কোন বাচ্চাকে দত্তক নেওয়ার আগে এই বিষয় গুলি জেনে রাখা জরুরি

Child Adoption Laws In Bengali: কোন বাচ্চা কে দত্তক নিতে চান? তাহলে আগে বাচ্চা দত্তক নেওয়ার আইনি নিয়ম জেনে নিন। ভারতে বাচ্চাকে দত্তক নেওয়ার আইন। যে কোন বাচ্চাকে দত্তক নেওয়ার আগে এই বিষয় গুলি আবশ্যক ভাবে জেনে রাখা জরুরি।

একটি বাচ্চা একটি পরিবারে আনন্দ বয়ে নিয়ে আসে। তবে এমন অনেক পরিবার রয়েছে যেখানে কোনো রকম বাচ্চা অথবা সন্তানের দেখা নেই, তাদের ক্ষেত্রে একটাই পথ খোলা রয়েছে কোথাও না কোথাও থেকে বাচ্চা দত্তক নেওয়া। যাকে নিজের ছেলে, মেয়ের মত মানুষ করা, বড় করা এবং তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সচেতন হওয়া।

এমন ঘটনা ভারতে নেহাত কম নয়, এমন অনেক পরিবার রয়েছে যারা কিনা বাচ্চা দত্তক নিয়ে তাদেরকে নিজের ছেলে মেয়ের মতো মানুষ করছেন। কোন বাচ্চাকে দত্তক নেওয়ার জন্য একটি আইন অথবা কানুনি প্রক্রিয়া রয়েছে। যে প্রক্রিয়া কোন ব্যক্তিকে কোন বাচ্চার বাবা মা হওয়ার ভরসা যেতে পারে।

Child Adoption Laws In Bengali - কোন বাচ্চা কে দত্তক নেওয়ার আইনি নিয়ম
Child Adoption Laws In Bengali – কোন বাচ্চা কে দত্তক নেওয়ার আইনি নিয়ম

যদিও দত্তক নেওয়া বাবা-মা এবং সেই বাচ্চার মধ্যে রক্তের সম্পর্ক নাই বা থাকুক, কোন বাচ্চার দত্তক নেওয়া বাবা মা এর সাথে সাথে সেই অনাথ বাচ্চারাও কিন্তু অনেকটাই সুন্দর জীবন ফিরে পায়।

এছাড়া দত্তক নেওয়ার জন্য যে প্রক্রিয়ায় রয়েছে সেটা খুবই লম্বা প্রক্রিয়া এবং এতে অনেকটাই পরিশ্রম রয়েছে, আইন অনুসারে সেই বাচ্চার বাবা মা হওয়ার জন্য।

বৈবাহিক সমস্যার সমাধান করুন বিবাহ পরামর্শ দিয়ে – জানুন কিভাবে?

ভারতে বাচ্চা দত্তক নেওয়ার জন্য আইন কানুন:

ভারতের যে কয়টি মূল কানুন রয়েছে, যে আইন অনুসারে কোন বাচ্চাকে আপনি দত্তক নিতে পারবেন:- 

১) হিন্দু / বৌদ্ধ / জৈন / শিখ দের জন্য:

ভারতে দত্তক নেওয়ার জন্য নিয়ন্ত্রিত আইন অনুসারে প্রথম কানুন হিন্দু দত্তক আর রক্ষণাবেক্ষণের অধিনিয়ম 1956 (HAMA) কানুন কেবলমাত্র প্রত্যক্ষ এবং নিজস্ব দত্তক নেওয়ার কে নির্ধারিত করে থাকে, এইভাবে দত্তক নেওয়া বাচ্চা কে বাস্তবে দত্তক নেওয়া বাবা-মাকে দায়িত্বভার দেওয়া হয়।

কে দত্তক নিতে পারবেন?

এই অধিনিয়ম অনুসারে কেবলমাত্র হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন এবং শিখ ধর্মের মানুষ জন বাচ্চা দত্তক নিতে পারবেন। দুই পক্ষ অর্থাৎ বাচ্চার সাথে সাথে বাবা-মা কেও হিন্দু, বৌদ্ধ এবং জৈন অথবা শিখ হতে হবে।

দত্তক নেওয়ার জন্য ইচ্ছুক যেকোনো পুরুষ এর বয়স ১৮ বছরের বেশি হতে হবে এবং সেই ব্যক্তিকে সুস্থ মস্তিস্কের হতে হবে। যদি সেই ব্যক্তি বিবাহিত হয়ে থাকেন তাহলে সেই ব্যক্তিকে তার স্ত্রীর অনুমতি নেওয়া অবশ্যই প্রয়োজন পড়বে।

১৮ বছরের বেশি বয়সের নারী অথবা মহিলা যারা অবিবাহিত অথবা ডিভোর্সি অথবা বিধবা, তাহলে সেই মহিলা কোন বাচ্চাকে দত্তক নিতে পারবেন।

কাকে দত্তক নেওয়া যেতে পারে?

  • যে বাচ্চা কে আপনি দত্তক নিতে চাইছেন সেই বাচ্চার বয়স যেন ১৫ বছরের কম হয়।
  • সেই বাচ্চাকে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন হতে হবে।
  • সেই বাচ্চা অবিবাহিত যেন হয়ে থাকে।
  • যে বাচ্চাকে দত্তক নেওয়া হবে সেই বাচ্চা যেন অন্য কোন ব্যক্তি দ্বারা দত্তক নেওয়া না হয়ে থাকে আগে থেকে।

অন্যান্য শর্ত যে গুলো পূরণ করা অবশ্যই প্রয়োজন:

  • কোন ব্যক্তির কাছে প্রথম থেকেই  ছেলে বাচ্চা রয়েছে সেখানে অন্য কোন ছেলে বাচ্চাকে দত্তক নিতে পারবেন না।
  • যে ব্যক্তির কাছে প্রথম থেকেই একটি মেয়ে বাচ্চা রয়েছে সে ক্ষেত্রে অন্য কোন মেয়ে বাচ্চা দত্তক নিতে পারবেন না।
  • দত্তক নেওয়া বাবা-মা অথবা মেয়ে বাচ্চার মধ্যে ২১ বছরের বয়সের অন্তর অথবা ডিফারেন্স হতে হবে।
  • দুজন ব্যক্তি বা দুজনের বেশি ব্যাক্তি একসাথে একটি বাচ্চা কখনোই দত্তক নিতে পারবেন না।
  • দত্তক নেওয়ার জন্য প্রক্রিয়া তে যে কোন পক্ষ দ্বারা সমস্ত রকম বিচার মুক্ত বিচার হতে হবে।

আদালতের অনুমতি কখন প্রয়োজন পড়বে ?

  • মাতা এবং পিতার দুজনের মৃত্যু যদি হয়ে থাকে সেই মামলাতে প্রয়োজন পড়বে।
  • যদি মাতা পিতা দুজনে সংসার ছেড়ে দিয়ে সন্ন্যাস গ্রহণ করে থাকেন সেক্ষেত্রে।
  • যখন মাতা-পিতা দুজনে বাচ্চাকে ছেড়ে দেন তখন প্রয়োজন পড়বে আদালতের অনুমতি।
  • যখন কোন মামলার ক্ষেত্রে আদালতে বাবা-মায়ের দু’জনকেই পাগল ঘোষণা করা হয়ে থাকে।
  • যখন বাচ্চার বাবা মায়ের ঠিকানা জানা না থাকে।

ভারতে লিভ ইন রেলেশনশিপ বৈধ না অবৈধ? লিভ ইন আইনি ও নিয়ম

২) সমস্ত ধর্ম অবলম্বনকারী দের জন্য:

ভারতে দত্তক নেওয়ার জন্য সমস্ত ধর্ম এর উপর নির্ভর করে ধর্মনিরপেক্ষ আইন কানুন কিশোর ন্যায়, অধিনিয়ম, 2015 (জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট):

কে দত্তক নিতে পারবেন ?

এই অধিনিয়ম অনুসারে তথ্য প্রক্রিয়া অনুযায়ী একজন এন আর আই (NRIs) অথবা একজন বিদেশী নাগরিক ও যেকোনো বাচ্চা দত্তক নিতে পারবেন। একজন পুরুষ অথবা মহিলা বিবাহিত সম্পর্কের মধ্যে থাকা অবস্থায় দত্তক নিতে পারবেন। একজন অবিবাহিত মহিলা যে কোন লিঙ্গের বাচ্চাকে দত্তক নিতে পারবেন।

যখন একজন অবিবাহিত পুরুষ মেয়ে বাচ্চা কে দত্তক নিতে পারবেন না। কোনো দম্পতি যখন কোন বাচ্চাকে দত্তক নেওয়ার কথা চিন্তা করে থাকেন তখন তাদের মধ্যে দুই বছরের স্থায়ী বৈবাহিক সম্পর্ক থাকাটা অবশ্যই প্রয়োজন।

কাকে দত্তক নেওয়া যেতে পারে ?

কিশোর ন্যায় অধিনিয়ম, 2015 অনুসারে একজন অবিবাহিত ব্যক্তি অথবা একজন দম্পতি দত্তক নিতে পারবেন :- 

  • একটা অনাথ বাচ্চা।
  • একটা বাচ্চা, যে বাচ্চা আত্মসমর্পণ করে দিয়েছে।
  • একটা বাচ্চা যাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

৩) মুসলিম / পার্সি / ঈসাই ইত্যাদি দের জন্য:

জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট ধর্ম অনুসারে দত্তক নেওয়ার অনুমতি দিয়ে থাকে, এইভাবে একজন মুসলিম / পার্সি / ঈসাই ইত্যাদি ব্যক্তিও অধিনিয়ম অনুসারে যে কোন বাচ্চাকে দত্তক নিতে পারবেন।

অন্যান্য শর্তগুলো পূরণ করা অবশ্যই প্রয়োজন: 

  • হবু দত্তক নেওয়া বাবা-মা (PAP) কে শারীরিক-মানসিক এবং সুন্দর ভাবনা চিন্তা যুক্ত সমস্ত ক্ষেত্রে বাচ্চাকে মানুষ করার জন্য সক্ষম হতে হবে।
  • দম্পতিকে বাচ্চা লালন পালন করার জন্য যে আর্থিক প্রয়োজনীয়তা পড়ে সেই আর্থিকভাবে সক্ষম হতে হবে অর্থাৎ ফিনান্সিয়ালি ইন্ডিপেন্ডেন্ট হতে হবে।
  • যদি কোনো দম্পতি আগে থেকেই তিন বাচ্চার বাবা মা হয়ে থাকেন, তাহলে অন্য কোন বাচ্চাকে দত্তক নিতে পারবেন না।
  • এর একমাত্র উপায় হল কোন আত্মীয়ের বাচ্চাকে দত্তক নেওয়ার বিষয়ে সৎ বাবা মা অথবা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বাচ্চাকে দত্তক নিতে পারবেন।
  • যদি কোনো দম্পতি দত্তক নিয়ে থাকেন সে ক্ষেত্রে দুজনের সম্মতি অবশ্যই প্রয়োজন অর্থাৎ দুজনের মত অনুসারে যখন বাচ্চা দত্তক নিতে পারবেন।

কর্মচারীদের আইনি অধিকার কি কি জানুন! খুব জরুরি জেনে রাখা

দত্তক নেওয়ার রেজিস্ট্রেশনের তারিখ অনুসারে আপনার বয়স সম্বন্ধিত বাবা-মায়ের যোগ্যতা নিম্নলিখিত আলোচনা করা হলো :- 

চার (৪/4)বছরের বাচ্চাকে দত্তক নেওয়ার জন্য: 

  • হবু বাবা-মায়ের সর্বোচ্চ বয়স দুজনার বয়স মিলিয়ে ৯০ বছর হতে হবে।
  • যদি একলা হবু বাবা অথবা মা কোন বাচ্চা দত্তক নিয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৪৫ বছর হতে হবে।

চার বছর থেকে আট বছর বয়সের বাচ্চাকে দত্তক নেওয়ার জন্য:

হবু বাবা-মায়ের মিলিত বয়স আর তাদের বয়সের সর্বোচ্চ ১০০ বছর হতে হবে এবং যদি একা বাবা অথবা মা কোন বাচ্চা দত্তক নেন সে ক্ষেত্রে একজনের বয়স সর্বোচ্চ ৫০ বছর হতে হবে।

আট বছর থেকে 18 বছর বয়সের বাচ্চাকে দত্তক নেওয়ার জন্য:

হবু বাবা-মায়ের সর্বোচ্চ বয়স, তাদের দুজনের বয়স মিলিয়ে ১১০ বছর হতে হবে এবং যদি একজন বাবা অথবা মা নিয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে একজন সর্বোচ্চ বয়স ৫৫ বছর হতে হবে।

একটি বাচ্চা এবং দত্তক নেওয়া বাবা-মা আর বাচ্চার মধ্যে ২৫ বছরের ন্যূনতম বয়সের অন্তর অথবা ডিফারেন্স থাকতে হবে।

হিন্দু অপ্রাপ্তবয়স সংরক্ষক অধিনিয়ম, 1956 (GAWA): 

এই অধিনিয়ম অভিভাবক আর বাচ্চার দেখভাল এবং তার ভবিষ্যত পরকল্পনা সম্বন্ধিত বিষয়কে সম্পূর্ণ রকম ভাবে নিয়ন্ত্রিত করতে পারে।

দত্তক নেওয়া বাচ্চার বয়স প্রাপ্ত হওয়ার পর দুই পক্ষ একে অপরের প্রতি পালনের অধিকার আর দায়-দায়িত্ব কে যেকোনো ভাবে ত্যাগ করতে পারেন।

এটা ভারতে দত্তক নেওয়ার কানুন অথবা আইন থেকে আলাদা, কেননা এটা এক অভিভাবক আর বাচ্চার মধ্যে সম্বন্ধ স্থাপিত করে না, তার সাথে এক অভিভাবক আর তার দ্বারা সেই বাচ্চার মানুষ করার সম্বন্ধ স্থাপন করে থাকে।

হিন্দু মেয়ে ও মুসলিম ছেলের মধ্যে বিবাহের আইনি নিয়ম

বাচ্চাকে দত্তক নেওয়ার জন্য কে রাখতে পারবেন ?

একটি বাচ্চার তার জীবিত বাবা-মা দ্বারা কেবল একটি লাইসেন্স প্রাপ্ত করতে হবে, দত্তক নেওয়া এজেন্সির জন্য, সে ক্ষেত্রে দত্তক নেওয়ার জন্য রাখতে পারবেন। এই এজেন্সির ভূমিকা হল জীবিত বাবা মায়ের অধিকার এর সমাপ্তি ঘটিয়ে আইনি ভাবে কাগজপত্র অনুসারে বিভিন্ন রকমের প্রমাণপত্র জোগাড় করা, যেখানে অন্য কেউ এই বাচ্চা দত্তক নিতে পারবেন। অধিকারের সমাপ্তি হওয়ার আগে বাচ্চার বাবা-মাকে ৬০ দিন অর্থাৎ দুই মাস পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়ে থাকে।

বাল কল্যাণ সমিতি এক বাচ্চাকে দত্তক নেওয়ার জন্য আইনি রূপে বিলুপ্ত ঘোষণা করতে পারে। যদি তার দেখভাল করার যে মালিক রয়েছেন তার কোনো রকম খোঁজখবর যদি না পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে তাকে ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে।

জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড দত্তক নেওয়ার জন্য একটি বাচ্চাকে রাখতে পারে যা কিনা আদালত দ্বারা প্রশিদ্ধ।

হিন্দু অপ্রাপ্তবয়স্ক সংরক্ষকতা অধিনিয়ম, 1956 (GAWA) অনুসারে দত্তক নেওয়ার প্রক্রিয়া: 

রেজিস্ট্রেশন অথবা পঞ্জিকরণ: 

“Carings” সি. এ. আর. এ. কে অনুসারে অনলাইন পোর্টাল আছে যেখানে হবু বাবা-মা কে দত্তক নেওয়ার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম দেয়া হয়ে থাকে অনলাইন পোর্টাল অথবা ওয়েবসাইটটি হল:-

https://carings.nic.in/Parents/parentre অথবা ওয়েবসাইটটি হল (https://cara.nic.in) এখানে বাল সংরক্ষণ অধিকারী (DCPO) অনুসারে শুরু করতে পারেন।

এখানে হবু বাবা-মায়ের দত্তক নেওয়ার জন্য সম্পূর্ণ কারণ এবং এর সম্বন্ধিত বিভিন্ন রকমের তথ্য প্রমান পত্র উল্লেখ করতে হবে এখানে। বাবা-মায়ের পরিচয় পত্র দেওয়ার জন্য বিভিন্ন রকমের কাগজপত্র প্রদান করার প্রয়োজনীয়তা আছে। যেখানে জন্মের প্রমাণপত্র, বিবাহের প্রমাণপত্র, ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন, চিকিৎসার প্রমাণপত্র ইত্যাদি সামিল হতে পারে।

এছাড়া যে বাচ্চা দত্তক নেয়া হবে, সেই বাচ্চা এবং যে বাবা-মা দত্তক নেবেন তাদের কিছুটা সময় দেওয়া হয় যাতে তারা ভালোভাবে মিশে যেতে পারে। কেননা সারা জীবন যেখানে থাকতে হবে সেখানে ভালোভাবে মিশে যাওয়াটা অবশ্যই প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে তিনটে রাউন্ড দেওয়া হয় বাবা-মা ও বাচ্চার মধ্যে।

এছাড়া সমস্ত রকম প্রমাণপত্র অনুসারে একজন এই দত্তক নেওয়া বিষয়ে অভিজ্ঞ উকিলের দ্বারা আইন অনুসারে একজন বাবা-মা কোন বাচ্চাকে দত্তক নিতে পারবেন, সমস্ত প্রমান পত্র প্রদান করার মধ্য দিয়ে।

বাচ্চা দত্তক নেওয়ার জন্য উপরে যে সমস্ত বিষয় গুলি আলোচনা করা হলো, সেগুলো অবশ্যই খেয়াল রাখাটা জরুরি। না হলে কিন্তু আপনি কোন মতেই কোন বাচ্চা দত্তক নিতে পারবেন না।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top