রাস্তায় লাইন দিয়ে টোল দেয়া ভারতের রাস্তায় নিয়মিত দৃশ্য হলেও এভাবে টোল দেয়ার দিন প্রায় শেষ হয়ে এলো বলে।
ভারতীয় সরকার ইতিমধ্যেই সকল টোল Fastag এর মাধ্যমে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে কিছু দিনের মাঝেই সকল গাড়ীই এই FaSTag কার্যক্রমের আওতায় চলে আসবে। এখন থেকে ভারতের জাতীয় সড়কগুলি সবগুলির টোলই FaSTag এর মাধ্যমে নেয়া হবে। তাই এর মাঝেই ভারতের Fastag বিক্রির হার অনেক বেড়ে গেছে। এ
ই FaSTag ব্যবহার করা হলে টোলপ্লাজা গুলিতে এখন আর গাড়ি দাড়াতে হবে না, টাকা দিতে সময় লাগবে না, রাস্তায় যানজট বেড়ে যাবে না। তাই আমাদের সবারই এই FaSTag নিয়ে জানা উচিত।
আমাদের বাংলাভূমি সাইটে আমরা নিয়মিতভাবে আপনাদের সাথে নানা প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকি। এই সকল লেখা থেকে আপনারা আপনাদের দৈনন্দিন জীবনের নানা দরকারী তথ্য জেনে থাকেন এবং নিজেদের প্রয়োজনে এই সকল তথ্য কাজে লাগাতে পারেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করবো FaSTag নিয়ে।
আরো পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের খতিয়ান ও জমির রেকর্ড সম্পর্কে সমস্তকিছু জেনে নিন
আমরা জানার চেষ্টা করবো, এই FaSTag কি? কিভাবে কাজ করে? FaSTag এর সুবিধাইবা কি? আসুন দেখে নিই FaSTag নিয়ে কিছু তথ্য।
FaSTag কি ?
FaSTag একটি ডিভাইস যা গাড়িতে সেট করা থাকে এবং যার মাধ্যমে টোল প্লাজার সামনে দিয়ে গাড়ী গেলে সয়ংক্রিয়ভাবে প্রিপেইড কার্ডের মাধ্যমে টোলের টাকা পরিশোধ হয়ে যাবে এবং কিছুক্ষণের মাঝেই কার্ডের মালিকের মোবাইলে পেমেন্ট মেসেজ যাবে। এতে করে টোল প্লাজায় আর গাড়ি থামাতে হবে না, সেই সাথে নগদ টাকা দেয়ার ঝামেলা, সময় সবই বেঁচে যাবে। এই FaSTag ডিভাইসটি বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় একটি ডিভাইস। ভারতীয় সরকার কিছুদিনের মাঝেই সকল গাড়ীকে এই FaSTag এর আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেছে।
FaSTag কিভাবে কাজ করে?
এই FaSTag টি গাড়ীর উইন্ডস্ক্রিনে লাগানো থাকে। এই ডিভাইসে Radiofrequency Identification যুক্ত থাকে। যার মাধ্যমে প্রিপেইড কার্ড হতে টোলের টাকা সরাসরি টোল কর্তৃপক্ষের কাছে চলে যেতে পারে। এই FaSTag যদি গাড়ির মালিকের প্রিপেইড একাউন্টের সাথে যুক্ত থাকে তবে আগে থেকেই টাকা দিয়ে রাখতে হবে। আর যদি মালিকের ডেবিট কার্ডের সাথে যুক্ত থাকে তবে একাউন্টের ব্যালেন্স হতে কেটে নেয়া হবে।
FaSTag এর মেয়াদ কতদিন?
একটি FaSTag কার্ডের মেয়াদ ৫ বছর। এই ৫ বছরে FaSTag এ যত খুশি টাকা রিচার্জ করা যাবে।
FaSTag কিনতে কি দরকার হয়?
আসুন দেখে নিই FaSTag কিনতে কি কি দরকার হয়ে থাকে।
১) গাড়ির রেগিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট।
২) গাড়ির ছবি।
আরো পড়ুন: সম্পত্তির পৈতৃক ও উত্তরাধিকার আইন সম্পর্কে সমস্ত কিছু জানুন
FaSTag কোথায় কেনা যায়?
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে FaSTag পাওয়া যায়। শুধুতাই নয়, ভারতীয় ২২ টি ব্যাংকেও FasTag কিনতে পারা যায়।
রাজ্য সড়কে কি FaSTag কাজ করবে?
জাতীয় সড়কের মত রাজ্য সড়কেও FaSTag চালু করার কথা রয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যে FaSTag চালু করার ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে।
FaSTag এ লেনদেনে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে?
আসুন দেখে নিই FaSTag এ লেনদেনে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে।
১) লেনদেনের ২.৫% টাকা ক্যাশব্যাক হিসেবে একাউন্টে যুক্ত হচ্ছে।
২) FaSTag যুক্ত গাড়ীর জন্য আলাদা লেন রয়েছে।
৩) কোন প্রকার স্টপেজ ছাড়াই এই FaSTag এর মাধ্যমে টোল পরিশোধ হয়ে যায়।
FaSTag কিভাবে রিচার্জ করা যায়?
২২ টি ব্যাংক হতে এই FaSTag রিচার্জ করা যায়।
FaSTag এর জন্য হেল্পলাইন নাম্বার
FaSTag এর জন্য হেল্প লাইন নাম্বার হলো ১০৩৩।
আরো পড়ুন: দেশের বিনামূল্যে ও সবথেকে কম খরচে উন্নত হাসপাতালগুলি সম্পর্কে জেনে নিন
আজ আমরা আপনাদের সাথে FaSTag নিয়ে আলোচনা করলাম। এতে করে আপনারা সবাই এই FaSTag নিয়ে জানতে পারলাম। আমাদের সাইটের পরবর্তী লেখায় আপনাদের জন্য এই বিষয়ের উপর আরো বিস্তারিত লেখা থাকবে। তাই আমাদের বাংলাভূমি সাইটে নিয়মিত চোখ রাখুন। এই লেখাটি অনেকের কাজে লাগতে পারে তাই লেখাটি যতটুকু সম্ভব শেয়ার করুন, যাতে করে অনেকে এই লেখা থেকে শিক্ষা নিয়ে FASTag সম্পর্কে বিস্তারিত অনেক কিছু জানতে পারবেন।
ভারতের বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে আরো অনেক লেখা পেতে আমাদের সাইটের অন্য লেখাগুলি দেখুন। আমাদের লেখা ভালো লাগলে বা যেকোন মন্তব্য আমাদের ফেসবুক পাতায় লিখুন। আমরা আপনার মন্তব্যের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবো।
বিভিন্ন রকমের Invesments, Insurance, Loan, LIC Policy, Mutual Funds ইত্যাদি Financial ব্যাপারে বাংলাতে জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে নজর রাখুন। এখানে পাবেন এই সকল বিষয়ে দুর্দান্ত গাইড যা আপনাকে আপনার টাকা সুরক্ষিত ভাবে বিনিয়োগ এবং অন্যান্য ব্যাপারে সাহায্য করবে। আপনাদের যে কোন পরামর্শ, প্রশ্ন আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।
No comments:
Post a Comment