![]() |
About Pulse rate and nature in Bengali Laguage : Narir Goti o Prokiti Bangla |
রোগ নির্ণয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা
বিভিন্ন রোগে নাড়ীর গতি-প্রকৃতি বিভিন্ন রকম হয়ঃ
বিভিন্ন রোগের নাড়ীর গতি বিভিন্ন হয় , নিচে বিভিন্ন নাড়ীর গতি ও প্রকৃতি সম্পূর্ণ ভাবে দেওয়া আছে, বিভিন্ন অবস্থার নাম এবং তা কিভাবে বুঝতে পারা যাবে।
(১)জ্বর অবস্থায় – নাড়ী উষ্ণ ও দ্রুতগতি সম্পন্ন হয়।
(২)উদারময় বা পেটের অসুখে- নাড়ী শীতল ও দুর্বল অনুভূত হয়।
(৩)পিত্ত ও শ্লেষ্মা জ্বরে- নাড়ী কৃশ এবং সময়ে সময়ে শীতল ও মৃদুমন্দ গতি সম্পন্ন হয়।
(৪)বাত শ্লেষ্মা জ্বরে- নাড়ী মৃদুমন্দ গতিতে ধাবমান অ ঈষদুষ্ণ হয়।
(৫)বিষভক্ষণে বা সর্পদংশনে- নাড়ী গতি অত্যন্ত অস্থিরভাব যুক্ত হয়।
(৬)বায়ু ও পিত্ত জ্বরে- নাড়ী চঞ্চল, স্থূল, কঠিন এবং দোদুল্যমান অবস্থায় সঞ্চরমান হয়ে থাকে।
(৭)ঐকাহিক জ্বরে- নাড়ী থেকে থেকে প্রবাহিত হয় অর্থাৎ কিছুক্ষণ চলার পর কিছুক্ষণ স্তব্ধ আবার সঞ্চারমান আবার স্তব্ধ এইভাবে চলতে থাকে।
(৮)স্ত্রী সম্ভোগের পরে- নাড়ী তীব্র ও সরলগতি সম্পন্ন হয়।
(৯)মলরোধ ঘটলে- নাড়ী ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
(১০)অস্ত্রাঘাতে ও পতনে- নাড়ীর গতি হংস ও গজ সদৃশ হয়।
(১১)প্রমেহ ও উপদংশে- নাড়ীর গতি মাঝে মাঝে বাধাপ্রাপ্ত হয়।
(১২)পুরাতন রোগে- নাড়ী কখনো স্থুল কখনো দ্রুতগতি হয়ে থাকে।
(১৩)অজীর্ণরোগ- নাড়ী সচরাচর স্থুল হয়ে থাকে।
(১৪)ক্রিমি রোগ- নাড়ী স্থুল, কখনো দ্রুত বা কখনো মৃদুগতি যুক্ত হয়।
(১৫)কলেরায়- নাড়ী দুর্বল ও স্তব্ধ মনে হয়।
(১৬)রক্তস্রাব জনিত কারণে- নাড়ী হালকা, চঞ্চল, ধীরে ও মৃদুগতিযুক্ত হয়ে থাকে।
(১৮)কাশ রোগে- নাড়ী দ্রুত ও অনিয়মিত ভাবে প্রবাহিত হয়ে থাকে।
(১৯)শ্বাস রোগে- নাড়ী কখনো দ্রুত বা কখনো মৃদু-মন্দ গতি সম্পন্ন হয়ে থাকে।
(২০)বিষমজ্বরে- নাড়ী স্থির ভাবে সঞ্চরমান হয়।
(২১)ত্রিবিধজ্বরে- [বায়ু, পিত্ত কুপিত, কফ প্রভাবিত] নাড়ী ভ্রমরগতি যুক্ত হয়ে থাকে।
(২২)কামজ্বরে- নাড়ীর গতি চঞ্চল হয়।
(২৩)ক্রোধজ্বরে- নাড়ী দ্রুতগতি সম্পন্ন হয় ।
(২৪)সর্দিরোগে- নাড়ী ধীরে, মৃদুমন্দ বা কখনো চঞ্চল হয়ে থাকে।
(২৫)বাত ও শুল রোগে- নাড়ী অতি বক্রগতি ভাবে হয়।
উপরোক্ত ২৫ বিভিন্ন রকম নাড়ীর গতি ও প্রকৃতি দেওয়া হয়েছে যাহার দ্বারা আমরা বিভিন্ন পরিস্থিতিতে নাড়ীর গতি-প্রকৃতি অনুভব করে নির্দিষ্ট ও সটিক নির্ণয় নিতে পারি আর এটাও জানতে পারি যে আমাদের শরীরে কি চলছে ।