বৈবাহিক সমস্যার সমাধান করুন বিবাহ পরামর্শ দিয়ে – জানুন কিভাবে?

Marriage Counseling for Marital Problems: জানুন বিবাহ পরামর্শ কি? কোন কোন বৈবাহিক সমস্যার জন্য বিবাহ পরামর্শ নেওয়া দরকার? কিভাবে বিবাহ পরামর্শ নেবেন? বৈবাহিক সমস্যার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বিবাহ পরামর্শ নেওয়া। 

বিবাহ পরামর্শ, যা কিনা “কাপল থেরাপি (Couple therapy)” হিসেবে অনেকেই জানেন, কোনো দম্পতি বর্তমান সমস্যা দূর করার জন্য এবং বিভিন্ন রকমের সংঘর্ষ এর সমাধান করার জন্য যেসব বিষয় গুলির উপর আলোকপাত করা হয়, যার ফলে তাদের সম্পর্ক আরো বেশি সুন্দর ভাবে গড়ে তোলার জন্য সহায়তা করতে পারে। এই ব্যবস্থা তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কে আরো বেশি সুন্দর ও সু – দৃঢ় করে তুলতে পারে।

Marriage Counseling in Marital Problems in Bengali - বৈবাহিক সমস্যার জন্য বিবাহ পরামর্শ
Marriage Counseling for Marital Problems in Bengali – বৈবাহিক সমস্যার জন্য বিবাহ পরামর্শ

বিবাহ ক্ষেত্রে ভালো পরামর্শের মধ্যে দিয়ে কিন্তু একটি সুন্দর সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে, খারাপ সম্পর্ক থেকে। তাদের মধ্যে যে সমস্ত ভুল বোঝাবুঝি এবং আরো অন্যান্য সমস্যা তৈরি হয়েছে সেগুলি অনায়াসেই সমাধান হয়ে যেতে পারে এই ভালো পরামর্শের মধ্যে দিয়ে।

দম্পতির মধ্যে দুজনের মতবিরোধ থাকতে পারে সেগুলির উপরে দৃষ্টিপাত করে তাদের বিবেচনা করার মধ্যে দিয়ে আলাদা আলাদা পরামর্শ অনুসারে তাদের সম্পর্ককে আরো বেশি সুন্দর করে তোলা যায়।

নিজের স্বামী বা স্ত্রী কে ডিভোর্স কিভাবে দেবেন? আইনি পদ্ধতি জানুন

এমন কিছু বিশিষ্ট বিষয়ের উপরে নির্ভর করে বিবাহ পরামর্শের লাভ পাওয়া যেতে পারে:

১) সঞ্চার এর সমস্যা।

২) সন্তান লালন পালন এর বিষয়ে সংঘর্ষ অথবা বিবাদ।

৩) যৌন সম্পর্ক বিবাদ।

৪) সাংসারিক আরো অন্যান্য সমস্যা।

৫) দুজনার মধ্যে কেউ যদি কাউকে ঠকিয়ে থাকেন।

৬) পারিবারিক বিভিন্ন রকমের সমস্যা।

বিবাহ পরামর্শের মধ্যে দিয়ে একেবারে ডিভোর্স পর্যায়ে চলে যাওয়া দম্পতি আবার সুন্দরভাবে তাদের জীবন যাপন শুরু করতে পারেন। তাছাড়া এটা কখনোই গ্যারান্টি দেওয়া সম্ভব নয় যে, বিবাহ পরামর্শ এর মধ্যে দিয়ে সমস্ত রকম সমস্যার সমাধান খুব সহজ ভাবে করা যেতে পারে। তবে এই সমস্ত সমস্যার মধ্যে দিয়ে এই পরামর্শ গুলি মাথায় রেখে খুবই সহজ ভাবে আপনি পার হতে পারবেন।

আর অবশ্যই একটা কথা মাথায় রাখা জরুরি যে, যে কোন সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য স্বামী এবং স্ত্রী দুজনেরই মানসিক এবং শারীরিক ভাবে প্রস্তুত থাকা সম্পূর্ণরূপে প্রযোজ্য।

ডিভোর্সের জন্য মানসিক অত্যাচার কিভাবে প্রমাণ করবেন? আইন জানুন

যে কোনো একজন দ্বারা এমন কাজ করা কখনও সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে দু’জনকেই ঠিক থাকতে হবে, এই সমস্ত বিষয় গুলির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য।

তাছাড়া বিবাহ পরামর্শ দুজনের মনের মধ্যে যে সমস্ত ভুল ধারণা গুলো জন্ম নিয়েছে সে গুলো সরিয়ে দিয়ে সমস্ত রকমের সমস্যার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য দুজনের মতামত এক হওয়া এবং দুজন মিলে সেই সমস্যার সম্মুখিন হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

এমন পরিস্থিতিতে একজন বিবাহ পরামর্শদাতার ভূমিকা:

বিবাহ পরামর্শদাতা একজন লাইসেন্স প্রাপ্ত হয়ে থাকেন। পরিবারের বিভিন্ন রকমের সমস্যার সমাধান ঘটিয়ে দম্পতির মধ্যে সমস্ত রকম ঝামেলা দূর করে তাদেরকে আবার এক করে দিয়ে নতুন করে জীবন যাপন করার সক্ষম দক্ষতা রাখেন।

লিখিতভাবে এবং অনুশীলন ভাবে অনেক বিষয় আলোচনার মধ্য দিয়ে একজন বিবাহ পরামর্শদাতা ডিভোর্সের মুখ থেকে যে কোনো দম্পতিকে ফিরিয়ে আনতে পারেন।

বিভিন্ন রকমের কারণ এর উপর নির্ভর করে বিবাহ বিবাদ শুরু হতে পারে। তাই একজন বিবাহ পরামর্শদাতা সেই বিষয় গুলির উপর নির্ভর করে অথবা কারণ গুলি বিবেচনা করে তবেই পরামর্শ দেবেন, তবে কিন্তু ভালোমতো কাজ হবে।

ডিভোর্স দিতে কত টাকা লাগে? ডিভোর্স দিতে কি লাগে? আইন-নিয়ম

তাছাড়া বর্তমানে দম্পতির মধ্যে মতবিরোধ, অহংকার, গম্ভীর ভাব সবকিছু মিলিয়ে বেশ জটিল সমস্যা তৈরি করে। আর এই সমস্যা এক সপ্তাহ থেকে একমাস, একমাস থেকে এক বছরে পরিণত হতে পারে।

এমন ঘটনাও চোখে পড়েছে, যেখানে দুজনের মধ্যে মতবিরোধের কারণে অহংকার এর কারণে দুজনের মধ্যে ভালোভাবে কথা পর্যন্ত হয় না এবং স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক থেকে তারা অনেকখানি দূরত্ব বজায় রাখেন। তবে যদি কোনো সন্তান থেকে থাকে সম্পূর্ণ প্রতিক্রিয়াটা গিয়ে পড়ে সেই সন্তানের উপর। তাতে কিন্তু তার ভবিষ্যৎ অনেকটা হুমকির মুখে পড়তে পারে।

তাই সবদিক বিবেচনা করে বিবাহ পরামর্শদাতার পরামর্শ অনুযায়ী নিজের সমস্ত রকম সমস্যার সমাধান ঘটিয়ে দম্পতিকে একে অপরের প্রতি বিশ্বাস, ভালোবাসা এবং অহংকার মুক্ত হয়ে জীবন যাপন করাটা সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে একটি বৈবাহিক জীবনে।

আবার দেখা যায়, যদি কোন বিষয় নিয়ে স্বামী অথবা স্ত্রী বিপরীত ব্যক্তির উপর দোষারোপ করে থাকেন, তাহলে সেই বিষয়টি “ঘরোয়া ঘটনার রিপোর্ট (Domestic incident report)” অনুসারে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। এর মধ্যে দিয়ে বিবাহ পরামর্শদাতা প্রথমে সবকিছু বুঝিয়ে বিষয়টি সহজ ভাবে সমাধান করার কথা চিন্তা করবেন।

বিবাহ বিচ্ছেদের পর দ্বিতীয় বিবাহ কবে ও কীভাবে করা যেতে পারে?

তার সাথে যদি অন্য বিষয়ে জড়িয়ে থাকে অর্থাৎ পরিবারের কথা উঠে আসে, এক্ষেত্রে নোটিশের মাধ্যমে পরিবারকে সচেতন করা যেতে পারে। যার মধ্যে একটি সুন্দর বৈবাহিক সম্পর্ক ভেঙে না যায়।।

এমন অনেক বিবাহ বিবাদ রয়েছে যেখানে পরিবারের ভূমিকা রয়েছে অনেকখানি অর্থাৎ পরিবারের অত্যাচারের বিরুদ্ধে ডিভোর্স অথবা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনের অমিল বিবাদ সবকিছু নির্ভর করে থাকে।

আবার সন্তান লালন-পালন থেকে শুরু করে শারীরিক সম্পর্ক ও আরো অন্যান্য বিষয় এর উপর নির্ভর করে বৈবাহিক বিবাদ শুরু হতে পারে। যা কিনা খুবই সাধারণ একটি বিষয়, যেটা বিবাহ পরামর্শ অনুসারে খুব সহজভাবে সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। তবে তার জন্য প্রয়োজন একজন ভাল বিবাহ পরামর্শদাতার।

তবে হ্যাঁ, পরিবারের সমস্ত বিষয় যদি আইনিভাবে করতে হয় তাহলে অনেকটা হয়রানিতে পড়তে হয়। আর যদি নিজেদের সমস্যা নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে ফেলা যায়, তাহলে তো আর কোনো সমস্যাই থাকল না, তাই না ! এক্ষেত্রে সম্পর্ক, মনের মিল এবং ভালোবাসা সব কিছুই অটুট থাকবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top