ট্যাক্স ও পেনাল্টি ছাড়া ২.৫ লক্ষ টাকা ক্যাশ কিভাবে জমা করবেন?

ভারতট্যাক্স বাঁচিয়ে অনেকেই ইনকাম করেন, অনেকেই টাকা জমিয়ে রাখেন, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ট্যাক্স না দেয়ার ফলে আইনি সমস্যায় জড়িয়ে পড়েন বেশিরভাগ মানুষ। তবে এমনটা করা কোনো ভাবেই উচিত নয়। তবে যদি বলা যায় যে, ট্যাক্স এবং পেনাল্টি ছাড়া আপনি আড়াই লাখ টাকার বেশি ক্যাশ কিভাবে জমা করবেন !

বিমুদ্রাকরণ এর সাথে সাথে ভারতীয় নাগরিক দের বেশিরভাগ নাগরিক দের মধ্যে এই চিন্তা থেকেই যায় যে, যদি তাদের উপার্জিত অর্থ কালো ধন (কালো টাকা) হিসাবে যদি বন্ধ করা হয়। আর এই টাকা ব্যাংকে জমা করার জন্য যদি ট্যাক্স লাগানো হয়ে থাকে, তাহলে অনেক সমস্যা তৈরি হতে পারে। এমনটা ভেবে থাকেন বেশির ভাগ জনগণ।

নভেম্বর 9 তারিখ থেকে ডিসেম্বরের 30 তারিখ পর্যন্ত সরকার নগদ টাকা জমা করার সর্বোচ্চ 2.5 লাখ টাকা পর্যন্ত সীমা নির্ধারিত করেছে। যা কিনা আয়কর বিভাগ ধারা দ্বারা, অনুসন্ধান পড়ার কোন বিষয় নেই। আর যদি নগদ টাকা আড়াই লাখ টাকার বেশি হয়ে থাকে।

ট্যাক্স ও পেনাল্টি ছাড়া ২.৫ লক্ষ টাকা ক্যাশ কিভাবে জমা করবেন?
ট্যাক্স ও পেনাল্টি ছাড়া ২.৫ লক্ষ টাকা ক্যাশ কিভাবে জমা করবেন?

তাহলে ব্যাঙ্ক অথবা ডাকঘর স্ব-চালিত রূপে আয়কর বিভাগ কে এর নোটিশ দিয়ে দেবে। চালু একাউন্টের জন্য 9 নভেম্বর থেকে 30 শে নভেম্বর এর মধ্যে নগদ টাকা জমা করার সীমা সর্বোচ্চ 2.5 লাখ টাকা অবশ্যই হওয়া টা প্রয়োজন।

আর যদি কোনো নাগরিকের কাছে 2.5 লাখ টাকার বেশি নগদ টাকা থেকে থাকে ব্যাংকে, ব্যাংকে জমা করার জন্য সে ক্ষেত্রে সেই নগদ টাকা ব্যাংকে কোনভবে জমা করতে পারবেন না, তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করা হবে আয়কর বিভাগ দ্বারা।

আবার অনেকে এই বিষয়ে এতটাই জানেন যে এমনটাও বলতে শোনা যায় জাদুই সংখ্যা অর্থাৎ 2.5 লাখ টাকা (2.5)  এটি হলো জাদুই সংখ্যা। অর্থাৎ আপনি যত টাকাই উপার্জন করুন না কেন, সে ক্ষেত্রে যদি ট্যাক্স বাচাতে চান, তাহলে ব্যাংকে যখন টাকা জমা করবেন তখন এই 2.5 লাখ টাকার নিচে অথবা 2.5 লাখ টাকা জমা করতে পারেন।

সে ক্ষেত্রে আয়কর বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবেন না। তবে এই কথা অথবা এই প্রচলিত কথাটি একেবারেই সত্যি নয়। এটা কিন্তু একটি মিথ্যে রটনা বলতে পারেন।

এই এমাউন্ট অথবা 2.5 লাখ টাকা আয় করার সবথেকে নিম্নতম সীমা বলতে পারেন, কিন্তু আপনার অতিরিক্ত উপার্জনের সমস্ত রকম তথ্য ব্যাংকে পরিষ্কার ভাবে জানাতে হবে। যেটা আইন অনুযায়ী এবং ব্যাংক অনুযায়ী হতে হবে।

যদি আপনি একজন বেতনভুক্ত কর্মচারী হয়ে থাকেন এবং তার সাথে সাথে গৃহিণী হয়ে থাকেন তাহলে যে সেভিং টা আপনি করছেন বছরে, সেই অ্যামাউন্ট ব্যাংকের নিয়ম অনুসারে ব্যাংকে জমা করতে পারেন।

এক্ষেত্রে আপনার জমা করা অ্যামাউন্ট আপনার জীবন শৈলী অথবা জীবন সাথীর জীবন শৈলী সম্পর্কে সমস্ত রকম তথ্য জানাতে হবে। তারপরে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, এই এমাউন্ট জমা করবেন কিনা। আবার অন্য দিকে দেখতে গেলে এই এমাউন্ট ব্যবহার্য অথবা বিশ্বাস্যনীয় আছে কি না সে বিষয়ে।

আয়কর বিভাগের যে উকিল বলছেন সে উকিলের পরামর্শ নিতে পারেন, উকিল নির্বাচন করে আপনার জমানো নগদ টাকা ব্যাংকে জমা করতে পারেন।

এছাড়া আয়কর বিভাগ থেকে এই সম্বন্ধে বিভিন্ন রকমের তথ্য জানতে পারেন। জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন, তার সমস্ত রকম জবাব নিয়েই তবে কিন্তু এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

আয়কর বিভাগ অনুসারে সমস্ত রকম আইনি পরামর্শ মেনে তবেই কিন্তু আপনি নগদ টাকা জমা করতে পারেন ব্যাংকে। এছাড়া ব্যাংকের সমস্ত রকম নিয়ম যদি আপনি মান্য করে থাকেন তাহলে কোন রকম অসুবিধার কারণ হতেই পারে না।

তাছাড়া আপনার উপার্জনের সমস্ত রকম তথ্য যদি আয়কর বিভাগ দ্বারা বৈধ হিসেবে গণ্য করা হয়, তাহলে এই এমাউন্ট টাকা ব্যাংকে জমা করতে কোন রকম অসুবিধা হবে না আশা করা যায়।

প্রতিটি ব্যক্তি চাইবেন যে, তার উপার্জন সম্পূর্ণ বৈধ হিসেবে গণ্য করা হোক। কেননা আইনি ঝামেলায় পড়তে কখনোই কেউ চাইবেন না। সেই কারণে বেশিরভাগ মানুষ তাদের উপার্জনের সমস্ত রকম তথ্য গুলি দিয়ে তার নগদ জমা দেওয়ার জন্য ব্যাংকে যে সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয় সেগুলি অনায়াসেই গ্রহণ করে থাকেন।

ট্যাক্স এর বিষয়ে পরিবারের সদস্য এর সুরক্ষা প্রদানের জন্য আলোচনার থেকে যদি কোনরকম সমস্যা তৈরি হয়। তাহলে সমস্ত সমস্যাটি শুধুমাত্র সেই একজন ব্যক্তির উপরেই নির্ধারিত থাকে না। সে সমস্ত পরিবারের উপর এসে ঝুট ঝামেলা চলে আসে। সেই কারণে বেশিরভাগ মানুষ ট্যাক্স এর মধ্যে দিয়ে নিজের উপার্জনের টাকা কে বৈধ হিসেবে সংরক্ষিত করে থাকেন।

নগদ হিসাবে ক্যাশ টাকা সর্বনিম্ন পরিমাণ জমা করার জন্য সেটা হল 2.5 লাখ টাকা। তবে এর বেশি হলে আয়কর বিভাগের সম্পূর্ণরূপে অনুসন্ধান প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সেই টাকা ব্যাংকে জমা করতে হবে। তার জন্য বেশ অনেকটা সময় ও তার সাথে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়।

একটি ব্যক্তি একের অধিক উপার্জনের ক্ষেত্র থাকতেই পারে। সেই কারণে উপার্জনের থেকে টাকা নগদ হিসাবে জমা করার জন্য অথবা সেভিং করার জন্য সেভিং একাউন্টে নগদ টাকা জমা করতে গেলে আয়কর বিভাগের সমস্ত রকম নিয়ম মেনে চলাটা জরুরি। তার সাথে ব্যাংকের নিয়ম গুলি রয়েছে সেগুলি পরপর মান্য করার সাথে সাথে এই টাকা ব্যাংকের জমা করতে পারবেন।

তা না হলে আপনাকে সেই নগদ টাকা নিয়ে ঘরে ফিরে আসতে হবে এবং তার বিরুদ্ধে আরো অন্যান্য আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হতে পারে। যদি আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রমান পত্র না দেখাতে পারেন তো।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top