ঘরোয়া হিংসা বা ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স এর মামলা করার প্রক্রিয়া

Filing a Domestic Violence Lawsuit in Bengali: ঘরোয়া হিংসা বা ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স এর মামলা করার আইনি প্রক্রিয়া | ঘরোয়া হিংসার জন্য আইনি পদ্ধতি ও জরুরি নিয়ম | আসুন জেনে নিন ঘরোয়া হিংসা হলে কি করবেন? কিভাবে আইনি মামলা করবেন এবং অনান্য জরুরি তথ্য।

ঘরোয়া হিংসা অথবা ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স এমন একটি বিষয়, যা কিছু পরিবারের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। সেটা উৎপন্ন হতে পারে কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা কোন মহিলাকে নিয়ে। বলা যেতে পারে কোন ঘরে বিভিন্ন রকম সদস্যের বিভিন্ন রকমের খারাপ ব্যবহার প্রকাশ পাওয়া, এমনকি ঘরোয়া শোষণ এই পর্যায় এ পড়ে থাকে। সেটাও কোন মেয়ের শ্বশুরবাড়ি হতে পারে অথবা নিজের পরিবারের মাতা পিতা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্য দ্বারা নিপীড়িত হতে পারে।

ঘরোয়া হিংসা অথবা ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স কি?

ঘরোয়া হিংসা যে কোনো রকমের ব্যবহারকে ঘিরে তৈরি হয়। বিশেষ করে পরিবারের সদস্যদের সাথে কোন নারী সঠিকভাবে যদি মিশে যেতে না পারেন, তার মধ্যে কিছু অত্যাচার লক্ষ্য করা যায় সেটাও কিন্তু এই ঘরোয়া হিংসার মধ্যেই পড়ে। তার সাথে সাথে শোষণ, নিপীড়ন, এবং আরো অন্যান্য বিষয় শামিল আছে।

ঘরোয়া হিংসা বা ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স এর মামলা করার প্রক্রিয়া
ঘরোয়া হিংসা বা ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স এর মামলা করার প্রক্রিয়া

ঘরোয়া হিংসা অধিনিয়ম 2005 অনুসারে বাস্তবিক রূপে কারো উপরে দূর উপযোগী হুমকি, শারীরিক নির্যাতন, যৌন নির্যাতন, মানসিক নির্যাতন, তার সাথে সাথে আর্থিক বিষয়টাও শামিল রয়েছে।

যেখানে বলা যেতে পারে কোন মহিলা বিবাহের পর শশুর বাড়িতে যাওয়ার পরে বে-আইনিভাবে তার উপরে যৌতুক নিয়ে  বিভিন্ন রকমের অত্যাচার তার উপরে চালানো হয়। সেক্ষেত্রে সে মহিলার শারীরিক স্বাস্থ্য, মানসিক স্বাস্থ্য তার সুরক্ষা, জীবনযাপন, সবকিছু বিপদের মুখে পড়তে পারে।

রাষ্ট্রীয় পরিবার স্বাস্থ্য সর্বক্ষণ (NFHS) অনুসারে আনুমানিক ভাবে ৩৭ শতাংশ ভারতীয় মহিলা তাদের জীবন যাত্রায় শারীরিক নির্যাতন, যৌন নির্যাতন, মানসিক নির্যাতনের এই হিংসার অনুভব করেছে বলে জানা গিয়েছে। তাছাড়া প্রায় ৭৫% মহিলা যারা ঘরোয়া হিংসার ক্ষেত্রে দুর্ব্যবহারের চরম পরিণতির শিকার হয়েছেন।

এমন অনেক মহিলা রয়েছেন যারা এর বিরুদ্ধে কোনো রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নি। চুপচাপ মুখ বুজে সব কিছু সহ্য করেছেন, কোন পুলিশ সংগঠন অথবা অন্য কোনো ব্যক্তিকে এ বিষয়ে না জানিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন, এমন মহিলার সংখ্যা নেহাত কম নয়।

ভারতে ঘরোয়া হিংসার জন্য আইন:

ভারতে এমন ঘটনা অনবরত হয়েই চলেছে। এর কঠোর বাস্তবিক রূপ আমরা অনেকেই লক্ষ্য করি। প্রতিদিন খবরের কাগজে এমন ঘটনা প্রায়ই লক্ষ্য করা যায়।

এই বিষয়ের উপর আলোকপাত করে যাতে ঘটনা কমিয়ে আনা যায় এবং বন্ধ করা যায়, তার জন্য আইন অনুসারে শাস্তি জারি করা হয়েছে, সে বিষয়ে নিচে আলোচনা করা হলো:-

১) ভারতীয় দণ্ডবিধি 1860 অনুসারে:

ভারতে সবথেকে বেশি প্রভাব বিস্তার করা বাস্তবিক অপরাধমূলক আইন আছে। মহিলাদের প্রতি খারাপ ব্যবহার থেকে শুরু করে আইন-বিধি তে আরো বেশ কিছু বিষয় উপলব্ধ আছে। এমনই একটি সংশোধন বর্ষ 1983 এ করা হয়েছিল।

যেখানে যার মাধ্যমে আই পি সি তে একটি বিশেষ ধারা, 498 ধারা অনুসারে সংযুক্ত করা হয়েছিল। ধারা 498 বিশেষ রূপে বিবাহিত মহিলাদের প্রতি খারাপ ব্যবহার করেছে, যেখানে এমন ব্যবহার করে থাকেন সেই মহিলার স্বামী অথবা স্বামীর পরিবারের অন্যান্য সদস্য।

সবথেকে বেশি অত্যাচারিত হতে হয়েছে টাকা-পয়সার বিষয় নিয়ে অর্থাৎ সেই মহিলাকে তার বাপের বাড়ি থেকে টাকা এবং আরো অন্যান্য জিনিসপত্র যৌতুক স্বরূপ নিয়ে আসার জন্য চাপ দেওয়া হয়।

এক্ষেত্রে এই সমস্ত বিষয় নিয়ে যদি কোনো মহিলাকে অত্যাচার করা হয়, তাহলে সেই মহিলা কে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয় বলতে গেলে। এছাড়াও তার শারীরিক নির্যাতনের মধ্যে দিয়ে বিশেষভাবে চোট পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

যে কোন সম্পত্তি অথবা যে কোন মূল্যবান জিনিস এর সুরক্ষা প্রদানের জন্য কোনরকম বে-আইনি চাওয়া-পাওয়া পূরণ করার জন্য সেই মহিলার সাথে অনেকেই জোর জবরদস্তি করে থাকেন।

২) ঘরোয়া হিংসা অথবা ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স অধিনিয়ম 2005 থেকে মহিলাদের সংরক্ষণ:

2006 অক্টোবর মাসে জারি করা হয়েছে এই আইন। ঘরোয়া হিংসা অধিনিয়ম 2005 থেকে মহিলাদের সুরক্ষা অপরাধমূলক প্রভাব থেকে তাদেরকে রক্ষা করার জন্য, তাদেরকে বাঁচানোর জন্য একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যে সমস্ত মহিলা ঘরোয়া হিংসার শিকার হয়ে যান, আইন অনুসারে তাদের বিভিন্ন রকম ভাবে সুরক্ষা প্রদান করা হয়ে থাকে।

এই অধিনিয়ম বিবাহের বাইরে সম্পর্কের মধ্যেও শামিল হয়ে থাকে। এর একটাই উদ্দেশ্য হলো পরিবারের আরও অন্যান্য মহিলা সদস্যদেরও রক্ষা করা। যেমন ধরুন মা, অবিবাহিত মেয়ে, বোন ইত্যাদি।

প্রথম বারেই অধিনিয়ম এ ঘরোয়া হিংসাকে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার সাথে সাথে মানসিক অত্যাচার, আর্থিক দুর্ব্যবহার, শারীরিক নির্যাতন, যৌন নির্যাতন ও শামিল রয়েছে এই ঘরোয়া হিংসা অথবা ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের মধ্যে।

এই অপরাধের বিরুদ্ধে যে মহিলা ভুক্তভোগী সেই মহিলা এবং সেই মহিলার কোন আত্মীয়-স্বজন এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতেই পারেন। তার সাথে সাথে পরিষ্কার রূপে বর্ণনা করতে হবে তার ওপরে কেমন ধরনের অত্যাচার চালানো হয় এবং কাদের দ্বারা এমন অত্যাচারিত হয়ে আসছেন তিনি।

এরমধ্যে যুক্ত রয়েছে যদি কোন মহিলা লিভ ইন রেলেশনশিপ থেকে থাকেন তারপরে এমন অত্যাচারিত হয়ে থাকেন, তাহলে কিন্তু তিনিও অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। এমন অত্যাচারের বিরুদ্ধে সুরক্ষা পাওয়ার জন্য মহিলাদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

যা কিনা আইন ভঙ্গ করার জন্য সেই মহিলার স্বামী এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা যেতে পারে এবং মামলা চালানোর যেতে পারে। এর সাথে সাথে শামিল, যে সমস্ত মহিলা সদস্য রয়েছেন তাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা যেতে পারে।

ঘরোয়া হিংসা অথবা ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের মামলা শুরু করবেন কিভাবে, তার প্রক্রিয়া:

A) প্রটেকশন অফিসার কে জানাতে পারেন:

একজন প্রোটেকশন অফিসার কে এই সমস্ত বিষয় সম্বন্ধে সমস্ত কিছু জানাতে পারেন। পীড়িত মহিলাকে এ সমস্ত বিষয় থেকে রক্ষা করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা নোটিশ দেওয়া যেতে পারে, সেই পরিবারকে।

B) সংরক্ষণ আধিকারিক দ্বারা একটি ঘরোয়া ঘটনার রিপোর্ট তৈরি করা:

সংরক্ষণ আধিকারিক এই রিপোর্ট ম্যাজিস্ট্রেটকে দিয়ে থাকেন। যদি কোন নিপীড়িত মহিলা ইচ্ছা প্রকাশ করেন যে, এই রিপোর্ট যেন খুবই ভালভাবে  সংরক্ষণ করতে পারে।

C) রায় ঘোষণার প্রথম তারিখ নির্ণয় করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট:

এই বিষয়ে রায় ঘোষণার তারিখ ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা নির্ধারিত করা যেতে পারে। যা সাধারণত তিন দিনের বেশি হয় না। ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা এই আবেদন আর ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারাও প্রথম রায় থেকে ৬০ দিনের মধ্যে আবেদন কে সম্পূর্ণরূপে কাজে লাগানোর লক্ষ্য থাকে।

D) উত্তরদাতাকে নোটিশ:

ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা প্রথম রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারিত হওয়ার সাথে সাথে সংরক্ষণ। আধিকারিক কে একটি নোটিশ পাঠানো হবে। যার পর কার্যালয় কে নোটিশ দেওয়া ব্যক্তি কে প্রাপ্তির তারিখ থেকে দুই দিনের মধ্যে নোটিশ দিতে হবে।

E) ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে উপলব্ধ অন্য বিকল্প:

পীড়িত ব্যক্তি অথবা প্রতিবাদী ব্যক্তি কে সেবা প্রদানের জন্য সমস্ত রকম সদস্যের সাথে পরামর্শ করে আলাদাভাবে কিছু পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে সেই ব্যক্তিকে। যে ব্যক্তি ওই পরিবারের কল্যাণ এর প্রচার এর সাথে কাজ করে থাকেন। এছাড়া ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা নিজের কাজ কে নিবেদন করার জন্য সাহায্য চাওয়া যেতে পারে।

F) আর এস এস নিয়ম লঙ্ঘন:

এই মামলাতে ম্যাজিস্ট্রেট তারা যে আদেশ দেওয়া হয়েছিল প্রতিবাদের দ্বারা ভঙ্গ করা হয়, সেক্ষেত্রে এই অধিনিয়ম অনুসারে এক বছরের শাস্তি হতে পারে। তার সাথে সাথে কুড়ি হাজার (২০,০০০) টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হতে পারে।

G) আপিলের অধিকার:

ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা দেওয়া আদেশ কে বেছে নেওয়ার জন্য ৩০ দিনের মধ্যে আপিল এর মাধ্যমে নির্বাচন অথবা বেছে নিতে পারবেন যা কিনা আদালতে সামনে আপিল দায়ের করা যেতে পারে।

৩) বিবাহ যৌতুক নিষেধ অধিনিয়ম 1961:

বিবাহ যৌতুক নিষেধ অধিনিয়ম 1961 ও একটি আইন, যা কিনা যৌতুক দেওয়ার ব্যক্তি এবং যৌতুক নেওয়ার ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং তাদের শাস্তি দেওয়া হয়। যোগ্য মত এই প্রকার আইন অনুসারে মহিলাদের এই সমস্ত ঘরোয়া হিংসার বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করা যেতে পারে।

অধিনিয়ম অনুসারে যদি কোন ব্যক্তি যৌতুক চেয়ে থাকেন অথবা নিয়ে থাকেন তাহলে ছয় মাসের জেল হতে পারে তার সাথে সাথে বেশ ভালো এমাউন্টের জরিমানা লাগানো যেতে পারে তার ওপর।

যদি আপনি ঘরোয়া হিংসা অথবা ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের শিকার হয়ে থাকেন তাহলে কি করবেন?

এমন ঘটনাও যে কোন মহিলার সাথে হতে পারে। সেখানে শারীরিক নির্যাতন, যৌন নির্যাতন, মানসিক নির্যাতন এবং তার সমস্ত রকম অধিকার থেকে তাকে বঞ্চিত করা। বলতে গেলে এক কথায় তার বেঁচে থাকার জন্য যে সমস্ত জিনিসপত্র প্রয়োজন তা থেকে তাকে বঞ্চিত করে প্রতিনিয়ত অত্যাচারিত করলে, বে-আইনী কাজ করতে বাধ্য করলে, সে ক্ষেত্রে সেই মহিলা ওই সমস্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে পারেন।

এটা খুব একটা সহজ কাজ হবে না যদিও, তবুও কিন্তু সাহস রেখে আপনাকে এমন টা করতে হবে। এর বিরুদ্ধে আপনাকে বিচার চাইতে হবে। না হলে আত্মহত্যার মত পথ বেছে নেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না, তবে আত্মহত্যা করা কোন সমস্যার সমাধান নয়।

এক্ষেত্রে আপনার আত্মীয় স্বজনের সাথে যোগাযোগ করুন। প্রথম পদক্ষেপ অনুসারে তারপর পুলিশের সাথে যোগাযোগ করুন। এর সাথে সাথে ঘরোয়া হিংসা অথবা ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের বিষয়ে দক্ষ একজন উকিলের সাথে যোগাযোগ করুন এবং নিযুক্ত করুন।

এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে মামলা চালানোর জন্য সমস্ত রকম অত্যাচার রিপোর্ট, শারীরিক, মানসিক, যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে মেডিকেল রিপোর্ট, সবকিছু জোগাড় করে রাখাটাও আপনার কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। কেননা আদালতে বিচার চলাকালীন এগুলি আপনাকে অনেকটাই সহযোগিতা করবে প্রমাণ হিসেবে।

আর যদি কোন পীড়িত মহিলা লিখিত অভিযোগ দায়ের করার জন্য, এফ আই আর (FIR) এর জন্য শারীরিক ভাবে যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে কোনোভাবেই সুস্থ নন অথবা পায়ে হেঁটে এসে পুলিশের কাছে জানাতে না পেরে থাকেন তাহলে খুব শীঘ্রই পুলিশ হেল্পলাইন নাম্বার অথবা 100 নাম্বার ডায়াল করতে পারবেন ঘরে থেকেই।

একবার এমন অভিযোগ পুলিশের কাছে ডায়েরি করার পর এটিকে খুবই তাড়াতাড়ি গুরুত্ব দেয়া হবে এবং এর বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হবে। একটি F.I.R. অথবা পুলিশ অভিযোগ দায়ের করা সবচেয়ে প্রথম পদক্ষেপ হবে আপনার সুরক্ষার জন্য।

ঘরোয়া হিংসা অথবা ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য একটি উকিলের সাহায্য নিতে পারেন:

আইন হিসেবে যদি কোনো বিচার পেতে চান তাহলে একজন দক্ষ উকিল আপনাকে অনেকখানি সহযোগিতা করতে পারে। আপনি একা কখনোই এই লড়াই লড়তে পারবেন না। এই বিষয়ের ক্ষেত্রে ঘরোয়া হিংসা অথবা ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স, ডিভোর্স এর উকিল এর সাহায্য নিতে পারেন।

সম্পূর্ণরূপে আইনি কার্যকারিতার মধ্যে দিয়ে আপনার এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে অনায়াসেই। তবে হ্যাঁ, যে সমস্ত বিষয়গুলি আপনাকে বলতে হবে, সেগুলি সম্পূর্ণ রূপে উকিলকে জানানোর প্রয়োজন। কোন বিষয় লুকানো চলবে না।

কেননা উকিল আপনার বয়ানের উপর ভিত্তি করে মামলা চালাবেন। সেদিকটা অবশ্যই খেয়াল রাখবেন। তাহলে সেই উকিল আপনাকে প্রতি পদক্ষেপে সহযোগিতা করতে পারবেন খুবই ভালভাবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top