Content Marketing কি? উপার্জন কিভাবে করবেন? আর কেন জরুরি?

কনটেন্ট মার্কেটিং (Content Marketing) কি? কন্টেন্ট মার্কেটিং করে কিভাবে ইনকাম করা যায়? কন্টেন্ট মার্কেটিং করার জন্য কি করতে হয় এবং এই কন্টেন্ট মার্কেটিং কেন জরুরি? আসুন জেনে নিন সরল ভাষাতে এনং উপার্জন করুন।

প্রতিটি মানুষ চাইবেন অতিরিক্ত কিছু উপার্জন করতে। আর যদি সেটা ঘরে বসে একেবারে অনলাইনের মাধ্যমে হয় তাহলে তো আর কথাই নেই। কেননা এখন প্রায় মানুষের হাতে স্মার্টফোন আর স্মার্টফোন মানেই ইন্টারনেট।

Content Marketing কি? উপার্জন কিভাবে করবেন? আর কেন জরুরি?
Content Marketing কি? কনটেন্ট মার্কেটিং দিয়ে উপার্জন কিভাবে করবেন?

তাই ইন্টারনেট কে কাজে লাগিয়ে আজকের বর্তমান সময়ে অনেকেই অনলাইন থেকে উপার্জন করছেন। এই ক্ষেত্রে অনলাইন থেকে উপার্জন করার অনেক পদ্ধতি রয়েছে।

তো এখানে আপনি কনটেন্ট মারকেটিং সম্পর্কে জানেন কি ? যদি না জানা থাকে তাহলে আজকের লেখাতে আপনি অনেকখানি ধারণা করতে পারবেন, কনটেন্ট মার্কেটিং আসলে কি ? আর এটা কেন জরুরি ?

কনটেন্ট মার্কেটিং (Content Marketing):

তো চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কনটেন্ট মার্কেটিং (Content Marketing) সম্পর্কে:- 

যদি আপনি কোন ধরনের বিজনেস, মার্কেটিং অথবা এডভারটাইজিং এর জগতের সাথে যোগাযোগ রাখেন, তাহলে তখন আপনি অবশ্যই কনটেন্ট মারকেটিং এর সম্পর্কে নিশ্চয়ই শুনেছেন কোথাও না কোথাও। নিচে দেওয়া এমন কিছু কনটেন্ট মার্কটিং দেওয়া রইল যেগুলো সম্পর্কে আপনি আগে থেকেই পরিচিত।

তো এই কনটেন্ট মার্কেটিং গুলি হল:- 

  • ব্লগস (Blogs),
  • পডকাস্ট (Podcasts),
  • ভিডিওস (Videos),
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization),
  • ইমেল অটোরেস্পন্ডার্স (Email Autoresponders),
  • হোয়াইট পেপার (White Papers),
  • কপিরাইটিং (Copywriting),
  • সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media),
  • ল্যান্ডিং পেজেস (Landing Pages)

কনটেন্ট মার্কেটিং একটি এমন মার্কেটিং টেকনিক যেখানে এমন সব ভাল ভাল কনটেন্ট ক্রিয়েট করতে হয়, সেগুলিকে ডিস্ট্রিবিউট করা হয়ে থাকে, যা কিনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যার ফলে সেটি অনেক বেশি অডিয়েন্স কে নিজের দিকে আকর্ষণ করতে পারে।

আর সবশেষে এর একটাই উদ্দেশ্য থাকে যে, কিভাবে প্রফিটেবল কাস্টমার একশন কে নিজের দিকে আকর্ষিত করা যায়। কিন্তু এখন প্রশ্ন থাকতে পারে যে, আসলে এই কনটেন্ট মারকেটিং কি জিনিস ?

কনটেন্ট মার্কেটিং আসলে কি? 

কনটেন্ট মার্কেটিং (Content Marketing) হল এমন একটি মাধ্যম যার ফলে ভ্যালুয়েবল কনটেন্ট কে তৈরি করা হয় আর সেটি শেয়ার ও করা হয়। যার ফলে এটি কাস্টমারকে নিজের প্রতি আকর্ষিত করা যেতে পারে। আপনি যাই কনটেন্ট শেয়ার করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার সেই কনটেন্ট এর উপরে একটা সামঞ্জস্য থাকে, যেটা আপনি বিক্রি করতে পারেন।

কন্টেন্ট মার্কেটিং কি?
কন্টেন্ট মার্কেটিং কি?

এছাড়া আমরা এটা বলতে পারি যে, যদি কোন কনটেন্ট কাস্টমারদের শিক্ষিত করে থাকে, আপনার সম্পর্কে জানতে পারে, আপনাকে পছন্দ করতে শুরু করেন, তার সাথে সাথে আপনার উপরে বিশ্বাস রাখতে পারেন তারা, যার ফলে আপনার সাথে ব্যবসা করতে রাজি থাকবেন আপনার কাস্টমার।

কনটেন্ট মার্কেটিং এর উদাহরণ কি? 

এছাড়া বলা যেতে পারে, কনটেন্ট মারকেটিং বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। এই জন্য সমস্ত কিছু আলোচনা করা সম্ভব নয়, এমন কিছু উদাহরণ সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হল, যেগুলি থেকে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন যে, কনটেন্ট মার্কেটিং আসলে কি।

এখানে গুরুত্বপূর্ণ ৫ টি উদাহরণ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:- 

#১)  ইনফোগ্রাফিক্স (Infographics): এটা সাধারণত লম্বা ভার্টিক্যাল গ্রাফিক্স হয়ে থাকে। যেখানে স্ট্যাটিসটিকস চার্ট গ্রাফ আর অন্যান্য তথ্য লেখা হয়ে থাকে। এর মধ্যে ইমেজেস এর সাথে এবং সে সম্বন্ধিত তথ্য প্রদান করা হয় আপনার মার্কেটিং এর জন্য, ইনফোগ্রাফিক্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

যদি সেগুলি সঠিক পদ্ধতিতে তৈরি করা যায় এবং সেগুলি সঠিক পদ্ধতিতে শেয়ার করা যায়। এই ইনফোগ্রাফিক্স কে আপনি নিজে থেকেই বানাতে পারবেন অথবা কোন অন্য প্রফেশনাল এর মাধ্যমে ও বানাতে পারবেন।

#২) ওয়েবপেজেস (Webpages): সাধারণ ওয়েব পেজ আর একটি কনটেন্ট মারকেটিং ওয়েব পেজ এর মধ্যে অনেকটাই তফাৎ রয়েছে। কেননা যদি আপনি কোন ওয়েব পেজকে ভালোভাবে লিখে আর সেটি সঠিক পদ্ধতিতে এস ই ও  করে থাকেন তখন এর থেকে আপনি প্রচুর মানুষকে আপনার প্রতি আকর্ষিত করতে পারবেন। কেননা এটি সহজেই Rank হয়ে যায়, যা কিনা আপনার ব্রান্ডের জন্য খুবই ভালো বিষয়।

#৩) পডকাস্ট (Podcasts): কনটেন্ট মার্কেটিং তে পডকাস্ট এর ভূমিকা ও অনেকখানি। এটি আপনার কনটেন্টকে অডিয়েন্সের সামনে ভালোভাবে প্রদর্শিত করে থাকে। যার ফলে অনেক বেশি মানুষ আপনার বিষয়ে জানতে পারবেন এর থেকে আপনার ব্রান্ডের পাবলিসিটি ও হয়ে যায়।

#৪) ভিডিও (Videos): অনেকের মুখেই শোনা যায় যে টেক্সটের তুলনাতে ভিডিও অনেকখানি আকর্ষণীয় হয়ে থাকে। আর সেগুলো খুবই সহজে শেয়ারও করা যায়। ভিডিওতে কাস্টমার আপনার কনটেন্ট এর বিষয়ে ভালোভাবে জানতে পারেন, আর সেটি দেখে থাকেন যার ফলে তাদের মধ্যে আপনার কনটেন্ট নিয়ে একটি বিশ্বাস তৈরি হয়। এর ফলে আপনি আপনার ব্র্যান্ড এর ভ্যালু বাড়াতে পারবেন সহজেই। আপনার ব্র্যান্ডিং এর ভালোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হলো এই ভিডিও।

#৫) বই অথবা টেক্সট (Book/Text): 

টেক্সট একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি কনটেন্ট মার্কেটিংয়ের জন্য। যেখানে মারকেটার্স ভাল কনটেন্ট লিখে মানুষের দৃষ্টি নিজের প্রতি আকর্ষিত করতে পারেন।

তেমনি আপনি বইয়ের ব্যবহার একটি মারকেটিং টুলস এর হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে আপনার ব্র্যান্ড ভ্যালু বেড়ে যাবে আর সাধারণ মানুষের বিশ্বাস আপনার উপরে অনেকখানি বেড়ে যাবে।

কনটেন্ট মার্কেটিং কেন জরুরি?

এখন প্রশ্ন থাকতেই পারে যে, এই কনটেন্ট মার্কেটিং এতটা জরুরি কেন ? তবে বলতে গেলে কনটেন্ট মার্কেটিং আসলে কি সেটা তো বোঝা গেল, কিন্তু কনটেন্ট মার্কেটিং কেন এতটা জরুরী! এর আগে যেটা সবথেকে বেশি বোঝা জরুরী সেটা হল Buying Bike এর সম্পর্কে, তো চলুন এটি চারটি স্টেপের মধ্যে দিয়ে বোঝা যাক:-

#১) সচেতনতা (Awareness): অ্যাওয়ারনেস হওয়াটা খুবই জরুরী কেননা কাস্টমার জানেন না যে তাদের প্রবলেম এর একটা সলিউশনও উপস্থিত রয়েছে।

#২) রিসার্চ (Research): একবার কাস্টমারের যদি এটা জানা হয়ে যায় যে, তাদের প্রবলেম এর কোন সলিউশন ও রয়েছে তখন নিজেকে কিন্তু আরো বেশি দক্ষ করে তোলার জন্য রিচার্জ করতে হবে।

উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে একজন ক্রেতা গাড়ি কেনার জন্য আলাদা আলাদা রকমের কার এর সম্পর্কে রিসার্চ করে থাকেন, যাতে তিনি ভালোভাবে জানতে পারেন যে তার জন্য কোন গাড়িটি সবথেকে বেশি উপযুক্ত। তেমনি আপনাকেও ভালোভাবে রিচার্জ করতে হবে নিজেকে আরও বেশি উন্নত করার জন্য।

#৩) সুবিবেচনা (Consideration): যখন কাস্টমার আলাদা আলাদা প্রডাক্ট কে ডিফারেন্ট ভেন্ডর থেকে কম্পেয়ার করতে পারবেন যাতে তাদের এটা জানা হয় যে, সঠিক দামের মধ্যে কোন হাই কোয়ালিটি প্রোডাক্ট পাওয়া যায় কিনা।

#৪) কেনা (Buy): আর অবশেষে কাস্টমার তাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন আর ট্রানজাকশন করার জন্য আগে এগিয়ে জান। ট্রেডিশনাল এডভার্টাইজিং আর মার্কেটিং দুটোই খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে যখন আমরা দ্বিতীয় দুটি স্টেপের কথা করে থাকি, তখন মার্কেটিং কিন্তু বায়িং প্রসেস এর আগে দুটি স্টেজ তে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়।

এর থেকে সলিউশন এর প্রতি অ্যাওয়ারনেস আর কনজ্যুমার কে educate করা যেতে পারে। প্রোডাক্টের বিষয়ে কনজ্যুমার এর সিদ্ধান্ত কেও শুধরে দেওয়া যেতে পারে।

কনটেন্ট মারকেটিং আরো অ্যাডিশনাল বেনিফিট প্রদান করে থাকে, কেননা এটি অন্যান্য ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যানেল কেও সাপোর্ট করে থাকে। এটি সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য অ্যাডিশনাল কনটেন্ট ও প্রবন্ধ করে থাকে।

গ্রেট কনটেন্ট (Great Content):

কনটেন্ট মার্কেটিং এর জন্য ভাল কনটেন্ট খুবই জরুরী। কেননা যদি কোন কাস্টমার আপনার প্রোডাক্টের বিষয়ে দেখে থাকেন, তাহলে প্রথমে কনটেন্ট ভালোভাবে পড়বেন আর যদি তাদের কন্টাক্ট ভালো লাগে তখনই সেটি কেনার জন্য ভাবতে পারেন।

আবার যদি আপনার কনটেন্ট ভালো আর ইন্টারেস্টিং না হয়ে থাকে তখন তো কোন কথাই আগে এগোবে না, কেনা তো দূরের কথা। এই জন্য যদি আপনার কোন ব্লগ থাকে তখন তার কনটেন্টকে খুবই ভালো ভাবে লেখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

কেননা এই কনটেন্ট হলো আপনার ব্লগের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই জন্য সবসময় চেষ্টা করবেন যে আপনার ব্লগ এর উপরে খুবই ভাল ভাল কনটেন্ট প্রদান করার জন্য, যেটা কাস্টমারদের খুবই পছন্দ হয়।

কনটেন্ট মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কি?

এই প্রশ্ন সকলের মনে থাকতেই পারে, কনটেন্ট মার্কেটিং এর ভবিষ্যত আসলে কি ? এক্ষেত্রে দেখা যায় যে, কোন কিছুই বদলাবে না, টেকনোলজি বদলে যেতে পারে, কিন্তু কনটেন্ট মার্কেটিং এর বেসিক কখনোই বদলাবে না। টেকনোলজি কখনই মানুষের ভাগ্য বদলাতে পারে না। কিন্তু হ্যাঁ মানুষের ভাগ্য প্রসারিত করতে পারে অনেকখানি, তাতে কোন সন্দেহ নেই।

কনটেন্ট মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কি?
কনটেন্ট মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কি?

মানুষের সমস্যা আর চাহিদা কখনোই কম হবে না। আর তাই মানুষের সবসময়ের জন্য ইনফর্মেশন জরুরি হয়ে পড়ে। যার মধ্যে দিয়ে সাধারণ মানুষ তাদের প্রবলেম গুলি সামলাতে পারেন অথবা সমস্যার সমাধান করতে পারেন।

এছাড়া তাদের চাহিদাগুলো পূরণ করতে পারেন, আর এটা কখনোই পরিবর্তন হবে না। আর্টিকেল কে পড়ার পদ্ধতি বদলে ফেলা যেতে পারে, কিন্তু কনটেন্ট লেখার ক্ষেত্রে কোন রকম পরিবর্তন হবে না।

যেমন ধরুন আমরা জানি যে, ধীরে ধীরে কম্পিটিশনের লেভেল পরিবর্তিত হচ্ছে এমন ক্ষেত্রে যদি এই প্রতিযোগিতাতে জিততে হয় তাহলে নিজেকে সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন করতে হবে।

আলাদা আলাদা ব্রান্ড আর স্বতন্ত্রতা যা কিনা আপনার কনটেন্ট এর কোয়ালিটি কে অনেক গুণ বাড়িয়ে দেবে। আর এই নতুন প্রতিযোগিতাতে সবসময়ের জন্য সফল থাকবে।

এইজন্য ভবিষ্যতের চিন্তা ছেড়ে দিয়ে শুধুমাত্র নিজের কাজের উপরে খেয়াল রাখতে হবে। যতটা বেশি খেয়াল রাখতে হবে, সেটা হল কনটেন্ট খুবই ভালো ভালো লিখতে হবে। যা কিনা আপনার ব্র্যান্ড আর প্রোডাক্ট এর মূল্য প্রদান করে থাকে।

আর এটাই হল সবথেকে ভাল কনটেন্ট মার্কেটিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এছাড়া আমরা একটা সাধারণ কথা সকলেই জানি, সুন্দর জিনিসই সবার আগে বিক্রি হয়ে যায়।

সহজ ভাষায় কনটেন্ট মার্কেটিং কি?

কনটেন্ট মারকেটিং কে সহজ ভাষায় বুঝতে গেলে এটি একটি মার্কেটিং স্ট্রাটেজি। যার ব্যবহার ভিডিও, পডকাস্ট এবং ব্লগ ইত্যাদিতে শেয়ার করার জন্য করা হয়ে থাকে। যার দ্বারা আপনার বিজনেস অথবা ব্রান্ডের ভ্যালু বাড়তে থাকে আর এর থেকে আপনার বিক্রি ও বাড়তে থাকে। বলতে গেলে সুন্দর ব্যবসার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ।

কনটেন্ট মার্কেটিং করার জন্য আলাদা আলাদা পদ্ধতি কোনগুলি?

কনটেন্ট মার্কেটিং করার অনেক আলাদা আলাদা পদ্ধতি উপস্থিতি রয়েছে। যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি হলো:-

  • ওয়েবপেজ (Webpages),
  • ভিডিও (Videos),
  • ইনফোগ্রাফিক্স (Infographics), আর
  • পডকাস্ট (Podcasts).

তো আশা করি কনটেন্ট মার্কেটিং সম্পর্কে আপনাদের অনেকখানি ধারণা হয়েছে, তো অনলাইনে যে কোন ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনার ব্লগ এর কনটেন্ট, ভিডিও এর কনটেন্ট, পডকাস্ট এর কন্টেন্ট সবকিছু খুবই ভালো হতে হবে, তবেই আপনি এখানে ভালোমতো ব্যবসা করতে পারবেন আর আপনার brand অনেক মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top