TikTok দিয়ে টাকা উপার্জন করবেন কিভাবে? সঠিক পদ্ধতি জেনে নিন

TikTok কি? অনলাইনে টিকটক দিয়ে কি উপার্জন করা যায়? কিভাবে শুরু করতে হয়? টিকটক থেকে ইনকাম করার সঠিক পদ্ধতি জেনে নিন।

অনলাইন থেকে উপার্জন করা আজকের দিনে একটি ট্রেন্ডিং বলা যায়। তবে এমন অনেক মনোরঞ্জন করার অ্যাপ রয়েছে, যেখানে বিভিন্ন রকমের সুন্দর সুন্দর ভিডিও দেখে অনেকেই তাদের অবসর সময় কাটিয়ে থাকেন, তেমনি এই সমস্ত অ্যাপ গুলির মধ্যে টিকটক হল একটি, আর এটি খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে কয়েক দিনের মধ্যেই।

TikTok দিয়ে টাকা উপার্জন করবেন কিভাবে?
TikTok দিয়ে টাকা উপার্জন করবেন কিভাবে?

কেননা ইউটিউব এর মত টিক টক ততটাই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে, যদিও ইউটিউব এর মত stable platform নয় টিক টক।

টিকটক (TikTok) থেকে কিভাবে উপার্জন করবেন?

টিকটক নামটি খুবই জনপ্রিয়, একটি ভিডিও প্ল্যাটফর্ম যেখানে ভিডিও আপলোড করার পাশাপাশি তারা থেকে ভালোমতো উপার্জন করা যেতে পারে।

এর জন্য 18 বছর বয়স হওয়ার অপেক্ষা করতে হয় না। 18 বছরের কম বয়সি রাও কাজ করতে পারে। শুধুমাত্র অভিভাবকদের কাছ থেকে Cooperation থেকে টিকটক ভিডিও আপলোড করতে পারেন আর এটি সম্পূর্ণ লিগ্যাল কথা।

তো চলুন তাহলে জানা যাক, tiktok এর মধ্যে দিয়ে আপনি কিভাবে টাকা উপার্জন করবেন সে সম্পর্কে:

১) Gifting এর মাধ্যমে টাকা উপার্জন করুন: 

টিক টক এর আগে Musically একদিন ছিল যেখানে Livestreaming Platform অনেক বেশি মানুষের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছিল। যতই মিউজিকালি তার নাম পরিবর্তন করে টিকটক রাখুক না কেন, এর এই Livestreaming ফিচারস ও জনপ্রিয় কিন্তু এখন একে Go Live বলা হয়ে থাকে, তো এক্ষেত্রে একটি Tiktoker এর জন্য কমপক্ষে তার কাছে 1000 ফলোয়ার এর প্রয়োজন রয়েছে Live-stream করার জন্য।

এখানে যখন আপনি লাইভ স্ট্রিমিং করবেন তখন আপনার ফলোয়ারস আপনাকে কয়েন গিফট করে থাকবেন, যদি আপনার ভিডিও তাদের পছন্দ হয়ে থাকে, তো যখন আপনি অনেকগুলি কয়েন একসাথে করে নেবেন তখন সেগুলি টাকাতে রূপান্তরিত করতে পারেন।

এই কয়েন কে আপনি টিক টক এর ভার্চুয়াল কারেন্সি মনে করতে পারেন, এখানে টিকটক ইউজার কে এই কয়েন কিনতে হয়। আর যেখানে তার দাম কয়েনের প্যাক সাইজ এর উপর নির্ভর করে। এক্ষেত্রে কেনার পরে টিকটক আর এই কয়েনকে অনলাইন ওয়ালেট তে স্টোর করে রাখে।

তো এক্ষেত্রে Tiktoker এর পারফর্মেন্স যদি পছন্দ হয়ে থাকে, তাহলে সেই কয়েন গিফট তে প্রদান করা হয়। যখন সে Tiktoker লাইভ পারফর্ম করে থাকবেন তো এক্ষেত্রে কয়েন এর কিছু মূল্য টিক টক আর গুগল / অ্যাপেল করে থাকে।

তবে এক্ষেত্রে একটা কথা বলে রাখা জরুরি যে, যদি আপনি টিকটকার হয়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে আপনার অডিয়েন্সের খুবই ভালভাবে খেয়াল রাখতে হবে, তা না হলে হয়তো আপনি এই কয়েনগুলি পাবেনই না।

ইউসার সেই কয়েন এর ব্যবহার করে কিছু ইমোজি অথবা ডায়মন্ড কিনতে পারেন। এখানে ডায়মন্ড খুবই দামী হয়ে থাকে, আর সেটি কেবলমাত্র তখনই ইউজার কোন টিকটক ক্রিয়েটর কে প্রদান করতে পারেন যখন তার সেই টিকটকের এর পারফর্মেন্স সবথেকে ভালো লাগে।

পারফর্মার যখন ইচ্ছা তখন সেই গিফট পয়েন্টকে Redeem করতে পারবেন। এখানে সর্বোচ্চ $1,000 প্রতিদিন অনুযায়ী একটা লিমিট রয়েছে।

২) Brand Partnerships আর Influencer Marketing এর মাধ্যমে উপার্জন: 

অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এর থেকে টিক টক বেশি আলাদা কিন্তু নয়, যদি আপনি একজন জনপ্রিয় টিক টক ক্রিকেটার হয়ে থাকেন তাহলে খুবই তাড়াতাড়ি আপনি ব্রান্ড এর নজরে পড়বেন।

এক্ষেত্রে আপনাকে Approach  করাও শুরু করে দেবেন। তার সাথে সাথে আপনাকে তাদের সাথে ব্র্যান্ড পার্টনারশিপ করার জন্য বলতে পারেন ইনফ্লুয়েন্সার প্রমোশন এর মাধ্যমে।

যদি আপনার অনেকগুলো ফলোয়ার ফলো করে থাকেন আর আপনার ভিডিওর উপরে অনেক বেশি Hearts এসে থাকে প্রতিনিয়ত তখন কিন্তু এমন ক্ষেত্রে আশা করা যায় যে, আপনাকে অনেকগুলি ব্রান্ড approach করবে। তার সাথে সাথে আপনার সম্পূর্ণ এক্টিভিটিস কেও তারা Examine করবেন।

ব্র্যান্ড পার্টনারশীপ কোম্পানী গুলির আপনাকে খুবই ভাল অঙ্কের টাকা প্রদান করে থাকে। এখানে শুধুমাত্র আপনাকে আপনার ভিডিওতে সেই ব্রান্ডের প্রডাক্ট কে প্রমোট করতে হবে। এর থেকে বেশি কিছু আপনার করার প্রয়োজন নেই।

এক্ষেত্রে একটা বিষয় খেয়াল রাখা জরুরী যে, এই সমস্ত প্রমোশন সম্পূর্ণ প্রমোশন ফরম্যাটে মনে যেন না হয়, তার পরিবর্তে একটি ন্যাশনাল প্রোডাক্ট এর ব্যবহার এর মতো লাগতে হবে। এর ফলে ইউজার এর প্রতি স্বাভাবিকভাবে একটা আকর্ষণ অনুভব হবে।

এইভাবে আপনি খুবই সহজে ব্রণ্ড প্রমোশন করে খুবই ভালো মতো উপার্জন করতে পারেন। যার জন্য আপনাকে কোনো ব্র্যান্ডকে approach করতে হবে না। পরিবর্তে তারাই আপনাকে নিজের থেকে approach করবেন।

৩) Brand-Sponsored Events এ অংশগ্রহণ করে উপার্জন: 

অনেক টেকটকার খুবই ভালো উপার্জন করে থাকেন অফ প্ল্যাটফর্ম তে পার্টিসিপেট করে। এমনটা কিন্তু তখনই হবে যখন আপনার একটি খুবই ভালো রেপুটেশন হবে টিকটক প্ল্যাটফর্মের উপরে ব্রান্ড, এমন ক্ষেত্রে সেই জনপ্রিয় ক্রিয়েটার কে হায়ার করে থাকে আর তাকে ইনভাইট করে থাকে সেখানে যাওয়ার জন্য।

শুধুমাত্র আপনাকে সেখানে থাকার জন্য আপনাকে বেশ ভালোমতো টাকা প্রদান করতে হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, যদি আপনি ভালো মিউজিসিয়ান হয়ে থাকেন তখন এমন ক্ষেত্রে আপনাকে ব্রান্ড সেই ইভেন্টে গান গাওয়ার জন্য বলতে পারে। যার ফলে আপনার টাকা উপার্জনের সাথে সাথে এক্সপোজার ও হয়ে যাবে।

৪) Merchandise এর Selling করে: 

যদি আপনি একজন খুবই বড় support base হয়ে যান, টিক টক এর উপরে। তখন আপনি নিজেই একটি শপিফাই ই-কমার্স স্টোর (Shopify e-commerce store) স্টাবিলিশ করতে পারবেন। তার সাথে সাথে merchandise বিক্রি করতে পারবেন আপনার অডিয়েন্সকে।

যদি আপনি কিছু সময় এই ফিল্ডে সময় কাটিয়ে থাকেন তখন আপনি একজন খুবই বড় মার্কেটার হয়ে যেতে পারেন। যার ফলে আপনি আপনার টিক টক imagery এর ব্যবহার করে একটি ব্র্যান্ড তৈরি করতে পারেন, আর সেখানে সেই ব্রান্ড কে আপনি merchandise কে form এ বিক্রিও করতে পারবেন।

শুধুমাত্র আপনাকে এমন কিছু জিনিস আপনার ব্র্যান্ডের মধ্যে আয়ত্ত করতে হবে, যা কিনা একটু আলাদা এবং ইউনিক হয়ে থাকে। আর তাছাড়া আজকাল লোক যেগুলি ব্যবহার করার জন্য বেশি পছন্দ করে থাকেন যেমন ধরুন টি-শার্ট, ব্যান্ডস ব্রেসলেট ইত্যাদি।

এ ক্ষেত্রে আরেকটি কথা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে, টিক টক ফলোয়ার্স যেখানে বিজ্ঞাপন দেখতে আসেন না, এইজন্য আপনাকে এমন ভিডিও আপলোড করতে হবে যেখানে আপনি আপনার merchandise কে প্রমোট ও করতে পারেন এই ভিডিওতে কিন্তু খুবই বেশি আকর্ষণীয় পদ্ধতিতে।

এখানে আপনি সেলিং ও একটু আলাদাভাবে করতে পারেন, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন। যেখানে সেলার আপনার প্রোডাক্টের সেলিং করিয়ে থাকেন, তাকে আপনি ভালো কমিশন প্রদান করে রাখতে পারেন। যার ফলে বেশি সেলার আপনার সাথে যুক্ত হতে পারেন।

এছাড়াও আপনি আপনার বিক্রি বাড়ানোর জন্য ডিসকাউন্ট আর ডিল এর ব্যবহার করতে পারেন। যার ফলে বেশি লোক আপনার প্রোডাক্ট কিনবেন তার থেকে আপনি ভালোমতো উপার্জনও করতে পারবেন।

৫)  Gifts এর মাধ্যমে: 

যদি আপনার কাছে ভাল মত ফ্যান ফলোয়ার্স থাকেন তো কোম্পানি আপনাকে অনেক গিফট পাঠিয়ে থাকবে, এটাও কিন্তু আপনার জন্য একটি উপার্জনের মাধ্যমও বলতে পারেন।

৬) Cross Promote করে অন্যান্য সোশ্যাল নেটওয়ার্ক এর সাথে: 

এটি খুবই পুরানো পদ্ধতি, আপনার ভিউয়ারদের একটি প্লাটফর্ম থেকে অন্য প্ল্যাটফর্মে divert করার জন্য, যার ফলে আপনি আপনার ভিউয়ার দের সম্পূর্ণরূপে ব্যবহার করতে পারেন। অর্থাৎ যদি আপনার অনেক বেশি ফলোয়ার থেকে থাকে টিক টকে, তখন এই প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার করে আপনি আপনার ইন্সট্রাগ্রাম, টুইটার, ইউটিউব, ফেসবুকের, ফলোইং ও বাড়াতে পারেন। কেননা এমন অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, বেশির ভাগ টিকটকার দের সাকসেসফুল ইউটিউব চ্যানেলও রয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে আপনি আপনার সমস্ত সোসাল মিডিয়ার ফলোয়িং কে বাড়াতে পারেন, তার সাথে সাথে আপনি আপনার merchandise এর cross-promotion ও করে থাকেন যার ফলে আপনার ব্র্যান্ড এর পরিচিতিও খুবই সহজে হতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top