সমস্ত পৃথিবীর এই সময়ে সব থেকে বৃহৎ আর ভয়াবহ স্থিতি দেখা যাচ্ছে করোনাভাইরাসের জন্য। এই ভাইরাস সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রভাবিত করেছে এবং হাজারো হাজারো মানুষ মারা গেছে এখনো পর্যন্ত। এই ভাইরাস থেকে আপনারা কিভাবে সুরক্ষিত থাকবেন এবং আপনার পরিবার কে সুরক্ষিত রাখবেন তা জেনে রাখা খুবই প্রয়োজন। আসুন জেনে নিন এই ভাইরাস থেকে বেঁচে থাকতে হলে কি কি কাজ মোটেই করবেন না আর কি কি কাজ করবেন।
প্রথম কথা হল এই ভাইরাস এক মানুষ থেকে অন্য মানুষে ছড়িয়ে পরে তাই এর জন্য বিশেষ কিছু উপায় মানতে হবে।
♦ অকারণে বাড়ির থেকে বাইরে বেরবেন না আর যদি কোন কারণে বাইরে বেরিয়ে থাকেন তাহলে অন্য ব্যাক্তিদের থেকে ১ মিটার দুরে থাকবেন। মুখে মাস্ক বা রুমাল বা কাপড় দিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখবেন। বাহিরের খাবার মোটেই খাবেন না এবং বাহিরের জিনিসপত্রে হাথ দেওয়ার থেকে দুরে থাকবেন।
♦ নিজের বা অন্যের মুখে, চোখে, নাকে মোটেই হাথ দেবেন না। আপনারা অজান্তে অনেক জায়গায় হাথ দিয়ে থাকেন আর এই হাথ যদি মুখে, চোখে, নাকে দিয়ে ফেলেন তাহলে ভাইরাস ছড়ানোর ভয় বেশি থাকে।
♦ বাহির থেকে বাড়ি ফেরার পর বাড়ির কোন জয়গার ততক্ষণ হাথ দেবেন না যতক্ষণ না ভালো করে সাবান দিয়ে হাথ পা ধুবেন। জামা কাপড় গুলি সঙ্গে সঙ্গে ধুয়ে ফেলুন বা আলাদা জায়গায় সরিয়ে রাখুন।
♦ খাবারের শাক সব্জি, ফল গুলি বাহিরে থেকে আনার পর ভালো করে গরম জলে ধুয়ে নেবেন। মাছ মাংস খেতে হলে ভালো করে রান্না করে খাবেন। একটুও কাঁচা খাবার খাবেন না যা খাবেন ভালো করে রান্না করেই খাবেন।
♦ যদি আপনার বা আপনার পরিবারের কারো সর্দি খাঁশি হয়ে থাকে তাহলে ভয় খাবেন না দেরি না করে ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন। যদি শারীরিক কষ্ট হয়ে থাকে তাহলে দেরি করা মোটেই উচিৎ নয়। সর্দি খাঁশি থাকা মানুষ কিছুদিন আলাদা রুমে থাকা উচিৎ।
♦ এছাড়াও দুরুত্বপূর্ণ কথা হল যে অযথা ভয় খাবেন না, এই আবহাওয়া থে সামান্য সর্দি খাঁশি ও ফ্লু হয়ে থাকে এর জন্য করোনাভাইরাসের ভয় পাবার কিছু নেই। যদি বিশেষ কিছু হয়ে থাকে তাহলে তাহলে দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতাল যাওয়া দরকার।
♦ গুজব থেকে সাবধান থাকবেন, গুজবে কান দিয়ে নিজেদের বেশি করে ক্ষতি করে ফেলবেন। তাই না তো গুজবে কান দেবেন না গুজব ছড়াবেন। কারণ গুজবও ভাইরাসের মতোই ভহাবহ।
WEST BENGAL CORONAVIRUS PROECTION :
আপনাদের কাছে অনুরোধ যে কিছু দিনের জন্য বাড়িতেই থাকুন বাহিরে বেরবেন না। খুব জরুরী কাজ না থাকলে বাহিরে বেরবেন না। কিছুদিন অন্যান্য লোকেদের থেকে দুরে থাকুন আর বাড়িতে নিজেদের পরিবারের সাথে থাকুন। কথাও যাবেন না কারণ এখন যদি না সতর্ক হন তাহলে অনেক দেরি হয়ে যাবে। নিজেও সুরক্ষিত থাকুন আর নিজের পরবারকেউ সুরক্ষিত রাখুন।