কিভাবে জমি রেজিস্ট্রি করলে স্ট্যাম্প ডিউটি তে ছাড় পাবেন?

জমি কেনার সময় জমির ক্রয়মূল্যে নিয়ে আমরা চিন্তা করে থাকি। জমি ক্রয় নিবন্ধন করার সময় স্ট্যাম্প ডিউটির খরচ, রেজিস্ট্রেশন ফি সবকিছু মিলিয়ে বাড়তি খরচ হতে থাকে। অনেক সময় আমরা এই বাড়তি খরচের হিসাব না করায়, জমি কিনা পর হিমশিম খেয়ে থাকি।

কিভাবে জমি রেজিস্ট্রি করলে স্ট্যাম্প ডিউটি তে ছাড় পাবেন?
কিভাবে জমি রেজিস্ট্রি করলে স্ট্যাম্প ডিউটি তে ছাড় পাবেন?

কিন্তু আপনি হয়তো জানেন না যে, কিছু কৌশল জানলে আপনি জমি রেজিস্ট্রি করার স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড় পেতে পারেন।

আমাদের বাংলাভূমি সাইটে বিভিন্ন সময় আপনাদের জন্য জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকি। এতে করে আপনারা জমি নিয়ে অনেক বিষয়াদি জানতে পারেন।

আপনারা খুব সহজেই জমির উত্তরাধিকার আইন, জমি রেজিস্টি করার নিয়ম, ভালো জমি চেনার উপায়, কোন জমি কিনে বিনিয়োগ করলে আপনি লাভবান হয়ে থাকবেন এসব কৌশল জানতে পারেন। যার ফলে আপনারা জমি সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে পরবর্তীতে ভবিষ্যতে জটিলতায় পড়ার সম্ভাবনা কমে আসবে।

সেই সাথে কোন প্রতারক চক্র আপনাকে প্রতারিত করে টাকা আত্মসাৎ করতে পারবে না। এরই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করবো কিভাবে রেজিস্ট্রি করলে স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড় পাওয়া যায়।

এতে করে আপনি ভবিষ্যতে জমি রেজিস্ট্রি করলে কিছু কৌশল ব্যবহার করে স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড় পাবেন।

কিভাবে আপনি জমি রেজিস্টি করলে স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড় পেতে পারেন

আপনি ভারতীয় নাগরিক হিসেবে প্রতিবছর আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হয়। জমি কেনার সময় আপনার দেয়া স্টাম্প ডিউটির খরচ আপনি ছাড় পেতে পারেন।

ভারতীয় আয়কর আইন অনুসারে আপনি একটি বাড়ি কিনলে বা বাড়ি বানালে যে খরচ হবে তা দেখিয়ে আপনি আপনার আয়কর দেয়ার সময় ছাড় পেতে পারেন।

আয়কর আইনের ৮০ ধারা অনুসারে জমি রেজিস্ট্রেশনের স্ট্যাম্প ডিউটি ও রেজিস্ট্রেশন ফি এর সাথে আয়করের পরিমান সরাসরি জড়িত থাকে। আপনি আয়করের সর্বোচ্চ ১,৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত ছাড় পাবার সুযোগ আছে।

কখন আপনি স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড় পেতে পারেন

আপনি স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড় পেতে চাইলে শুধুমাত্র যে বছর জমি রেজিস্টি করেছেন, সেই বছরের আয়কর থেকে আপনি ছাড় পেতে পারেন।

যেমন আপনি যদি ২০১৯ সালের ১৫ই আগষ্ট কোন সম্পত্তি ক্রয় করে থাকেন, তাহলে আপনি ২০১৯-২০২০ সালের আয়কর জমা দেয়ার সময় ঐ ডিউটি স্ট্যাম্প ফি আয়কর থেকে ছাড় পেতে পারেন।

এই ছাড় ব্যক্তি পর্যায়ে এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায় উভয় আয়কর রিটার্নের জন্যই প্রযোজ্য হবে।

কি কি খরচ আয়কর ছাড়ের আওতায় পড়ে না

আসুন দেখে নিই, কি কি খরচ আয়কর ছাড়ের আওতায় পড়ে না

১) জমির দাম, বায়নার টাকাসহ ইত্যাদি টাকা আয়কর ছাড়ের আওতায় পড়ে না।

২) জমির সংস্কার, জমি পরিবর্তন, ইত্যাদি হলে ঐ স্টাম্পের টাকা আয়কর ছাড়ের আওতায় পড়ে না।

এভাবে আমরা জমি রেজিস্ট্রেশনের সময় স্ট্যাম্প ডিউটির টাকা ছাড় পেতে পারি।

আজ আমরা আপনাদের সাথে জমি রেজিস্ট্রেশনের সময় স্ট্যাম্প ডিউটি কিভাবে ছাড় পাওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা করলাম। এতে করে ভবিষ্যতে আপনারা জমি রেজিস্ট্রেশনের সময় খরছের টাকাটি আয়কর রিটার্নের সময় ছাড় পেয়ে আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন।

পরবর্তী লেখায় আরো বিস্তারিত লেখা থাকবে। তাই আমাদের পেজে নিয়মিত চোখ রাখুন। এই লেখাটি অনেকের কাজে লাগতে পারে তাই লেখাটি যতটুকু সম্ভব শেয়ার করুন, যাতে করে অনেকে এই লেখা থেকে শিক্ষা নিয়ে জমি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন।

জমি নিয়ে আরো অনেক লেখা পেতে আমাদের সাইটের অন্য লেখাগুলি দেখুন। আমাদের লেখা ভালো লাগলে বা যেকোন মন্তব্য আমাদের ফেসবুক পাতায় লিখুন। আমরা আপনার মন্তব্যের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবো।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top