2022 Banglar Bhumi Land Records – 2022 BanglarBhumi.Gov.in2022 Banglar Bhumi Land Records – 2022 BanglarBhumi.Gov.in
    Login Your Account
    Lost password?
    Don't have an account? Register Now!
    • খতিয়ান ও দাগের তথ্য
    • আজকের লটারি সংবাদ
    • স্কুলের বই ডাউনলোড
    • টেলিগ্রাম চ্যানেল জয়েন করুন
    Facebook Twitter Instagram
    বাংলা ভূমি ফোরাম
    Facebook Twitter Instagram
    16 August 2022, Tuesday 3:11 AM
    2022 Banglar Bhumi Land Records – 2022 BanglarBhumi.Gov.in2022 Banglar Bhumi Land Records – 2022 BanglarBhumi.Gov.in
    খতিয়ান ও দাগের তথ্য লটারি সংবাদ
    • হোম
    • জমির তথ্য
    • অনলাইন ইনকাম
    • ব্যাবসার আইডিয়া
    • আইনি পরামর্শ
      • নাগরিক আইন
      • পারিবারিক আইন
      • সম্পত্তি আইন
      • ব্যাংকিং আইন
      • ট্যাক্স আইন
      • বিবাহবিচ্ছেদ আইন
      • ট্রাফিক আইন
    • প্রকল্প
    • লোন
      • পার্সোনাল লোন
      • হোম লোন
      • বিজনেস লোন
      • যানবাহন লোন
      • শিক্ষা লোন
      • গোল্ড লোন
      • সম্পত্তির বিনিময়ে লোন
    • লাইফস্টাইল
    • আপনার টাকা
    বাংলা ভূমি ফোরাম
    2022 Banglar Bhumi Land Records – 2022 BanglarBhumi.Gov.in2022 Banglar Bhumi Land Records – 2022 BanglarBhumi.Gov.in
    জমির রেকর্ড
    Home»Biography»অগ্নিকিশোর ক্ষুদিরাম বসু জীবনী 2022 – ইতিহাস, পরিবার এবং বিপ্লবী কার্যক্রম
    Biography

    অগ্নিকিশোর ক্ষুদিরাম বসু জীবনী 2022 – ইতিহাস, পরিবার এবং বিপ্লবী কার্যক্রম

    Khudiram Bose Biography in Bengali - ক্ষুদিরাম বসু এর বয়স, মৃত্যু, পরিবার, জীবন পরিচয় এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে ক্ষুদিরাম বসুর যোগদান আরও অনেক কিছু।
    Sushmita HalderBy Sushmita Halder8 Mins Read
    Facebook WhatsApp Twitter Telegram Pinterest LinkedIn Email
    Share
    Facebook WhatsApp Telegram Twitter LinkedIn Pinterest Email

    ক্ষুদিরাম বসু কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? ক্ষুদিরাম বসু কিভাবে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলেন? ওনার বাবা-মা কে? ওনার জীবন কেমন ছিল? এছাড়াও শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর সম্পর্কে জানা-অজানা তথ্য জানুন (Biography of Khudiram Bose in Bengali)।

    ক্ষুদিরাম বসুর নাম স্বাধীনতা সংগ্রামে বিশেষ ভাবে জড়িত, তাকে অগ্নিকিশোরও বলে জানা যায়। কেননা তিনি খুবই ছোট বয়সে দেশের জন্য ফাঁসির মঞ্চে হাসতে হাসতে আত্মত্যাগ করে গেছেন। দেশকে পরাধীনতা থেকে মুক্ত করার জন্য এগিয়ে এসেছিলেন ক্ষুদিরাম, তার সাথে আরো অনেকেই।

    ক্ষুদিরাম বসু জীবন পরিচয় - Khudiram Bose Biography in Bengali
    ক্ষুদিরাম বসু জীবন পরিচয় – Khudiram Bose Biography in Bengali

    ক্ষুদিরাম বসু ছিলেন প্রথম শহীদ যার অদম্য সাহসিকতা সবাইকে সত্যিই অবাক করে। কথায় আছে তরুণদের রক্তে থাকে প্রতিবাদের তেজ, আর সেই জন্যই এত কিশোর বয়সেই ক্ষুদিরাম দেশের জন্য নিজের জীবনটাকেই উৎসর্গ করে গেছেন।

    তো চলুন তাহলে এই অগ্নিকিশোর, বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর জীবন সম্পর্কে কিছু জানা যাক: 

    সুচিপত্র

    • কে ছিলেন এই ক্ষুদিরাম বসু? 
    • অগ্নিকিশোর ক্ষুদিরাম বসুর জীবনী সম্পর্কে কিছু তথ্য: 
    • ক্ষুদিরাম বসুর জন্ম:
    • ক্ষুদিরাম বসুর শৈশবকাল: 
    • ক্ষুদিরাম বসুর শিক্ষা জীবন: 
    • ক্ষুদিরাম বসুর কর্মজীবন: 
    • ক্ষুদিরাম বসু এবং স্বদেশী আন্দোলন: 
    • ক্ষুদিরামির জীবনে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা কিংসফোর্ড কে হত্যা করার পরিকল্পনা: 
    • কিংসফোর্ডকে হত্যা করার দ্বিতীয় পরিকল্পনা:
    • ক্ষুদিরাম বসুর ফাঁসি:

    কে ছিলেন এই ক্ষুদিরাম বসু? 

    ক্ষুদিরাম বসুর নাম আমরা এক কথাতেই চিনে যাই, যে তিনি একজন ভারতীয় বাঙালী বিপ্লবী, যিনি কিনা ভারতের ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন। ক্ষুদিরাম প্রফুল্ল চাকীর সঙ্গে মিলিত হয়ে গাড়িতে ব্রিটিশ বিচারক ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ড আছে ভেবে তাকে গুপ্তভাবে বোমা ছুড়ে হত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন।

    এই ঘটনা থেকে আমরা ক্ষুদিরাম কে এক নামেই চিনি। তবে  চেষ্টা তে তারা কিন্তু বিফল হয়েছিলেন। কেননা সেই গাড়িতে দুজন ব্রিটিশ মহিলা ছিলেন এবং সেখানেই তাদের মৃত্যু হয়। যারা ছিলেন তাদের নাম হলো, মিসেস কেনেডি ও তার কন্যা।

    প্রফুল্ল চাকি গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই আত্মহত্যা করেছিলেন, কিন্তু কিশোর ক্ষুদিরাম ধরা পড়ে যান। দুজন মহিলাকে হত্যা করার জন্য তার বিচার হয় এবং বিচারে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় অর্থাৎ তার ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়।

    অগ্নিকিশোর ক্ষুদিরাম বসুর জীবনী সম্পর্কে কিছু তথ্য: 

    • সম্পূর্ণ নাম: ক্ষুদিরাম বসু
    •  জন্মস্থান: মেদিনীপুর
    • জন্মতারিখ: ৩ ডিসেম্বর ১৮৮৯
    • পিতার নাম: তৈলক্যনাথ বসু
    • মাতার নাম: লক্ষ্মীপ্রিয় দেবী
    • জাতীয়তা: তিনি ভারতীয়
    • তাঁর পরিচিতির কারণ: ভারতীয় বিপ্লবী আন্দোলন, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন
    • পেশা : ফ্রিডম ফাইটার
    • মৃত্যু: ১১ আগস্ট ১৯০৮
    • মৃত্যুর কারণ: মৃত্যুদণ্ড (ফাঁসি)।

    ক্ষুদিরাম বসুর জন্ম:

    ক্ষুদিরাম বসুর জন্ম হয়েছিল ১৮৮৯ সালের ৩ রা ডিসেম্বর, মেদিনীপুর জেলার মোহবনি গ্রামে। তবে জানা যায় যে, এর আগে তার আরও দুটি ভাই মারা যায়। তাই ক্ষুদিরামের বড় দিদি অপরুপা দেবী তিন মুঠো ক্ষুদ (ভাঙা চাল বিশেষ) দিয়ে তার এই ভাইটিকে কিনে নিয়েছিলেন।

    ক্ষুদিরাম বসুর শৈশবকাল: 

    খুবই ছোটবেলাতেই ক্ষুদিরাম তার মা-বাবাকে হারিয়েছিলেন। খুবই সাধারণ ছিল তার শৈশবকাল, আর এই শৈশবকালেই তো তিনি দেশের জন্য নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। তাছাড়া তাকে “ক্ষুদ” দিয়ে কেনা হয়েছিল বলে তার নাম দেওয়া হয় ক্ষুদিরাম।

    তার দিদি তাকে মানুষ করেছিলেন খুবই ছোট থেকেই, তার স্নেহ, ভালবাসায় ক্ষুদিরাম ক্রমশ বড় হয়ে উঠছিলেন। তার জামাইবাবু তখন তমলুকের দেওয়ানি আদালতের শেরেস্তাদার।

    তার দিদির নাম অপরূপা দেবী, স্বামী অমৃত লাল বাবুর চাকরিতে মাঝে মাঝে বদলি হতেন। এই বদলির চাকরি তাকে কোন জায়গায় স্থির থাকতে দিত না। এর ফলে ক্ষুদিরামও তার দিদির সাথে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ঘুরে বেড়াতে পারতেন।

    ক্ষুদিরাম বসুর শিক্ষা জীবন: 

    যেহেতু তিনি খুবই কম বয়সে আত্মত্যাগ করেছিলেন, বলতে গেলে ১৮ বছর বয়স, খুবই কিশোর বয়সে তিনি দেশের জন্য জীবন দিয়ে গেছেন। যখন অমৃত লাল মেদিনীপুরে বদলি হয়েছেন তখন তাকে ভর্তি করা হয়েছিল মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলে, এই স্কুলের একজন শিক্ষক ছিলেন বিপ্লবী সত্যেন্দ্রনাথ বসু, তার চেষ্টা তে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন খুবই জোরালো হয়ে উঠেছিল।

    তিনি চাইছিলেন অল্প বয়সী ছেলেদের নিয়ে একটি দল গঠন করে তুলতে। কেননা অল্প বয়সী ছেলেদের মধ্যে থাকে জোশ যা কিনা স্বাধীনতা আন্দোলনে অনেকখানি সহযোগিতা করবে। আর এই দলে এসে যোগদান করেছিলেন ক্ষুদিরাম বসু।

    তারপর থেকে তার জীবনের ব্যক্তিত্ব খুবই তাড়াতাড়ি পরিবর্তন হতে থাকে। ক্ষুদিরাম বসু হয়ে বললেন একটি অন্য মানুষ, যিনি কিনা লাঠি খেলা শিখেছেন, ব্যায়াম শিখেছেন, যার ফলে শরীরকে আরো বেশি মজবুত করে তুলেছিলেন। তার সংকল্প ছিল গ্রামের সকল মানুষকে সত্যিকারের মানুষ করে করে গড়ে তোলা।

    ক্ষুদিরাম বসুর কর্মজীবন: 

    ক্ষুদিরাম বসু যেমন ছিল খুবই ছোট বয়সি একজন বিপ্লবী, তেমনি তার মনটাও ছিল খুবই নরম। তাছাড়া তিনি একজন ফ্রিডম ফাইটার ছিলেন। তাছাড়া প্রতিটি মানুষের প্রতি তার গভীর ভালোবাসা ছিল চোখে পড়ার মতো। কারো অসুখ হলে ক্ষুদিরাম কে সেখানে যেতেই হতো, কেননা তিনি এই কষ্টে খুবই মর্মাহত হয়ে পড়তেন। জনগণের সেবা করাই ছিল তার ব্রত আর কর্মজীবন বলা যায়।

    আবার কখনো কাউকে উপবাসি দেখলে তিনি সেখানে দৌড়ে যেতেন, তাদের দু’মুঠো অন্নের ব্যবস্থা করতে। ফ্রিডম ফাইটারের সাথে সাথে তিনি ছিলেন সমাজ সেবক, প্রাকৃতিক বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগেও মানুষের সাহায্যের জন্য তিনি বাড়ি বাড়ি ঘুরে অর্থ সংগ্রহ করতেন, আর সেগুলি অসহায় মানুষদের মধ্যে বিলিয়ে দিতেন।

    ক্ষুদিরাম বসু এবং স্বদেশী আন্দোলন: 

    তখন স্বদেশী আন্দোলন শুরু হয়ে গিয়েছে চারিদিকে। বিদেশী জিনিসের বয়কট চলছে, বিদেশি কাপড়, বিদেশি নুন, লুট করার কাজে নেতারা সহযোগিতা করতে লাগলেন। চারিদিকে ব্রিটিশ জাতির বিরুদ্ধে এই আন্দোলন বিরাট আকার ধারণ করেছিল। এই সময়ে মেদিনীপুরে একটি শিল্প মেলা বসে।

    ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে মেদিনীপুরে মারাঠা কেল্লায় কৃষি শিল্প প্রদর্শনী মেলা হয়। এই মেলা প্রাঙ্গণে সোনার বাংলা নামে বিপ্লবী পুস্তিকা বিলি করতে গিয়ে ক্ষুদিরাম প্রথম রাজনৈতিক অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে পড়েন। এরপর ক্ষুদিরাম হঠাৎ করে সেই সময় পুলিশের বাধা পেয়ে তার বুকে একটি প্রচন্ড আঘাত পান এবং সেখান থেকে পালিয়ে যান। কেউ তাঁকে ধরতে পারেনি।

    তারপর একদিন তিনি ধরা পড়লেন, তখন প্রায় তিন মাস পার হয়ে গেছে। বিপ্লবীদের এই বই কোথা থেকে বেরিয়েছে, সেই গোপন কথা জানার জন্য পুলিশ খুদিরামের উপরে খুবই অকথ্য অত্যাচার শুরু করলো। কিন্তু বুদ্ধিমান অগ্নি কিশোর ক্ষুদিরাম বসু, একটা কথারও জবাব দেন নি। মুখ বুজে সমস্ত অত্যাচার সহ্য করেছেন।

    তখন সরকার ক্ষুদিরামকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। কেননা তিনি এমনিতেই ছিলেন কিশোর আর তার ওপরে তিনি কোন কথাই বলেন নি, এরপর থেকে তার নাম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ল। বাংলার বিপ্লবীদের মুখেমুখে ক্ষুদিরামের প্রশংসা তে সকলেই পঞ্চমুখ হয়ে পড়লেন।

    ক্ষুদিরামির জীবনে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা কিংসফোর্ড কে হত্যা করার পরিকল্পনা: 

    ক্ষুদিরাম বসু কিংসফোর্ড কে হত্যা করার পরিকল্পনা করার জন্য এবং একশন নেওয়ার জন্য ধরা পড়েছিলেন। তখন মেদিনীপুরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন কিংসফোর্ড। এই ইংরেজ প্রশাসক ভারতীয়দের উপরে বিভিন্নভাবে অত্যাচার করতে থাকে।

    বিপ্লবী মহলে এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষোভ দেখা দিলেও কিছুই করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। মাত্র ১২ বছরের বালক সুশীল সেন কে বিনা অপরাধে নির্মমভাবে মারা হয় এবং বিপ্লবীদের মধ্যে এর প্রতিশোধ নেওয়ার আগুন জ্বলে ওঠে।

    তারা এই অত্যাচারকে কোনভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না। একটি গোপন সভাতে তারা ঠিক করলেন যে অত্যাচারী কিংসফোর্ডকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিলে কেমন হয় ? আর এর ভার দেওয়া হয়েছিল কিশোর বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকির উপরে।

    হাসিমুখে তারা কিন্তু নেতাদের সেই নির্দেশ মেনে নিয়েছিলেন। কেননা তাদের মধ্যেও যে বিপ্লবী রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে। তাই এই কাজ করতে তারা খুবই আনন্দ অনুভব করেছিলেন। কিন্তু ততদিনে কিংসফোর্ড বিহারের মোজাফফরপুরে বদলি হয়ে এসেছেন, যেটা ছিল ১৯০৮ সাল।

    কিংসফোর্ডকে হত্যা করার দ্বিতীয় পরিকল্পনা:

    প্রথম পরিকল্পনা ব্যর্থ হয় কারণ মোজাফফরপুরে বদলি হয়ে এসেছিলেন কিংসফোর্ড। ক্ষুদিরাম ও প্রফুল্ল চাকী মজফফরপুরে একটি ধর্মশালা তে এসে উঠলেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল সেখান থেকে কিংসফোর্ডের গতিবিধি লক্ষ্য করবেন, আর তারপর তারা লক্ষ্য করলেন যে প্রতিদিন রাত আটটার সময় কিংসফোর্ড একটি ফিটন গাড়িতে করে ক্লাব থেকে বাড়ি ফেরেন। আর এই গতিবিধি লক্ষ্য করার পরে বিপ্লবীরা সেই অনুযায়ী তাদের পরিকল্পনা ঠিক করে রাখলেন।

    সেদিনটা ছিল নিঝুম রাত, ১৯০৮ সালের ৩০ শে এপ্রিল। যে পথে কিংসফোর্ড সাহেব ফিরতেন সেখানে একটি গাছের আড়ালে লুকিয়ে রইলেন ক্ষুদিরাম ও প্রফুল্ল চাকী। তারা সেই গাড়ি আসার অপেক্ষায় ছিলেন। তার কিছুক্ষণ পরে গাড়ির শব্দ শোনা গেলে, সঙ্গে সঙ্গে তারা গাড়ির দিকে বোমা ছুললেন। আগুন ধরে গেল সেই গাড়িতে।

    ক্ষুদিরাম ও প্রফুল্ল দুজনেই খুবই খুশি হয়ে বাড়ি ফিরলেন, যে তাদের পরিকল্পনা সফল হয়েছে। কিন্তু তাদের হিসাবে একটু ভুল হয়ে গিয়েছিল। যে গাড়ি লক্ষ্য করে তাঁরা বোমা ছুড়েছিলেন সে গাড়িতে কিংসফোর্ড ছিলেন না। তার পরিবর্তে ছিলেন ব্যারিস্টার কেনেডি সাহেবের স্ত্রী ও মেয়ে।

    এমন বোমার আঘাতে তারা ঘটনাস্থলেই মারা গেলেন। এই সংবাদ শহরের সমস্ত জায়গায় দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়তে লাগলো। সবাই বুঝল যে এটাই একমাত্র বিপ্লবীদেরই কাজ। বিশেষ করে পুলিশের এ কথা বুঝতে আর দেরি হলো না।

    চারিদিকে টহল দিতে থাকল তারা, তাদের কড়া পাহারা এড়াতে পারলেন না ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকী। এক এক করে দুজনেই ধরা পড়লেন পুলিশের হাতে। তবে ধরা পড়ার আগে প্রফুল্ল আত্মহত্যা করেছিলেন আর ক্ষুদিরাম তা না পেরে পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন।

    ক্ষুদিরাম বসুর ফাঁসি:

    ব্রিটিশদের হাতে ধরা পড়া মানেই তাদের দন্ড হল মৃত্যুদণ্ড বিশেষ করে যদি এমন আক্রমণ করা যায় যেখানে ব্রিটিশদের প্রাণহানি ঘটতে পারে। ক্রমশ বিচারের দিন কাছে আসতে থাকল।

    আর ফাঁসির দিন ঠিক করা হলো যে ১৯০৮ সালের ১১ই আগস্ট। সেদিন খুব ভোরে ক্ষুদিরাম উঠে পড়লেন। ভাবছিলেন তাকে পৃথিবী থেকে চিরদিনের জন্য বিদায় নিতে হবে, অথচ সবাইকে ছেড়ে যেতে তার মন কোনমতেই চাইছিল না।

    কিন্তু তিনি মনে মনে ফাঁসির জন্য তৈরি হলেন। একটা শক্তির সঞ্চার করতে থাকলেন মনের মধ্যে, আর সেই কারণেই তিনি ফাঁসির মঞ্চেও নির্ভীক হয়ে হাসিমুখে গান গাইতে গাইতে ফাঁসির দড়ি গলায় পরেছিলেন। নিশ্চয়ই সেই গান সবার অজানা নয়, তাই না !

    “একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি, হাসি হাসি পরব ফাঁসি দেখবে জগৎবাসী।”

    অগ্নি কিশোর ক্ষুদিরাম বসুর এই হাসিমুখে ফাঁসির দড়ি পরে মৃত্যুবরণ করা সবাইকে ভীষন অবাক করেছিল। তাছাড়া হাসতে হাসতে মৃত্যুকে বরণ করা ক্ষুদিরাম বসুর মতো তরুণ বিপ্লবীর পক্ষেই সম্ভব হয়েছিল, কারণ তিনি দেশকে এতটাই ভালবাসতেন যে, দেশের স্বাধীনতা আনার জন্য সব কিছু ত্যাগ স্বীকার করা তার পক্ষে কঠিন ছিল না।

    বিভিন্ন বাংলা কাব্যে, সংগীতে, সাহিত্যে এবং ইতিহাসের পাতায় এই আত্ম বলিদান এর কথা বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিপ্লবী ক্ষুদিরাম মৃত্যুঞ্জয়ী হয়ে আছেন আজও সকলের মনে। সেটা তার সাহসিকতা আর অফুরন্ত দেশভক্তির জন্যই সম্ভব হয়েছে।

    যে বয়সে কিশোরদের স্বপ্ন, ইচ্ছা থাকে, সেই বয়সেই তিনি দেশের জন্য হাসতে হাসতে নিজের জীবনটাকেই উৎসর্গ করে গেছেন। তার এই আত্মত্যাগ মনে পড়লে সমস্ত দেশবাসীর চোখের পাতা যে অশ্রু তে ভিজবে না, তা হতেই পারে না। তিনি আজও আমাদের মাঝে, আমাদের হৃদয় এ বিশেষ জায়গা দখল করে আছেন।

    Share. Facebook WhatsApp Telegram Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email

    Related Posts

    নরেন্দ্র মোদী জীবন পরিচয় - Narendra Modi Biography in Bengali

    নরেন্দ্র মোদী জীবনী 2022 – শিক্ষা, পরিবার, সম্পত্তি এবং অন্যান্য বিবরণ

    বিনায়ক দামোদর সাভারকর জীবন পরিচয় - Vinayak Damodar Savarkar Biography in Bengali

    বিনায়ক দামোদর সাভারকর জীবনী 2022 – ইতিহাস, পরিবার এবং স্বাধীনতা সংগ্রামী কার্যক্রম

    লৌহ পুরুষ সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জীবন পরিচয় - Vallabhbhai Patel Biography in Bengali

    সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল জীবনী 2022 – ইতিহাস, পরিবার এবং স্বাধীনতা আন্দোলন কার্যক্রম

    রামপ্রসাদ বিসমিল জীবন পরিচয় - Ram Prasad Bismil Biography in Bengali

    রামপ্রসাদ বিসমিল জীবনী 2022 – ইতিহাস, পরিবার এবং বিপ্লবী কার্যক্রম

    মঙ্গল পান্ডে জীবন পরিচয় - Mangal Pandey Biography in Bengali

    মঙ্গল পান্ডে জীবনী 2022 – ইতিহাস, পরিবার এবং স্বাধীনতা সংগ্রামী কার্যক্রম

    ঝাঁসির রানী লক্ষ্মীবাঈ জীবন পরিচয় - Rani Lakshmibai Biography in Bengali

    রানী লক্ষ্মীবাঈ জীবনী 2022 – ইতিহাস, পরিবার এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের লড়াই

    Add A Comment

    Leave A Reply Cancel Reply

    যৌতুকের কারণে মৃত্যু হওয়ার অপরাধ এবং শাস্তি আইন

    যৌতুকের কারণে মৃত্যু হওয়ার অপরাধ এবং শাস্তি আইন সম্পর্কে জানুন

    ভোটার কার্ড ভেরিফিকেশনের অ্যাকাউন্ট কীভাবে তৈরি করবেন?

    ন্যাশনাল গ্রীন ট্রিবুনাল তে পরিবেশ দূষণের অভিযোগ করবেন কিভাবে?

    ন্যাশনাল গ্রীন ট্রিবুনাল তে পরিবেশ দূষণের অভিযোগ করবেন কিভাবে?

    আত্মনির্ভর ভারত অভিযান ৩.০ 2022: অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন সুবিধা এবং যোগ্যতা

    মোদী সরকার দেবে পড়াশুনার জন্য টাকা জেনে নিন কিভাবে পাবেন এই টাকা

    মাঙ্কিপক্স কি? কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা | Monkeypox Virus in Bengali

    মাঙ্কিপক্স কি? কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা | Monkeypox Virus in Bengali

    Home | About Us | Contact Us | Privacy Policy
    © 2022 Bangla Bhumi Media Group.

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.