পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত কখন করা হয়? পাসপোর্ট সাসপেন্ড করার আইনি নিয়ম?

পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করার মুল কারণ কি? আপনার কোন ভুলের জন্য পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করে দেওয়া হয়? জানুন পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত বা সাসপেন্ড করার আইনি নিয়ম।

পাসপোর্ট হল একটি মানুষের পরিচয় পত্রের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র। যেটির মাধ্যমে আপনি এক দেশ থেকে আর এক দেশে যাতায়াত করতে পারবেন। তবে যদি আপনার কোন রকম অপরাধমূলক রেকর্ড থেকে থাকে, সে ক্ষেত্রে এই পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা যেতে পারে। এছাড়া আরো অন্যান্য কারণ তো রয়েছেই।

আদালতের আদেশ ছাড়া আপনি এই পাসপোর্ট কে কাজে লাগিয়ে কখনোই দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। আপনার ক্রিমিনাল রেকর্ড থাকলে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করলে সেটা অস্বীকার করা যেতে পারে।

পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত কখন করা হয়? পাসপোর্ট সাসপেন্ড করার আইনি নিয়ম?
পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত কখন করা হয়? পাসপোর্ট সাসপেন্ড করার আইনি নিয়ম?

আর যদি অন্য কোনো ব্যক্তির দ্বারা নিজের জন্য পাসপোর্ট তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, সে ক্ষেত্রে কিন্তু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অনুসারে যদি প্রমাণিত হয় যে, এই ব্যাক্তি আসল ব্যক্তি নয়, তখন এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হয়ে থাকে, আর এর পরিবর্তে শাস্তি পেতে পারেন। আর এমনটা করার ক্ষেত্রে যদি কোন পাসপোর্ট অফিসার সাহায্য করে থাকেন তাহলে তাকেও সাসপেন্ড করা হবে।

সংবিধানের অনুচ্ছেদ 21 এ মুক্ত আন্দোলন-এর অধিকার দিয়ে থাকে, আর এটিকে প্রতিবন্ধীত করা সংবিধানের অনুচ্ছেদ 14 কে গুরুতর লঙ্ঘন বলে মনে করা হয়। পাসপোর্ট অধিনিয়ম একটি সকারাত্মক প্রক্রিয়া থেকে আন্দোলনকে অনিয়মিত করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। যা কিনা দেশের অখন্ডতা তে বাধা প্রদান করতে পারে।

পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করার আইনি নিয়ম?

পাসপোর্ট অধিনিয়ম এর ধারা 103 ভারতে পাসপোর্ট কে জারি করার ব্যবস্থাপনা কে সমাপ্ত করে থাকে। এই ধারা অনুসারে পাসপোর্ট প্রাধিকারী কে পাসপোর্ট দেওয়া অথবা অস্বীকার করা অথবা সেই পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা বা যাতায়াতের কাগজপত্র ক্যানসেল করার কারণ হতে পারে।

যদি পাসপোর্ট প্রাধিকরণ সন্তুষ্ট হয়ে থাকেন, পাসপোর্ট অথবা যাতায়াতের কাগজপত্রের ধারক কোন খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছেন।

যদি পাসপোর্ট অথবা যা তাদের কাগজপত্র সামগ্রীর তথ্য সমূহ দমন করা অথবা কোন অন্য ব্যক্তি দ্বারা প্রদান করা হয়ে থাকে, কোন ভুল সূচনা এর আধার এর উপর প্রাপ্ত করা হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে শর্ত অনুসারে যদি ধারক এমন হয়ে থাকেন, তাহলে পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে থাকে। এছাড়া পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত হওয়ার কারণ হতে পারে।

এই বিষয়টি শর্ত অনুসারে যদি এমন ভাবে পাসপোর্ট এর ধারক অন্য কোনো পাসপোর্ট প্রাপ্ত করে থাকেন তাহলে পাসপোর্ট প্রাধিকারী কেও সাসপেন্ড করা যেতে পারে, বা সাসপেন্ড করা হবে। আর এইভাবে অন্য পাসপোর্ট এর বিষয় এও কিন্তু বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে।

যদি কোন পরিস্থিতির ভালোর জন্য এমনটা করে থাকেন, পাসপোর্ট এর প্রাধিকরণ এবং প্রয়োজন মনে করে থাকেন যে, আর ভারতের অখন্ড ভারতের সুরক্ষা, যে কোন বিদেশী দেশের সাথে ভারতের মৈত্রী পূর্ণ সম্বন্ধ এবং সাধারন জনসাধারণের ভালোর জন্য এমনটা করে থাকেন, তো।

যদি পাসপোর্ট অথবা যাতায়াতের কাগজপত্র বা ডকুমেন্টস এর ধারক কে পাসপোর্ট এবং যাতায়াতের সমস্ত রকম কাগজপত্র জারি করার পর, যে কোনো সময় ভারতে একটি আদালত দ্বারা নৈতিক নিষ্ঠুরতা সম্পর্কিত যে কোন অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হবে। আর কম করে কারাবাসের শাস্তি হতে পারে দুই বছরের জন্য।

আবার যদি ভারতে একটি অপরাধ মূলক অপরাধী আদালতের সমক্ষে পাসপোর্ট অথবা যাতায়াতের কাগজপত্রের ধারক দ্বারা কোন রকম অপরাধ সম্বন্ধে কার্য হয়ে থাকেন, সে ক্ষেত্রে বিষয়টি শাস্তিযোগ্য।

যদি পাসপোর্ট অথবা যাতায়াতের কাগজপত্র ধারকের উপধারা অনুসারে নোটিশ অনুযায়ী যদি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বিফল হয়ে থাকেন, তাহলে সেই ব্যক্তিকে বিতাড়িত করার প্রয়োজনীয়তা হবে।

যদি সেই পাসপোর্ট প্রধিকরন কে সজ্ঞানে আনা হয়ে থাকে, তার সাথে সাথে পাসপোর্ট অথবা যাতায়াতের কাগজপত্রের ধারকের উপস্থিতিতে তার উপস্থিতির জন্য ওয়ারেন্ট অথবা গ্রেপ্তারের জন্য একটি ওয়ারেন্ট, যে কোন আইন অনুসারে আদালত দ্বারা জারি করা হবে।

এমন কেস জারি হওয়ার সময় অথবা যদি পাসপোর্ট বা অন্য কোনো যাতায়াতের কাগজপত্রের ধারককে বা বলতে গেলে সেই পাসপোর্ট এর মালিক বা সেই ব্যক্তিকে ভারত থেকে অন্য কোথাও যাওয়ার জন্য আটকানো যেতে পারে।

আর এর আদেশ দেওয়া যেতে পারে, তো এমন কোন বিচারালয় অথবা পাসপোর্ট প্রাধিকারী সন্তুষ্ট যদি না হয়ে থাকেন যে, ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছে অথবা একটি আদেশ এমন ভাবে বানানো হয়েছে যেখানে কোনো ব্যক্তিকে দেশ ছেড়ে অন্য কোন দেশে যাওয়ার জন্য নিষেধ করা হয়েছে।

এছাড়া বলা যেতে পারে যে, কোন অপরাধি পাসপোর্ট থাকা সত্বেও যদি কোন রকম সন্দেহ অথবা ত্রুটি থেকে থাকে, সে ক্ষেত্রে দেশ ছেড়ে কোথাও যাওয়ার আদেশ পাওয়া যাবে না। তার পরিবর্তে দেশ ছেড়ে না যাওয়ার জন্য আদালত থেকে আদেশ দেওয়া হবে সেই ব্যক্তিকে।

এছাড়া বলা যেতে পারে, একটি পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করার পর যদি দ্বিতীয় পাসপোর্ট দিয়ে অন্য কোন দেশে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন কোনো অপরাধী, সে ক্ষেত্রে কোন পাসপোর্ট অফিসার এক্ষেত্রে ছাড় দিলেন, পরবর্তীতে প্রমাণিত প্রমাণ অনুসারে সেই অফিসারকেও সাসপেন্ড করা হতে পারে।

পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত হওয়া থেকে যদি বাঁচতে চান, তাহলে আপনি যদি কোন অপরাধমূলক কাজের সাথে যুক্ত থাকেন, তাহলে অবশ্যই আদালতের পারমিশন ছাড়া দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করবেন না। এর ফলে আপনাকে অনেক বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

তার সাথে সাথে দেশের অখন্ডতা এবং বিচার ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে এই বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, যার ফলে দেশের ক্ষতি, দশের এর ক্ষতি যাতে না হয়, তার জন্য আইন এই ব্যবস্থা করে রেখেছে।

বিভিন্ন রকমের কারণ এর উপর নির্ভর করে কোন ব্যক্তির পাসপোর্ট অস্বীকার করা যেতে পারে অথবা তাঁকে পাসপোর্ট দেওয়া যেতে পারে, সমস্ত রকম কাগজপত্র একেবারে বাজেয়াপ্ত করা বা বন্ধ করে দেওয়ার কারণ হতে পারে। যে গুলি কাজে লাগিয়ে আপনি দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করতে পারবেন না।

Leave a Comment