
স্টেপ 1 : URL Addres চেক করুন ঃ
SBI সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাঙ্ক যে ভিডিওটি দিয়েছে, এই ভিডিওটিতে গ্রাহকদের জানানো হয়েছে যে গ্রাহক যে কোণও ওয়েবসাইট লগইন করার সময় Address বারে সর্বদা লক আইকন এবং httpsটি চেক করে নেওয়া উচিত। এছাড়া ফিশিং ইমেল বা এসএমএস এর ফাঁদে যাবেন না। httpsটির মানে এই যে, ব্যবহার করা ওয়েবসাইট সুরক্ষিত এবং এখানে লেনদেন সুরক্ষিত থাকবে।
স্টেপ 2 : সাসপেন্স লিঙ্ক -এ ক্লিক করবেন নাঃ
SBI সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাঙ্ক যে ভিডিওটি দিয়েছে , ভিডিওটির দ্বিতীয় ধাপে বলা হয়েছে যে জাল ওয়েবসাইটে রিডাইরেক্টের কারণে আপনার পার্সোনাল তথ্য চুরি হতে পারে। তাই কোনও সাসপেন্স ওয়েবসাইটের লিঙ্ক-এ ক্লিক করবেন না। ইমেল বা এসএমএস এর মাধ্যমে আসা কোনও সাসপেন্স লিঙ্কে ক্লিক করবেন না। এতে আপনি জাল ওয়েবসাইটের চক্করে পড়তে পারেন। লটারি বা কোনো কম্পিটিশন এর মাধ্যমে আপনি কয়েক লক্ষ বা কোটি টাকা জিতেছেন, এই ধরণের SMS বা Email থেকে দূরে থাকবেন।
স্টেপ 3: লিঙ্ক যাচাই করুনঃ
কোনও ইমেল, এসএমএস বা কোনও ওয়েবসাইটের লিঙ্কে ক্লিক করার আগে ভাল করে যাচাই করে নেবেন। বিনা যাচাই করে কোনও লিঙ্কে ক্লিক করবেন না। এতে আপনি বিপদে পড়তে পারেন। SMS, Whatsapp বা অন্নান্য মাধ্যমে আসা লোভ দেখানো বা সহজেই টাকা কমানোর এই ধরণের কোনো লিংকে ক্লিক করবেন না। যে কোনো লিংক বর্তমান সময়ে খুবি ক্ষতিকারক তাই লিংকে ক্লিক করার আগে ভালো ভাবে যাচাই করা উচিত।
স্টেপ 4: পার্সোনাল কার্ডের ডিটেলস কারও সাথে শেয়ার করবেন নাঃ
SBI ব্যাঙ্ক ভিডিওটির 5 নম্বর ধাপে জানিয়েছে যে কোনও অজানা নাম্বার থেকে ফোন করে আপনাকে আপনার কার্ডের পার্সোনাল ডিটেল জিজ্ঞাসা করে তাহলে আপনি সতর্ক থাকবেন এটি আপনার সাথে জালিয়াতি হতে পারে। তাছাড়া SBI ব্যাঙ্ক বলেছে যে কোনও ব্যাঙ্ক কর্মী কখনই ফোন করে ইমেল, CVV, OTP বা কোনও পিন নাম্বার বা কার্ডের নাম্বার এই জাতীয় কোনও তথ্য আপনার কাছে কখনই চায় না। শুধুমাত্র SBI নয় যে কোনো ব্যাঙ্ক এই ধরণের কোনো তথ্য জানতে চাই না। তাই এই ব্যাপারে আপনি সতর্ক হবেন।
স্টেপ 5: কোনও তথ্য শেয়ার করার আগে ভাল করে যাচাই করে নেবেনঃ
আপনার লগইন করার ডিটেলটি কখনই ফোনে বা SMS এর মাধ্যমে কারও সাথে কখনই শেয়ার করবেন না। শেয়ার করার আগে আপনি কাকে পার্সোনাল তথ্য শেয়ার করছেন তা ক্রস-ভ্যারিফাই করে নেবেন। নিজের USER ID এবং PASSWORD কখনই শেয়ার করা উচিত নয়। এবং কম সে কম ১৮০ দিনের অন্তরে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা উচিত। অনেক ব্যাঙ্ক অটোমেটিক ১৮০দিনের মধ্যে পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করে নিতে বলে।
এইগুলির বিষয়ে যদি আপনি সতর্ক থাকেন তাহলে আপনি জালিয়াতির হাত থকে এড়োতে পারবেন। এই টিপস গুলি মেনে চললে আপনি আপনার অর্থ সুরক্ষা রাখতে পারবেন।
আশা করি আমাদের এই তথ্য আপনাদের সাহায্য করবে, যদি আমাদের এই তথ্য আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই সকলের সাথে শেয়ার করবেন এবং এই ধরণের আরো নতুন নতুন তথ্য পাবার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে নজর রাখুন।নতুন নতুন আপডেট পাবার জন্য আমাদের Facebook Page লাইক ও ফলো করুন।