইরে ছিল না।

    তাছাড়া মাদ্রাজ ও কলকাতার জাপানের বিক্ষিপ্ত আক্রমণ জনগণের মনে ভয় সৃষ্টি করে, আর এই আক্রমণের মোকাবিলা করার জন্য জওহরলাল নেহেরু, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ এই সময়ে সর্বশক্তি দিয়ে আন্দোলন করার আহ্বান জানিয়েছিলেন দেশবাসীকে।

    সরদার বল্লভ ভাই প্যাটেল, গান্ধীজী, রাজেন্দ্র প্রসাদ প্রমুখ কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দ ব্রিটিশ শক্তিকে সম্পূর্ণ রূপে মিটিয়ে ফেলার জন্য মত প্রকাশ করেন। এই সময় গান্ধীজী সরকারকে ভারত ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে হরিজন পত্রিকায় একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেন।

    সেই সময় দেশবাসীর পক্ষে সমুদ্র জল থেকে লবণ সংগ্রহ করা ছিল বেআইনি, কিন্তু লবণ তৈরির সুযোগ থাকা সমস্ত জায়গায় সত্যাগ্রহীরা লবণ তৈরি করে আইন অমান্য করতে লাগলেন। প্রথম লবণ তৈরি শুরু হয়েছিল মেদিনীপুরের কাঁথিতে।

    খবর পেয়ে পুলিশ গ্রামের সমস্ত ঘরবাড়ি ভেঙে  তছনছ করে জ্বালিয়ে দিল। শুরু হলো পুলিশের অত্যাচার। লবণ আইন অমান্য করায় মাতঙ্গিনী হাজরা কে গ্রেফতার করা হয়েছিল, যদিও তার প্রতিবাদ দমন করতে পারেনি। তাই অল্প সময়ে পরেই ছাড়া পেয়ে যান, যার ফলে আবার তাকে জেলে বন্দি করে রাখা হয়।

    এছাড়া ১৯৩৩ সালে মাতঙ্গিনী হাজরা শ্রীরামপুর মহকুমা কংগ্রেস অধিবেশনের যোগ দিয়ে পুলিশের লাঠিচার্জের সময় গুরুতরভাবে আহত হন এই মহীয়সী নারী, অসহযোগ আন্দোলন ও ভারত ছাড়ো আন্দোলন, ডান্ডি মার্চ এ যুক্ত থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে তিনি অমর হয়ে রয়ে গেছেন।

    মাতঙ্গিনী হাজরার “ভারত ছাড়ো আন্দোলনে” অংশগ্রহণ: 

    তিনি যে একজন স্বাধীনতার সংগ্রামে নারী হয়েও কোনমতেই তিনি পিছিয়ে যান নি, সেটা আমরা সকলেই তাঁর ইতিহাস থেকে জানি। ১৯৪২ সাল ৯ ই আগস্ট অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির বিপুল ভোটে ভারত ছাড়ো প্রস্তাব পাস করে। সেই রাতে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যরা গ্রেফতার হয়ে আগা খাঁ প্রাসাদ এবং আহম্মদ নগর দুর্গে পাঠানো হয়। তারপর দিন থেকে শুরু হয়ে যায় ভারতব্যাপী একটি বিশাল আন্দোলন যার নাম ভারত ছাড়ো আন্দোলন।

    জেলা থেকে ব্রিটিশ শাসন সম্পূর্ণ রূপে তুলে দেওয়ার পর স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য নিয়ে কংগ্রেস সদস্যরা ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় মেদিনীপুর জেলার সকল থানা এবং অন্যান্য সরকারি কার্যালয় দখল করে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন।

    এরপর মাতঙ্গিনী হাজরার বয়স তখন বলতে গেলে ৭৩ বছর, ৭৩ বছর বয়সী এই বীরাঙ্গনা মাতঙ্গিনী হাজরার নেতৃত্বে ছয় হাজার সমর্থক ও মহিলা স্বেচ্ছাসেবক দের নিয়ে তমলুক থানা দখল করার উদ্দেশ্যে একটি মিছিল বের করা হয়।

    মাতঙ্গিনী হাজরার মৃত্যু: 

    তার মৃত্যু সম্পর্কে বলতে গেলে, তিনি আন্দোলন করতে করতেই কিন্তু মৃত্যুবরণ করেছিলেন। ১৯৪২ এর ২৯ শে সেপ্টেম্বর আগস্ট বিপ্লবের জোয়ার তখন মেদিনীপুরে ছড়িয়ে পড়েছে। দলগত ভাবে তমলুক, মহিষাদল, সুতাহাটা ও নন্দীগ্রাম থানা আক্রমণ করে দখল করে নেওয়ার উদ্দেশ্যে মাতঙ্গিনী হাজরা স্বেচ্ছাসেবক দের বোঝালেন যে, গাছ কেটে ফেলে রাস্তা ঘাট সবকিছু বন্ধ করে দিতে হবে।

    বন্ধ করতে হবে বিদ্যুৎ সরবরাহ, টেলিফোন, টেলিগ্রাফ এর তার কেটে দিয়ে সম্পূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করতে হবে। ৫ দিক থেকে পাঁচটি শোভাযাত্রা নিয়ে গিয়ে তমলুক থানা এবং একই সঙ্গে সমস্ত সরকারি অফিস দখল করে নিতে হবে, এমনই ভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

    সেইমত পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৯ শে সেপ্টেম্বর পাঁচ দিক থেকে পাঁচটি শোভাযাত্রা গিয়েছিল তমলুক দখল করার জন্য। হাজার হাজার মেদিনীপুর বাসীর হাতে জাতীয় পতাকা এবং ইংরেজ ভারত ছাড়ো, কারেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে, বন্দেমাতারাম ধ্বনিতে এগিয়ে চলে সেই শোভাযাত্রা।

    তবে মিছিল যখন এগিয়ে যাচ্ছিল তখন রাজ পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৪ ধারা জারি করে এবং নির্দেশ দেয় যে সমাবেশ ভেঙে দেওয়ার জন্য, কিন্তু এই আদেশ অমান্য করেছিলেন মাতঙ্গিনী হাজরা। তার লক্ষ্য স্থির রেখে তিনি এগিয়ে চললেন। পুলিশ গুলি চালায় মাতঙ্গিনী হাজরাকে লক্ষ্য করে, তিনি কিন্তু পিছিয়ে যাননি এবং পুলিশের জনতার উপরে গুলি না চালানোর জন্য অনেকবার বারনও করেন।

    তাছাড়া তিনি প্রথমে তার পায়ে গুলিবিদ্ধ হন, কিন্তু যখন তিনি এই মিছিলটি করছিলেন তখন তার এক হাতে ছিল জাতীয় পতাকা আর এক হাতে ছিল শঙ্খ। সাথে সাথে হাত থেকে শঙ্খ টি মাটিতে পড়ে যায়। এরপর আরেকটি গুলি এসে তার বাঁ হাত টাতে লাগে, তখনও তিনি মাটিতে পড়ে যাননি, জাতীয় পতাকাটি শক্ত হাতে ধরে রেখেছিলেন।

    গুরুতর এমন আহত অবস্থাতেও তিনি বলেছিলেন যে, “ব্রিটিশের গোলামী ছেড়ে গুলি ছোড়া বন্ধ কর, তোমরা সব আমাদের মত স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে হাত মেলাও” তারপরে তাঁর দিকে ছুটে আসে আরেকটি গুলি, কিন্তু সেই গুলি টি একেবারে সরাসরি তার কপালে গিয়ে লাগে। তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় সাথে সাথেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তবে তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হিসেবে জাতীয় পতাকাটি হাতের মুঠো থেকে ফেলে দেন নি। তার মুঠোর মধ্যেই সেই জাতীয় পতাকা মুষ্টিবদ্ধ হয়ে গিয়েছিল।

    এমন এক বীরাঙ্গনা নারী মাতঙ্গিনী হাজরার এই দীর্ঘ লড়ায়ের পর স্বাধীনতা অর্জন করেছিল ১৯৪৭ সালে আমাদের ভারতবর্ষ। সেই সময় অসংখ্য স্কুল, পাড়া এবং রাস্তার নাম মাতঙ্গিনী হাজরা নামে উৎসর্গ করা হয়। স্বাধীন ভারতের কলকাতা শহরের প্রথম স্থাপিত হলো নারী মুক্তি। ১৯৭৭ সালে কলকাতার ময়দানে এই মূর্তি স্থাপন করা হয়। তমলুকে তার মৃত্যুবরণের জায়গাতেও তাঁর একটি মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে।

    দুহাতে জাতীয় পতাকা জড়িয়ে ধরে বন্দেমাতরম ধ্বনি দিতে দিতে লুটিয়ে পড়া রক্তাক্ত বীরাঙ্গনা মাতঙ্গিনীর প্রাণহীন দেহটি আজও দেশবাসীর কাছে এক বেদনাদায়ক মুহূর্ত। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে নির্যাতিত হয়েছেন অসংখ্য সংগ্রামী। হাসতে হাসতে প্রাণ উৎসর্গ করেছেন জানা-অজানা অনেক বিপ্লবী। এদের সকলের নাম বা পরিচয় আমরা হয়তো সকলেই জানিই না, তাই না !

    তবে এমনই এক সর্বহারা, বিধবা, বীরাঙ্গনা নারী যিনি কিনা স্বাধীনতা আন্দোলনে নিজের জীবনটাকে দেশকে স্বাধীন করার জন্য উৎসর্গ করে গেলেন। তার এই আত্মত্যাগ তাঁকে অমর করে রাখবে চিরকাল। এছাড়া তাকে সম্মান জানানোর জন্য, তাকে সব সময় জন্য মনে করার জন্য, ভারতের ডাক বিভাগ এ মাতঙ্গিনী হাজরার ছবি দেওয়া পাঁচ টাকার পোস্টাল স্ট্যাম্প চালু করা হয় ২০০২ সালে।

    Share. Facebook WhatsApp Telegram Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email

    Related Posts

    নরেন্দ্র মোদী জীবন পরিচয় - Narendra Modi Biography in Bengali

    নরেন্দ্র মোদী জীবনী 2022 – শিক্ষা, পরিবার, সম্পত্তি এবং অন্যান্য বিবরণ

    বিনায়ক দামোদর সাভারকর জীবন পরিচয় - Vinayak Damodar Savarkar Biography in Bengali

    বিনায়ক দামোদর সাভারকর জীবনী 2022 – ইতিহাস, পরিবার এবং স্বাধীনতা সংগ্রামী কার্যক্রম

    লৌহ পুরুষ সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জীবন পরিচয় - Vallabhbhai Patel Biography in Bengali

    সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল জীবনী 2022 – ইতিহাস, পরিবার এবং স্বাধীনতা আন্দোলন কার্যক্রম

    রামপ্রসাদ বিসমিল জীবন পরিচয় - Ram Prasad Bismil Biography in Bengali

    রামপ্রসাদ বিসমিল জীবনী 2022 – ইতিহাস, পরিবার এবং বিপ্লবী কার্যক্রম

    মঙ্গল পান্ডে জীবন পরিচয় - Mangal Pandey Biography in Bengali

    মঙ্গল পান্ডে জীবনী 2022 – ইতিহাস, পরিবার এবং স্বাধীনতা সংগ্রামী কার্যক্রম

    ঝাঁসির রানী লক্ষ্মীবাঈ জীবন পরিচয় - Rani Lakshmibai Biography in Bengali

    রানী লক্ষ্মীবাঈ জীবনী 2022 – ইতিহাস, পরিবার এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের লড়াই

    Add A Comment

    Leave A Reply Cancel Reply

    Bengali Sad Love Kobita

    যুবশ্রী প্রকল্প, বেকার যুবক-যুবতীদের আর্থিক সহায়তা ও চাকরিপ্রার্থী গড়ে তলার প্রকল্প

    Bangla Sad Love Quote : Bangla Love : I Miss You

    PMJAY West Bengal, How to Apply Ayushman Bharat is National Health Protection Scheme ? Free Application in Ayushman Bharat Scheme

    দোকানদার ও খুচরো বিক্রেতারা পাবেন প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা পেনশন, মোদী সরকারের নতুন ঘোষণা

    মোদী সরকার দিচ্ছে প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা পেনশন দোকানদার ও খুচরো বিক্রেতাদের

    অগ্নিবীর ভগৎ সিং জীবন পরিচয় - Bhagat Singh Biography in Bengali

    অগ্নিবীর ভগৎ সিং জীবনী 2022 – ইতিহাস, পরিবার এবং বিপ্লবী কার্যক্রম

    Home | About Us | Contact Us | Privacy Policy
    © 2022 Bangla Bhumi Media Group.

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.