আজ কাল ডিজিটাল আর ক্যাশলেস এর এই সময়ে টাকা এক ব্যাঙ্ক থেকে অন্য ব্যাংকে ট্রান্সফার করা খুবই সহজ হয়েছে। কিন্তু শুধু সহজ বললেই চলে না সহজেই সাথে সাথে রয়েছে কিছু প্রবলেম, যা সামান্য ভুলের জন্য হতে পারে বড় ক্ষতি। যেমন টাকা ট্রানফার করার সময় একাউন্ট নাম্বারের একটি সংখ্যা ভুল হয়ে গেলে টাকা অন্য একাউন্টে চলে যায়। এই ধরণের আরো কোনো কারণে যদি টাকা অন্য ব্যাংকে ট্রানফার হয়ে যায় তাহলে এই সমস্যার সমাধান কিভাবে করবেন ? কি কি জরুরি পদক্ষেপ নিলে টাকা ফেরত পাওয়া যাবে ? আসুন সব কিছু ভালো ভাবে জেনে নিন....
নিজের ব্যাংকে সূচনা দিন :
যদি কখনো ভুল করে ভুল এখনউন্টে টাকা ট্রান্সফার করে ফেলেন তাহলে সবার আগে ব্যাংকে যোগাযোগ করুন আর ট্রান্সফারের সূচনা দিন। এর জন্য ব্যাংকের ইমেলে মেল করুন, ব্যাংকের ফোন ফোন করে সূচনা দিন অথবা সরাসরি ব্যাংকের ম্যানেজারের সাথে দেখা করুন। আপনাকে ট্র্রান্ফারের সমস্ত তথ্য ব্যাংকে দিতে হবে যেমন ট্রান্সফারের তারিখ, একাউন্ট নাম্বার, টাকা পাঠাবার সময়, কত টাকা পাঠানো হয়েছে ও একাউন্ট স্টেটমেন্ট। অনলাইন ট্রান্সফারের স্ক্রিনশর্ট অবশ্যই রাখতে হবে। ইমেলের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে এই সব তথ্য এটাচমেন্ট করে পাঠাতে হবে। ইমেল-র মধ্যেমে যদি তথ্য ব্যাংকে দেওয়া হয় তা বেশি ভালো হয়, ইমেল করার পর ব্যাংকের কাস্টমার কেয়ারে ফোন করে এই সূচনা অবশ্যই দেওয়া দরকার। কাস্টমার কেয়ারে ফোন করলে তারা যদি আন্তরিক কোনো উপায় বা কাজ করতে হয় তার সূচনা আপনাকে দেবে।এটা খেয়াল রাখবেন যে যদি টাকা একই ব্যাংকে পাঠানো হয়ে থাকে তাহলে টাকা ফেরতের প্রসেস তাড়াতাড়ি হয়। যদি টাকা অন্য কোনো ব্যাংকার একাউন্টে পাঠানো হয় তাহলে এই প্রসেস হতে দেরি হয় আর সময় ও লাগে বেশি।
আরো পড়ুন : যদি হঠাৎ লোন ধারকের মৃত্যু হয়, তাহলে ব্যাংকগুলি কিভাবে তাদের টাকা আদায় করে
তাড়াতাড়ি পদক্ষেপ নিতে হবে :
এই ধরণের ভুলের জন্য মোটেই দেরি করা চলবে না, সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নিলেই কাজ হবে। ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করে যার একাউন্টে ভুল করে টাকা চলে গেছে তার তথ্য ব্যাঙ্ক থেকে পেয়ে যাবেন এবং তার ফোন নাম্বার নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে তার সাথে যোগযোগ করে ভুল করে টাকা পাঠানোর কথাটি জানাতে হবে। এই কাজ আপনাকেই করে নিতে হবে কারণ টাকাটা আপনার। যদি ওই ব্যক্তি টাকা ফেরত দিতে রাজি হয় তাহলে আর তার ব্যাঙ্ক আর আপনার ব্যাঙ্ক একই হয় তাহলে টাকা শীঘ্রই পেয়ে যাবেন আর যদি অন্য ব্যাঙ্ক হয় তাহলে টাকা ফেরত পেতে দেরি হবে।যদি ওই ব্যক্তি টাকা ফেরত দিতে রাজি না হয়, তাহলে এই ক্ষেত্রে আপনি ওই ব্যক্তির ওপর FIR করতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে কেস করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। অনেক সময়েই এই রকম কেস দেখা যায় যেখানে টাকা ফেরত না দেওয়ার ফলে হয়। এছাড়াও যেই একাউন্ট নাম্বারে ভুল করে টাকা পাঠিয়েছেন সেই নাম্বারের কোনো একাউন্ট না থাকে তাহলে ট্রান্সফার করা টাকা অটোমেটিক আপনার একাউন্টে চলে আসবে। কিন্তু সমস্ত সূচনা ব্যাংকে অবশ্যই তাড়াতাড়ি দিতে হবে।
আরো পড়ুন : Loan নেবার আগে এই কথাগুলি মাথায় রাখবেন, বুঝে নিলে হবে আপনার লাভ
ব্যাঙ্কিং সতর্কতা মূল মন্ত্র :
অনলাইন ব্যাঙ্কিং করার সময় সতর্ক থাকাটাই সুরক্ষার মূল মন্ত্র। যখনি টাকা ট্রানফার করবেন ভালো করে ২-৩ বার একাউন্ট নাম্বার যাচাই করে নিন। ব্যাংকের IFSC কোড যাচাই করে লিখুন। ট্রানফার করার আগে লেখা সব তথ্য দুই বার দেখে নিয়েই ট্রানফার করা দরকার। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অনুসারে টাকা যে ট্রানফার করে সমস্ত দায়িত্ত তার আর এই বিষয়ে টাকা ফেরতের বিশেষ কোনো নিয়ম নেয়। তাই যখনি টাকা ট্রানফার করবেন সতর্ক হয়ে করাটাই সুরক্ষার দিক থেকে উচিত। এছাড়া যদি কোনো বড় রকমের টাকা পাঠাতে চান তাহলে আগে ১০০টাকা পাঠিয়ে যাচাই করে নিন যদি সব ঠিক থাকে তার পর বড় টাকা ট্রান্সফার করা উচিত। এই ধরণের একটা ছোট কাজ আপনাকে বড় বিপদের থেকে বাঁচাতে পারে। তাড়াতাড়ি করে টাকা পাঠানো উচিত নয়, একাউন্ট নাম্বার একটি একটি দেখে দেখে লেখা দরকার কারণ একটি ভুল নাম্বার আপনাকে অসুবিধায় ফেলতে পারে।আশা করি আমাদের এই তথ্য আপনাদের সাহায্য করবে, যদি আমাদের এই তথ্য আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই সকলের সাথে শেয়ার করবেন এবং এই ধরণের আরো নতুন নতুন তথ্য পাবার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে নজর রাখুন।নতুন নতুন আপডেট পাবার জন্য আমাদের Facebook Page লাইক ও ফলো করুন।