গতিধারা প্রকল্প 2023: যুবক-যুবতীদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি দুর্দান্ত প্রকল্প

গতিধারা প্রকল্প: যুবক-যুবতীদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি দুর্দান্ত প্রকল্প
গতিধারা প্রকল্প: যুবক-যুবতীদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি দুর্দান্ত প্রকল্প

প্রকল্পের নাম : গতিধারা প্রকল্প

প্রকল্পের দপ্তর বা বিভাগের নাম : পরিবহণ দপ্তর

এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য কি :

কর্মহীন এবং এমপ্লয়মেন্ট ব্যাংকে নথিভুক্ত যুবক-যুবতীদের নিজের পায়ে দাঁড়ানো অর্থাৎ স্বনিযুক্তির একটি প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। বিশেষ করে, পরিবহণ ক্ষেত্রে যাঁরা স্বাবলম্বী হতে চান, তাঁদের কাছে আজ দারুণ সুযোগ।

বাণিজ্যিক গাড়ি কেনার অর্থের বেশ কিছুটা জোগান দিচ্ছে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পের আওতায় গাড়ি কিনলে পরিবহণ দপ্তরের সহায়তায় পারমিট পেতেও অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

মূল উদ্দেশ্য, রাজ্যের গ্রামীণ এবং শহর এলাকায় পরিবহণ দপ্তরের ‘গতিধারা’ প্রকল্প প্রসারিত করে কর্মহীন যুবক-যুবতীদের স্বনির্ভর করে তোলা।

পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ কাঠামো উন্নয়ন নিগম, এই প্রকল্পের কার্যকরী এজেন্সি হিসেবে কাজ করছে। শারীরিকভাবে পিছিয়ে থাকা যুবক-যুবতীরাও এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। ২০১৫-র সেপ্টেম্বর থেকে এই প্রকল্প শ্রম দপ্তর থেকে পরিবহণ দপ্তরের হাতে এসেছে।

গতিধারা প্রকল্প
গতিধারা প্রকল্প

যে কোনও বাণিজ্যিক গাড়ি কিনলেই রাজ্য সরকার গাড়ির মোট দামের ৩০ শতাংশ অথবা সর্বোচ্চ ১ লক্ষ টাকা অনুদান বা ভরতুকি হিসেবে দেবে এবং এই অর্থফেরত দিতে হবে না। অর্থাৎ গাড়ির মোট দামের ৩০ শতাংশ দিচ্ছে রাজ্য। ওই উদ্যোগীকে নিজেকে কিছু অর্থের জোগান দিতে হবে।

সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, গ্রামীণ ব্যাংক এবং সমবায় ব্যাংক ছাড়াও প্রকল্পের তালিকাভুক্ত ১৩টি নন ব্যাংকিং ফিনান্স কর্পোরেশন (NBFC) থেকে গতিধারা প্রকল্পের জন্য আর্থিক সাহায্য পাওয়া যাবে। এই গাড়ি কিনতে যা ভরতুকি দিতে হবে, সমস্তটাই দিচ্ছে রাজ্যের পরিবহণ দপ্তর।

বর্তমানে ‘গতিধারা’ প্রকল্প রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় এবং কার্যকরী প্রকল্প। এর লোগো কর্মহীন যুবক/ যুবতীদের মধ্যে এই প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার জন্য আরও বেশি উদ্দীপনা জোগাচ্ছে।

এই প্রকল্পে করা আবেদন করতে পারবে :

যে কোনও বছরের ১ এপ্রিলের হিসেবে ওই যুবক/ যুবতীর বয়স ২০ বছরের বেশি, কিন্তু ৪৫ বছরের কম হতে হবে। তবে তপশিলি জাতি ও আদিবাসী এবং ওবিসি–দের ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমায় যথাক্রমে ৫ বছর ও ৩ বছরের ছাড় থাকবে।

ওই যুবক/ যুবতীকে কর্মহীন হিসেবে এমপ্লয়মেন্ট ব্যাংকে নথিভুক্ত হতে হবে। পারিবারিক মাসিক আয় ২৫ হাজার টাকার বেশি হবে না। ‘যুবশ্রী’ প্রকল্পে যাঁরা সরকারি সুযোগ-সুবিধে পেয়েছেন, তাঁরাও আবেদনের যোগ্য।

গতিধারা–র আর্থিক সাহায্য পাওয়ার পরই যুবশ্রী প্রকল্পে প্রাপ্ত ভাতা বন্ধ হয়ে যাবে। গতিধারার সুবিধা রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তিক মানুষের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বর্তমানে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে— আবেদনপত্রের সঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সুপারিশ কাঙ্ক্ষিত।

কোথায় করতে হবে যোগাযোগ :

জেলার ক্ষেত্রে আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক (RTO)-এর অফিস এবং রাজ্য স্তরে পারমিটের জন্য স্টেট ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (STA)–র বিভিন্ন আঞ্চলিক (কলকাতা, শিলিগুড়ি ও দুর্গাপুর) অফিসে আবেদন বা যাবতীয় প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে হবে।

আশা করি আমাদের এই তথ্য আপনাদের সাহায্য করবে, যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই সকলের থাকে শেয়ার করবেন। আর এই ধরণের আরো তথ্যের জন্য নজর রাখবেন আমাদের ওয়েবসাইটে। ধন্যবাদ

1 thought on “গতিধারা প্রকল্প 2023: যুবক-যুবতীদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি দুর্দান্ত প্রকল্প”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top