YouTube দিয়ে কিভাবে টাকা কমাবেন? প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সব কিছু জেনে নিন

আপনারা সকলেই জানেন YouTube দ্বারা টাকা কামানো সম্ভব তাও বেশি পরিমানে আর শুধু টাকা কামানো নয় তার সাথে বাড়ে সম্মান ও নিজের নাম।

আপনি কি জানেন YouTube থেকে কিভাবে টাকা কমাবেন ? চেষ্টা করে দেখবেন নাকি টাকা কমাতে ? তাহলে এই তথ্য আপনার জন্য, আজ আমি আপনাদের YouTube থেকে কিভাবে টাকা কমাবেন ?

YouTube-এ চ্যানেল তৈরী থেকে Payment পর্যন্ত সমস্ত কিছু জানাবো তাই একটু মনোযোগ দিয়ে প্রতিটি স্টেপ জেনে নিন।

YouTube দিয়ে কিভাবে টাকা কমাবেন? প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সব কিছু
YouTube দিয়ে কিভাবে টাকা কমাবেন? প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সব কিছু

জরুরি কিছু কথা : শুরু করার আগে জানিয়ে দি কেউ কখন ফ্রি তে কাউকে টাকা দে না। YouTube হোক বা বিশ্বের অন্য কোনো কাজ তার জন্য পরিশ্রম করতে হয় তাই YouTube-এ কাজ করার আগে নিজে কে স্থির করে নিন আর নিজের ধৈর্য্য কে বাড়িয়ে নিন। যদি পরিশ্রম আর ধৈর্য রাখেন তাহলে এই কাজ আপনার জন্য। তাহলে আসুন শুরু করা যাক।

YouTube-এ চ্যানেল বানিয়ে নিন :

আপনার কাছে কম্পিউটার বা মোবাইল তো অবশ্যই থাকবে যার দ্বারা আপনি এই কাজ করবেন।

সবার প্রথমে আপনার জিমেল (G-mail) একাউন্ট দিয়ে YouTube-এ লগইন করুন আর একটি চ্যানেল বানিয়ে নিন যা বানানো খুব সরল।

যদি জিমেল একাউন্ট নেই তাহলে আগে একটি E-mail একাউন্ট বানিয়ে নিন (দেখে নিন Gmail Account কিভাবে বানাবেন)। যেহেতু আপনি YouTube-এ কাজ করতে চান আসা করি এই কাজ করে নিতে পারবেন কারণ এতটা নলেজ তো অবশ্যই জরুরি। (কিভাবে YouTube Channel বানাবেন দেখেনিন)

কিভাবে আর কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন ?

YouTube-এ টাকা ইনকামের কোনো লিমিট নেই যত খুশি ইনকাম করতে পারবেন অর্থাৎ আপনার কাজের ওপর আপনার ইনকাম নির্ভর করে।

YouTube Monetization-এর দ্বারা ইনকাম করা যায় যেখানে YouTube আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেয় তার থেকে আপনাকে টাকা দেয়। YouTube Monetization শুরু করার জন্য আপনার Channel-এ কম করে হলেও 10 হাজার ভিউ এবং 1 বছরে 4 হাজার ঘন্টা ভিডিও প্লে হতে হবে। যদি ভালো ভিডিও আপলোড করা হয় তাহলে এইটি কয়েক দিনের মধ্যেই হয়ে যাবে।

কিভাবে Payment পাবেন ?

YouTube-এ টাকা ডলারে ইনকাম করা হয় আর তার Payment কম সে কম 100 ডলার অর্থ প্রায় 7500/- টাকা হলে পেমেন্ট দেওয়া হয়।

YouTube থেকে কামানো টাকা সরাসরি আপনার ব্যাঙ্ক একাউন্টে ট্রান্সফার করে দেওয়া হয়। প্রতি মাসে 21 তারিখে আপনার পেমেন্ট ছেড়ে দেওয়া হয় যা কিছুদিনের মধ্যে ব্যাংকে চলে আসে।

YouTube পেমেন্ট পাবার জন্য আপনার ব্যাংকের ডিটেল google কে দিতে হবে। YouTube-এ 7500/- টাকা থেকে পেমেন্ট শুরু হয় মানে আপনি মাসে এর থেকে অনেক বেশি কমাতে পারবেন।

যত বেশি ভিডিও তত ইনকাম :

যেমন কোনো দোকানে যত বেশি প্রোডাক্ট তত বেশি বিক্রি ঠিক সেই রকম ভালো ইনকাম করার জন্য বেশি করে ভিডিও আপলোড করতে হবে।

বেশি করে ভিডিও আপলোডের মানে ইটা নয় যে যে কোনো ভিডিও আর যেমন করে খুশি বানিয়ে আপলোড করে দিলেই হবে তা একদম ভুল যদি YouTube Channel কে ভালো করে চালাতে হয় এবং ভালো করে ইনকাম করতে হয় তাহলে প্রত্যেক ভিডিওর জন্য পরিশ্রম করতে হবে আর কনটেন্ট ভালো দিতে হবে। আপনার ভিডিওর কন্টেন্টের কোয়ালিটি আপনার ভাবনার থেকে বেশি ইনকাম করাবে।

মার্কেটিং করেও YouTube থেকে টাকা কামান :

YouTube-এ কেবল Monetization থেকেই টাকা কামানো যাই তা নয় বরং তার থেকেও বেশি Affiliate Marketing করে কমিয়ে নেওয়া যায় কিন্তু এর জন্য আপনার ভিডিওর content ভালো হতে হবে আর তার সাথে আপনার ভিডিওতে প্রচুর visit থাকতে হবে।

Affiliate Marketing-এ যে কোনো কোম্পানি তাদের প্রোডাক্টের মার্কেটিং করার জন্য ভালো রকম টাকা দিয়ে থাকে। তাহলে নিজের Channel কে কিভাবে Grow করবেন আর কিভাবে কাজ করে বেশি Visit ও টাকা কমাবেন তার জন্য কিছু টিপস নিচে দেওয়া আছে।

নিজের ভেতরের টেলেন্ট জানুন :

YouTube-এ কি বিষয়ে ভিডিও আপলোড করবেন তা আপনার টেলেন্টের আর ইচ্ছার উপর নির্ভর। এখানে আপনাকে আপনার ভেতরের টেলেন্ট এবং আপনার ইচ্ছাকে খুঁজতে হবে যে আপনি কোন বিষয়ে ইউটুবের ভিডিও বানাবেন তার সাথে ভিডিও এডিটিং (VIdeo Editing) কিছুটা জ্ঞান থাকা দরকার।

মনে রাখবেন যেই বিষয়েই ভিডিও বানান না কেন নিজের মধ্যে ধৈর্য অবশ্যই রাখবেন কারণ এখানে ভিডিও দেবার সঙ্গে সঙ্গে ভিউ পাওয়া যায় না তাই ধৈর্য রেখে অনবরত কাজ করতে হবে।

YouTube-এ পার্ট টাইম বা ফুল টাইম যে কোনো ভাবে কাজ করা সম্ভব আর কাজের জন্য কোনো রকম বাধা নেই যতটা টাইম ততটা কাজ করা যায়।

ইউনিক বিষয়ে ভিডিও বেশি লাভবান :

YouTube-এ প্রতিদিন নতুন নতুন চ্যানেল আসতে থাকে তাই নিজের YouTube channel-এ ইউনিক আইডিয়ার ভিডিও আপলোড করুন।

নতুন আর ভালো কোয়ালিটির ভিডিও লোকেরা বেশি পছন্দ করে আর নতুন আইডিয়ার ভিডিও তে বেশি ভিউ পাওয়া যায়। ভিডিওর এডিটিং ভালো ভাবে করে তবেই আপলোড করা দরকার আর যেই বিষয়ে ভিডিও বানাচ্ছেন তা স্পষ্ট ভাবে ভিডিওতে দেখানো দরকার।

ভুল করেও এই কাজ করবেন না :

YouTube-এর নিয়ম কিছুটা হলেও কঠিন তাই তার নিয়ম হিসাবে কাজ না করলে আপনার channel বন্ধ হয়ে যেতে পারে, কোনো ভিডিও আপলোড করার আগে YouTube Policy সম্পর্কে অবশ্যই জেনে নেওয়া দরকার।

কিছু উদাহরণ হিসাবে ভিডিওতে কোনো রকম গান (যা নিজের নয়) দেওয়া চলবে না, অন্য কোনো YouTuber-এর ভিডিও কপি করে আপলোড করা চলবে না, কোনো Copyrighted ফটো বা ভিডিও নিজের ভিডিওর মধ্যে রাখা চলবে না ইত্যাদি ধরণের অনেক নিয়ম আছে যা ফলো করে চললে channel বরাবর কাজ করবে।

Thumbnil ডিজাইন আকর্ষণীয় বানাতে হবে :

কোথায় আছে যা দেখতে সুন্দর তার চাহিদা বেশি, এই কারণেই সমস্ত কোম্পানি তাদের প্রোডাক্টের পেকেজিংয়ের (Product Packaging) উপর এতো টাকা খরচ করে থাকে যা দেখতে আকর্ষণীয় হয় এবং তার চাহিদাও বেশি থাকে।

ঠিক সেই রকম YouTube এর ভিডিওর Thumbnil আকর্ষক বানানো দরকার যা দেখে Viewers ভিডিও তে ক্লিক করে। হাঁ একটা জিনিস. অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে ভিডিওর Content অনুসারেই Thumbnil Design করা দরকার তা নাহলে YouTube Policy ব্রেক হবে।

YouTuber-এর জন্য Thumbnil কিভাবে বানাবেন, কিভাবে Video Editing করবেন, কিভাবে YouTube Monetization-এর জন্য আবেদন করবেন এবং YouTube Earning-এর আরো খুঁটিনাটি এবং টিপস এখানে দেওয়া হবে তাই বাংলা ভূমি ওয়েবসাইট নজর রাখুন।

একজন ভালো YouTuber হতে গেলে কারো কোথায় কান না দিয়ে আর ধৈর্য রেখে অনবরত কাজ করে যেতে হবে তা না হলে এখানে কেউ নেই যে উঠতে সাহায্য করবে। #একটা খুব জরুরি কথা YouTube থেকে ভালো ইনকাম করা যায় এবং এটা দারুন একটা প্লার্টফর্ম কিন্তু ডিজিটাল ও অনলাইনের এই কাজ একেবারেই ক্যারিয়ার হিসাবে মেনে নেওয়া উচিত নয়, এখানে কাজ করা খুব ভালো কিন্তু তার সাথে নিজের ক্যারিয়ার নিয়েও সজাগ থাকতে হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top