আশা ভোঁসলে জীবনী ( Asha Bhosle Biography in Bengali) আশা ভোঁসলে কে? কি করেন? কোথায় বাড়ি? জীবনে কিভাবে সফল হয়েছেন? আশা ভোঁসলে এর জীবন পরিচয়, পরিবার, শিক্ষা, মোট ইনকাম, পুরস্কার ও অনান্য বিবরণ জানুন।
সংগীত জগতে আরো একটি উজ্জ্বল নাম হল আশা ভোঁসলে। একজন মহিলা যিনি শুধু কেবলমাত্র দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশেও স্বীকৃতি অর্জন করেছেন। যার কর্মজীবনে ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন ভাষায় হাজার হাজার গান, ভজন, গজল, পপ, ধ্রুপদী এবং কিছু লোকগানও গেয়েছেন।
তিনি এমন একজন নারী, তিনি হলেন আমাদের চলচ্চিত্র জগতের বিখ্যাত প্লে-ব্যাক গায়িকা মিসেস আশা ভোঁসলে। তিনি যেমন তার গান দিয়ে কোটি কোটি হৃদয় কে জয় করেছেন, তেমনি নিজের নাম কেও উজ্জ্বল করেছেন এই গানের জগতে।
সুচিপত্র
- আশা ভোঁসলে জীবনী:
- আশা ভোঁসলের জীবনী সংক্ষেপে জানা যাক:
- আশা ভোঁসলের শৈশব জীবন:
- আশা ভোঁসলের সংগীত জীবন:
- আশা ভোঁসলে হেলেনের জন্য যে জনপ্রিয় গানগুলি গেয়েছিলেন:
- আশা ভোঁসলের কর্মজীবন:
- আশা ভোঁসলের ব্যক্তিগত জীবন:
- আশা ভোঁসলের শখ:
- আশা ভোঁসলের বাংলা গানের ক্যারিয়ার:
- আশা ভোঁসলের মারাঠি ক্যারিয়ার:
- আশা ভোঁসলের পুরস্কার গুলি:
আশা ভোঁসলে জীবনী:
আশা ভোঁসলে হলেন একজন ভারতীয় গায়িকা। হিন্দি সিনেমার নতুন সংগীত গাওয়ার জন্য তিনি বিখ্যাত, আশা ভোঁসলে ভারতের জনপ্রিয়তম গায়কদের মধ্যে একজন। আশা ভোঁসলের সঙ্গীত জীবনে মোট ৯২৫ টিরও বেশি সিনেমা তে গান গেয়েছেন। ১৯৪৩ সাল থেকে আরম্ভ করে তিনি ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে গান গেয়ে চলেছেন।
২০১১ সালে গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড তাকে সর্বাধিক সংখ্যক গান রেকর্ড কারী হিসেবে ঘোষণা করে। এছাড়া ভারত সরকার তাকে ২০০৮ সালে পদ্মভূষণ উপাধিতে ভূষিত করে। তার প্রতিভার মধ্যে দিয়ে তিনি অর্জন করেছেন অনেক সম্মান।
তো চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক আশা ভোঁসলের জীবনী সম্পর্কে:
আশা ভোঁসলের জীবনী সংক্ষেপে জানা যাক:
নাম: | আশা ভোঁসলে |
জন্ম তারিখ: | ৮ ই সেপ্টেম্বর ১৯৩৩ |
জন্মস্থান: | সঙ্গলি, বোম্বাই (ব্রিটিশ ভারত) |
পেশা: | গায়িকা, কণ্ঠশিল্পী |
কর্মজীবন: | ১৯৪৩ থেকে বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী: | রাহুল দেব বর্মন |
আত্মীয়: | লতা মঙ্গেসকার |
আশা ভোঁসলের শৈশব জীবন:
আশা ভোঁসলে একটি সংগীত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন যার পিতা মাস্টার দীননাথ মঙ্গেশকর সঙ্গীতজ্ঞ এবং মারাঠি সংগীত পর্যায়ে একজন অভিনেতা এবং শাস্ত্রীয় সংগীতজ্ঞ ছিলেন। আশা ভোঁসলে মহারাষ্ট্রের সঙ্গলি শহর গহরের একটি ছোট পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
আশা ভোঁসলের বয়স যখন মাত্র ৯ বছর ছিল তখন তার বাবা মারা যান। এর পরে তারা পরিবার সমেত কোলাপুর এবং তারপর আবার মুম্বাইতে থাকতে শুরু করেন।
আশা ভোঁসলে এবং তার বড় বোন তাদের পরিবারের আর্থিকভাবে সমর্থন করার জন্য চলচ্চিত্রে গান গাওয়া এবং অভিনয় শুরু করেন। আশা ভোঁসলে এবং তার সমস্ত বোনকে তাদের বাবার দ্বারা সংগীত শেখানো হয়েছিল, যিনি নিজে একজন মহান সঙ্গীতজ্ঞ ছিলেন।
আশা ভোঁসলের সংগীত জীবন:
আশা ভোঁসলে অনেক টানা পড়েনের মধ্যে দিয়ে বড় হয়েছেন এবং খুব কম বয়সে যেহেতু বাবাকে হারিয়েছেন, তাই সম্পূর্ণ পরিবারের দায়িত্বভার গ্রহণ করতেও তিনি পিছু পা হয়নি। আশা ভোঁসলে ১৯৪৮ সালে তার গানের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন এবং তিনি চুনারিয়া চলচ্চিত্র দিয়ে শুরু করেছিলেন তার সঙ্গীত জীবন।
প্রাথমিকভাবে খুবই কম বাজেটের হিন্দি ছবিতে গান গেয়ে তার গানের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। আশাজী খুব কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন তার এই সংগীত জীবনে।
তারপর একটার পর একটা গান দিয়ে তিনি জীবনে এগিয়ে যেতে শুরু করলেন। যেখানে ১৯৫৩ সালের পরিণীতা, ১৯৫৪ সালের বুট পালিশ, ১৯৫৬ সালের সি.আই.ডি আর ১৯৫৮ সালের নয়া দৌড় চলচ্চিত্রের জন্য বেশ কিছুটা গান তিনি গিয়েছিলেন।
এর পাশাপাশি “মাঙ্গ কে সাথ তুমহারা” “উদ জব জুলফে তেরি”, এর মতো কিছু গানের মাধ্যমে সংগীত শিল্পতে একটি ভালো জায়গা তৈরি করে নিয়েছিলেন। এরপর “দেওয়ানা হুয়া বাদল”, “আও হুজুর তুমকো” “এ দিল মেহেরবান” এই সমস্ত সুপার হিট গানের মত গান গেয়ে তিনি সকলের মন জয় করে নিয়েছিলেন।
এরপর ১৯৭৪ সালে আশা ভোঁসলে “প্রাণ যায় পর বচন না যায়”, ছবির জন্য “চেইন সে” গানটি গেয়ে রেকর্ড করেন। এই গানগুলোর অসাধারণ সাফল্যের পর তাকে এস ডি উপাধি দেওয়া হয়েছিল।
এসডি বর্মন, কালাপানি, কালা বাজার, “ইনসান জাগ ওঠা” লাজবন্তী, সুজাতা আর তিন দেবিয়ান, এর মতো চলচ্চিত্রের জন্য বেশ কয়েকটি সফল গান তিনি রচনা করেছিলেন। এই গানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত ছিল মোহাম্মদ রফি এবং কিশোর কুমারের সাথে আশাজির ডুয়েট গান।
তারপর ১৯৬০ এর দশকের মাঝামাঝি আশা ভোঁসলে আর ডি বর্মন এবং তার জীবনের শীর্ষে পৌঁছেছেন। এই গানের জগতে ১৯৬৬ সালে আশা তিশরী মঞ্জিল চলচ্চিত্রে তিনি বেশ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
আশা ভোঁসলে আর আর ডি বর্মনের গাওয়া ডুয়েট গান আজ সকলের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এ ছাড়া নৃত্যশিল্পী হেলেন কিন্তু আশা ভোঁসলের কন্ঠে ঠোঁট মিলিয়েছেন।
আশা ভোঁসলে হেলেনের জন্য যে জনপ্রিয় গানগুলি গেয়েছিলেন:
১৯৬৬ সালের তিশরী মঞ্জিলের “ও হাসিনা জুলফো ওয়ালি” এই গানটি এবং ১৯৭১ সালের ক্যারাভান ছবির “পিয়া তু আবতো আজা” গানের মধ্যে রয়েছে ইয়েহ এই গানটি। ১৯৭৮ সালের ছবি ডন এর মধ্যে “মেরা দিল” এবং ১৯৭২ সালের “জওয়ানি দিওয়ানি” ছবির জনপ্রিয় গান “জা জানে জা” খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
এছাড়া “হরে রাম হরে কৃষ্ণ” ছবির “দম মারো দম” গানটি হয়েছিল তার অনবদ্য প্রতিভার নিদর্শন। এছাড়াও অনেক হিট গান দিয়ে আশা ভোঁসলে তার গানের জাদুতে এবং সুমধুর কন্ঠের যাদুতে সকল মানুষকে মুগ্ধ করেছিলেন।
আশা ভোঁসলের কর্মজীবন:
তার কর্মজীবনে এমন একটি সময় এসেছিল যখন তিনি তার বড় বোন লতা মঙ্গেশকরের বিরুদ্ধে মূলধারার বলিউডে একজন প্লে-ব্যাক গায়িকা হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। আর আশা ভোঁসলে তার নিজের একটি সম্পূর্ণ আলাদা পরিচয় তৈরি করতে শুরু করেছিলেন। তার পাশাপাশি তিনিও এটি তৈরি করতে পেরেছিলেন।
তিনি পাশ্চাত্য প্রভাব, শাস্ত্রীয়, পপ, ক্যাবারে, গজল এর মত বিষয়গুলি কেও নিজের সঙ্গীত জগতে যুক্ত করেছিলেন। এইভাবে তিনি কর্মজীবনের সংগীতকে যুক্ত করেছেন আর কেরিয়ারে অন্য কিছুর কথা ভেবে দেখেননি। গানের জগতে শীর্ষে পৌঁছানোর পাশাপাশি করেছেন অনেক সংগ্রাম এবং শ্রোতাদের জন্য উপহার হিসেবে দিয়ে গেছেন আনন্দ আর আনন্দের গান উপহার দিয়ে চলেছেন প্রতিনিয়ত।
আশা ভোঁসলের ব্যক্তিগত জীবন:
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি খুব কম বয়সে বিবাহ করেছিলেন, মাত্র ১৬ বছর বয়সে আশা তার পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে ৩১ বছর বয়সী গণপতরাও ভোসলে কে বিয়ে করেন, আশা ভোঁসলে তার বোন লতা মঙ্গেশকরের ব্যক্তিগত সচিব ছিলেন।
তবে যাই হোক না কেন, এই বিয়ে খুবই খারাপ ভাবে ব্যর্থ হয় এবং কখন দুজনের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিতে দুজনের রাস্তা আলাদা হয়ে যায়। সেই সময়ে আশা জী এবং তার দুই সন্তান হেমন্ত এবং বর্ষা ও সেখানে ছিলেন এবং তিনি তৃতীয় সন্তানের সাথে গর্ভবতীও ছিলেন।
তারপর প্লে-ব্যাক গায়িকা হিসেবে কাজ করলেন। এরপর আর ডি বর্মনের সাথে দেখা হয়, তারপর তাদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হতে থাকে। তারা ১৯৮০ সালে বিবাহ করেন তাদের এই বিয়ে ১৯৯৪ সালে রাহুল (আর ডি বর্মন) মারা যাওয়া পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল।
আশা ভোঁসলের শখ:
আশা ভোঁসলে রান্না করতে খুবই পছন্দ করেন বলে জানা যায়। তিনি দুবাই, কুয়েত এবং যুক্তরাজ্যে সফল রেস্তোরাও চালিয়ে থাকেন। তিনি প্রায় বলেন যে তিনি একজন গায়িকা না হলে তিনি একজন ভালো রাধুনী হতেন।
আশা ভোঁসলের বাংলা গানের ক্যারিয়ার:
তিনি বিভিন্ন ভাষায় গান গেয়েছেন তা তো আমরা সকলেই জানি। আশা ভোঁসলে বাংলায় বহু পূজার গান গেয়েছেন। যেমন “গুঞ্জ দোলেরে ভোমর”, “গুনগুন গুনে”, “চোখের আমি বৃষ্টি” ইত্যাদি। ১৯৭০ দশকের মাঝামাঝি আশা ভোঁসলে প্রায়ই সুধীর দাশগুপ্ত, নচিকেতা ঘোষ এর লেখা বাংলা গানের জন্য নিজের কন্ঠ দিয়েছিলেন।
এছাড়া “আনন্দ আশ্রম” এর কিশোর কুমারের সাথে ১৯৭৫ সালে “আমার স্বপ্ন তুমি” এই গানটি ডুয়েট গিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন বাংলা ছবিতে জানিয়েছেন ১৯৮০ দশকে আশা ভোঁসলে বাংলায় “কুঞ্জ বিহারী হে গিরিধারী” এই ভজন ও গেয়েছিলেন। এমন ভাবেই একের পর এক বিভিন্ন বাংলা গান গেয়ে মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন আশা ভোঁসলে।
আশা ভোঁসলের মারাঠি ক্যারিয়ার:
তিনি হিন্দি, বাংলা ভাষায় গান গাওয়ার পাশাপাশি মারাঠি গানেও তিনি বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। ১৯৪৩ সালে আশা ভোঁসলে মারাঠি চলচ্চিত্র “মাজা বাল” এর জন্য তার প্রথম চলচ্চিত্রের গান “ছালা চাইলা নাভো বালা” এই গানটি গেয়েছিলেন। যা মারাঠি চলচ্চিত্র শিল্পে তার কর্মজীবনের সূচনা বলা যায়।
আশা ভোঁসলে তার কন্ঠ দিয়েছেন এমন কয়েকটি মারাঠি চলচ্চিত্র হলো মোলকেরিন, জাইত রে জাইত, ঘরকুল, সংঘাতে, আইকা দেব বাপ্পা, সিংহাসন ইত্যাদি। এছাড়া ভক্তিমূলক গানও গেয়েছেন মারাঠি ভাষায়। এভাবে মারাঠি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও একটা আলাদা পরিচিতি লাভ করেছেন আশা ভোঁসলে।
আশা ভোঁসলের পুরস্কার গুলি:
বিভিন্ন ভাষায় গান গাওয়ার জন্য তিনি অনেক পুরস্কার অর্জন করেছেন তা তো আমরা সকলেই জানলাম। এছাড়া আশা ভোঁসলে মারাঠি ছবি মানিনি এর জন্য ১৯৬২ সালে মহারাষ্ট্র সরকারের সেরা গায়িকার পুরস্কার জিতেছিলেন।
এছাড়া দম মারো দম, গরীবো কি শুনো, চেন সে হামকো কাভি, হোনে লাগি হে রাত, ইয়ে মেরা দিল ইত্যাদি গানের জন্য সবচেয়ে প্রিয় মহিলা প্লে-ব্যাক গায়িকা হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছিলেন।
১৯৫৬ সালের রঙ্গিলা ছবির জন্য আশা ভোঁসলে একটি বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত হন, তারপর ২০০০ সালে দুবাইতে সিঙ্গার অফ দা মিলেনিয়াম পুরস্কারে সম্মানিত হন।
২০০১ সালে ফিল্মফেয়ার থেকে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড লাভ কারি মহিলা হয়েছিলেন আশা ভোঁসলে। এছাড়াও তিনি দিল চিজ কেয়া হে, মেরা কুছ সাম এর মতো গানের জন্য সবচেয়ে প্রিয় প্লে-ব্যাক গায়িকার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছেন।
২০০১ সালে তিনি লাগান ছবির সবচেয়ে জনপ্রিয় গান “রাধা ক্যাইসে না জ্বলে”, এর জন্য সেরা মহিলা প্লে-ব্যাক গায়িকার জন্য আইফা পুরস্কারে ভূষিত হন।
এছাড়াও এই একই বছরে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে একটি সম্মান পেয়েছিলেন যা ছিল দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কারের সম্মান।
তারপর ২০০৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকার আশা ভোঁসলে কে একটি জাতীয় পুরস্কারে সম্মানিত করেছিল যার নাম পদ্মবিভূষণ। ভারতের এই শিল্পী গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তাকে পুরস্কার দেওয়া হয় এর সাথে সাথে কিছু পুরস্কার রয়েছে যেমন ধরুন লতামঙ্গেসকার পুরস্কার, মধ্যপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্র সরকারের আরো অন্যান্য পুরস্কারও তিনি জিতেছেন।
তার অনবদ্য প্রতিভা, গানের ধরন এবং বিভিন্ন ভাষায় গান গেয়ে তিনি সমস্ত ভাষার মানুষের মন জয় করেছেন। বাংলা থেকে হিন্দি, হিন্দি থেকে মারাঠি সবকিছুতে তিনি তার জায়গা করে নিয়েছেন একেবারে পাকাপোক্তভাবে।
সকল রকম ভাষার গানে তিনি একইভাবে জনপ্রিয়। গানের জগতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র আশা ভোঁসলে। তার গানের মহিমা ছোট থেকে বড় আজও সকলের কাছে খুবই প্রিয়। তার সুন্দর কণ্ঠস্বর প্রতিটি গানের মধ্যে যেন জীবন দান করে।