Chaitra Navratri 2024: চৈত্র নবরাত্রির উপবাসে খাওয়া নিয়ে এই ভুলগুলি করবেন না

চৈত্র নবরাত্রির উপবাস: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ, প্রতিটি পূজা পার্বণ বিশেষ বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। প্রতিটি উৎসবে কিছু বিধি-নিষেধ, নিয়ম রয়েছে। যেগুলি মেনে চললে খুবই শুভ ফল লাভ করা যায়।

হিন্দু চন্দ্র ক্যালেন্ডার অনুসারে চরিত্র নবরাত্রি বসন্ত নবরাত্রি নামেও পরিচিত অনেকের কাছে। চৈত্র নবরাত্রি ঋতু পরিবর্তনের একটি বিশেষ সময় বলা যায়।

একইভাবে নবরাত্রি ও শীতকালে অর্থাৎ মাঘ মাসে, বর্ষাকালে বা আষাঢ় মাসে, শরৎকালে বা আশ্বিন মাসে, যেটা শারদীয়া নামে পরিচিত এইভাবে পালিত হয়। তবে চৈত্র নবরাত্রী ও শারদীয়া নবরাত্রি বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

চৈত্র নবরাত্রির উপবাসে খাওয়া নিয়ে এই ভুলগুলি করবেন না
চৈত্র নবরাত্রির উপবাসে খাওয়া নিয়ে এই ভুলগুলি করবেন না

চৈত্র নবরাত্রিতে অনেকে উপবাস পালন করে নিজের মনের ইচ্ছা ঈশ্বরের কাছে জানিয়ে থাকেন। আধ্যাত্মিক সুখের সন্ধানের পাশাপাশি ভক্তরা পরিবর্তিত আবহাওয়ার পরিস্থিতির সাথে নিজেদের কে মানিয়ে নিতে এই উপবাস পালন করে থাকেন।

অর্থাৎ বলা যেতে পারে নবরাত্রির সময় খাওয়া-দাওয়ার উপরে একটি বিশেষ বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয় এবং এই বিষয়ে জোর দেওয়া হয়। চৈত্র নবরাত্রির আগে ব্রত করার নিয়ম সম্পর্কে অনেকেই হয়তো জানেন না।

চৈত্র নবরাত্রি ব্রতর নিয়ম:

তো চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক, চৈত্র নবরাত্রি ব্রতর নিয়ম সম্পর্কে:

১. প্রথমত এই দিন খুবই ভোরে উঠে স্নান করতে হবে, মা দুর্গার আবাহন করতে হবে এবং এর সাথে সাথে ব্রতর সংকল্প করতে হবে।

২. যারা এই দিন উপবাস পালন করবেন, সেই সমস্ত ভক্তদের অবশ্যই ব্রহ্মচর্য পালন করতে হবে।

৩. এর পাশাপাশি ধ্যান করতে পারেন, দেবীর মাহাত্ম্য পড়ুন, মা দুর্গার অর্থাৎ নবদুর্গার নয়টি রূপের প্রতিটি রূপের বর্ণনা শুনুন, আর প্রতিটি রূপের প্রতি উৎসর্গ করুন শ্লোক, মন্ত্র ও স্তত্র গুলি জপ করুন।

৪. এই সময় কোনোভাবেই আমিষ, পিঁয়াজ, রসুন, গম, চাল এবং মাংস খাওয়া যাবে না।

৫. এর পাশাপাশি এমন অনেক খাবার খাওয়া যাবেনা যেগুলি শরীরের তাপ উৎপন্ন করতে পারে, এমন ধরনের মসলা অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে। যেমন ধরুন ও হলুদ, এটি তাপ তৈরি করে বলে ব্যবহার করা যায় না।

তার পাশাপাশি হিং, ধনিয়া, গরম মসলা, রাই বা সরিষা, লবঙ্গ ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না। জিরা, কালো মরিচ এবং সিন্ধক লবণ ব্যবহার করতে পারেন।

৬. উপবাস পালনকারী সকল ভক্তরা তাদের ব্রত করার পাশাপাশি খাদ্যে সিংহারা, কুট্টু, সাবুদানা, শামা, এগুলি অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন অনায়াসেই, এছাড়াও দুধ ও ফলমূল খাওয়া যেতে পারে।

৭. তবে কোনোভাবেই নেশা জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করা যাবে না। তামাক এবং অ্যালকোহল সেবন করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ, নবরাত্রীর অর্থাৎ চৈত্র নবরাত্রীর এই নয় দিনব্যাপী।

চৈত্র নবরাত্রিতে কি করা উচিৎ আর কি উচিৎ নয়, জেনে নিন

চৈত্র নবরাত্রির উপবাসে কোন কোন খাবার গুলি এড়িয়ে যাবেন:

আরো বিস্তারিতভাবে জানা যাক চৈত্র নবরাত্রীর উপবাসে আপনি কোন কোন খাবার গুলি একেবারে এড়িয়ে যাবেন:

অতএব আপনি ব্রত পালন করছেন তাই আপনাকে খাবার-দাবারের উপরে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। কোন খাবারের উপাদান গুলি গ্রহণ করা উচিত আর কোনগুলি উচিত নয়, সেগুলি সম্পর্কে জেনে রাখাটা আপনার জন্য বাঞ্ছনীয়।

নবরাত্রির ব্রত পালন করার সময় আপনাকে অবশ্যই কিছু খাদ্য উপাদান গুলি এড়িয়ে চলতে হবে। যদি নবরাত্রির ব্রত পালন করেন তবে আপনার অবশ্যই এই সমস্ত খাবার গ্রহণ করা যাবে না।

যেমন ধরুন পেঁয়াজ, রসুন, চাল, গম, মসুর ডাল, ডিম, মাংস, মসলা, যেমন হলুদ, ধনিয়া, হিং, গরম মসলা, সর্ষে, লবঙ্গ ইত্যাদি। এর পাশাপাশি সাধারণ লবণটাও কিন্তু আপনাকে এড়িয়ে যেতে হবে। পরিবর্তে সন্ধ্যক লবণ বা রক সল্ট ব্যবহার করতে পারেন।

সরিষা বা তিলের মত তেল ও আপনাকে বাদ দিতে হবে। তার পরিবর্তে পিনাট বাটার অথবা ঘি ব্যবহার করতে পারেন। এই সময় কোনভাবেই নেশা জাতীয় দ্রব্য বা পানীয় গ্রহণ করা যাবে না।

চৈত্র নবরাত্রিতে এই কাজগুলি ভুলেও করবেন না

চৈত্র নবরাত্রির উপবাসের গ্রহণযোগ্য খাবারগুলি:

যে খাবারগুলি আপনি গ্রহণ করতে পারেন এই চৈত্র নবরাত্রির উপবাস পালনে: 

যেহেতু আপনি চৈত্র নবরাত্রীর ব্রত পালন করছেন তাহলে যেগুলি আপনার জন্য বারণ থাকবে না সেগুলি হল খুবই সাধারণ খাবার। যেগুলি আপনার শরীরের বিষাক্ত পদার্থ গুলি অপসারণ করতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

সেগুলি হলো কালো গোল মরিচ, জিরা, সাবুদানা, মাখনা, কুট্টু, সামা, রাজগিরা, চিনা বাদাম, দুধ, দই, ফল ও শাকসবজি, আলু, কাঁচা কলা, শুকনো ফল এবং বাদাম।

নবরাত্রির ব্রত পালন করার সময় আপনাকে অবশ্যই কিছু খাদ্য উপাদান গুলির বিষয়ে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে, বছরে চারবার নয় দিন দেবী দুর্গার আরাধনা করা হয়।

ওই সময়ে টানা নয় দিন উপবাস করেন অনেক ভক্তরা। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে দেবী দুর্গার পুজো করা হয়ে থাকে অনেক জায়গায়। এই নয় টি দিনের উপবাস কে সম্মিলিত ভাবে নবরাত্রি ব্রত বলা হয়।

দুর্গার নয়টি রূপের পূজা করা হয় এই নয় দিন যাবত ধরে। সাধারণত নবরাত্রি ঋতু শুরুর সময় পালন করা হয়। এটি সম্ভবত জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি তে পালিত হয়ে থাকে, যাকে আবার মাঘ নবরাত্রি ও বলা হয়।

দেবী দুর্গার আশীর্বাদ পেতে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই চলে তোড়জোড়, যে সমস্ত সদস্যরা উপবাস পালন করতে পারবেন তারা এই দিন উপবাস পালন করেন খুবই নিষ্ঠার সাথে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top