কাজী নজরুল ইসলাম জীবনী 2023 – ইতিহাস, পরিবার এবং স্বাধীনতা আন্দোলন কার্যক্রম

কাজী নজরুল ইসলাম কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? কাজী নজরুল ইসলাম কিভাবে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলেন? ওনার বাবা-মা কে? ওনার জীবন কেমন ছিল? এছাড়াও কাজী নজরুল ইসলাম সম্পর্কে জানা-অজানা তথ্য জানুন (Biography of Kazi Nazrul Islam in Bengali)।

কাজী নজরুল ইসলাম, যিনি বিদ্রোহী কবি নামে সকলের কাছে, বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পরিচিত। বিখ্যাত দুঃখের কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতা গুলি সত্যি গায়ে শিহরণ জাগানোর মত। বাংলা সাহিত্যের একটি বিস্ময় প্রতিভার নাম হলো কাজী নজরুল ইসলাম, নাটক, কবিতা ও উপন্যাসের মতো সাহিত্যের প্রত্যেকটার ক্ষেত্রে খুবই অবাধ বিচরণ ছিল তাঁর।

কাজী নজরুল ইসলাম জীবন পরিচয় - Kazi Nazrul Islam Biography in Bengali
কাজী নজরুল ইসলাম জীবন পরিচয় – Kazi Nazrul Islam Biography in Bengali

নিজের প্রতিভার বলে তিনি নিজেই লিখতেন গান এবং সেই গানের সুরও তিনি নিজে থেকেই দিতেন। সেইসাথে তিনি সেই গান গাইতেনও। এছাড়াও তিনি সাংবাদিক হিসেবে কলম ধরেছিলেন এবং বিভিন্ন রকমের আন্দোলন, রাজনৈতিক অধিকার আদায়ের জন্য প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।

কুসংস্কার, ধর্মান্ধতা, সাম্প্রদায়িকতা এবং পরাধীনতার বিরুদ্ধে তার অবস্থানের জন্য এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার জন্য কাজী নজরুল ইসলামকে “বিদ্রোহী কবি” হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। কথায় আছে “কলমের অনেক শক্তি” অর্থাৎ লেখার মধ্যে অনেক শক্তি থাকে, তাই এই বিদ্রোহী কবি লেখার মধ্যে দিয়েই বিদ্রোহ চালিয়ে গিয়েছেন চুপিসারে।

কাজী নজরুল ইসলামের জীবনী:

তো চলুন এই বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবনী সম্পর্কে জানা যাক: 

  • সম্পূর্ণ নাম: কাজী নজরুল ইসলাম
  • জন্ম তারিখ: ২৪ শে মে ১৮৯৮
  • জন্মস্থান: বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রাম
  • পিতার নাম: কাজী ফকির আহমেদ
  • মাতার নাম: জাহেদা খাতুন
  • ছদ্মনাম: দুখু মিয়া
  • স্ত্রীর নাম: প্রমিলা দেবী / নার্গিস আশার খানম
  • পেশা: ওইপন্যাসিক, গীতিকার, কবি, সুরকার, নাট্যকার এবং সম্পাদক
  • উল্লেখযোগ্য কর্ম: অগ্নিবীণা, নজরুল গীতি, বাঁধনহারা, বিষের বাঁশি প্রভৃতি
  • মৃত্যু: ২৯ শে আগস্ট ১৯৭৬ সাল
  • মৃত্যুর স্থান: ঢাকা, বাংলাদেশ

কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম এবং পরিবার: 

কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯৮ সালের ২৪ শে মে বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কাজী নজরুল ইসলামের পিতার নাম ছিল কাজী ফকির আহমেদ, মায়ের নাম ছিল জাহেদা খাতুন।

কাজী নজরুল ইসলাম বড় ছিলেন ভাইদের মধ্যে এবং আরও তিনজন ভাই ছিল কিন্তু তারা জন্মের কিছুদিন পর পরই মারা যায়। পরবর্তীতে আরো তিনটি ভাই ও দুটি বোন জন্মগ্রহণ করে।

কাজী নজরুল ইসলামের শৈশব জীবন: 

কাজী নজরুল ইসলাম আহামরি কোন ধনী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেননি। তাছাড়া তার পরের ভাই গুলো জন্মাবার পরে পরেই মারা গিয়েছিল। সেই কারণে তিনি অনেকটাই মর্মাহত হয়েছিলেন। কাজী নজরুল ইসলামের শৈশব কেটেছে বিভিন্ন দুঃখ কষ্টের মধ্যে দিয়ে। তার পিতা ছিলেন একটি মাজারের খাদেম এবং একটি মসজিদের ইমাম।

নজরুল ইসলামের বয়স যখন দশ বছর তখন তার বাবা মারা যান, ছোট তিন ভাই ও দুই বোন ও বিধবা মায়ের সংসারের সকল বোঝা এসে পড়ে নজরুল ইসলামের কাঁধে। এত ছোট বয়সে এত বড় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে একেবারে হিমশিম খেয়ে উঠতে হয়েছিল এই ছোট্ট নজরুল ইসলামকে।

ছোটবেলায় নজরুল একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া শুরু করেন। তিনি সুললিত কন্ঠে “কোরআন শরীফ” তেলাওয়াত করতে পারতেন। এই সময় শৈশবের দুষ্টুমির পাশাপাশি নজরুল ইসলাম তার আপন কাকার কাছে ফারসি ভাষা এবং সাহিত্যের নানা রকম শিক্ষা নিতে থাকেন। অর্থাৎ বলাই যায় যে, তার পড়াশোনার প্রতি অনেকটাই আগ্রহ ছিল।

কাজী নজরুল ইসলাম কে “দুখু মিয়া” বলে কেন ডাকা হতো?

কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন সব থেকে বড় ভাই এবং তার পরে যে তিনটি ভাই ছিল তারা কিন্তু জন্মের কিছুদিন পরে পরেই মারা যায়। সন্তান হওয়ার পর পরেই অন্যান্য ছেলেরা মারা যাওয়ার জন্য নজরুল ইসলামের দাদি অর্থাৎ ঠাকুমা তার নাম রেখেছিল দুখু মিয়া

আর তিনি এই নামে ছোটবেলাতেই সবার কাছে খুবই পরিচিত ছিলেন এবং পরবর্তীতেও তা তাঁর ছদ্মনামে পরিণত হয় এই নামটি। রবীন্দ্রনাথের পর যদি কোন বড় কবি থেকে থাকেন তাহলে বঙ্গদেশে কাজী নজরুল ইসলামের জায়গাটি থাকে অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথের পর কাজী নজরুল ইসলামের মত বড় কবি বাংলা তে আর জন্মগ্রহণ করেননি।

কাজী নজরুল ইসলামের শিক্ষা জীবন: 

তিনি ছোটবেলা থেকে খুবই অস্থির মনের মানুষ ছিলেন। তাঁর বাবার মৃত্যুর পর মাদ্রাসায় পড়া বন্ধ করে প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি হন এবং মাত্র দু বছরের মধ্যেই নিম্ন প্রাথমিক পরীক্ষায় খুবই ভালোভাবেই পাস করে যান। ১১ থেকে ১২ বছর বয়সে স্কুলের বাঁধা ধরা পড়া ছেড়ে দিয়ে গ্রামের একটি লেটোর দলে যোগদান করেন।

এই দলের জন্য তিনি ওই অল্প বয়সেই “চাষার সং”, “রাজপুত”, “মেঘনাদবধ” এর মত কয়েকটা পালা গান লিখলেন এবং সুরও দিলেন। বলতে গেলে কিশোর বয়সেই পৌঁছাতে না পৌঁছাতে তিনি লেটোর দলের সর্দার হয়ে গেলেন।

কথায় আছে, “প্রতিভা যদি রক্ত এ থাকে, তা যে কোন ভাবে প্রকাশ পেতেই থাকে”। তার পরবর্তীতে ধীরে ধীরে কাজী নজরুল ইসলাম মুখে মুখে ছড়া গান এবং কবিতার রচনার ক্ষেত্রে পারদর্শী হয়ে উঠতে থাকলেন। এই সময় তিনি স্কুলের পড়াশুনা না করলেও বাংলা ভাষায় অনেক বই এবং হিন্দু এবং মুসলমান ধর্ম শাস্ত্রের বিষয়ে পাণ্ডিত্য অর্জন করেন, তারপরে তিনি রানীগঞ্জের একটি স্কুলে ভর্তি হন।

কাজী নজরুল ইসলামের গান বাজনা এবং কবিতার প্রতি আগ্রহ: 

প্রতিটি মানুষের জীবনে কোনো না কোনো বিষয়ের প্রতি ঝোঁক থাকেই। তেমনি কাজী নজরুল ইসলাম রানীগঞ্জে একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময় বর্ধমান জেলার মহকুমা শহরে আসানসোলে পালিয়ে আসেন। সেখানে একটি রুটির দোকানে পাঁচ টাকা মাসিক বেতনে রুটি বানানোর চাকরি করতে থাকেন।

সেখানকারই একজন দারোগা কাজী রফিক উদ্দিন, গান বাজনা ও কবিতার প্রতি এবং গান বাচনার প্রতি দুর্বলতা থেকে নজরুলকে ময়মনসিংহস্ত নিজের গ্রামে কাজীর সিমলায় নিয়ে আসেন। সেখানে তাকে একটি স্কুলে ভর্তি করা হয়, কিন্তু পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হতে পারেন না। আবার রানিগঞ্জে ফিরে আসেন।

এর ফাঁকে নানা ধরনের সাহিত্য এবং কবিতার বই পড়ে নিজের জ্ঞানভান্ডার কে আরো বেশি ভরিয়ে তুলতে লাগলেন। নজরুল গীতি অনেকেই পছন্দ করেন, তাই নিশ্চয়ই জানবেন যে, কত অল্প বয়স থেকেই তিনি গান-বাজনার প্রতি আগ্রহ দেখিয়ে এমন নজরুল গীতি লিখেছেন এবং সুর দিয়েছেন যা আজও জনসাধারণের মধ্যে তোলপাড় জাগিয়ে থাকে।

কাজী নজরুল ইসলামের চলচ্চিত্র: 

কিছু চলচ্চিত্রও পরিচালনা করেছেন কাজী নজরুল ইসলাম, “ধুপছায়া” নামে একটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন আর এই চলচ্চিত্রে তিনি একটি চরিত্রে অভিনয়ও করেছিলেন।

তারপর ১৯৩১ সালের প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র “জামাইষষ্ঠী”-র ও শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত “গৃহদাহ” চলচ্চিত্রের সুরকার ছিলেন তিনিই। তার পাশাপাশি গীতিকার ও সংগীত পরিচালক ও তিনিই ছিলেন। ১৯৩৩ সালে পায়োনিয়ার ফিল্মস কোম্পানির প্রযোজনায় নির্মিত হওয়া চলচ্চিত্র “ধ্রুব”- এর সুরকার ও সংগীত পরিচালক ছিলেন।

এরপর ১৯৩৭ সালের “গ্রহের ফেল” চলচ্চিত্র, ১৯৩৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত “পাতালপুরী” চলচ্চিত্রে ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস অবলম্বনে ১৯৩৮ সালে নির্মিত “গোরা” চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালক ছিলেন নজরুল ইসলাম।

কাজী নজরুল ইসলামের সেনাবাহিনীতে যোগদান: 

খুবই ছোটবেলা থেকেই তিনি বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করার জন্য উৎসাহিত থাকতেন। যখন তিনি সবে মাত্র দশম শ্রেণীতে পড়েন, ম্যাট্রিক পরীক্ষার পূর্বে অর্থাৎ মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে টেস্ট পরীক্ষা চলে আসে, কিন্তু ১৯২৭ সালে তখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলছে, কাজী নজরুল ইসলাম ঠিক করলেন যে, সেই যুদ্ধে তিনি যোগদান করবেন। যদিও তিনি ছিলেন অনেকটাই ছোট, কিন্তু তাঁর মনোভাব ছিল অনেকটাই বড়।

যেমনি ভাবা তেমনি কাজ, ১৯১৭ সালের নজরুল ইসলাম ৪৯ নম্বর বাঙালি পল্টনে যোগ দিয়ে গেলেন নওশেরায়, সেখান থেকে গেলেন করাচিতে এবং করাচি সেনা নিবাসে তার সঙ্গে আলাপ হয় একজন সহকর্মী পাঞ্জাবি মৌলভীর সঙ্গে।

ফারসি ভাষায় তার দক্ষতা ছিল গভীর, নজরুল সেই মৌলভীর কাছ থেকে ফারসি ভাষার জ্ঞান অর্জন করতে থাকেন এবং ফারসি ভাষার কালজয়ী প্রতিভা হাফিজ শেখ, সাদী, রুমি, ওমর খৈয়াম প্রমুখের রচনা গুলি সম্বন্ধে জ্ঞান অর্জন করতে থাকেন। আর এখান থেকেই নজরুল ইসলাম সৃষ্টি ধর্মীয় কবিতা, গান, গল্প, গজল, উপন্যাস, প্রভৃতি লেখার জন্য নিজের মধ্যে একটা প্রতিভা অনুভব করতে থাকেন।

বিভিন্ন ধরনের লেখা লিখে নজরুল ইসলাম কলকাতার নামকরা পত্রিকায় পাঠাতে লাগলেন। সেগুলো সঠিক মর্যাদা দিয়ে ছাপাও হতে লাগল পত্রিকাতে। ১৯১৯ সালে বাঙালি পল্টন ভেঙে দেওয়ার জন্য নজরুল দেশে ফিরে এসে সম্পূর্ণ উদ্যম নিয়ে গান, কবিতা, গল্প, উপন্যাস, রচনায় নিজেকে নিযুক্ত করে ফেললেন।

কাজী নজরুল ইসলামের ব্যক্তিগত জীবন: 

কাজী নজরুল ইসলামের ব্যক্তিগত জীবন বলতে গেলে জানা যায় যে, ১৯২৪ সালের ২৪ শে এপ্রিল প্রমিলা সেনগুপ্তাকে তিনি বিবাহ করেন, তার স্ত্রীর প্রমীলা পক্ষঘাত অবস্থাতেই মারা যান।

কলকাতায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়ে যায় ১৯২৬ সালে, সেই সময় কবে কৃষ্ণনগরে লিখলেন কান্ডারী হুশিয়ার” কবিতাটি। তারপর দেশ বন্ধুর স্বরাজ পার্টির সম্মেলনে এমনই এক পরিস্থিতিতে লিখেছিলেন এই গান এবং তিনি গাইলেন-  “ওঠরে চাষী জগতবাসী, ধর কসে লাঙল”।

কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কবিতা: 

তিনি ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে ভালোবাসতেন এবং নিজের মধ্যে একটা বিদ্রোহী ভাব জেগে উঠেছিল। মাত্র ২২ বছর বয়সে কাজী নজরুল ইসলাম লিখে ফেললেন তার বিখ্যাত কবিতা “বিদ্রোহী”। এই কবিতাটি রচনা করে কাজী নজরুল ইসলাম বিখ্যাত হয়ে গেলেন “বিদ্রোহী কবি” হিসেবে। এই বিদ্রোহী কবিতা দেশে প্রচুর সাড়া ফেলে দিয়েছিল। আর এই একটি মাত্র কবিতার জন্য নজরুলকে বিশেষভাবে পরিচিতি দান করেছে।

“মে ভুখা হু” শীর্ষক প্রবন্ধটি ধুমকেতু পত্রিকায় প্রকাশের পর ১৯২৩ সালে ২৬ শে জানুয়ারি রাজদ্রোহের অভিযোগে কাজী নজরুল ইসলাম কে এক বছরের জন্য সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছিল। এরপর ১৯২৩ সালে অক্টোবর মাসের নজরুলের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ “অগ্নিবীণা” প্রকাশিত হয়।

কাজী নজরুল ইসলামের সম্মান: 

১৯৪৫ সালের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নজরুল ইসলামকে জগত্তারিনী” পদক পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করে ছিল। এরপর ১৯৬০ সালে ভারত সরকার পদ্মভূষণ” উপাধিতে ভূষিত করেন, রসায়নে ভরপুর কাব্য স্রষ্টা, অসংখ্য অসংখ্য গানের রচয়িতা ও সুরকার কবি কাজী নজরুল ইসলামকে।

এরপর যখন বাংলাদেশ স্বাধীন হয় তখন কাজী নজরুল ইসলামকে ১৯৭২ সালে ঢাকায় আনা হয় এবং তাকে জাতীয় কবি হিসেবে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।

কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যু: 

কাজী নজরুল ইসলাম ১৯৪২ সালের ৮ ই জুলাই থেকে দুরারোগ্য ব্যাধি, মুখ ও বধির রোগে আক্রান্ত হন। এক প্রকার প্যারালাইসিস বলা যেতে পারে। বছরের পর বছর তেমনি ভাবে থেকে জীবিত লাশ হয়ে বেঁচে ছিলেন।

তারপর তিনি ১৯৭৬ সালের ২৯ শে আগস্ট চির বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ঢাকায় থাকাকালীন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদের পাশে তাকে জাতীয় মর্যাদার সাথে সমাধিস্থ করা হয়েছে।

“কারার ঐ লৌহ কপাট”- গানটি স্বাধীনতা দিবসের দিন প্রায় অনেক জায়গায় বাজতে শোনা যায়। তার প্রতিটি বিদ্রোহী কবিতা, বিদ্রোহী গান, আমাদের মনে বিদ্রোহী ভাব জাগিয়ে তোলে। তিনি কবিতা ও গানের মধ্যে দিয়ে জনসাধারণকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন স্বাধীনতা আন্দোলনে। নজরুল গীতিতে নৃত্যানুষ্ঠান প্রায় জায়গাতেই দেখা যায়। তার অবদান আমাদের মধ্যে আজীবন বিরাজ করবে, আর এগুলির মধ্যে দিয়েই তিনি চিরঞ্জীবী হয়ে থাকবেন সকলের মনে।

1 thought on “কাজী নজরুল ইসলাম জীবনী 2023 – ইতিহাস, পরিবার এবং স্বাধীনতা আন্দোলন কার্যক্রম”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top