শরৎকালের দুর্বোৎসব বাঙালি দের জীবনে এক সীমাহীন আনন্দ বয়ে নিয়ে আসে। তারপরেই এই শরৎ কালের পূর্ণিমাতে প্রতিটি বাঙালি হিন্দু পরিবারে পুজতা হন দেবী লক্ষ্মী, যে পূজাকে কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা বলা হয়। সুখ ও সমৃদ্ধি এবং ধন সম্পদের দেবী হলেন লক্ষ্মী। এমন কোন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না, যিনি সংসারে উন্নতি ও ধন সম্পদ চান না। তাই দেবী লক্ষ্মীকে সন্তুষ্ট করতে সকলের চেষ্টার কম নেই।
দেবী লক্ষ্মীর দুটো হাতেই সব জায়গায় পুজিতা হলেও অনেক জায়গায় চারটি হাতের লক্ষ্মীকে পূজা করা হয়। সেক্ষেত্রে এই চারটি হাতের অর্থ হলো:- ধর্ম, কর্ম, অর্থ এবং মোক্ষ। তাছাড়া দেবী লক্ষ্মী সকলের কাছে নানা রকম সম্পদ প্রদান করে থাকেন।
যেমন ধরুন জ্ঞান, শক্তি, সম্পদ, খ্যাতি, যশ, বীরত্ব, সু-সন্তান, রূপ, বুদ্ধি, ধন-সম্পদ, অর্থ এবং শস্য। তিনি এই সব কিছুরই দেবী। তাই প্রত্যেকেই চাইবেন নিজেদের বাড়িতে মা লক্ষ্মীকে বেঁধে রাখতে। তিনি যেন সেই ঘরেতে থেকে সেই বাড়িতে এই সমস্ত সম্পদ গুলি দিয়ে থাকেন আর সেই ঘরে সর্বদাই বিরাজ করুক সুখ ও শান্তি।
কোজাগরী লক্ষ্মী পূজায় এই পদ্ধতি মানলে হবে মা লক্ষ্মীর প্রচুর কৃপা
সুষ্ঠুভাবে এবং সুন্দরভাবে জীবন যাপন করার জন্য সবথেকে যেটা প্রয়োজন পড়ে সেটা হল অর্থ, আর অর্থ ছাড়া কোন কিছুই সম্ভব হয়ে ওঠে না। এই অর্থ উপার্জন করার জন্য যেমন পরিশ্রমের প্রয়োজন পড়ে তেমনি ভাগ্যেরও প্রয়োজন পড়ে। সেই অনুযায়ী দেবী লক্ষ্মী ধনসম্পদের অধিষ্ঠাত্রী দেবী আর সমুদ্র মন্থন করার সময় সম্পদ নিয়ে সমুদ্র থেকে উত্থিত হয়েছিলেন তিনি।
কোজাগরী লক্ষ্মী পূজায় এই সমস্ত কাজগুলি অবশ্যই পালন করা জরুরী। যার ফলে সকলের ভাগ্য খুলে যেতে পারে, এমনকি অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারে। তার সাথে সাথে খ্যাতি, নাম, যশ, বৃদ্ধি পাবে জীবনে, যা কিছু প্রয়োজন সবকিছু পাওয়া সম্ভব হবে।
তো চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক, এই কোজাগরী লক্ষ্মী পূজায় আপনি এমন কোন বিধি মানবেন, যার ফলে গৃহে সর্বদাই দেবী লক্ষ্মী কে রাখতে পারবেন:
১) শুদ্ধ মন:
যেকোনো পূজায় প্রয়োজন পড়ে শুদ্ধ মন এবং অনেকটা ভক্তি, সে ক্ষেত্রে শুদ্ধ শরীর, শুদ্ধ বস্ত্র এবং শুদ্ধ মনে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করলে তিনি সন্তুষ্ট হন। দেবী লক্ষ্মী অল্পতেই খুশি হন।
তাই অনেক বড় করে পূজা করতে না পারলেও মন থেকে যদি মা লক্ষ্মীকে ডাকা যায়, তাহলে এই কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা আপনার সু-সম্পন্ন হবে।
২) ঘট স্থাপন:
পূজার সময় লক্ষ্মী দেবীর ঘট স্থাপন করতে হবে, তবে তার আগে দেখতে হবে আপনি যে জায়গাটি লক্ষ্মী দেবীর ঘট স্থাপন করার জন্য বেছে রেখেছেন তা যেন বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিক অবশ্যই হয়।
৩) আলপনা:
তারপর সেই জায়গাতে সুন্দর করে আলপনা দিতে হবে, বাড়ির প্রত্যেক দরজার সম্মুখে লক্ষ্মীর পদচিহ্ন আঁকতে হবে চালের গুঁড়ো দিয়ে।
আলপনা দেওয়ার সাথে সাথে এগুলো খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। পূজোর জায়গাটির সুন্দর করে ফুল দিয়ে সাজিয়ে রাখাটাও জরুরী।
৪) প্রদীপ ও ধুপ:
কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা পুরোহিত ছাড়াও সম্পন্ন করা যায়, সে ক্ষেত্রে আপনাকে এই পূজায় প্রধান হিসেবে অংশগ্রহণ করতে হয়।
তাই যখন আপনি পূজায় বসবেন তার ডান দিকে ধূপ, ধুনা এবং প্রদীপ জ্বালিয়ে দেবেন। মনে রাখা জরুরি যে, প্রদীপ যেন অবশ্যই ঘি দিয়ে জ্বালানো হয়।
কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা: বাড়িতে পুরোহিত ছাড়াই পূজা করুন এই পদ্ধতিতে
৫) বাড়ির সকল সদস্যের উপস্থিতি:
এরপর পূজার আগে বাড়ির মধ্যে সকলে যারা রয়েছেন তাদেরকে মন্দিরে স্থায়ীভাবে আসন গ্রহণ করতে হবে।
তারা যেন মন্দির প্রাঙ্গনে অথবা পূজায় জায়গাতে ভক্তি সহকারে পূজা দেখেন এবং পূজার সমস্ত কাজে সাহায্য করেন, সে ক্ষেত্রে তাদেরকেও শুদ্ধভাবে থাকতে হবে।
৬) গঙ্গা জলে পবিত্রতা:
প্রথমে গঙ্গাজল নিয়ে পবিত্র হয়ে নিতে হবে। তারপর সেই গঙ্গাজল সকলের মধ্যে বিতরণ করে তারাও যেন পবিত্র হয়ে নেন। তারপরে ভগবান নারায়ণের নাম মনে মনে স্মরণ করে শুরু করতে হবে এই কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা।
৭) সূর্যদেবকে জল অর্পণ:
সারা বছরই অনেকেই সূর্যদেবকে জল অর্পণ করে থাকেন তবে, এই পূজাতে একটি তামার পাত্রে কিছুটা জল রেখে সূর্যদেবের উপলক্ষে অর্পণ করতে পারেন। এর ফলে অনেক শুভ ও মঙ্গল হয়।
কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা: মনের মত ফল পেতে এই কাজগুলি ভুলেও করবেন না
৮) ঘটে স্বস্তিক চিহ্ন:
আর হ্যাঁ, এখানে একটা কথা খুবই জরুরী যে, উপযুক্ত জায়গায় ঘট স্থাপন করতে হবে। ঘট স্থাপন করার পর সেই ঘটে সিঁদুর দিয়ে স্বস্তিক চিহ্ন একে নিন।
তারপরে ঘটের মধ্যে গঙ্গাজল নিয়ে সেই ঘটে বিজোড় পাতাযুক্ত আম্রপল্লব দিয়ে তার উপরে একটি শিস যুক্ত ডাব রাখতে পারেন অথবা শুকনো ঝুনা নারকেল, তবে সেটা অবশ্যই ছাড়ানো হতে হবে, দিতে পারেন।
৯) দুর্বা ও ফুল:
সেই নারকেলের উপরেও আপনি স্বস্তিক চিহ্ন এঁকে নেবেন এছাড়াও ঘটের উপর হরিতকি, দুর্বা ঘাস এবং ফুল দিতে ভুলবেন না কিন্তু। তাবে এখানে তুলসী পাতা ব্যবহার করবেন না
১০) ধান ও লক্ষ্মীর পাঁচালী:
ঘটের সামনের দিকে অবশ্যই সামান্য পরিমাণ ধান ছড়িয়ে দেওয়া জরুরী। কেননা জনসম্পদের দেবী হলেন লক্ষ্মী, এরপর লক্ষ্মীর পাঁচালী মন্ত্র পাঠ করতে হবে। তার সাথে সাথে সেই লক্ষ্মীর পাঁচালীতে লক্ষ্মী প্রণাম মন্ত্র রয়েছে সেটাও পাঠ করা জরুরী।
১১) মা লক্ষ্মীকে আহবান:
মন থেকে ভক্তি রেখে মা লক্ষ্মী কে আহবান করুন আপনার নিজের বাড়িতে অধিষ্ঠান করার জন্য। লক্ষ্মীর পাঁচালী যে বই পাওয়া যায় সেখানেই আপনি আহ্বান মন্ত্র পেয়ে যাবেন, আর যদি সেখানে না থেকে থাকে, তাহলে ভক্তিতে তো অনেকখানি শক্তি, তাই না !
সে ক্ষেত্রে মন থেকে আপনি দেবী লক্ষ্মী কে নিজের ঘরে স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য ডাকতে পারেন। তিনি আপনার উপরে প্রসন্ন হয়ে আপনার বাড়িতে অবশ্যই বিরাজ করবেন।
১২) নৈবেদ্য:
এছাড়াও যে ঘটে আপনি স্বস্তিক চিহ্ন এঁকে রেখেছেন সেখানে আতপ চাল, চন্দন, লাল পদ্ম, দুর্ভাঘাস, এগুলি দিয়ে পূজা করুন।
তারপরে নৈবেদ্য হিসেবে মিষ্টি, ফল, পায়েস, খিচুড়ি, লুচি যা কিছু মায়ের উপলক্ষে ভোগ নিবেদন করা যায়, সেগুলি আপনি নিজের হাতে তৈরি করে দিতেই পারেন।
১৩) পুষ্পাঞ্জলি:
এরপরে আসা যাক পুষ্পাঞ্জলি তে। পুষ্পাঞ্জলি ছাড়া তো কোন পূজাই সম্পন্ন হয় না। তাই দেবীর লক্ষ্মীর উদ্দেশ্যে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করুন, তবে এক্ষেত্রে কখনোই সাদা ফুল ব্যবহার করবেন না। সাদা ফুল ছাড়া অন্য যেকোনো রংয়ের ফুল দিয়ে পুষ্পাঞ্জলি দিন।
কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা: আর্থিক সমস্যা দূর করতে এই কাজগুলি করুন
১৪) নারায়ণ, ইন্দ্রদেব ও কুবের:
দেবী লক্ষ্মীর সাথে সাথে দেবী লক্ষ্মীর বাহন, ভগবান নারায়ণ, ইন্দ্রদেব এবং কুবের দেব তিনিও কিন্তু ধন সম্পদের দেবতা, তাদের উদ্দেশ্যও পুষ্পাঞ্জলি দিতে পারেন।
১৫) প্রণাম ও মনস্কামনা:
সমস্ত দেবী এবং দেবতাদের উদ্দেশ্যে প্রণাম করার পরে সর্বশেষে আপনার মনের যত ইচ্ছা স্বপ্ন কামনা বাসনা রয়েছে তার সবকিছু মা লক্ষ্মীর কাছে তুলে ধরতে পারেন।
সেগুলি জানিয়ে সেগুলি যেন তাড়াতাড়ি পূর্ণ হয় সেই ইচ্ছা প্রকাশ করতে পারেন এরপর পূজার শেষে অবশ্যই লক্ষীর পাঁচালী পাঠ করুন।
১৬) শঙ্খ ধ্বনি ও উলুধ্বনি:
শঙ্খ ধ্বনি এবং উলুধ্বনি করতে পারেন লক্ষ্মীপূজায়। এ ছাড়া আর অন্যান্য কোন রকম ঘনঘটা তিনি পছন্দ করেন না। যেমন ধরুন ঢাক, ঢোল, কাঁসর, ঘন্টার শব্দ এগুলি তিনি পছন্দ করেন না।
১৭) রাত্রি জাগরন:
কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার ক্ষেত্রে সারারাত জেগে থাকার কথা বলা হয়েছে। কেননা দেবী মাঝরাতে সকলের বাড়িতে গিয়ে দেখেন যে তাঁকে আহ্বান জানানোর জন্য কারা জেগে রয়েছে।
সেই কারণে কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার রাত্রিতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে কখনোই পড়বেন না। সাধারণত এই রাত, জেগে কাটানোর নিয়ম রয়েছে।
১৮) লাল পদ্ম ফুল:
লক্ষ্মী পূজায় অবশ্যই মায়ের উদ্দেশ্যে নিবেদন করুন লাল পদ্মফুল, কেননা লাল পদ্মফুল একদিকে যেমন মায়ের অত্যন্ত পছন্দের একটি ফুল, তার সাথে সাথে এই পদ্ম ফুলের সুগন্ধ এবং ক্ষমতা আপনার গৃহ থেকে সকল খারাপ প্রভাবকে বাড়ির বাইরে বের করে দিতে সাহায্য করবে।
১৯) ভোগ নিবেদন:
মা লক্ষ্মীর পূজায় ভোগ নিবেদন করার সময় বিভিন্ন ফলের সঙ্গে সঙ্গে অবশ্যই নারকেল আপনাকে দিতেই হবে। সেটা আপনি এমনি নারকেল অথবা নারকেল নাড়ু তৈরি করে রাখতে পারেন, আর এই পূজায় যে গোটা নারকেল দেওয়া হয় সেই নারকেল যেন হয় এক চক্ষু বিশিষ্ট নারকেল। মা লক্ষ্মীর পছন্দের ফল হল এক চক্ষু বিশিষ্ট নারকেল।
কোজাগরী লক্ষ্মী পূজায় ভোগ নিবেদন করার ক্ষেত্রে খিচুড়ি এবং পায়েস করতে পারেন। তবে খিচুড়ি অথবা পায়েস যাই নিবেদন করুন না কেন এক্ষেত্রে অবশ্যই তা যেন নিবেদন করা হয় রুপোর থালায় অথবা রুপোর বাটিতে। যদি আপনার বাড়িতে রুপোর থালা অথবা রুপোর বাটি না থেকে থাকে তাহলে আপনি পিতলের অথবা স্টিলের তৈরি থালায় সেটি নিবেদন করতে পারেন।
এই কোজাগরী লক্ষ্মী পূজায় আরেকটি রীতি হল যে, খিচুড়ি অথবা পায়েস তৈরি করে নিবেদন করেছেন, সেটি একটি পাত্রে রেখে পূর্ণিমার রাত্রে কিছুক্ষণ খোলা আকাশের নিচে রেখে দিতে হবে। তারপর সেই ভোগ সকলের অর্থাৎ বাড়ির সমস্ত সদস্যদের মধ্যে ভাগ করে দিলে আপনার বাড়িতে কোনদিনই কোন অসুখ বিসুখ আসবেনা।
২০) নারায়ণের পূজা:
মা লক্ষ্মী সর্বদাই নারায়ণের সাথে অবস্থান করতে পছন্দ করেন। সেই কারণে লক্ষ্মী পূজার সময় অবশ্যই সঙ্গে রাখবেন লক্ষীনারায়ণ এর ছবি অথবা নারায়ণের প্রতিক হিসেবে আপনি রাখতে পারেন একটি বাঁশের বাঁশি।
যা আপনি একটি কাপড়ে মুড়ে রাখবেন এবং তার সাথে সাথে অবশ্যই থাকতে হবে ময়ূরের পালক। যে কাপড়ে আপনি বাঁশিটি মুড়ে রাখবেন সে কাপড়টি যেন অবশ্যই শুদ্ধ এবং পবিত্র হয়।
২১) লক্ষ্মী গণেশ মূর্তি যুক্ত মুদ্রা:
কোজাগরী লক্ষ্মী পূজায় এই পূর্ণিমাতে অবশ্যই মায়ের পূজায় রাখবেন একটি লক্ষ্মী গণেশ মূর্তি যুক্ত মুদ্রা। এই মুদ্রা যদি রুপার হয় তাহলে তো খুবই মঙ্গলজনক, কিন্তু যদি কারো কাছে রুপার মুদ্রা না থেকে থাকে তাহলে অন্যান্য যেকোনো ধাতুর তৈরির মুদ্রা হলেও চলবে।
২২) দেবী লক্ষ্মীর চরণ পাদুকা:
লক্ষ্মী পুর্নিমায় অবশ্যই রাখতে হবে মা লক্ষ্মীর চরণ পাদুকা। এই চরণ পাদুকাকে অবশ্যই পূজা করা জরুরী। তাহলেই দেখবেন যে লক্ষ্মীর কৃপা আপনার বাড়িতে স্থায়ী হয়ে রয়েছে।
এছাড়া লক্ষ্মী পূজার সময় উত্তর দিকে মুখ করে রাখতে হবে কুবেরের মূর্তি সে ক্ষেত্রে দেখবেন আপনার বাড়িতে ধন-সম্পদ এবং সুখ শান্তির কোন অভাব হবে না।
লক্ষ্মী পূজায় এই সমস্ত বিধি গুলি মেনে যদি আপনি ভক্তি ভরে পূজা করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে আপনার ঘরে অভাব অনটন দূরে যাওয়ার সাথে সাথে সংসারে আসবে সমৃদ্ধি। একটি সুস্থ, সুন্দর এবং সৎ ভাবে জীবন যাপন করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন পড়ে সবকিছুর দেবী হলেন লক্ষ্মী। তাই তিনি অপরিচ্ছন্ন জায়গা যেমন পছন্দ করেন না তেমনি কোলাহলও তিনি পছন্দ করেন না।
তাই নিজের গৃহকে মন্দির করে গড়ে তুলুন। সেটা যেন সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে আর গৃহে সর্বদাই যেন শান্তি বিরাজ করে। তবেই না তিনি সেখানে বিরাজ করবেন। আর এগুলি আপনার জীবন যাপনে অনেকখানি সহযোগিতা করবে। পূর্ণ হবে সকল স্বপ্ন।