বিল্ডার থেকে সম্পত্তি কিনছেন? বিল্ডার থেকে সম্পত্তি কেনার জরুরি বিষয় জেনে নিন

বিল্ডার থেকে সম্পত্তি কিনছেন? বিল্ডার এবং ক্রেতার মধ্যে কি কি বিষয়ে জেনে রাখা জরুরি? সম্পত্তির বিল্ডার এবং ক্রেতার মধ্যে সম্পত্তি কেনার বোঝাপড়া সম্পর্কে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরী সেগুলি জেনে নিন।

জীবনে কোন কিছু সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রে সবথেকে বড় সিদ্ধান্তটা খুবই ভেবে চিন্তেই নিতে হয়। তাই যখন কোন সম্পত্তি কেনার কথা হয়ে থাকে তখন সব দিক বিবেচনা করে তবেই সেই সম্পত্তি কিনতে হয়। বিল্ডারের সাথে বোঝাপড়া খুবই ভালভাবে করাটা জরুরি। তা ছাড়া জীবনে কোনো রকম প্রপার্টি কেনা সবথেকে বড় সিদ্ধান্ত বলা যেতে পারে এই জীবনে।

নিজের স্বপ্নের ঘর কেনার জন্য অথবা তৈরি করার জন্য বলতে গেলে নিজের পছন্দমত সবদিক বিবেচনা করে যদি সেই ঘর পাওয়া যায়, তার জন্য সময় লাগতে পারে কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর।

দৈনন্দিন জীবনে যে পরিমাণে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেই অনুসারে একটি সম্পত্তি কেনার সিদ্ধান্ত সবথেকে বড় সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হয়, আজকের বর্তমান দিনে।

বিল্ডার থেকে সম্পত্তি কিনছেন? বিল্ডার থেকে সম্পত্তি কেনার জরুরি বিষয় জেনে নিন
বিল্ডার থেকে সম্পত্তি কিনছেন? বিল্ডার থেকে সম্পত্তি কেনার জরুরি বিষয় জেনে নিন

যখন কোন কাগজপত্রে আপনি সই করবেন তখন ভেবেচিন্তে করাটাই উচিত, না হলে একবার যদি সই করে দেন তাহলে পরবর্তীতে আর আপনার কোন কিছু করার থাকে না। তারপরে যদি কোন কিছু অসুবিধা হয়ে থাকে, আপনার কোন রকম পদক্ষেপ নেওয়ার আর সুযোগ থাকবে না।

যখন আপনি একটি চুক্তিতে চুক্তিবদ্ধ হয়ে পড়বেন, তখন পরবর্তীতে আর কোনো রকম সিদ্ধান্ত নেয়ার অবকাশ নাও পেতে পারেন। তাই কোনো সম্পত্তি কেনার আগে বেশ কিছু বিষয়ে আপনাকে মনে রাখতে হবে এবং মাথায় রাখতে হবে যে, আপনাকে কি কি করতে হবে, এই সব থেকে বড় সিদ্ধান্ত বলতে গেলে প্রপার্টি কেনার জন্য।

ঠকবাজ বিক্রেতার বিরুদ্ধে আপনার অভিযোগ থাকতেই পারে। তবে এমন কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে আপনি ঠকবাজ বিক্রেতাকে চিনতে পারবেন আর সেই বিক্রেতার কাছ থেকে সম্পত্তি কেনা থেকে বিরত থাকতে পারবেন।

এক্ষেত্রে এমন কয়েকটি বিষয়ের উপরে আলোকপাত করা যাক, যা কিনা আপনাকে এমন সম্পত্তির কেনার পক্ষে অনেকখানি সহযোগিতা করতে পারে।

কোন প্রকার সম্পত্তি কেনার সময় এই বিষয়গুলি বিল্ডার এবং ক্রেতার মধ্যে যে চুক্তিপত্র হবে তার মধ্যে যেন এগুলি খুবই ভালো ভাবে লক্ষ্য করা যায়।

১) সম্পূর্ণ প্রমাণপত্র: 

যখন একজন বিল্ডার আপনাকে ঘর আপনার হাতে দিয়ে দেবেন,  তখন কিন্তু সেই বিল্ডার কে একটি সম্পূর্ণ প্রমাণ পত্র আপনার হাতে দিতে হবে, এটা বাধ্যতামূলক।

একটি সম্পূর্ণ প্রমাণ পত্র মিউনিসিপ্যালিটি আধিকারিক দ্বারা এটা বলা যেতে পারে যে, এই বিষয়টি অনু পালনের মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন করা হয়েছে, যেখানে কোন রকম অসুবিধা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

আপনার নিজস্ব ঘর এবং আরো অন্যান্য সরকারি সুবিধা গুলির রেজিস্ট্রেশনের জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যদি আপনার চুক্তিপত্র প্রাপ্ত হওয়ার পর এই সমস্ত বিষয়ে সেই বিল্ডার একেবারে চুপ থাকেন তো, তাহলে এটা বোঝাপড়া করতে হবে যে, আপনার বিল্ডার এবং আপনার মধ্যে চুক্তি পত্র সম্পূর্ণ রূপে হয়ে ওঠেনি।

সেক্ষেত্রে কোন ক্রেতা সেই বিল্ডার কে সূচিত করতে পারেন অথবা নোটিশ দিতে পারেন যে, ঘর দেওয়ার সাথে সাথে সম্পূর্ণ প্রমাণপত্র যেন সেই ক্রেতার হাতে দেওয়া হয়ে থাকে।

২) দখলের বিষয়:

কোন সম্পত্তি অথবা অ্যাপার্মেন্ট বা ঘর হতে পারে, সেটা তৈরি হওয়ার ৬০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে সেখানে দখল করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও তা যখন হয়ে ওঠে না, সে ক্ষেত্রে বিল্ডারের বিবেকের প্রশ্ন উঠে আসে যে, সেই অ্যাপার্টমেন্ট অথবা বাড়ি তৈরি করা নিয়ে সেই বিল্ডারের সম্পূর্ণ রূপে দায়িত্ব রয়েছে।

আর তার সাথে সাথে এটাও সুনিশ্চিত করতে হবে যে, আপনি ৬০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে এই অ্যাপার্টমেন্ট অথবা বাড়ি নিজের হাতে পাবেন সম্পূর্ণ প্রমাণ পত্র সমেত।

৩) বিল্ডিং প্ল্যান পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে সুরক্ষা:

কোন অ্যাপার্টমেন্ট বাড়ি অথবা অন্য কোনো সম্পত্তি যখন কেনা হয়, ক্রেতার অনুমতি ছাড়া সেই অ্যাপার্টমেন্ট অথবা বাড়িতে কোন রকম বিল্ডিং প্ল্যান এর পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে অনেক ক্রেতা তাদের পছন্দমতো পরিবর্তন করতে বলেন ঠিকই, তবে সেটা লিখিত অনুমতি হতে হবে।

তার পরেই কিন্তু সেই অ্যাপার্টমেন্ট অথবা বাড়ির বিল্ডিং এর প্ল্যান পরিবর্তন করতে পারবেন সেই বিল্ডার। সেই কারণে অনেক বিল্ডার আগে থেকেই ক্রেতা দের অনুমতি নিয়ে থাকেন লিখিত ভাবে।

যাতে তাদের বিল্ডিং প্ল্যান করতে অনেক খানি সুবিধা হয়। প্রতিটি ক্ষেত্রে ছোটখাটো পরিবর্তন করা হলেও সেটাও কিন্তু সেই ক্রেতার লিখিত অনুমতির প্রয়োজন পড়বে। তাই প্রতিমহূর্তে এবং প্রতিটি কাজের জন্য ক্রেতার অনুমতি নিয়ে থাকেন প্রত্যেক বিল্ডার।

৪) সম্পত্তি বিক্রির ক্ষেত্রে সেই সম্পত্তির ক্ষতির জন্য বিল্ডার এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ: 

এই বিষয়টি বিল্ডারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কেন না এই সম্পত্তির ক্ষেত্রে কোনো রকম আইনি বিবাদ, ঝামেলা, কোন রকম ক্ষতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য প্রদান করা হয়ে থাকে। এমন কিছু, যা সেই সম্পত্তিকে সবরকম আইনি ঝামেলা থেকে বাঁচিয়ে রাখবে।

প্রমানপত্রের এই বিষয়টি তে উল্লেখ থাকতে হবে যে, ভবিষ্যতে যেন এই সম্পত্তি নিয়ে কোনোরকম আইনি বিবাদ, আইনি সমস্যা না তৈরি হয়।

সেই ক্ষেত্রে ক্রেতার যদি কোনরকম ক্ষয় ক্ষতি হয়ে থাকে, তাহলে সেই বিল্ডার কিন্তু সেই ক্ষতি পূরণ করতে বাধ্য। বর্তমানে বাজার মূল্য হিসেবে ক্ষতিপূরণ করতে হবে, সেই বিল্ডার কে একজন ক্রেতা কে।

৫) চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার অধিকার:

একজন খরিদ্দার অথবা ক্রেতা হিসেবে আপনাকে দোষী সাব্যস্ত করা ছাড়া কোন রকম পরিস্থিতিতে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার অধিকার অবশ্যই থাকতে হবে।

উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে, যদি কোন ক্রেতা, ক্রেতা দ্বারা বৈধ কাগজপত্র প্রদান করতে ব্যর্থ হয়ে থাকেন তো, এই রকম পরিস্থিতির সমাপ্তির আগে সম্পত্তিতে কোন রকম আইনি দোষ ত্রুটি যদি পাওয়া হয়ে থাকে তাহলে সেখানে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার অধিকার থাকতে হবে ক্রেতাদের।

তবে আপনাকে এই উপদেশ দেওয়া যেতে পারে যে, আপনার সম্পত্তি অথবা অন্য কোন আইনি সমস্যা এর কোনো রকম দেরি করা চলবে না।

সেক্ষেত্রে নিজেকে বাঁচানোর জন্য অচল সম্পত্তির লেন-দেন সম্পর্কিত একজন ভালো উকিলের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। সেই উকিলের সাহায্য নিয়ে আপনার সম্পত্তি কেনা বেচার ওপর নির্ভর করে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top