ন্যাশনাল গ্রীন ট্রিবুনাল তে পরিবেশ দূষণের অভিযোগ করবেন কিভাবে?

ন্যাশনাল গ্রীন ট্রিবুনাল কি? ন্যাশনাল গ্রীন ট্রিবুনাল কি কি কাজ করে থাকে? ভারতে যে কোন ধরনের প্রাকিতিক পরিবেশ দূষণের অভিযোগ এই ন্যাশনাল গ্রীন ট্রিবুনাল তে কিভাবে করবেন জেনে নিন।

ন্যাশনাল গ্রীন ট্রিবুনাল তে পরিবেশ দূষণের অভিযোগ করবেন কিভাবে?
ন্যাশনাল গ্রীন ট্রিবুনাল তে পরিবেশ দূষণের অভিযোগ করবেন কিভাবে?

বর্তমান সময়ে রাষ্ট্রীয় গ্রীন ট্রিবুনাল এন জি টি (NGT) এর সম্বন্ধে যদি শুনে থাকেন, তাহলে লোক গ্রীন আইন আর তার অধিকার সম্পর্কে সব থেকে বেশি সচেতন হতে পারেন এবং বলা যেতে পারে যে এন জি টি (NGT) থেকে কিভাবে এবং কখন যোগাযোগ করতে পারেন।

রাষ্ট্রীয় গ্রীন ট্রিবুনাল:

রাষ্ট্রীয় গ্রীন ট্রিবুনাল অ্যাক্ট 2010 এর অন্তর্গত কেন্দ্র সরকার দ্বারা এন জি টি (NGT) এর স্থাপনা 18 ই অক্টোবর 2010 এ করা হয়েছিল।

কেন্দ্র সরকারের উদ্দেশ্য পর্যাবরণ সংরক্ষণ, জঙ্গল এর সংরক্ষন আর অনুমতি প্রদান এর অনুসারে নির্দিষ্ট পর্যাবরণ আইন অথবা শর্তের লঙ্ঘনের কারণ সম্পত্তির ক্ষতি পূর্তির জন্য অথবা ক্ষতিপূরণের চাহিদা করা যেতে পারে। এই ক্ষতিপূরণের মামলা তে প্রভাব এবং খুব তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধান করার জন্য বিশেষ প্ল্যাটফর্ম প্রদান করা হয়।

এন জি টি (NGT) এর কাছে পর্যাবরণ সম্বন্ধিত এন জি টি (NGT) অধিনিয়ম এর-অনুষ্ঠান সূচী এক তে সূচিবদ্ধ আইন এর কার্য উন্নয়ন থেকে সম্বন্ধিত প্রশ্ন সম্বন্ধিত সমস্ত সিভিল মামলার ক্ষেত্রে রায় ঘোষণা করার অধিকার রয়েছে। এর মধ্যে নিচে দেওয়া সমস্ত বিষয়গুলি শামিল রয়েছে:-

১) জল (দূষণ এর ক্ষেত্রে বাধা এবং নিয়ন্ত্রণ) অধিনিয়ম 1974,

২) জল (দূষণের বাধা এবং নিয়ন্ত্রণ) শেষ অধিনিয়ম 1977,

৩) বন (সংরক্ষন) অধিনিয়ম 1980,

৪) বায়ু (দূষণের বাধা এবং নিয়ন্ত্রণ) অধিনিয়ম 1981,

৫) পর্যাবরণ (সংরক্ষণ) অধিনিয়ম 1986,

৬) সার্বজনীক উত্তর দায়িত্ব বীমা অধিনিয়ম 1991,

৭) জৈবিক বিভিন্নতা অধিনিয়ম 2002।

এন জি টি (NGT) পর্যটনের ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণের চাহিদা অথবা সরকারের কোনো রকম আদেশ অথবা নির্ণয় এর বিরুদ্ধে একটি আপিলের চাহিদার জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে একটি খুবই সরল প্রক্রিয়া করা যেতে পারে।

প্রত্যেক আবেদন অথবা আপনার জন্য যেখানে ক্ষতিপূরণের জন্য কোন রকম দাবি শামিল থাকবে না, 1000 টাকা শুল্ক হিসাবে ভর পাই করতে হবে, যদি ক্ষতিপূরণের দাবি করা হয়ে থাকে, তাহলে সে ক্ষেত্রে শুল্ক এর  ভর পাই ক্ষতিপূরণের এমাউন্টের ন্যূনতম 1000 টাকা হবে।

ক্ষতিপূরণের জন্য দাবি কখন করা যেতে পারে?

ক্ষতি পূর্তির জন্য বা ক্ষতি পূরণের জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলি উপর ভিত্তি করে করা যেতে পারে:-

১) দূষণের শিকার প্রাপ্ত লোক এবং বিপদজনক পদার্থর সাথে জড়িত দুর্ঘটনার সাথে অন্যান্য বর্জনীয় ক্ষয়ক্ষতির ক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান এবং ক্ষতিপূরণ।

২) ক্ষতিগ্রস্ত সম্পত্তির পুনর্নির্মাণ:- এন জি টি (NGT) দ্বারা নির্ধারিত এমন ক্ষেত্রে পর্যটনের ক্ষতিপূরণের জন্য কিছু অ্যামাউন্ট দাবি করা যেতে পারে। কোনরকম ক্ষতিপূরণ অথবা সম্পত্তি অথবা পর্যটনের সমাধান বলতে গেলে আবার নতুন করে ভর পাই এর জন্য কোনরকম আবেদন মানা যাবে না। যদি এই ধরনের ক্ষতিপূরণ এর ক্ষেত্রে কারণের তিথি পাঁচ বছর পর্যন্ত সময় এর ভিতরে আবেদন করা হয়ে থাকে।

এন জি টি (NGT) দ্বারা মান্য করা বিচারের সিদ্ধান্ত: 

এন জি টি (NGT) সিভিল প্রক্রিয়া সংবিধান 1908 অনুসারে নির্ধারিত প্রক্রিয়া দ্বারা বাধ্য নয়, কিন্তু এই প্রাকৃতিক বিচারের সিদ্ধান্ত দ্বারা নির্দেশিত হয়ে থাকে, এছাড়াও এন জি ও ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম 1872 প্রমাণিত সাক্ষ্য  নিয়ম এর ক্ষেত্রে বাধ্য নয়।

এই ভাবে সংরক্ষণ সমূহ, এটি এর তথ্য আর বিষয়বস্তু একটি প্রযোজনা টেকনিক্যাল কোন সমস্যা কে ইঙ্গিত করে, অথবা বিকল্প এর প্রস্তাব দেওয়ার ক্ষেত্রে পর্যাবরণ অতিক্রম করতে পারে। কিন্তু যার উপর বিচার করা হয়নি সেই বিষয়টিকে তুলে ধরার জন্য অপেক্ষাকৃত সহজ হবে।

রাষ্ট্রীয় গ্রীন ট্রিবুউনাল এর সামান্য বিষয় এর পর্যায়ে পর্যাবরণ অনুমতি, বন অনুমতি, খননকার্য, বন সংরক্ষণ, গাছকাটা, অবৈধ নির্মাণ, অতিরিক্ত দূষণ এবং আরো অন্যান্য দূষণের ক্ষেত্রে সম্বন্ধিত বিভিন্ন রকমের মামলা ও জড়িত রয়েছে।

ফোরাম যে কোনো বিষয়ের ক্ষেত্রে যে কোন ব্যক্তি সংরক্ষণবাদ ই অথবা ট্রিবুনাল দ্বারা চেনা কোন ব্যক্তি যিনি আই টি প্রতিনিধির মাধ্যমে প্রতিনিধিত্ব করার উপায় প্রাপ্ত করতে পারেন।

এই বিষয়টিকে কখনোই ভুল বোঝার প্রয়োজন নেই যে, আমাদের দেশে গ্রীন আইন কানুন আর ট্রিবুনাল এর উদ্দেশ্য বিভিন্ন ধরনের কাজ এর নিয়মিত করার ক্ষেত্রে জনসাধারণ উদ্যোগপতি থেকে আরো বড় উচ্চস্তরের উদ্যোগ প্রতি ইত্যাদি দের জন্য কোনো রকম বাধা উৎপন্ন করে না।

তবে বিভিন্ন রকমের কার্যক্ষেত্রে কিছু আইন-কানুন রয়েছে, যে গুলো মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যে গুলো মেনে চললে আশেপাশের জনসাধারণের কোনরকম ক্ষয়ক্ষতি যেন না হয়ে থাকে, তার সাথে সাথে অপরদিকে কাজটি ভালো ভাবে সম্পন্নও করা যেতে পারে।

পরিবেশ রক্ষার্থে বিভিন্ন ধরনের আইন-কনুন তো রয়েছেই সেই কারণে জনসাধারণকে সচেতন করা হচ্ছে যে, বায়ু প্রদূষণ, গাছপালা কাটা, অবৈধভাবে ক্ষমতা, যারা অবৈধভাবে নির্মাণকার্য করে থাকেন, সবকিছুই পরিবেশের সাথে সাথে আশেপাশের জনসাধারণের জীবনে অনেক খানি ক্ষতি ডেকে নিয়ে আসতে পারে। সেই কারণে এমন বিষয়গুলোর উপর বিশেষভাবে খেয়াল রাখা জরুরী।

এক্ষেত্রে যদি আপনার আশেপাশের কোন রকম এমন ধরনের কার্য হয়ে থাকে, তাহলে গ্রীন ট্রিবুনাল এ আপনি অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন। আর অভিযোগের উপর ভিত্তি করে বিষয়বস্তু ভালো করে খতিয়ে দেখার পর তার ওপরে সিদ্ধান্ত এবং বিচার করা সম্ভব হবে।

প্রতিটি কাজের জন্য আইনী অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন, তবে যে কাজগুলি বড় বড় উদ্যোগ পতিরা নিয়ে থাকেন, কোন নির্মাণ কাজ থেকে শুরু করে এবং ঝুঁকিপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে তার জন্য আইনের অনুমতি না থাকলে পরবর্তীতে ও যদি কোন রকম অসুবিধা দেখা দেয়, সে ক্ষেত্রে সেই উদ্যোগ পতির শাস্তি এবং জরিমানা দুটোই হতে পারে।

তাই সবদিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরী। আর আশেপাশের মানুষের ক্ষতিপূরণ, কোন সম্পত্তির ক্ষতিপূরণ হিসেবে সেই উদ্যোগপতি কে ক্ষতিপূরণের অ্যামাউন্ট ভর পাই করতে হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top