তাৎক্ষণিক ই-প্যান কার্ড: প্যান কার্ড নিয়ে অনেক কথা আপনি শুনেছেন। হয়তো জেনেছেন ই-প্যান কার্ড কি, হয়তোবা ভেবেছেন কি হয় এই প্যান কার্ড দিয়ে, কিভাবে এই প্যান কার্ড পাওয়া যায়? কারা পেতে পারে এই প্যান কার্ড। আপনার যদি প্যান কার্ড নিয়ে বিস্তারিত জানা থাকে তাহলে আপনাকে আর এই কার্ড নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।
আপনি সহজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন, আপনি এই কার্ড পাবার যোগ্য কিনা অথবা যোগ্য হলে কিভাবে এই কার্ড পাওয়া যায়। এই আমাদের সবারই প্যান কার্ড নিয়ে জানা উচিত। জানা উচিত প্যান কার্ডের ফি কত? কিভাবে ই-প্যান কার্ডের আবেদন করতে হয়? তাই আমাদের উচিত এই কার্ড সম্পর্কে আগে থেকেই বিস্তারিত জেনে রাখা।
আমাদের বাংলাভূমি সাইটে আমরা নিয়মিতভাবে আপনাদের জন্য আর্থিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকি। এই মাধ্যমে আমরা আপনাদের বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা পাওয়া যায়, সহজেই আয়কর দেয়া যায় এমন সব বিষয় জানাতে পারি। এতে করে আপনারা খুব সহজেই এই সাইট থেকে আর্থিক নানা বিষয় জেনে নিতে পারেন।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা আপনাদের সাথে ই-প্যান কার্ড নিয়ে আলোচনা করবো। জানবো কিভাবে ই-প্যান কার্ডের আবেদন করতে হয়, ই-প্যান কার্ডের ফি কত, কি কি কাগজপত্র দরকার হয়। এতে করে আপনারা আজ ই-প্যান কার্ডের বিস্তারিত সব তথ্য জানতে পারবেন।
e-PAN Card কি?
ই-প্যান কার্ড বা e-PAN হলো পারমানেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বর (Permanent Account Number) এর সংক্ষেপিত রূপ। এই কার্ডে ১০ টি সংখ্যা দিয়ে একটি নাম্বার থাকে।
ছবিযুক্ত এই আইডি কার্ড ভারত সরকারের আয়কর বিভাগ দিয়ে থাকে। এই কার্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকের কার্যক্রম, ট্রেনের টিকেট কাটাহসহ নানা আর্থিক কাজে ব্যবহার করা যায়।
সেই সাথে এই ই-প্যান কার্ড আয়কর ফাঁকি দিচ্ছে কিনা, অবৈধ কোন আর্থিক লেনদেন করছে কিনা তা বুঝতে সহায়তা করে থাকে।
কারা পেতে পারে ই-প্যান কার্ড ?
ভারত সরকারের চালু করা এই ই-প্যান কার্ড নিতে কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা দরকার হয় না। যেকোন পেশার, যেকোন বয়সের, যে কোন আয়ের মানুষই এই প্যান কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারে। তবে কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এই e-PAN কার্ড নেয়া বাধ্যতামূলক।
১) করযুক্ত আয় করেন এমন ব্যাক্তি।
২) বিদেশে থাকেন এবং এই দেশে কর দেন।
৩) ব্যবসায়ী।
ই-প্যান কার্ডের জন্য কি কি কাগজপত্র জমা দিতে হয়?
আসুন দেখে নিই e-PAN কার্ডের জন্য কি কি কাগজপত্র জমা দিতে হয়।
১) পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
২) পরিচয়পত্রের কপি।
৩) ঠিকানা প্রমাণ করার জন্য বিদ্যুৎ বিল বা টেলিফোন বিলের কপি।
৪) ফি হিসেবে ১০৫ টাকার ড্রাফট।
ই-প্যানের জন্য অনলাইনে আবেদন পদ্ধতি
আসুন দেখে নিই, ই-প্যানের জন্য অনলাইনে আবেদনের জন্য কি কি ধাপ অনুসরণ করতে হয়।
১) প্রথমেই e-PAN এর ফি হিসেবে ১০৫ টাকা ডিডি বা চেক জমা দিতে হবে।
২) প্যানের জন্য আবেদন করতে https://tin.tin.nsdl.com/pan/form49A.html লিঙ্কে প্রবেশ করুন।
৩) সাইটে উল্লেখিত সকল তথ্য একে একে প্রদান করুন।
৪) সকল তথ্য দিয়ে সাবমিট করলে একটি নাম্বার আসবে। এই নাম্বার টি আপনার ই-প্যান নাম্বার। এই নাম্বার টি সংরক্ষন করে রাখুন।
৫) এবার একটি ফর্ম সামনে আসবে। এই ফর্মটি প্রিন্ট করে নিন।
৬) প্রিন্ট করা ফর্মে সকল তথ্য দিন।
৭) ফর্মের সাথে আপনার ছবি, আইডি কার্ডের কপি, ঠিকানার জন্য বিদ্যুৎ বিলের কপি, ১০৫ টাকা প্রদানের ড্রাফট সংযুক্ত করুন।
৮) সকল কাগজপত্র খামে ভরে নিম্নলিখিত ঠিকানায় ডাকযোগে পাঠিয়ে দিন।
“ইনকাম ট্যাক্স প্যান সার্ভিসেস ইউনিট, ন্যাশনাল সিকিউরিটিজ ডিপোসিটরি লিমিটেড, তৃতীয় তল, স্যাফায়ার চেম্বারস, ব্যানের টেলিফোন এক্সচেঞ্জের কাছে, ব্যানের, পুনে ৪১১০৪৫, মহারাষ্ট্র”।
আজ আমরা ই-প্যান নিয়ে বিস্তারিত জানতে পারলাম। এর ফলে আপনারা এই সংক্রান্ত সকল তথ্য সহজেই বুঝতে পারবেন, আমাদের সাইটের পরবর্তী লেখায় আপনাদের জন্য এই বিষয়ের উপর আরো বিস্তারিত লেখা থাকবে।
তাই আমাদের বাংলাভূমি সাইটে নিয়মিত চোখ রাখুন। এই লেখাটি অনেকের কাজে লাগতে পারে তাই লেখাটি যতটুকু সম্ভব শেয়ার করুন, যাতে করে অনেকে এই লেখা থেকে শিক্ষা নিয়ে আর্থিক নানা বিষয় সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন।
আরো অনেক লেখা পেতে আমাদের সাইটের অন্য লেখাগুলি দেখুন। আমাদের লেখা ভালো লাগলে বা যেকোন মন্তব্য আমাদের ফেসবুক পাতায় লিখুন। আমরা আপনার মন্তব্যের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবো।