এই মুহূর্তের সব থেকে বড় খবর যে, ফনী ঝড় বয়ে আসছে পশ্চিমবঙ্গের দিকে। আসুন জেনে নিন কিভাবে সতর্ক থাকবেন এই ভয়াবহ ফনী ঝড় থেকে। কি কি কাজ করবেন এই ফনী ঝড় থেকে বাঁচার জন্য। কি কি কাজ করা উচিৎ নয় সমস্ত কিছু জানতে পারবেন এই পোস্টে।
ফনী ঝড় আসার আগে কি কি করবেন ?
১. প্রথম কথা যেটা হলো যে, শান্ত থাকবেন একদম ভয় খেয়ে যাবেন না কারণ ভয় খেলে সঠিক কাজ করতে পারবেন না। কোনো রকম গুজব ছড়াবেন না আর গুজবে কান দেবেন না অবশ্যই এই কথাটা মাথায় রাখবেন।
২. মোবাইল ফোনে ফুল চার্জ করে রাখবেন। যদি পাওয়ার ব্যাঙ্ক থাকে বা ইনভার্টার থাকে তাহলে তা আগে থেকে ফুল চার্জ করে রাখবেন।
৩. সঠিক তথ্য জানার জন্য টিভি বা রেডিওর খবর দেখুন/শুনুন। সোশ্যাল মিডিয়া ও হোয়াটসআপ এর খবর কে বিশ্বাস করার আগে যাঁচাই করে নেবেন।
৪. প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধপত্র আগে থেকে কাছেই রাখবেন।
৫. জরুরি কাগজপত্র গুছিয়ে রাখবেন কোনো সুরক্ষিত জায়গায় রাখবেন।
৬. ঘর-বাড়ির অবস্থা যদি ভালো না থাকে, মানে আগে থেকেই যদি ঘর-বাড়ির অবস্থা খারাপ থাকে তাহলে কোনো আত্মীয় বা কোনো সুরক্ষিত জায়গায় চলে যাবেন।
৭. কোনো ধারালো জিনিস খালি অবস্থায় রাখবেন না, কাপড় বা অন্য কিছু দিয়ে বেঁধে রাখবেন।
৮. গৃহপালিত পশুপাখিদের যতটা সম্ভব খোলা রাখবেন মানে ছেড়ে রাখবেন।
৯. জরুরি খাবার ও জল অবশ্যই বাড়িতে রাখবেন।
১০. সঠিক খবর শুনে সব সময় সতর্ক থাকবেন কারণ আপনার সতর্কতা আপনার জীবন বাঁচাতে পারে।
ফনী ঝড় চলাকালীন কি কি করবেন ?
১. ঝড় চলাকালীন সমস্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ। সরাসরি মিটার থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া বেশি ভালো।
২. গ্যাস বন্ধ করে দেবেন। রান্নার ঘরে গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ।
৩. বাড়ির জানলা ও দরজা বন্ধ রাখবেন।
৪. বিদ্যুৎ দ্বারা চালিত জিনিসপত্র চালাবেন না যেমন টিভি, কম্পিউটার বা অনান্ন জিনিস। মোবাইলের ব্যবহার কেবলমাত্র ইমার্জেন্সি(সঙ্কটের সময়) তেই করবেন বাকি সময় বন্ধ রাখা উচিৎ।
৫. সঠিক তথ্যের জন্য রেডিও তে খবর শুনুন। গুজবে কান দেবেন না।
৬. ফোটানো জল খাওয়া উচিৎ।
ফনী ঝড় শেষ হয়ে যাবার পরে কি করবেন ?
১. ভেঙে যাওয়া বা ক্ষতি হয়ে যাওয়া ঘরবাড়ির ভেতরে যাবেন না। এই ধরণের ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ার সম্ভবনা বেশি থাকে।
২. ছিঁড়ে যাওয়া বিদ্যুতের তার, ল্যাম্প পোস্ট এবং তীক্ষ্ণ বা ধারালো জিনিসপত্র থেকে সাবধানে থাকবেন।
৩. নিরাপদ জায়গা তে যতটা সম্ভব তারাতারি চলে যাওয়া উচিৎ।
৪. নিজে সতর্ক হয়ে পরিবারের খেয়াল রাখবেন। মিলে মিশে সুরক্ষার ব্যবস্থা নেবেন।